• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপি’র বড় তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস পাওয়ার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যাতে আরও বড় পরিমাণ তহবিল আসে সে প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে তাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, ভাসানচরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারে। ভাসানচরে আরও রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করতে ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন সরকারপ্রধান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য সুইডিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য হলেও দেশটি মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারপ্রধান বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও এবং তাদের জীবিকা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করেছে। তিনি বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এর ফলে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে যাতে কোনো মানুষ গৃহহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার বিনামূল্যে সারাদেশে গৃহহীনদের ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণু ঘর বানিয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন, তার সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছে। শেখ হাসিনা ১৯৬৯ সালে তার প্রথম সুইডেন সফরের কথা উল্লেখ করেন যখন তার স্বামী পড়াশোনা করতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর আগে, চার দিনের সফরে ভিক্টোরিয়া সোমবার ঢাকায় আসেন। তিনি কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। সূত্র : বাসস  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৫

‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেই নতুন তহবিল পাবে বাংলাদেশ’
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেই বাংলাদেশ নতুন তহবিল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আনা বজেরদে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের সামষ্টিক ও ক্ষুদ্র অর্থনীতির সংস্কারের ওপর জোর দেন আনা বজেরদে। একইসঙ্গে সংস্কারে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।  তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করছি এবং সংস্কার ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে প্রকল্পের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নেও গতিশীলতা আনার আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের এমডি।  সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থ-সমাজিক অগ্রগতির জন্য আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশেষ তহবিল চেয়েছেন।  তিনি বলেন, আপনারা (ডব্লিউবি) বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দিতে পারেন। বিশেষ তহবিলটি নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য নেই। সূত্র : বাসস  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৯

নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চান প্রধানমন্ত্রী
আর্থ-সমাজিক অগ্রগতির জন্য আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে রেয়াতি হারে আরও ঋণ চেয়েছেন তিনি।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আনা বজেরদে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা (ডব্লিউবি) বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দিতে পারেন। বিশেষ তহবিলটি নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে। নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য নেই। সূত্র : বাসস
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪০

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তহবিল জোগানের বিকল্প নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যাপ্ত তহবিল জোগানের বিকল্প নেই। জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বার্ষিক আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে আয়োজিত ‘কারণ ও প্রভাব : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই’ শীর্ষক ফোরামে মন্ত্রী এই কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের জোগান ক্রমেই কমে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে এ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের ০.৪৮%) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম উল্লেখ করে পরিবেশবিদ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ এ ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ পরিকল্পনা। ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানান এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারাদেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি এবং কর্মসূচি তুলে ধরেন। ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি অংশ প্রমুখ প্যানেলিস্টরা বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়