• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বমঞ্চে ‘আই-পপ’ নিয়ে ভারতীয় ৪ তরুণী
এবার বিশ্বমঞ্চ মাতাচ্ছেন ভারতীয় চার তরুণী। ‘কে-পপ’, ‘জে-পপ’র পর এবার ‘আই-পপ’ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে তাদের ব্যান্ড দল ‘উইশ’ (ডব্লিউ.আই.এস.এইচ)। যারা ভারতের গান ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্বমঞ্চে। ‘উইশ’র চার সদস্যরা হলেন— রি, জো, সিম ও সূচি। এদের মধ্যে রি ও সিম দুই বোন। সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্টের তত্ত্বাবধানে ‘উইশ’ ব্যান্ডটি গড়ে তুলেছেন সংগীত প্রযোজক মাইকি ম্যাকক্লেরি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হয় ব্যান্ডটির। বিবিসির সূত্র অনুযায়ী, ভারতে লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, শ্রেয়া ঘোষালদের মতো শিল্পীরা একক নারী শিল্পীর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। শুধু তারাই নন ‘নুরাস সিস্টার্স’দের মতো সংগীত জুটিও পাওয়া গেছে। কিন্তু ভারতীয় পপ গানের ইতিহাসে ভারতীয় নারীদের প্রথম মূলধারার ব্যান্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাত্রা করেছে ‘উইশ’।   এ প্রসঙ্গে ম্যাকক্লেরি বলেন, ভারতীয় সংগীত শিল্প অনেক সমৃদ্ধ। তবে ভারতে নারীদের গানের দল নেই বললেই চলে। সেই জায়গা থেকেই দলটি করেছি। জানা গেছে, গত ১ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ‘উইশ’র প্রথম গান ‘লাজিজ’। ‘উইশ’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটির মিউজিক ভিডিও আসার পর তিন সপ্তাহে ৪৩ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। গানের সঙ্গে শিল্পীদের নাচেরও প্রশংসা হচ্ছে।   বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জো বলেন, ভারতের সংগীত জগতে তারা পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। জো বলেন, নিজেদের কেবল শিল্পী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। চারজন মিলে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি। এবং কাজটি করার সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। এই দলের প্রথম সদস্য এবং দলনেতা রি বলেন, ‘উইশ’ এবং প্রথম গান ‘লাজিজ’ নিয়ে এখন পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া মিলেছে। গানটি মুক্তির অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমাদের ভক্ত হয়েছেন   অনেকই। ‘লাজিজ’ মুক্তির পর মানুষের মন্তব্য এবং উচ্ছ্বাস দেখে বোঝা গেছে, ভারত এরকম কিছুর অপেক্ষায় ছিল। সূচি বলেন, বর্তমানে স্বপ্নরাজ্যে বসবাস করছে ‘উইশ’র। গানকে উপভোগ করছি আমরা। তাই ইদানীং জীবনের ভালো দিকটাই বেশি চোখে পড়ছে আমাদের। বলতে পারেন সময় এখন শুধু আমাদের।       জনপ্রিয় কে পপ দল ‘বিটিএস’র গানের ভীষণ ভক্ত রি-জোরা। তাই আগামীতে বিটিএসের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে তাদের। উইশ দলের সদস্যদের ভাষ্য, তারা চার মেয়ে এবং বিটিএস থেকে যদি আরও চারজন আসে, তাহলে জোট বেঁধে গান করা যেতে পারে।      
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪

প্রেমের টানে ফিলিপাইনের তরুণী হবিগঞ্জে
প্রেমের টানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন তরুণী জুবেলিন। গত ৪ মার্চ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আশিকুর রহমান মিশুকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে আসেন জুবেলিন।  গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হবিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন ফিলিপাইন এই তরুণী ও মাধবপুরের আশিকুর রহমান মিশু। জুবেলিন বলেন, বাংলাদেশকে আমি খুব ভালোবাসি। এখানকার পরিবেশ, মানুষের আন্তরিকতা এবং সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি চির দিন তাদের সঙ্গে থাকতে চাই। আশিকুর রহমান মিশু বলেন, জুবেলিন খুবই ভালো মেয়ে। দুইজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। জুবেলিনও এই বিয়েতে খুশি। জানা গেছে, মাধবপুরের ধর্মঘর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান মিশু। চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে কাতারে যান মিশু। সেখানে ফিলিপাইনি তরুণী জুবেলিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও গভীর হতে থাকে। মিশুর বাবা লুৎফুর রহমান বলেন, জুবেলিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার নাম এখন জান্নাত রহমান রাখা হয়েছে। বিদেশি নতুন বউকে দেখতে এলাকাবাসীসহ অনেকেই বাড়িতে ভিড় করছে। মিশুর চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সব বিয়ের চেয়ে আলাদা একটি বিয়ে ছিল এটি। বিদেশি নতুন বউ দেখতে অনেকেই বাড়িতে এসেছে, মানুষের ভিড় লেগেই আছে। বিদেশি হলেও বউ খুব শান্ত প্রকৃতির। আমরা জান্নাতকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়েই ঘরে তুলেছি। বউ সবার সঙ্গে মিলে মিশে সুন্দরভাবে সংসার করবে বলে আমি আশা করছি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

আরবি লেখা পোশাক পরায় হামলার মুখে তরুণী
আরবি হরফ লেখা পোশাক পরিধান করায় ধর্মের প্রতি অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে এক তরুণীকে একদল লোক পিটুনি দিতে উদ্যত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের ইছরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলে ওই তরুণীর সঙ্গে আরও খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারত। দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) অভিযোগ এনে গণপিটুনিতে অনেক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেউ একজন বাজারে ছড়িয়ে দেন ওই তরুণীর জামার ছাপাগুলো পবিত্র কোরআনের বাণী। এই খবরে ওই তরুণীকে ঘিরে ক্রেতা, দর্শনার্থী ও পথচারীদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় বাজারের পোশাক ব্যবসায়ীরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। পোশাকটিতে আরবি অক্ষরে ‘হালুয়া’ শব্দটি মুদ্রিত রয়েছে, যার অর্থ মিষ্টি। লাহোর পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় ১টা ১০ মিনিটে তারা প্রথম একটি টেলিফোন কল পায়। ওই সময় টেলিফোনে পুলিশকে জানানো হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের একটি রেস্টুরেন্টে এক নারীকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা যায় রেস্টুরেন্টের বাইরে ৩০০ জনের মতো মানুষ ভিড় করে। এ সময় এক কোণে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে ওই নারী।  পুলিশের এই নারী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জামায় কী লেখা আছে, তা উত্তেজিত জনতার কেউই জানেন না। তবে ওই নারীকে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে পারাই ছিল আমাদের জন্য প্রধান কাজ।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যবসায়ীরা ওই তরুণীকে একটি দোকানের মধ্যে নিয়ে যান এবং উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাঁর জামায় যে ছাপ দেওয়া, তা আদৌ কোরআনের কোনো বাণী নয়, এগুলো আরবি অক্ষরশিল্প মাত্র। যা পাকিস্তানের বাজারে সচরাচর পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই ব্যাখ্যা শোনার পর উত্তেজিত জনতার একটি পক্ষ শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও একটি পক্ষ তরুণীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলতেই থাকে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই তরুণী বারবার বলছেন তিনি কোনো ধর্ম অবমাননা করেননি। এমনকি এ ধরনের পোশাক পরার ক্ষেত্রে তাঁর ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না। এমন নকশার পোশাক সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে সচরাচর পরা হয় বলেও তরুণী উল্লেখ করেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওই তরুণীর জামার ছাপায় কোনো পবিত্র শব্দ লেখা নেই। জামায় যেসব শব্দ লেখা রয়েছে, তার মধ্যে একটির অর্থ ‘হালুয়া’। ওই তরুণী থানায় এক ঘণ্টার মতো পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, ওই জামায় কোরআনের কোনো বাণী লেখা নেই। এ খানে ধর্ম অবমাননার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

দাদার মৃত্যু সইতে না পেরে ফাঁস দিলো তরুণী
রাজধানীর লালবাগে দাদার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে উম্মে হাবিবা সুমা (১৫) নামে এক তরুণী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাবিবা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। সে পরিবারের সঙ্গে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ ডুরি আঙ্গুল লেন বড় মসজিদের পেছনে ভাড়া থাকতো। হাবিবার চাচা মো. রুমন জানান, আমার বাবা আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তিনি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সপ্তাহে বাবাকে বাসায় নেওয়া হয়। হাবিবাকে খুবই ভালোবাসতেন তার দাদা। এজন্য হাবিবাও তার দাদাকে অনেক যত্ন করতো। সে নিজেই সময় মতো দাদাকে ওষুধ সেবন করাতো, খাবার খাইয়ে দিত, গোসল করিয়ে দিত। সবসময় দাদার আশপাশে থাকতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আমার বাবা বাসাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হাবিবা দাদার লাশের পাশে বসে কোরআন তিলাওয়াত করে। ঘণ্টা খানেক পর সে সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তার রুমে ঢুকতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তখন তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া মেলে না। এতেই সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে হাবিবা। দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাবিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাবিবার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি নেওয়ার জন্য লালবাগ থানায় যোগাযোগ করছে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

বান্ধবীকে নিয়ে পালানো সেই তরুণী গ্রেপ্তার
ফেসবুকে পরিচয়, এরপর প্রেম। বান্ধবীকে ভালোবেসে স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন তিনি। বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সহিদুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী মিম আক্তারের কথা। এরপর দুই দফা চেষ্টার পর তৃতীয় দফায় বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে সংসার বাঁধেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বান্ধবী রোবার লিজা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কলেজছাত্রী মিমসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাদের বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বেগম সুমাইয়া রিজভী মৌরী বান্ধবী লিজাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। আর লিজাকে ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে যেতে আপত্তি জানালে কলেজছাত্রী মিমকে পাঠানো হয়েছে সেভ হোমে। এমন ঘটনায় বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মিম আক্তারের পরিবারের দাবি, লিজা তার মেয়েকে ইনজেকশন দিয়ে অবচেতন করে রেখেছে। লিজার সঙ্গে কেন যাবে, তা জানতে চাইলে মিম অস্বাভাবিক জবাব দিত বলে জানান তার ভাই নাঈম হোসেন। মিমের বোন ফাতিমা জানিয়েছেন, তার বোনের ঢাকার হাজারিবাগ এলাকার শংকর জাফরবাদ ২৮৩/১ এর ইসলাম মঞ্জিলের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রোবার লিজার ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম হয়। পরবর্তীতে কোনো ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হতো না মিম। বরং রোবার লিজাকে বিয়ে করবে বলে বায়না ধরে। আর এজন্য পাঁচ বছর আগে বিয়ে হওয়া স্বামীকেও তালাক দেয় মিম। কয়েক দিন আগে মিমদের বাড়িতে বেড়াতে যান লিজা। কদিন পরেই লিজার সঙ্গে পালিয়ে যায় মিম। তখন পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয় মিম। কিন্তু দ্বিতীয়বার আবারও পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয় তারা। কিন্তু হাল ছাড়েননি মিম আর লিজা। অবশেষে চলতি বছরের গত ২৫ জানুয়ারি পুনরায় লিজার সঙ্গে পালিয়ে যায় মিম। এ ঘটনায় মিমের মা জিয়াছমিন বাদী হয়ে আদালতের সহযোগিতায় মুলাদী থানায় লিজাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিমসহ গ্রেপ্তার করা হয় লিজাকে। মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সোমবার অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং লিজা খান নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরী মিমকে পাঠানো হয়েছে সেফ হোমে ও গ্রেপ্তার নারী লিজাকে আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২২

প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণী 
প্রেমের টানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন এক তরুণী। তার নাম ফানসিস কা। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন সাজ্জাদকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তারা বন্দরেই সংসার শুরু করেছেন।  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বিল্লাল হোসেন সাজ্জাদ। তিনি জানান, আট বছর আগে তিনি কাজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা যান। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাকে চমকে দিতে কিছুদিন পর বাংলাদেশে আসেন খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ফানসিস কা। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে নাম রাখা হয় ফানসিস কা মণি হোসাইন।  তিনি আরও জানান, তার পরিবারের সম্মতিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে বিয়ে করেন তিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

এবার প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণী
প্রেমের কোনো দেশ-কাল-পাত্র নেই। প্রেমের কারণে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে যুগে যুগে অনেকেই ছুটে এসেছে তার প্রিয় মানুষটির কাছে। প্রেমের টানে সমাজ-সংসারের সব প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলনের গল্প নতুন নয়। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। কোনো বাঁধাই আটকাতে পারেনি তাদের। প্রেমের টানে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফ্রান্সিসকো নামে এক তরুণী।  ফ্রান্সিসকো দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা। বিয়ে করেছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ত্রিবেণী এলাকার বিল্লাল হোসেন সাজ্জাদকে। বর্তমানে তারা এখানেই সংসার শুরু করেছেন। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ বছর পূর্বে কাজের জন্য যান বিল্লাল হোসেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। তাকে চমকে দিতে কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে এসেছেন ফ্রান্সিসকো। পরে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করলে নাম রাখা হয় মনি হোসাইন। বিল্লাল হোসেন পরিবারের সম্মতিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সিসকোকে বিয়ে করেন। বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার সঙ্গে কখনো ঝগড়া হয়নি। আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আমি বাংলাদেশে এসে পরলে সেও বাংলাদেশে চলে আসবে। সম্প্রতি আমি চলে আসলে ফ্রান্সিসকো চলে আসে। এখন বিল্লাল হোসেন সাজ্জাদ তার বিদেশী বউকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পরিচিত করে দিচ্ছেন বাংলাদেশের গ্রাম, সংস্কৃতি আর পরিবেশের সঙ্গে। তার পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও ফ্রান্সিসকোকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।   বিল্লাল সম্পর্কে তার স্ত্রী ফ্রান্সিসকো বলেন, সে খুবই ভালো ছেলে। তার পরিবারও খুব মিশুক। বাংলাদেশের আথিতেয়তায় আমি মুগ্ধ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৭

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে জীবন দিতে প্রস্তুত তরুণী
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আইয়ুবুর রহমান আকাশ (২৯) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন মাস্টার্স পড়ুয়া (২৫) এক তরুণী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড়হামকুড়িয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। যুবক আকাশ একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে ওই তরুণী আকাশের বাড়িতে অনশন করছেন। তিনি আসার পর আকাশসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে সন্ধ্যা হলেও ওই তরুণী বাড়ি ছেড়ে যাননি। অনশনকারী তরুণী দাবি করেন, আকাশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে গত রমজানে তাদের বিয়ে হয়। তবে তারা গরিব হওয়ায় প্রথম থেকেই আকাশের বাবা এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না। আমার মুরব্বিদের ওর বাবা বলেছিলেন, অনুষ্ঠান করে তিনি আমায় তুলে নেবেন। কিন্তু প্রায় এক বছর হলেও তিনি এমনটি করেননি। পুত্রবধূর মর্যাদা দিয়ে তাকে বাড়িতে তুলেননি। উল্টো ডিসেম্বরে আকাশকে দিয়ে আদালতের মাধ্যমে আমাকে একটি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন।  ওই তরুণী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করছি। আমি যদি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাই, তাহলে এখানে জীবন দেবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আইয়ুবুর রহমান আকাশের বাবা জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, মেয়েটি গত রমজানে সিনক্রিয়েট করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছিল। এরপর আর তাকে বাড়িতে তোলা হয়নি। গতবছরের ২০ ডিসেম্বর আমার অজান্তে আকাশ মেয়েটিকে ডিভোর্স দেয়। পরে মুরব্বিদের মাধ্যমে মেয়ের পরিবারকে তিন লাখ টাকাও দেওয়া হয়েছে। তবুও মেয়েটা আবারও আজ বাড়িতে এসে সিনক্রিয়েট করছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, অনশন করার বিষয়টি জানা নেই। তবে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৯

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক তরুণী
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পক্ষে প্রক্সি দেওয়ার সময় সালমা খাতুন নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) একই উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তার পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন সালমা খাতুন নামে এক নারী।  খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখান থেকে আটক করা হয় সালমা খাতুনকে।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থী সালমা খাতুনকে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০  এর ৩ ধারা অনুযায়ী তাকে ১ বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫১

ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি তরুণী আটক
আখাউড়ায় অবৈধপথে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে রিয়া রানী দাস নামে এক বাংলাদেশি তরুণীকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করে আখাউড়া থানা পুলিশ। ত্রিপুরা রাজ্যের নিশ্চিন্তপুর সীমান্তের বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার রাজেশ কুমার বলেছেন, বাংলাদেশি ওই তরুণী সোমবার বিকেলে আখাউড়ার মনিয়ন্দ শিবনগর ২০২৬ সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের ভেতরে ঢুকলে নিশ্চিন্তপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে।  রিয়া হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্র দাসের মেয়ে। আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, রিয়া বিএসএফের হাতে আটকের পর সন্ধ্যায় ভারতীয় বিএসএফ-৪২ ডি কোম্পানি নিশ্চিন্তপুর ক্যাম্প কমান্ডার রাজেশ কুমার এবং ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি আখাউড়া মনিয়ন্দ ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. মিজানুর রহমান নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিএসএফ রিয়াকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। রাতেই রিয়াকে পুলিশের হেফাজতে দেয় বিজিবি।  আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃত ওই তরুণীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করা হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়