• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিএনপি এখন হতাশায় নিমজ্জিত : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করলো না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে এখন কি পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা অনুধাবন করতে পেরেছে, নির্বাচন বর্জন করে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা শক্ত হাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে, এ জন্য নিঃসন্দেহে তারা অভিনন্দন ও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক কম সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিবৃতিতে আগুন-সন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে। অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৫

বিএনপির সমর্থকরাও ভোট দিতে বসে আছে : তথ্যমন্ত্রী
‘বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা পদ্মা, যমুনা ও কর্ণফুলী নদীতে ভেসে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এখন বিএনপির সমর্থকরাও ভোট দেওয়ার জন্য বসে আছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের কুদ্দুছ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আগে বলেছিল নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সেই উদ্দেশ্যে তারা মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এসব করে তারা দেখতে পেল, কোনো লাভ হয়নি, মানুষ ভয় পায়নি। বরং মানুষ এখন নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠেছে। সেই উৎসবের জোয়ারে বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে। তাই এখন তারা বলছে, ‌‘আমরা নির্বাচন প্রতিহত নয়, নির্বাচন বয়কট করার কথা বলছি।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি এতদিন পর বুঝতে পেরেছে মানুষ তাদের ডাকে এখন আর সাড়া দেয় না। হয়তো বিএনপি আর কয়দিন পরে বলবে, নির্বাচনে আমাদের সমর্থকরা অংশগ্রহণ করলেও অসুবিধা নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও তাদের প্রান্তিক পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকরা এটাকে সমর্থন করে না। এই জনসভাতেও অনেক বিএনপি সমর্থকরা হাজির হয়েছে। যারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের উপকার এবং দেশের উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কখনও আওয়ামী লীগ-বিএনপি পার্থক্য করেননি। তার কাছ থেকে শিখে রাঙ্গুনিয়ায়ও আমার উন্নয়ন কার্যক্রমে দল-মত বিবেচনায় আনিনি।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৫

ড. ইউনুসের সাজায় সরকারের হাত নেই : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালত দণ্ডিত করেছেন। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিনে দেওয়া হয়েছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ  মামলা করেনি। মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের রায় প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, লাভের ৫ শতাংশ তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। এ যাবৎ কখনো তা দেওয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ এবং ২৩৪ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুইজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুইজন শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি করে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। দুজনকে ঘুষ দেওয়ার পরও টাকা না পাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকরা মামলা করেছেন। সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এ কারণেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তার কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে। ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির এমডি সরকারের মাধ্যমে নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ১৯৯০ সালের সংশোধনী অনুসারে, এমডি নিয়োগের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসে স্থানান্তরিত হয়। এই পরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান ১৯৯০ সালের ১৪ আগস্ট ড. ইউনূসকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে ড. ইউনূসের নিয়োগে অনাপত্তি দেয়। এগুলো হচ্ছে, এমডির চাকরির শর্তাবলি ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৪ এর ৪ ধারার প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, পরিচালক বোর্ড অধ্যাদেশের ৩৬ ধারার অধীনে নিয়ম তৈরি করবে, যা সরকারি গেজেট প্রকাশের পর কার্যকর হবে। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে, একজন এমডি ৬০ বছর বয়সের সীমা অতিক্রম করতে পারবেন না। কিন্তু ড. ইউনূসের বয়স যখন ৫৯ বছর, ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালক বোর্ড তার ৫২তম সভায় আইন ভঙ্গ করে রেজুলেশনে তাকে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এমডি হিসেবে নিশ্চিত করে। এটি গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ১৪ এর ৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার এই নিয়োগের অসৎ উদ্দেশ্য পরে প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১ এবং ১২ এর ২ ধারা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিকে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে তার চাকরির শর্তাবলি লঙ্ঘন করেছেন। একজন পূর্ণ-সময়ের সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজের জায়গায় তার ঘন ঘন অনুপস্থিতি ছিল এবং সেই অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন কখনো নেওয়া হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ও তার পরিবারের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। এই সমস্ত কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এককভাবে কারো নাম বলছি না, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মিশনে মিশনে পার্টিতে যায়, আবার বিভিন্ন  দেশের সংস্থা থেকে অর্থ পায় এবং ট্যুরে যায়। তারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা যেটি বলে সেটিই করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা তাদের বক্তব্যগুলো ভালো করে প্রচার করি। এটা না দিলে কিন্তু তাদের বাজার মূল্যটা কমে যেত। আমরাই বাজার মূল্যটা বাড়িয়ে দেই।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়