• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রার ঢাকায় আসার কথা ছিল শনিবার (২০ এপ্রিল)। তার সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।  বিনয় মোহন কাত্রার সফরের সময় নৈশভোজেও বেশ কয়েকজনকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। তবে আমন্ত্রিতরা বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সফর স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বার্তা পেয়েছেন। আগামীতে এ সফরের তারিখ নির্ধারণ হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিনয় কাত্রা একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসতে পারেন।  সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্র জানায়, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। এ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি উভয় পক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ মে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন বিনয় মোহন কোয়াত্রা। তিনি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এবার দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় আসার কথা ছিল তার।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৬

শনিবার ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা আগামী শনিবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হিসেবে তিনি এ সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিনয় মোহন কাত্রা। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহে ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন।  প্রধানমন্ত্রীর এই সফর আগামী জুন অথবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হবে। কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের আগে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে।  সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত দিক, সম্ভাব্য এমওইউ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বিনয় মোহন কাত্রা। দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুদেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত-সম্পর্কের সব দিককে এগিয়ে নিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ পাঁচের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৯৩ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ১৯৬ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। ১৭৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ১৬৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানিং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২

যখন শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।  উপাচার্য বলেন, আমরা আগামীকাল বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরও ভালো কাটবে। এবারের উপজীব্য বিষয় হলো ‘অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া।’  প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। যাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রকম ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না। এ ছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টোরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে। এ শোভাযাত্রায় কোনো বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় স্টেশনের ভিআইপি গেটের সামনের ফাঁকা জায়গায় এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের ইমামের ইমামতিতে রেলওয়ের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরার পাশাপাশি আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই জামাতে অংশ নেন। ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সফিকুর রহমান, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ারসহ অনেকেই।  এদিকে, রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি অংশ নেন। ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬

শেষ মুহূর্তে ট্রেনে অতিরিক্ত চাপ, ছাদে চড়েই ঢাকা ছাড়ছেন অনেক যাত্রী
ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তে ট্রেনগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। স্টেশনে রাত থেকেই অপেক্ষা করতে গেছে ঘরমুখো মানুষদের। ট্রেনের ভেতরে চড়তে না পেরে অসংখ্য মানুষ ছাদে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করছেন। যেকোনো মূল্যেই তাদের বাড়িতে যেতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। বাড়ির উদ্দেশে তাই নারী, পুরুষ, শিশুসহ ছাদে উঠেই ঘরমুখো যাত্রীরা ঢাকা ছাড়ছেন।  অতিরিক্তি যাত্রীর কারণে টিকিট কাটার পরও অনেকে নিজ সিটে বসতে পারেননি। ট্রেনের ভেতরে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ট্রেনের ছাদে চড়া এক যাত্রী বলেন, বাড়ি তো যেতে হবে। টিকিট নেই। দেশের জনগণের তুলনায় ট্রেনের সক্ষমতা খুবই কম। বাসে গেলে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সেজন্য ঝুঁকি জেনেও ট্রেনের ছাদে করেই গ্রামে যেতে হচ্ছে। আরেকজন যাত্রী জানান, তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। টিকিট না পাওয়ায় এবং ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়েই তিনি ছাদে চড়ে রওনা দিয়েছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৯

ঢাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।  সোমবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ঢাবির মসজিদুল জামিয়ার প্রধান খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দীনের ইমামতিতে সকাল ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সিনিয়র খতিব হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদের ইমামতিতে সকাল ৯টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।  এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদ এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় ঈদের ফিতরের পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার বা বৃহস্পতিবার (১০ বা ১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

ঈদে ঘরমুখো মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা 
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। প্রতিদিন বাস, ট্রেন, লঞ্চ-সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার (৬ এপ্রিল) বেশিসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। তবে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই।  রাজধানীর মহাখালী, গাবতলি, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর ও গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সড়কগুলোতে যানজট দেখা গিয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোটামুটি সব ট্রেনই সময়মতো ছেড়েছে।  কয়েকটি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের প্রায় ৭০০ সদস্য। নৌপথে শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকলেও এখন সদরঘাটে যাত্রীর বিচরণ বেড়েছে। লঞ্চের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ টাঙ্গাইল অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে ১২ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এদিকে ঈদ সামনে রেখে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করাসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। একসময় শিমুলিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো ফেরি পারাপারের জন্য। পদ্মা সেতু হওয়ায় এখন আর সেই চিত্র নেই। ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত পার হচ্ছে মানুষ। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিং এর আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারো কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।  যাত্রীদের প্রত্যাশা, সারা বছর যদি রেলওয়ে এমন সার্ভিস দেয় তাহলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশনে চলে আসায় প্লাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।  লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন যাত্রী বলেন, জেনেছি ট্রেনটি ছাড়তে ১৫ মিনিট বিলম্ব হবে। এ নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্টেশনে আসতে পেরেছি এবং ট্রেনে উঠতে পেরেছি। লালমনিরহাট অনেকটা দূরের পথ। ঈদ ছাড়াও যে কোনো সময় এই পথে বাসে যাতায়াত অনেক কষ্টকর। ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই সেখানে যাওয়া। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আমির হোসেন সিফাত বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেন একমাত্র ভরসা। যমুনা সেতুতে যে পরিমাণ গাড়ির জট হয় ঈদের আগে এটি খুবই ভোগান্তির। এ বছর খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরও বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। ঈদ উপলক্ষে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সেগুলো হলো-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে হবে। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ নানানভাবে ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম দিকে কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হলেও পরেরগুলো যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। এবার ঈদের আগে ও পরে ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই বাস-ট্রেনসহ সবখানেই যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এজন্য অনেকে আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। শনিবারও অনেকে বাড়ি ফিরছেন। খুলনাগামী বাসযাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তাকে রেখেই আগেভাগে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। কারণ পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। ঈদের ছুটি শুরু হলে তখন আমার স্বামী বাড়ি যাবে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। পরিবার নিয়ে তিনি পুরান ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি। প্রতিবছর ঈদ এলেই ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বিপুলসংখ্যক ঈদ যাত্রীর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ লাখ মানুষ সড়ক পথে যাবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

ডিএমপির আর্থিক অনুদান পেলেন ২১৭ পুলিশ সদস্য
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কল্যাণ তহবিল থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় আহত ও অসুস্থ পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা এবং নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় । এ সময় ২১৭ জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়। সোমবার (১ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি পরিবার। ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ কবির এ নীতির উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের এই আর্থিক সহায়তা চলমান থাকবে। তিনি বলেন, ডিএমপির অসুস্থ সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ ও রোগ মুক্তি কামনা করছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তারা আমাদের সহকর্মী, তাদের সুস্থ করার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমাদের পারস্পরিক বন্ধন সম্পর্ক যেন অটুট থাকে, আরও বেশি মজবুত হয় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে সবচেয়ে ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বসেন। এজন্য কারো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ডিএমপির ব্যবস্থাপনায় সেখানে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই কথা বলবো। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়