• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যমুনা নদী‌তে অষ্টমীর স্না‌নে পুণ্যার্থীদের ঢল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপু‌রে যমুনা নদী‌তে মহাষ্টমীতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখ‌রিত স্নান ঘাট।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভো‌র থে‌কে উপ‌জেলার খান‌ুরবা‌ড়ি সরাতলা কা‌লীম‌ন্দির সংলগ্ন যমুনা নদী‌তে স্নান শুরু হয়।  পাপমোচনের আশায় এবং দেশ ও জা‌তির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা ক‌রে আগত পুণ্যার্থীরা যমুনা নদী‌তে স্নান কর‌তে আসেন।  ‌দেশের বি‌ভিন্ন জেলা থে‌কে পুণ্যার্থীরা স্নান কর‌তে যমুনা ঘা‌টে আসে। এ সময় গঙ্গা পূজা-অর্চনা ক‌রে ভক্তরা। চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসংখ্য পুণ্যার্থী এখানে পুণ্যস্নানের জন্য আসেন। ঘা‌টে পূজা করা পুরো‌হিত পিন্টু গোস্বামী জানান, পাপ‌মোচনের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যমুনা নদী‌তে স্নান কর‌তে এসেছেন। বি‌ভিন্ন জায়গা থে‌কে পুণ্যার্থীরা আস‌ছেন স্নান কর‌তে। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নে‌মে‌ছে নদী‌তে। এ দিকে স্নান ঘা‌টের পা‌শেই মেলা শুরু হয়ে‌ছে। মেলায় বিভিন্ন ধর‌নের পণ্য সামগ্রীর পসরা নি‌য়ে ব‌সে র‌য়েছেন বি‌ক্রেতারা।   অন‌্যদি‌কে ভূঞাপুরে স্লুইস গে‌ট এলাকায়ও স্নান উৎসব হ‌য়েছে। সেখানেও স্নান উৎসব‌কে ঘি‌রে মেলার আয়োজন করা হয়।  অষ্টমী স্নান উৎসব আয়োজক ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক অভি‌জিৎ ঘোষ বলেন, ‌ভোর থে‌কে পুণ্যার্থীরা স্নান ঘা‌টে এসে‌ছেন পূজা অচর্না কর‌তে। আগত পুণ্যার্থী‌দের জন‌্য সকল ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে। ক‌য়েক হাজার ভক্ত‌দের জন‌্য প্রসা‌দের ব‌্যবস্থা করা হয়। স্না‌নোৎস‌বে পর্যাপ্ত সংখ‌্যক পু‌লিশ সদস‌্য দা‌য়িত্ব পালন ক‌রে‌ছেন ভক্ত‌দের নিরাপত্তার জন‌্য।  ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্ল‌্যাহ ব‌লেন, নিরাপত্তা নি‌শ্চি‌তে স্নান ঘা‌টে পু‌লিশ সদস‌্য মোতা‌য়েন করা হ‌য়েছে। জেলা পু‌লিশের রিজার্ভ ফোর্স, থানা পু‌লিশ ও নৌপু‌লি‌শের সদস‌্যরা আইনশৃঙ্খলা কা‌জে নি‌য়ো‌জিত র‌য়েছেন‌।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

মানিকগঞ্জে গঙ্গাস্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
প্রতিবছরের মতো এবারও মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীতে গঙ্গাস্নানের আয়োজন করেছে অন্নপূর্ণা সেবা সংঘ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর ৬টায় স্নান করতে জেলা শহরের বেউথা ঘাট এলাকায় ভিড় করেন বিভিন্ন এলাকার হাজারে পুণ্যার্থীরা।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র সুদেব কুমার সহা, পৌর কাউন্সিলর উজ্জ্বল হোসেন, অন্নপূর্ণা সেবা সংঘের সভাপতি দিলীপ কুমার রাজবংশী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব সাহা, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি দীপক ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসাইন খান, পৌর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জাফর শেখ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিশ্বাস টুটুল, বেউথা মুকুল ফৌজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, তিলধারণের ঠাঁই নেই
সমুদ্র সৈকতের টানে কক্সবাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে। তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে তাদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবার থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।  এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।  হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

জুমাতুল বিদায় আল আকসায় মুসল্লির ঢল
পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমা (জুমাতুল বিদা) ছিল শুক্রবার (৫ এপ্রিল)। ইসরায়েলের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও ইসরায়েলি বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও এদিন নামাজ আদায়ের জন্য আল-আকসা মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের।   কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এদিন ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসায় ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন।  সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দিন রাত থেকেই মসজিদে প্রবেশের মুখে চেকপয়েন্ট বসায় ইসরায়েল বাহিনী। মুসল্লিদের প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়। এ সময় জোর করে মসজিদে প্রবেশের সময় ১১ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করে ইসরায়েলি বাহিনী। একপর্যায়ে কিছুটা সংঘাতময় পরিস্থিতিও তৈরি হয়। মসজিদুল আকসার বাইরে ফিলিস্তিনিরা জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে সব বাধা উপেক্ষা করে ঠিকই জুমার নামাজ আদায় করেছেন ফিলিস্তিনিরিা। শুধু জুমার নামাজই নয়, তারাবিহতেও ছিল মুসল্লিদের ঢল। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এরপর ইসরায়েল গাজায় রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করে। গত ৬ মাসে মৃত্যুপুরীতি পরিণত হয় গাজা। নারী-শিশুসহ সবাইকে নির্বিচারে হত্যা করে তারা।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩০

জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল 
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আজ। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। রমজান আর জুমা একত্রে মিলিত হয়ে এ দিনটিকে করে তুলেছে মহিমান্বিত। আর আজকের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ঢল।  রমজান মাসের শেষ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পবিত্র জুমাতুল বিদার এই দিনে নামাজের আগেই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার অধিকাংশ মসজিদ।  আজানের পরপরই শুরু হয় খুতবা। আলোচনায় আবারও মনে করিয়ে দেওয়া হয়, পবিত্র এ মাসের ফজিলতের কথা। রমজানের শেষ শুক্রবারে কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ পূর্ব বয়ানে খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন পবিত্র মাহে রমজান, শবেকদর, জুমাতুল বিদার তাৎপর্য সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা করেন। জাকাত ও ফিতরা আদায়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। নামাজ শেষে খতিব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তিকামনা করে মোনাজাত করেন।  এ সময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি। রমজান মাসের শেষ জুমার এ দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ বিশেষ দিন পালিত হলো।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৬

রোজার প্রথম জুমায় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল দেখা গেছে। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর প্রতিটি মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। বেলা সোয়া ১২টার পর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে মসজিদে। দুপুর পৌনে ১টা বাজতে না বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর বাহির প্রাঙ্গণ।  দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রমজানের প্রথম জুমায় প্রতিটি মসজিদেই এমন দৃশ্য দেখা গেছে। একজন মুসল্লি বলেন, রোজার প্রথম জুমা আজ, তাই তাড়াতাড়ি চলে এলাম। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে কবুল করে নেন। আরেক মুসল্লি বলেন, রমজান মাসের জুমায় সওয়াবের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই কাজ শেষ করে চলে এসেছি।  মগবাজার থেকে এসেছেন একজন মুসল্লি তিনি বলেন, সাধারণত জুমার নামাজ এলাকার মসজিদেই পড়ি। তবে রমজানের প্রথম জুমাটা বায়তুল মোকাররমে পড়তে চেয়েছিলাম, তাই চলে এলাম। নিরাপত্তা জোরদারে ও  অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৬

প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল
রহমত, বরকত, ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির পয়গাম নিয়ে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। তারাবি নামাজের মধ্য দিয়ে সোমবার (১১ মার্চ) শুরু হয়েছে মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম তারাবিকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ পাড়া-মহল্লার মসজিদেও মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ পাড়া-মহল্লার মসজিদেও তিল ধারণের জায়গা নেই। কোনো কোনো মসজিদের আঙিনা ছাড়িয়ে রাস্তায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়েও মুসল্লিদের তারাবির নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসে মসজিদে খতমে তারাবি পড়ানোর বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নির্দেশনা অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রথম ৬ রমজানে কোরআন শরীফের দেড় পারা এবং পরবর্তী ২১ দিন এক পারা করে পাঠ করতে হবে। সারাদেশের মুসল্লি, ইমাম-খতিব ও মসজিদ কমিটিকে একই পদ্ধতিতে তারাবি নামাজ আদায় করতে আহ্বান জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ। সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশেই বিরাজ করছে রোজার আমেজ। ভোরে সেহরি খেয়ে এবারের প্রথম রোজা রাকবেন মুসল্লিরা।
১১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩০

প্রথম তারাবিহতে আল-আকসায় হাজারো মুসুল্লির ঢল
আল-আকসায় তারাবিহ পড়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ফিলিস্তিনবাসীর মনে। কারণ, রমজান মাস শুরু হলেই আল-আকসায় মুসুল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নীপিড়ন বেড়ে যায়। এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। প্রথম তারাবিহতে পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকে নজর ছিল সবার। সব বাধাবিপত্তি, শঙ্কা আর ভয়-ডর পরোয়া না করে  হাজারো মুসুল্লি তারাবিহর নামাজ আদায় করেন ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায়। উপস্থিত ছিল নারী-শিশুরাও। যথাসময়ে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো ৪০ বছরের নিচে কাউকে আল-আকসায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েরি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না। এ ছাড়া গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে শবেবরাত। মুসলমানদের কাছে এই রাত ভাগ্য রজনী হিসেবেও বিবেচিত হয়। তাই মসজিদগুলোতে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও ক্ষমার আশায় ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া ও মোনাজাত করে সময় পার করছেন তারা। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবেবরাত বলে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে শবে বরাত পালন করছে মুসলমানরা।  এদিন সন্ধ্যায় সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকা, মালিবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মসজিদ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কসহ সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন, কেউ নফল নামাজ আদায় করছেন, কেউবা করছেন জিকির। আবার কেউ কেউ দোয়, মোনাজাতে আল্লাহর কাছে রহমত কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।  এদিকে শবেবরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই এসব কার্যক্রম শুরু হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ‘পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়াজ করেন মাদারীপুর জামেআতুছ সুন্নাহ শিবচরের মুহতামিম হযরত মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী। রাত সাড়ে ১২টায় ‘আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়াজ করবেন ঢাকার বাদামতলীর শাহাজাদ লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। আর রাত ৩টা ১৫ মিনিটে ‘নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত’ শীর্ষক ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান। ভোর সাড়ে ৫টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শবেবরাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০১

আখেরি মোনাজাত শেষ, ফিরতি পথে মুসল্লিদের ঢল
তুরাগতীরের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এখন সবাই ঘরমুখো হয়েছেন। এতে সড়কে যানবাহনে সংকট দেখা দিয়েছে। মোনাজাতের সুবিধার জন্য গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। তবে অনেকেই গাড়ির অপেক্ষা না করে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ ১১ ৪৪ মিনিটে। এর পরেই সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কয়েক দিন আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা মাঠে। শুক্রবার ইজতেমার প্রথমদিন জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা’দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। এ লক্ষ্যে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত মোনাজতের আগ পর্যন্ত অব্যহত থাকে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন বলে ধারণা করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া। মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা’দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা’দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়