• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, খরচ ১২০ টাকা
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) তৈরি কিট দিয়ে এখন ঘরে বসেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি নামক কিটটির মূল্য মাত্র ১২০ টাকা। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান। তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা। ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি এবং এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি। জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। বিআরআইসিএম কর্মকর্তারা বলেন, সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার তাদের কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। তারা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পরীক্ষার কিটগুলো কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো অর্ডার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যেকোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।
১ ঘণ্টা আগে

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ছয়জন ঢাকার বাসিন্দা এবং ১৭ জন ঢাকার বাইরের। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৯৩৯ জন। এরমেধ্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এক হাজার ৮১৯ জন। মারা গেছেন ২৪ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৪

ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে মাঠে নামছে ডিএসসিসির ৫৪ ওয়ার্ড
ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই একযোগে ৫৪টি ওয়ার্ডে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালাতে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।  জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ৫৪ জন সাধারণ এবং ১৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাসব্যাপী এই প্রচারাভিযান পরিচালনা করবেন। আগামী ২২ এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসব্যাপী প্রচারাভিযান পরিচালনা বিষয়ক এক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  সভায় মেয়র জানান, সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন তাদের সেবা করার জন্য। মশার যন্ত্রণায় যদি তারা অতিষ্ঠ থাকে তার কি জবাব দেব আমরা। তাই সব কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একযোগে কাজ করে ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ কাজে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই যদি সচেতন থাকি এডিস মশা কখনই বংশ বিস্তার করতে পারবে না। নিজের নিরাপত্তার জন্যই অন্যকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রতি মাসে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা ও র‍্যালির আয়োজন করবে। মেয়র বলেন, আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রবাদি জনগণের নিকট হতে নগদ মূল্যে ক্রয় করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। সভায় প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নির্ধারিত দামে ময়লা কেনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১

সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি (ভিডিও)
রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন একেকটা মশা উৎপাদনের কারখানা। ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিলে কিছুটা নজরদারি বাড়লেও এখন যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটানো হলেও তা কাজে আসে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ঘাটতি আর সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও দেশে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। গত কয়েক দশক ধরে রাজধানীতে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। নির্মাণাধীন এসব ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। গত বছর রাজধানীতে ৫০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগের জন্য নির্মাণাধীন ভবনকে দায়ী করা হয়। এবারের চিত্রও আগের মতো। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেওয়া হয়নি আগাম কোনো ব্যবস্থা। ভবন মালিকদের অসচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন নগরবাসী। তারা জানান, যেখানে মশা তৈরি হয় সেখানে ওষুধ দেওয়া হয় না। মাঝে মধ্যে মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও তা কাজে আসছে না। আর ওষুধ দেওয়া হলেও এর ভেতরে থাকে কেরোসিন। কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ না করায়, মশা মরছে না। তিনি বলেন, যে দূরত্ব থেকে স্প্রে করা দরকার, এর থেকে বেশি হলে মশা বাড়বে। আর স্প্রের কারণে মশার প্রাকৃতিক শত্রুরা মারা যাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বেনজির আহমেদ জানান, গত বারের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতির কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে এখন আর কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। সে বিষয়ে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। ডেঙ্গু সম্পর্কে ডাক্তাররা এখন অভিজ্ঞ। আমরা আগে প্রতিরোধ করি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা এরইমধ্যে মিটিং করেছি। সচিবরাও মিটিং করছেন। স্যালাইনের ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও নেব। তবে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্রিভেনশন। প্রিভেনশন না করতে পারলে আমি যতই হাসপাতালে নিয়ে আসি লাভ হবে না। সঠিক সময়ে সঠিক রোগীরা যদি হাসপাতালে আসেন, তাহলে সমস্যা হবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের বাড়ির জায়গাটা পরিষ্কার করি। তাহলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে সবাই রক্ষা পাবে। মন্ত্রী বলেন, আমি সচিব ও ডিজিকে বলছি, আমরা যদি জনবল দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালকে আরও সচল করি, তাহলে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেলে রোগীর চাপ কমবে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৫

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে সোমবার বৈঠক করেন দেশটির স্বাস্থ্যসচিব। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা, সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, সেচ, পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ‍সূত্র- আনন্দবাজার। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নির্দেশ দেন, প্রতিটি জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা এবং চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে কি না, তা দেখেতে। মশাবাহিত ওই রোগ প্রতিরোধে যেসব প্রশিক্ষণ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শুরু করতে। পাশাপাশি, সেচ দপ্তরকে রাজ্যের প্রতিটি খালের দিকে নজর রাখতে। যাতে কোথাও পানির প্রবাহ থমকে না যায়। মশা রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৮১৩ জনের পজিটিভ এসেছে। গত বছর এই সময়ে (১৪ সপ্তাহ) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০১৭। পরীক্ষা হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দেখে আপাতত স্বস্তি মিললেও এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না, এ বারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম কি না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বেশি হয়, তা হলে সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করছে তারা। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ১ হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও ডেঙ্গুর ওপরে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩

ডেঙ্গু ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ
ডেঙ্গুর সংক্রমণের ভয়াবহতা ঠেকাতে চলতি বছরের শুরুতেই পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার প্রচারণা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটি। এরইমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রচারণা চলানোর নির্দেশনা দেওয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। দেশের সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিতে কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  এরইমধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সব কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির নির্দেশনাগুলো যাতে মাউশির অধীনস্থ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীও ছিল। ডেঙ্গু কেড়ে নেয় শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাণ। তাই সার্বিক দিক মাথায় রেখে এবার আগেভাগেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে শীতের শেষেই সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সচেতনতামূলক প্রচারপ্রচারণা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৮

ডেঙ্গু নিয়ে আরও ১১ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার পাঁচজন এবং ঢাকার বাইরের ছয়জন।   চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৭১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও ১০ জন নারী রয়েছেন।   বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

আরও ৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মশাবাহিত রোগটিতে কারও মৃত্যু হয়নি।    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জন ঢাকায় এবং ১ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৬০ জনে, যাদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৯ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৩৩ জন; আর ঢাকার বাইরে এ সংখ্যা ২৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয়েছে গত বছর।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে হাসপাতালে ৮
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি।তবে এ সময় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও আটজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় সারাদেশে আটজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে একজন এবং ঢাকার বাইরে সাতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১৮ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নয়জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে নয়জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন। আর ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়