• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রূপসায় কার্গো জাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ১ জনের মরদেহ উদ্ধার
খুলনার রূপসা নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের গ্রিজার সাখায়েত মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের চেষ্টায় জাহাজের কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত সাখায়েত মুন্সির গ্রামের বাড়ি নড়াইল।   নৌবাহিনীর ডুবুরি মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কার্গো জাহাজের কেবিন থেকে গ্রিজার সাখায়েত মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বাবুর্চি আবুল কালামের সন্ধানে উদ্ধার চালানো হচ্ছে। এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর ৭৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন টিএসপি সার বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। এতে কার্গো জাহাজের দুইজন নিখোঁজ হন। জাহাজের ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকা মো. রাজিব বলেন, ইঞ্জিন হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। আমাদের দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।  কার্গো জাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গো জাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। কার্গো জাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি আবুল কালাম ও গ্রিজার সাখায়েত মুন্সি নিখোঁজ হন।  তিনি জানান, টিএলএন-১ নামে কার্গো জাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সারবোঝাই করে তারা নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩২

নাফ নদীতে স্পিডবোট ডুবি, ১৯ যাত্রী উদ্ধার
কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার করে। এদের মধ্যে সাতজন টেকনাফের রাজমিস্ত্রি ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এ ছাড়া অপর দুজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারী। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। খবর পেয়ে যাত্রীবাহী আরও একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমার পরিষদের এক গ্রামপুলিশও ছিল।  তবে উদ্ধার হওয়াদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ নুর হক জানান, ১২টার দিকে তিন শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছলে বড় ঢেউয়ের কবলে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও সাগরে দুটি বাচ্চা নিয়ে এক ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদের উদ্ধার করে। সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান,  স্পিডবোডটিতে দুর্ঘটনা হয়েছে এটা আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি : ১০ ঘণ্টা পর ১৮ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ১০ ঘণ্টা পর ১৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালির সোনারচর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আটবাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাথরঘাটা ঘাটে এসে এ তথ্য জানান ফিরে আসা জেলেরা। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটার মারুফের মালিকানা এফবি আল-আমিন ট্রলারসহ ১৮ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। বঙ্গোপসাগরে কয়েকদিন মাছ ধরার পর আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালির দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে এসে আটবাম এলাকায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন জেলেরা। কিছুক্ষণ পর ওই ট্রলারের জেলেরা ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান ট্রলারের তলা ফেটে পানি ঢুকছে এবং ট্রলার ডুবে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রলার থেকে লাফিয়ে সাগরে পড়ে ভাসতে থাকেন তারা। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অপর একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করেন।   ট্রলার মালিক মো. মারুফ জানান, তার ট্রলারটি ডুবে গেছে। ট্রলারে থাকা ১৮ জেলে উদ্ধার হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৮ জেলেই অক্ষত রয়েছেন। কোনো নিখোঁজ সংবাদ নেই।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২১

ফেরি ডুবি : আরেকটি ট্রাক উদ্ধার
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরি থেকে আরেকটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ট্রাকটি উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার দুইটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ট্রাকটি উদ্ধার করে পন্টুনে নিয়ে আসে। এ ছাড়া দুপুর আড়াইটা থেকে আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘটনাস্থলে যানবাহন উদ্ধারের চেষ্টা করছে। এদিকে বিকেল ৩টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান একেএম মতিউর রহমান ৫ নম্বর ঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল কাজ করছে। এ ছাড়া উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা দিয়ে যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় যোগ দিলে ফেরির উদ্ধারকাজ শুরু হবে। আজ রাত ১০টার দিকে প্রত্যয় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌঁছাবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়াঘাটে ভিড়তে না পেরে ফেরিটি পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে আটকা পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

পদ্মায় ফেরি ডুবি : ট্রাক চালক ভাইয়ের খোঁজে বোন
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নং ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মিজান মিয়া (৩০) নামে একজন ট্রাকচালক নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার বোন রোকেয়া বেগম দাবি করেছেন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসে তিনি তার ভাইয়ের খোঁজ করছেন। নিখোঁজ মিজান মিয়া গোয়ালন্দ উপজেলার জুরান মোল্লাপাড়ার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে। নিখোঁজ মিজানের বোন রোকেয়া বেগম জানান, তার ভাই মিজান ট্রাকচালক। রাতে মালামাল নিয়ে সে গোয়ালন্দ থেকে রওনা হয়। ফেরি ডুবে যাওয়ার পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিনি এসেছেন ভাইকে খুঁজতে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, রোকেয়া বেগম নামে একজন তার ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছে না বলে আমাদের জানিয়েছেন। রোকেয়া বেগমের দাবি তার ভাই মিজান রজনীগন্ধা ফেরিতে ছিল। আমরা তার ভাইয়ের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালাচ্ছি। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৭টি ছোট ও দুটি বড় ট্রাক বুকিং দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নদীতে মালবাহী ব্লাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরও একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থালে আসে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

ফেরি রজনীগন্ধা ডুবি : ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রজনীগন্ধা নামে ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফেরির চালকের সহকারী নিখোঁজ রয়েছেন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর ৮টা ২৩ মিনিটের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি স্টেশন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।  বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছাকাছি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি রাত ২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে; যা বুধবার সকালেও চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিরা ৫নং ঘাটের কাছাকাছি অবস্থানে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এ সময় ফেরিতে ১৮টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সব যানবাহনের সাথে কয়েক শতাধিক যাত্রীও নদীতে ডুবে যায়। তাদের উদ্ধারে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসে সাথে কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়