• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর বর্ষবরণ, যা বলছে ডিএমপি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ডিএমপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর। এতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়। ডিএমপি আরও বলেছে, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীকালে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসকল হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন। এর আগে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত কয়েক বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ক্যাম্পাসে সব আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু উদীচী সে নির্দেশনা না মেনে পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগে ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল' শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯

ঢাকার ১৮৪ ঈদগাহ ও ১৪৮৮ মসজিদে নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেল, রাজধানীতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও এক হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। বান্দরবানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) যে অপতৎপরতা চলছে, এসব ঘিরে রাজধানীতে কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফর সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই। এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরেও সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহের জামাতসহ সারা ঢাকার সব ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান জামাতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ও আশেপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোষাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোষাকে অবস্থান করবেন। হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে ৮টি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঢাকার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমান্যরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ কোনো দাহ্য পদার্থ, ধারালো বস্তু বা বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু নিয়ে জামাতে আসবেন না। কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুলিশকে ৯৯৯ নম্বরে কল করুক। স্থানীয় থানাকে অবহিত করুন। তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ জানান তিনি। বাসের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। সবাই বলেছেন, তারা কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নিবেন না।  বাসের ভাড়া বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ডিএমপি এলাকার কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরা রয়েছে। যেন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে পারি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সোর্স ছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেন বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৯

ঈদযাত্রায় বেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার
সড়ক, রেল ও নৌপথে নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা নিলে এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালালে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখা এবং ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, অতীতে লাইসেন্স ছাড়া হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্সবিহীন কেউ গাড়ি চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি হলে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী দেড় কোটি লোক প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন। সেটি যেন সুন্দর করতে পারি, সেজন্য আমাদের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। ঈদে নৌ-রেল-সড়ক সবকিছুতেই আমাদের নজর থাকবে, তবে সড়ক পথের প্রতি আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়টি সভায় উপস্থিত বক্তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে।  তিনি আরও বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে ম্যানেজমেন্টগুলো আছে, সেগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে করা হয়। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা প্রবেশ ও বহিঃগমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। পথগুলোতে যেন আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন। কমিশনার বলেন, ঢাকা থেকে বেরোনোর কিছু জায়গায় সমস্যা আছে। কয়েকটি পয়েন্টে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এর সঙ্গে এই সমস্যাগুলো নিরসনে সকল কর্মকর্তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। বাস মালিকরা জানিয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে কোনোভাবেই যেন এসব গাড়ি রাস্তায় চলতে না দেয়।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৩

ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। এই সময়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে এবং ঈদকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এই সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দেবো নগরবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঈদ ঘিরে ছিনতাই রোধে ডিএমপির সবগুলো টিম কাজ করছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপির ৮ বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে। ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমরা রমজানে শুরুতে নিইনি। এখন দেখছি যে মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৯

রমজানে যানজট নিরসনে বিশেষ নজর দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন ঢাকা মট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। শনিবার (২৩ মার্চ) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বেশ ভালো। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এরই মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের অফিসারদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় সড়ক ও যানবাহনে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ চাঁদাবাজি করলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিব। তিনি বলেন, সম্প্রতি শেরেবাংলা নগরের একটি ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৫

অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে : ডিএমপি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার সহপাঠী ও সাবেক সহকারী প্রক্টরের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। তাদেরকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তে এখন তারা বিশদভাবে খতিয়ে দেখবেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কত দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০

রাস্তায় বসেই ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার 
  রোজার প্রথম দিনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাস্তায় বসেই ইফতার করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। এ সময়  তিনি যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এর আগে বিকেলে তিনি তেজগাঁও থানার আয়োজনে দুস্থদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোনারগাঁ ক্রসিং ঢাকা শহরের ব্যস্ততম একটি স্থান। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ২০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোন চাপ নেই। ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, এ জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্য রমজান থেকে শপিং মল ও  মার্কেটগুলোর সামনে অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানের ১০-১৫ দিন পর থেকে মানুষজন কেনাকাটায় বের হন। সে জন্য একটু যানযটের সৃষ্টি হয়। বেশির ভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নাই। আমরা সেখানে মার্কেট কমিটির লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৩০

বেইলি রোডের ঘটনায় দায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে কেউ মরদেহের সন্ধানে এলে তাদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসেন সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার চারজনকে আটক করেছি। তারা এখন রমনা থানায় রয়েছেন। এরপর যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ মামলা করা হবে। যারা আটক আছেন তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। বেইলি রোডে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এ দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   আমরা এর আগেও এমন ঘটনায় যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল সেগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন করেছি এবং অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করেছি। 
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬

শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে : ডিএমপি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানির প্রাথমিক সত্যতা’ মিলেছে। শিক্ষক মুরাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ভিকটিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছে। তদন্ত শেষ করে আসামিকে বিচারের আওতায় আনা হবে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। আসামি এসব অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।   মহিদ উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কেউ আশা করে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি একজন বাদী লালবাগ থানায় আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছর তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ত। তখন মুরাদ ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। অনেক ছাত্রী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।   তিনি বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাকে বরখাস্তের সুপারিশ না করে বদলির সুপারিশ করে। ১০ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মুরাদের শাস্তির দাবিতে ছাত্রীরা আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। মামলার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমরা রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে  আসামিকে গ্রেপ্তার করি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

একুশে ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)  মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তা পরিকল্পনা পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য না থাকলেও জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বইমেলায় রয়েছে। সেখানে একটা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট এবং সিকিউরিটি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু গভীর রাত এবং ঢাকা শহরের মানুষ এদিকে আসবেন সেজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোনো কোনো জায়গা দিয়ে গাড়ি এদিকে ঢুকতে পারবে সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার রাস্তাটা রাখা হয়েছে এবং বাহির হওয়ার রাস্তাটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সমগ্র এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা আচ্ছাদিত থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়