• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে ৬ খাবারেই কমবে কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস
মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এবং অলস জীবনযাপনে শরীরে কোলেস্টেরল ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নিতে হবে। ফাইবার পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং জেল আকারে গঠিত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। জেনে নিন ফাইবারযুক্ত খাবারের নাম-  এক কাপ ওটসের মধ্যে ১.৯ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ওটস হলো বিটা-গ্লুটেনের সমৃদ্ধ উৎস, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। মুগ, ছোলা, মুসুর থেকে শুরু করে কাবুলি ছোলা, রাজমার মতো ডালেও ফাইবার রয়েছে। এক রাজমা ডালের মধ্যে ১৩৩ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ডাল। তার সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হলো ডাল। ফাইবারের ঘাটতি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে। ১ চামচ ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ০.৬ থেকে ১.২ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। ফ্ল্যাক্স সিডের মতো চিয়া সিডেও সলিউবল ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই বীজ শারীরিক প্রদাহ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে ২৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। আপেল ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। আপেলে থাকা ফাইবারকে পেকটিন বলা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি মাঝারি সাইজের আপেলে ১ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।  গাজর, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, পালংশাকের মতো শাকসবজিতে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার পেয়ে যাবেন। হজম স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে শাকসবজি খান বেশি করে। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৫

নিয়ম মানলেই রোজা রাখা সম্ভব ডায়াবেটিস রোগীদের
কিছু নিয়ম মানলে রোজা রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরাও। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি)। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব আনোয়ার হোসান হাওলাদার বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন এসিইডিবির সভাপতি মো ফরিদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। আরও পড়ুন : দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্যপণ্যের, অস্বস্তিতে ক্রেতারা   এ সময় বক্তারা বলেন, রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। তাই রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য অবশ্যই করণীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রেখে থাকেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন।  কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে, রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস এবং পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন।  বক্তারা বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের ডায়াবেটিস এমন কোনো বাধা নয়, প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।  সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যারা রোজা রাখেন, তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়াসহ অন্য জটিলতা রমজানের আগের চেয়েও অনেক কম হয়। রোজা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। আরও পড়ুন : দেশের ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি    তারা আরও বলেন,  ডায়াবেটিস রোগীরা যেন নিরাপদে রোজা পালন করতে পারেন, সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এই হাসপাতালের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।  বাংলাদেশের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টদের সংগঠন ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য রজব মাসকে ‘ডায়াবেটিস ও রমজান সচেতনতা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়