• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুকি-চিনের আরও ৪ সদস্য কারাগারে
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় আটক হওয়া আরও ৪ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ এস এম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন রুমার রেমাক্রি প্রাংশা ইউপির লাল মিন চহন বমের ছেলে লাল রৌবত বম প্রকাশ আপেল (২৭), বান্দরবান সদর ইউপির কুহালং ইউপির লিয়ান জুয়াম বমের ছেলে লাল লম খার বম প্রকাশ আলম (৩১), রুমা পাইন্দু ইউপির রুয়াল লাই বমের ছেলে মিথুসেল বম প্রকাশ আমং (২৫), বান্দরবান সদর ইউপির রাম খুপ বমের ছেলে লাল রুয়াত লিয়ান বম (৩৮)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, আটক আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় যৌথ অভিযানে আটক ৫৭ জন কুকি-চিন সদস্য ও ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহার করা এক গাড়ির চালকসহ মোট ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মাছ লুট
বরগুনার পাথরঘাটার সগির কোম্পানি মালিকানাধী এফবি তারেক-১ নামের একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৫ লাখ টাকার মাছ ও রসদসামগ্রী লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ট্রলার মালিকের বাড়ি উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে। জেলেদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডাকাতি হওয়া এফবি তারেক-১ ট্রলারের মালিক সগির হোসেন বলেন, সোমবার (১ এপ্রিল) পাথরঘাটা ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায় ১৭ জন জেলে। কদিনে অনেক মাছ পায় জেলেরা। ঘটনার সময় রাতে ট্রলারটি সাগরে জাল ফেলে নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে জেলেরা। কিছুক্ষণ পর ডাকাতরা আকস্মিক ট্রলারে উঠে জেলেদের মারধর করে এবং ট্রলারে থাকা জাল, তেল, আহরিত ইলিশসহ অন্যান্য মাছ লুটে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ট্রলারের মাঝি লিটন তাকে জানায়, ডাকাতদের ব্যবহৃত ট্রলারের নাম এফবি আল্লাহর দান এবং তাদের ভাষায় মনে হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা হবে। ট্রলারটিসহ ১৭ জন জেলে সাগর থেকে রওনা হয়েছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারসহ জেলেরা কূলে আসতে রাত হতে পারে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

দেশে যে হরিলুট চলছে তারই প্রতিফলন ব্যাংক ডাকাতি : রিজভী   
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারের ঘটনা দেখে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। সমাজে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার দায়ী। পাহাড়ের সন্ত্রাসী ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন নিজেই লুটেরাদের ভূমিকা পালন করে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের ওপর ভর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় সেটা দেখে সমাজে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হবেই। মন্ত্রী-এমপিরা এখন বিদেশের মাটিতে মিলিয়ন মিলয়ন ডলারের মালিক এ খবর গণমাধ্যমে সবাই দেখেছে। একজন এমপির বিদেশে ২৫০-৩০০ বাড়ি এটি চিন্তা করা যায়? সুতরাং সমাজের পেশাগত ডাকাতরা তো উৎসাহিত হবেই। রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে বেগম পাড়া, সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কেউ এ সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, দেশে যখন গণবিরাধী সরকার থাকে তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জন্ম নেয়। আর পাহাড়ের সন্ত্রাসের ঘটনায় যে সরকারের ইনভলমেন্ট নেই সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না তা-ও বলা যাচ্ছে না। কারণ, দেশে বর্তমানে যে ভয়াবহ সংকট চলছে, চারদিকে অভাব অনটন, ব্যাংক হরিলুট, অর্থ পাচার, নিত্যপণ্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস, সীমান্তে লাগাতার হত্যা, নতজানু নীতি, আজ যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার মাথায়ও এক লাখ টাকা ঋণ, অভাবের তাড়নায় বা হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করতে পেরে মা তার শিশুকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এ রকম ভয়ংকর পরিস্থিতি আড়াল করতেও সরকার নানা ঘটনা ঘটাতে পারে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৫

সমঝোতার আবহে ১৭ ঘণ্টায় কেএনএফের তিন ডাকাতি
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, কেএনএফ-এর সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে- এমনটি ধরে না নিলে হয়ত এমন উপর্যুপরি ডাকাতি এড়ানো যেতো৷ বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ১৭ ঘণ্টার মাথায় সেই জেলার থানচি উপজেলার আরো দুইটি শাখায় ডাকাতি হয়েছে৷ সশস্ত্র বন্দুকধারীরা দুপুর একটার দিকে থানচির সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে গুলি করতে করতে ঢুকে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷ পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আগের রাতে রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান৷ পুলিশের আইজি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা পরিদর্শনে যখন রুমা থানা এলাকায় অবস্থান করছিলেন, তখনই পাশের থানা থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে৷  এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বান্দরবানে দুই দিনে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জড়িত বলে জানা গেছে৷ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি৷ আইজিপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে রয়েছে৷ তারা সার্বিক দিক খতিয়ে দেখছেন৷ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছে৷ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেবেন৷ এদিকে পুরো বান্দরবান জেলায় বুধবার দুপুরের পর সব ব্যাংকের শাখায় লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়৷ থানচি উপজেলায় তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে ডাকাতরা আসে৷ ডাকাতির পর তারা ওই গাড়িতে করেই পাহাড়ের রাস্তা ধরে চলে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়৷ এই ঘটনায় স্থানীয়রা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সদস্যদের দায়ী করেছেন৷ থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ঢুকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ভল্ট খুলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন৷ তিনি জানান, যতটুকু জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় সাত-আট লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা৷ তিনি বলেন, ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে গেছে৷ ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে৷ দুইটি শাখা ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তারা নিয়ে গেছে বলে সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে৷ থানচি কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার হ্লাসুই থোয়াই মারমা বলেন, বাইরে তিনটি গাড়ি ছিল৷ ডাকাতরা একযোগে দুইটি ব্যাংকে প্রবেশ করে৷ তারা ব্যাংকের ভিতরে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে৷ পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি আছে৷ তাদের মধ্যে তাড়াহুড়ো ছিল৷ ব্যাংকের সবাইকে তারা একটি রুমে আটক করে৷ এরপর ভল্টের চাবি না পেয়ে তারা বাইরে যে নগদ টাকা ক্যাশ কাউন্টার গ্রাহকদের কাছে ছিল, তা নিয়ে চলে যায়৷ তারা বেশিক্ষণ অবস্থান করেনি৷ থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা বলেন, তারা ২০-২৫ জন তিনটি গাড়িতে করে আসে৷ তারা সবাই ছিল সশস্ত্র এবং কুকি-চীন গ্রুপের পোশাক পরা৷ ব্যাংক দুইটির শাখা পাশাপাশি৷ উপজেলা পরিষদ ও বাজারের মাঝামাঝি৷ সেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়িও আছে৷ তারা ব্যাংকের মধ্যে গুলি করতে করতে ঢোকে৷ ব্যাংকের ভিতরেও ব্যাপক গোলাগুলি করে৷ ওই ঘটনার পর এলাকার অফিস আদালত ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়৷ লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, জানান তিনি৷ এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজের সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়৷ হামলাকারীরা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সদস্য৷ সোনালী ব্যাংকের শাখা অফিসটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে৷ এটির নীচতলায় থাকেন সরকারি কর্মকর্তারা৷ দ্বিতীয় তলার এক পাশে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখা৷ আরেক পাশে থাকেন ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ জন পুলিশ সদস্য৷ ডাকাতরা প্রথমে উপজেলা পরিষদ মসজিদে ঢুকে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে ধরে নিয়ে যায়৷ তারপর তারা ব্যাংকের ভল্ট খুলে টাকা লুট করে৷ টাকার পরিমাণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ছিল বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ কেএনএফের সদস্যরা নগদ টাকা ছাড়াও দুটি এসএমজি (লাইট মেশিন গান) ও ৬০টি গুলি, ৮টি চীনা রাইফেল ও ৩২০টি গুলি, ৪টি শটগান ও ৩৫টি কার্তুজ লুট করে নিয়ে গেছে৷ ব্যাংকের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১০ জন পুলিশ সদস্য থাকলেও তাদের সবাইকে পাশের ব্যারাকে ঢুকিয়ে আটক করে ডাকাতি করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে৷ এদিকে ওই ব্যাংকে আট জন আনসার সদস্যও দায়িত্বে ছিলেন৷ তাদের মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন৷ ডাকাতির সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না এবং তারা উপজেলা পরিষদের সামনে বান্দরবান-রুমা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়৷ ডাকাতি করে যাওয়ার সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ এখন পর্যন্ত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা যায়নি৷ রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মার্মা বলেন, ডাকাতির কিছুক্ষণ আগে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়৷ ডাকাত দল এক ঘণ্টার মতো ছিল৷ তারা চলে যাওয়ার পাঁচ মিনিট পর আবার বিদ্যুৎ চলে আসে৷ তারা ব্যাংক এবং পাশের সড়ক ও আশপাশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়৷ সড়কে তারা তল্লাশি করে৷ মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়৷ ওই দলে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি ছিল৷ তারা কুকি-চীনের কেএনএফ লেখা পোশাক পরা ছিল৷ মুখ ছিল কালো রং এবং মুখোশে ঢাকা৷ তারা ডাকতির আগেই ব্যাপক গুলি ছোঁড়ে৷ তিনি বলেন, ব্যাংকের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার সবই ছিল৷ তবে আগেই তাদের নিরস্ত্র করে ফেলে ডাকাতরা৷ বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, দুই থানায় ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে৷ তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি৷ সেনা, বিজিবি ও পুলিশ মিলে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে৷ ব্যাংকের নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি বলেন, রুমায় ডাকাতির সময় বিদ্যুৎ ছিল না৷ ফলে পুলিশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের নিরস্ত্র করে ফেলে৷ আর থানচিতে পুলিশ প্রতিরোধ করেছে৷ আমাদের একজন পুলিশ সদস্য কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুঁড়েছে৷ তাদের প্রতিরোধের কারণেই ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে পারেনি৷ তারা বাইরে যে টাকা ছিল তা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়৷ পুলিশের আইজি বলেন, তারা ব্যাংক লুট করেছে৷ আনসার, পুলিশের অস্ত্র নিয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে নিয়ে গেছে৷ আমরা দেখছি৷ অস্ত্রগুলো কোথায় আছে খুঁজে দেখবো৷ এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান কেন্দ্রিক আঞ্চলিক নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন৷ কেএনএফ পার্বত্য তিন জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল, তথা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকলসহ আশপাশের এলাকায় তৎপর রয়েছে গত চার-পাঁচ বছর ধরে৷ কেএনএফ প্রধান হলেন নাথান বম৷ গত তিন বছরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়৷ অভিযানের সময় তাদের শতাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়৷ অস্ত্র উদ্ধার হয়৷ পুলিশ ও র‌্যাব তখন জানায়, কেএনএফ দুর্গম পাহাড়ে বাংলাদেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে অর্থ আয় করে৷ তারা কথিত কুকিল্যাণ্ড প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷ তাদের কথিত একটি ম্যাপও আছে ওই কুকিল্যান্ডের৷ রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মার্মা বলেন, আমরা কুকি-চীনের তৎপরতার মধ্যেই আছি৷ তারা নানা সময়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত৷ গত বছর তারা একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণ করেছিল৷ তারা দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে৷ থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা বলেন, কুকি-চীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা আবার বেড়ে যাচ্ছে৷ তারা নানা স্থানে হামলা চালাচ্ছে৷ অপহরণ করছে৷ আমরা আসলে নিরাপত্তাহীনতায় আছি৷ তারা অপরাধ করে পাহাড়ে চলে যায়৷ আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি৷ আমাদের লোকালয়ের কিছু লোক তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে৷ তথ্য সরবরাহ করে৷ রুমার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়েছে৷ তারা আসলো, বিদ্যুৎ চলে গেল৷ তারা গেল, বিদ্যুৎ চলে এলো৷ এটা আমার কাছে রহস্যময় মনে হয় বলেন এই জনপ্রতিনিধি৷ নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, আগের অভিযানগুলোর মাধ্যমে কুকি-চীন গ্রুপটিকে দমন করা যায়নি৷ তাদের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল তারা আর সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাবে না৷ কিন্তু এখানে আমাদের পক্ষ থেকে থ্রেট অ্যাসেসমেন্টে ভুল করা হয়েছে৷ ওই সমঝোতার ভিত্তিতে আমাদের নিরাপত্তা শিথিল করা ঠিক হয়নি৷ তার কথা, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটির অংশ মিয়ানমার ও ভারতেও আছে৷ সেখানেও তারা সক্রিয়৷ তাই তাদেরকে হালকা ভাবে নেয়া ঠিক হয়নি৷ তাদের সঙ্গে জঙ্গিদেরও সম্পর্ক আছে৷ আর এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান নাথান বম এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷ মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, তারা কোনোভাবেই দুর্বল হয়নি৷ তারা আরো শক্তি সঞ্চয় করে এখন তার জানান দিচ্ছে৷ সীমান্তের ওপারে তাদের যে তৎপরতা, তার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে৷ তার মতে, দেশের বাইরে থেকে তারা অস্ত্র পাচ্ছে৷ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকেও তারা অস্ত্র পায়৷ জঙ্গিদের চেয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুকি-চীন যে গ্রুপটি আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল৷ আমাদের র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে৷ ইদানিং কুকি-চীন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে৷ এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার, আমরা করবো৷ এখানে যারা জড়িত বা করেছে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নেবো৷
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০

বান্দরবানে ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুই ব্যাংকে ডাকাতি
সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলার ১৫ ঘণ্টা না যেতেই বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল মিডিয়া (বান্দরবান) মো. ওসমান গনি গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে ডাকাতির ঘটনা শুনে আমরা সকালে রুমা শাখায় আসি। হঠাৎ শুনতে পেলাম আজ থানচি শাখায় ডাকাতের হামলা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আমাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।   এ ঘটনার পর বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের ছয়টি শাখায় লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে শুধু ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা লেনদেন পরিচালনা করছে বলে জানান ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ডাকাতরা থানচি বাজার ঘিরে ফেলে। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় সবাইকে বন্দুকের মুখে আটকে রাখে এবং সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংকে প্রবেশ করে।  ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাকাতরা প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে ভেতরে অবস্থান করে। এ সময় তারা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফাঁকা গুলি চালায়। তার পরপরই তারা গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্ট থেকে টাকা সংগ্রহ করে বস্তায় ভরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কৃষি ব্যাংকের থানচি শাখার ব্যবস্থাপক হ্লাসউইথওয়াই মারমা জানান, দুপুর ১২টার দিকে দুটি জিপভর্তি যাত্রী ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। ব্যাংকের ভেতরে আলাদা কক্ষে নিয়ে আমাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তারা কাগজপত্র এলোমেলো করে চলে যায়। এদিকে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, একটি সশস্ত্র সংগঠনের ১৫-২০ জনের একটি দল কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ঢুকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে তারা কোনো টাকা নেননি। এদিকে বুধবার ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর হয়েছে। টাকা লুট হয়েছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। ভল্টে প্রবেশের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। সিআইডি এসে ভল্ট পর্যবেক্ষণ করার পরে বিস্তারিত বলতে পারব। আইজিপি বলেন, কী কাজ করছি এখন বলতে চাচ্ছি না। তবে সকলে সমন্বিতভাবে ম্যানেজারকে উদ্ধারে কাজ করছি। টাকা আদৌ কি খোয়া গেছে কি না তা ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর বলতে পারব। সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে আমরা সদস্য সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেছেন, ভল্ট খোলার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগবে। ভল্ট খোলা যায়নি। টাকা নিয়েছে কি না সেটা এখন বলা যাবে না। আরও কিছু সময় লাগবে। রুমার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়চিং জানান, ডরমেটোরিতে যাওয়ার পথে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হঠাৎ করে। প্যান্টের পকেটে যা টাকা ছিল সবগুলো তারা নিয়ে গেছে। এরপর আমার পকেট থেকে ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয় এবং অস্ত্রের মুখে বলে নড়াচাড়া করলে গুলি করে দেবো। এরপর আমি কিছু জানি না। ব্যাংকে ফিরে এসে দেখি ব্যাংকের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৮

ডাকাতি : বান্দরবানে ৬ উপজেলার সব ব্যাংক বন্ধ
বান্দরবানের রুমার পর থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পর বান্দরবানের ছয় উপজেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় ব্যাংক খোলা থাকবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রুমায় সোনালী ব্যাংক এবং আজ দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সব ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজার ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি : জানা গেল লুট হওয়া টাকার পরিমাণ
বান্দরবানের থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ডাকাতির ঘটনায় কত টাকা লুট হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন। এ সময় ডাকাতরা ব্যাংক দুটির ভল্ট খুলতে পারেনি বলেও জানান তিনি।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব তথ্য দেন ইউএনও মামুন। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত ডাকাতি করে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তবে ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।’  এ সময় ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা যায়নি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

বান্দরবানের রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি
বান্দরবানের রুমার পর এবার থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ব্যাংক দুটিতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজার ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা।  পরে যৌথবাহিনীর পাল্টা প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো। তিনি বলেন, বেলা একটার দিকে থানচি সদরের শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা যা পেয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। এরপর তারা আবার ওই তিন গাড়িতে করে শাহজাহানপুরের দিকে চলে যায়। এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব। জানা যায়, থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প। এ ছাড়া থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে আসা একাধিক গ্রাহক জানান, ডাকাতরা ৫ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান করে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। কয়েকজন গ্রাহক আরও জানান, ভেতরে ঢুকেই প্রথমে ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নেয় এবং গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্ট থেকে সব টাকা বস্তায় করে নিয়ে বের হয়ে যায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা।  বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগের জিএম ও মুসা খান।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ডাকাতি মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার এনামুল হক মানিক (৩২) জেলার সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামের গাঁও গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের রসুলপুর ইউনিয়নের বায়তুল জামে মসজিদ সংলগ্ন মোক্তার বাড়ির ব্রিজের ওপর থেকে ডাকাত সদস্য এনামুল হক মানিককে গ্রেপ্তার হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি একজন পেশাদার ডাকাত ও অস্ত্রধারী। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে।     
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

সন্দ্বীপে যাত্রী বোটে ডাকাতি
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌরুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় সন্দ্বীপ থেকে উড়িরচরমুখী বোটে এ ডাকাতি হয়।  জানা যায়, সন্দ্বীপ উড়িরচর চ্যানেলের মাঝামাঝি স্থানে স্পিডবোট যোগে একদল ডাকাত এ বোটটিকে আক্রমণ করে। স্পিডবোটে আসা ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ডাকাত দলটি তাদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বোটে থাকা যাত্রীদের থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা লুট করে তারা। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী বোট থেকে যাত্রীরা একটি ভিডিও ধারণ করে। ভিডিওটি আরটিভির হাতে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৬ জন ডাকাত এবং তাদের মধ্যে একজন অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। অস্ত্র হাতে দাঁড়ানো ডাকাতের নাম আশরাফ প্রকাশ  (জলদস্যু আশরাফ) বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া অন্যদের মধ্যে চরবালুয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে শাহীন প্রকাশ (ছোট শাহীন), চরবালুয়া ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল মেম্বারের ছেলে নূরনবী প্রকাশ (জলদস্যু নূরনবী)। ভাইয়ের পাকা ঘর তৈরির জন্য সন্দ্বীপ থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন শাহাদাত। সেই টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতদল। শাহাদাত বলেন, আমি শেষ ভাই। আমাকে সর্বহারা করে দিয়েছে। আমার ৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এরা সবাই চরবালুয়া রাজ্জাক চেয়ারম্যানের লোক। আর ডাকাতিতে ব্যবহৃত স্পিডবোট রাজ্জাক চেয়ারম্যানের। শাহীন জলদস্যু আমার সব লুট করে নিয়ে গেছে। শাহীনের সঙ্গে আশরাফ, নূরনবী এবং আরও ডাকাত ছিল। এ ব্যাপারে দীর্ঘাপাড় ঘাট কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। তবে ডাকাতির বিষয়টি মানতে নারাজ সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন। তিনি আরটিভিকে বলেন, ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। মূলত উড়িরচরে দু’গ্রুপের আধিপত্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাহাদ গ্রুপ ও শাহীন গ্রুপের দীর্ঘদিন উড়িরচরে আধিপত্য করে আসছে। তিনি আরও বলেন, রাহাদ গ্রুপ থেকে শাহীন গ্রুপ অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। দু’গ্রুপই সমান অপরাধী, আমরা মাঠে নেমেছি তাদের গ্রেপ্তার করতে। 
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়