• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন
সংসদে বাৎসরিক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যকালে নিজের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধী পক্ষ ও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করলেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে কিছু ঘোষণাও করলেন তিনি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে৷ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না৷ বয়সের কারণে তিনি আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা, সেই বিতর্ক তার পুনর্নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন৷ এমনই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাইডেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরো প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির উপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করলেন৷ সেই সঙ্গে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি৷ তবে সংসদে বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তার ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর আমেরিকায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে পড়েনি৷ সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি আমার পূর্বসূরি হিসেবে তার উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগও করেন৷ সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন৷ ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন৷ বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ সেই বিল পাশ হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেন৷ সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তার ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরো ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন৷ তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সেই নির্দেশ দিলেও গাজায় মার্কিন সৈন্য প্রবেশ করবে না বলে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন৷ তিনি গাজায় অবিলম্বে অস্ত্র বিরতির ডাক দেন৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানার পাশাপাশি ব্যবসা বন্ধ ট্রাম্পের
পর্নো তারকার সঙ্গে কেলেঙ্কারির মামলা চলমান অবস্থায় এবার জালিয়াতির মামলায় ফাঁসলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। একইসঙ্গে নিউইয়র্কে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের ব্যবসাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। অবশ্য, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের আইনজীবী। খবর সিএনএনের।    রায়ে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে নিজের এবং তার দুই ছেলের নামে থাকা সম্পদের মূল্য অনেকগুণ বেশি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন।   এদিকে, নির্বাচনের আগে ফেডারেল আদালতের এ রায় ট্রাম্পের অর্থবিত্তে বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশাল অঙ্কের অর্থদণ্ডের পাশাপাশি ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা। সবমিলিয়ে ধনকুবের ট্রাম্প সাম্রাজ্যে বলতে গেলে এখন টালমাটাল। তবে, বরাবরের মতো এবারও জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে উচ্চ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত এই রায় স্থগিত থাকবে। আর আপিল চলাকালে ট্রাম্প জরিমানা বা ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ এড়াতে চাইলে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।   ২০২২ সালে সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ ও বীমা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই দেওয়ানি মামলা হয়। তদন্ত শেষে ট্রাম্পের কোম্পানির ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখানো আবার সেই সম্পত্তিরই দাম কম দেখিয়ে আয়করে ছাড় পাওয়া, ব্যবসায়িক রেকর্ড, বীমা জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন আদালত।   বাদিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে জরিমানা করার পাশাপাশি নিউইয়র্কে যেন তিনি ব্যবসা করতে না পারেন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন।   বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়