• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাত, টেকনাফে এসে পড়লো গুলি
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি (এএ) ও কয়েকটি বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান এই সংঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও একটি গুলি এসে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের জাদিমুড়া সিআইসি অফিসের জানালায় এসে গুলিটি পড়ে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতে থেমে থেমে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ আবারও টেকনাফের সীমান্তে ভেসে আসছে। এ ঘটনার জেরে গত রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিসের জানালায় এসে একটি গুলি লেগে ছিদ্র হয়ে যায়। হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে চিংড়ির ঘেরে গেলে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দের ভয়ে চিংড়ির ঘের থেকে চলে আসতে হয়েছে। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘেরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে। হ্নীলা জাদিমুড়া ক্যাম্প-২৭ মাঝি নুর আহমদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি থেকে এপারের ক্যাম্প-২৭ সিআইসি অফিসের জানালায় একটি গুলি এসে পড়ে ছিদ্র হয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেলে আমরা সেখানে গিয়ে বিষয়টি দেখে ক্যাম্পের দায়িত্বরত সিআইসিকে অবগত করি। উল্লেখ্য, এর আগে গত তিন মাস আগে মিয়ানমার রাখাইনের সংঘাত থেকে ঘুমধুম-উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে এসে পড়েছিল মর্টারশেল ও গুলি।
১৭ ঘণ্টা আগে

টেকনাফে সিএনজি থামিয়ে চিকিৎসকসহ ২ যাত্রীকে অপহরণ 
কক্সবাজারের টেকনাফে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অপহরণ। এবার জহির উদ্দিন (৪০) নামের এক পল্লী চিকিৎসকসহ দুজন সিএনজি যাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় একটি অপহরণকারী চক্র।  রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত জহির উদ্দিন টেকনাফ শামলাপুরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার নিজ বাড়ি থাইংখালী। জরুরি প্রয়োজনে তিনি বাড়িতে যাওয়ার পথে হোয়াইক্যং ঢালে সিএনজি থামিয়ে তাকেসহ আরও এক যাত্রীকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এ নিয়ে আতঙ্কিত ওই পল্লী চিকিৎসকের পরিবার। এখনও মুক্তিপণের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে কল দেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা, অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে সিএনজি ড্রাইভার লম্বাবিল এলাকার মো. পেটানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বের হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। অপহৃতদের উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণকারীদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

টেকনাফে ৭ জন অপহরণ, ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় থেকে ফের ৪ কিশোরসহ ৩ যুবককে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করছে তারা। অপহৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর(১৫), হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেনের ছেলে অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ড করাচি পাড়া লেদু মিয়ার ছেলে শা‌কিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫) এবং নাজির হোসনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪)। মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং খারাংখালি কম্বনিয়া পাড়া পাহাড়ে অপহরণ করা হয় দু'জনকে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সবজি ক্ষেতে কাজ করতে গেলে পাঁচ জনকে অপহরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী। ভিকটিমের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ে পাশে গরু চড়াতে যায়। হঠাৎ করে দুপুরের দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড় থেকে নেমে এসে তাকে  ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে কল করে দু'জন থেকে দু'লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করছেন দুর্বৃত্তরা। অপদিকের বুধবার বিকালে সবজি ক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। তাদের পরিবারে কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন এভাবে অপহরণের ঘটনা বাড়ার কারনে কৃষক, শ্রমিক সহ পাহাড়ের বসবাস কারি মানুষ অনিরাপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের ঘটনাটি খবর পাওয়ার পর  ভিকটিমের উদ্ধারে পুলিশের টিম পাহাড় অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযান চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনার আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালিতে খেত পাহারা দিতে গিয়ে ৫ শ্রমিক অপহরণের শিকার হয়েছিল। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করেন। এর আগে শনিবার ৯ মার্চ মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রকে অপহরণ করা হলেও তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে গত তিন বছরের টেকনাফ উপজেলায় দেড় শতাধিক লোক অপহরণের শিকার হয়েছিল।এবং অপহরণের পরে মুক্তিপন দিতে না পারায় টমটম( ইজিবাইক) ও সিএনজি চালক সহ কক্সবাজার থেকে টেকনাফে বেড়াতে আসা তিন যুবক সহ মোট পাঁচ জন অপহরণের কবলে পড়েছিল।পরে দুর্বৃত্তরা মুক্তিপন না পেয়ে তাদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করে পাহাড়ে রেখে পালিয়ে যায়।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৭

টেকনাফে অপহৃত ৫ কৃষকের ৪ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে দুর্বৃত্তরা পুলিশের অভিযানের মুখে ছেড়ে দিয়েছে। অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পশ্চিমের গহিন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।   উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। জিম্মি থাকা মোহাম্মদ নুর (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।  গত বুধবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেতে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন অপহৃত ওই পাঁচজন কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত তাদের তুলে নিয়ে যায়।  অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি তাদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে কোণঠাসা হলে দুর্বৃত্তরা চারজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।  এ সময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল না। তারা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।  ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিম্মি রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি 
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে স্থানীয় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারীরা। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে অপহৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা। অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা ৪নং ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)। জানা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ফসলের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য পাহাড়ে যান তারা। কিন্তু সেহরি খেতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে অপহৃতদের পরিবার। পরে জানতে পারে তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ। এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা।  অপহৃত মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনও জানা যায়নি। মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো। ছেলেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনও জানায়নি। এরপরও আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। এর আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।  এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬

মিয়ানমারের ১০০ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর
বান্দরবানের ঘুমধুমে আশ্রয় নেওয়া ১০০ জন বিজিপি সদস্যকে টেকনাফের হ্নীলায় স্থানান্তরিত করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। সংঘাতে বিদ্রোহীদের সামনে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়ে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ১১৩ জন বিজিপি সদস্য। পরে বিজিবির তত্ত্বাবধানে তাদের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়। আজ তাদের মধ্য থেকে ১০১ জনকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে টেকনাফের হ্নীলায় নিয়ে যাওয়া হয়। বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন গণমাধ্যমকে জানান, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত ১০১ জন বিজিপি সদস্যকে হ্নীলায় নেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২

এবার টেকনাফে আশ্রয় নিলো ৬৪ বিজিপি সদস্য, আরও প্রবেশের আশঙ্কা 
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সে দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ ( বিজিপি) ৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে ডুকে পড়েছে। তাদেরকে বিজিবি’র হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেন হোয়াইক্যং বিওপি। সীমান্ত পারের লোকজন ও সংশ্লিষ্টরা আরও বেশ কিছু বিজিপি প্রবেশ করবেন বলে আশঙ্কা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারে যেসব ক্যাম্প রয়েছে সেখানে কোনো প্রকার খাদ্যদ্রব্য পৌঁছাতে পারছে না। সেই সঙ্গে বিদ্রোহীদের অব্যাহত আক্রমণে কাবু হয়ে পড়েছেন বিজিপির সদস্যরা। তাই তারা প্রাণ বাঁচাতে এ পারে চলে আসছেন। এই যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজিপির সদস্যরা প্রবেশ অব্যাহত রাখবেন বলেও ধারণা টেকনাফ সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিজিবি ও গ্রামবাসীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিনগত রাতে বেশ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও বুধবার সকাল থেকেই শান্ত হতে শুরু করে সীমান্ত। বেলা ১১টা নাগাদ মাঝে মধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও এরপর থেকে হোয়াইক্যং সীমান্ত শান্ত রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের ৬৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে বিজিবি নিরস্ত্র করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ভোর থেকে গোল‍াগুলির আওয়াজ শোনা না গেলেও দুপুরের দিকে হঠাৎ করে বেশ কিছু বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি রামুর সেক্টর কমান্ডার মেহেদি হাসান বলেন, হোয়াইক্যং পয়েন্ট দিয়ে বুধবার ৬৪ জন বিজিপির সদস্য প্রবেশ করেছেন। তাদেরকে নিরস্ত্র করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২১

টেকনাফে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার উসমান প্রকাশ মগবাগিকে (৩০) দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি ও ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে লাল পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।  আটক অপর দুই সদস্য হলেন- মো. নেছার (৩৩) ও ইমাম হোসেন (২২)। তারা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে গহীন পাহাড়ে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা আস্তানা গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। খবর পেয়ে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে ২২টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক তাজা গুলি এবং চারটি হাতে তৈরি ককটেল বোমা উদ্ধার। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাস্টার খালেদের মাধ্যমে আটককৃত উসমান আরসায় যোগ দেন। উসমান মিয়ানমারে বসবাসরত অবস্থায় সে দেশের সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে একসময় কাজ করতেন। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আরসায় যোগ দেন। উসমান ক্যাম্পে ১০টি গান গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। একইভাবে উসমানের সহযোগী নেছার আরসার গান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তিনি দেশি বোমা ও মাইন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। নেছারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি দল ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক মাইন-বোমা তৈরি করেছে। 
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়