• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে রাখা প্রায় ৫০টি ছোট-বড় ট্রাক সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পূর্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপজেলা সদর ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের এক কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে এসে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডটি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সরিয়ে নিতে ট্রাক স্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দকে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। আশা করি, এর ফলে ১১৮ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানের পরিবেশ ও পবিত্রতা ফিরে পাবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল-সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে স্থাপিত টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে গত বছরের অক্টোবর মাসে টাঙ্গাইল ভাসানী হলের সামনে থেকে ট্র্যাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে ঈদগাহ্ ময়দানে বসার মৌখিক অনুমোদন দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসার পরে টাঙ্গাইলের সর্বসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসানোর ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হলে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে ঈদগাহ্ থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হয়।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭

টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদেরই থাকবে : বস্ত্রমন্ত্রী
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে।  এ জন্য যা যা দরকার, সব করব। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করে ভারতের পোস্ট রাতে যখন অনলাইনে দেখি, পরের দিনই ফার্স্ট আওয়ারে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে বসেছি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যে জার্নালটি প্রকাশ করেছিল, আমাদের তৎপরতায় পরে সেটি সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদেরই থাকবে। সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সব করব। তবে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আমাদের আগে নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু আমরা নিতে পারিনি। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারাও নেয়নি। বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি শুধু বস্ত্র শিল্পের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চান না। পাট ও পাটজাত পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা পাটের সোনালি আঁশ আবার ফিরিয়ে আনতে চান। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদের জন্য জোর চেষ্টা ডিসি ও তাঁত বোর্ডের
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সনদ পেতে এখন জোর চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ড। যদিও সনদ পেতে এখনও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যটি সম্পর্কে জার্নাল প্রকাশের পর জিআই স্বীকৃতি পেতে সময় লাগে অন্তত দুই মাস। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের কাছে যেতে পারবে বাংলাদেশ। সেই প্রক্রিয়া চলছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। আর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা অ্যাসোসিয়েশন অথবা উপযুক্ত কোনো অধিদপ্তর প্রথমে এই আবেদন করার নিয়ম। সেই হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের এটি করার কথা ছিল। এতদিন গরজ না থাকলেও টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে ভারতের দাবির পর সরকারের চাপে এখন দুই পক্ষ রীতিমতো আবেদনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।  তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, এতদিন তেমন কারও আগ্রহ না দেখা গেলেও ভারত ইস্যু সামনে আসায় এখন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও তাঁত বোর্ডের মধ্যে এটি নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেনের অবশ্য দাবি, ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার আগেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, ভারতের ইস্যু সামনে না আসলেও আমরা আবেদন করতাম। আপনারা কাগজপত্রগুলো দেখবেন, এটা অনেক সময়সাপেক্ষ একটা বিষয়। জার্নালে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অন্তত দুই মাস লাগে এই স্বীকৃতি পেতে। এরপর এটি কীভাবে ভারতের জিআই পণ্য হলো সেই প্রশ্ন তুলবে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ঐতিহ্য বলে দাবি করেছে ভারত। দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমন দাবি করার পর এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে নয়াদিল্লি। এরপর এক সপ্তাহ বাদেই ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। শিল্প নকশা ওট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের পেটেন্ট পরিচালক আলেয়া খাতুন বলেন, টাঙ্গাইল থেকেই কিছু তাঁতি ভারতে গিয়েছেন। আমাদের শাড়ির নমুনা দেখেই তারা ওখানে শাড়ি বুনছেন। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।    
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

ভারতের জিআই তালিকা থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন বাতিলের দাবি 
ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) তালিকা থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৯ বিশিষ্টজন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে এ দাবি জানান তারা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতবস্ত্র হিসেবে সর্বপরিচিত ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ সম্প্রতি ভারত নিজেদের ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)’ হিসেবে নিবন্ধন করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন জানিয়ে বিবৃতিদাতারা বলেন, বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ ভারতীয় অঞ্চলের জিআই নিবন্ধনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ‘টাঙ্গাইল’ বাংলাদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল। মধুপুর গড়, বিল ও নদী সমভূমির এক বিরল সমন্বয় টাঙ্গাইল। ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ কিংবা ‘টাঙ্গাইল পোড়াবাড়ি চমচম’ এই প্রাচীন ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও পূর্ববর্ধমান অঞ্চলে উৎপাদিত তাঁতবস্ত্রকে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ হিসেবে নিবন্ধন করার ভেতর দিয়ে কেবল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নয় বরং সেইসব অঞ্চলের তাঁত-ঐতিহ্যের ভৌগোলিক নির্দেশনাকেও এই প্রক্রিয়ায় অমান্য করা হয়েছে। তারা বলেন, বাংলাদেশেই টাঙ্গাইল শাড়ির উদ্ভব এবং কয়েকশত বছর ধরে এখনও এখানে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ বোনা হচ্ছে। দেশভাগসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির তাঁতশিল্পীদের একাংশের দেশান্তর ঘটেছিল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও পূর্ববর্ধমানের বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে দেশান্তরিত তাঁতিরা ভারতে তাদের নয়াবসতিতেও তৈরি করে চলেছেন তাঁতবস্ত্র। যা সেইসব অঞ্চলের ভৌগোলিক নির্দেশনাকে প্রকাশ করলেও কোনোভাবেই ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নয়। ভারতীয় অঞ্চলের তাঁতপণ্য কী নামে কীভাবে নিবন্ধিত হবে এটি একান্তই তাদের নিজস্ব বিষয়। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের বিষয়টি বাংলাদেশের। ভারত কর্তৃক ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ নিবন্ধন করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধনের আন্তর্জাতিক নীতিকে  প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেবল ঐতিহ্য বা তাঁতিদের পেশাগত ঝুঁকি নয়, একইসঙ্গে টাঙ্গাইল তাঁতশিল্পীদের মেধাসম্পদ অধিকারও এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হতে পারে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য কেবল একটি এলাকার ঐতিহ্যগত পেশা, বাণিজ্য, জীবিকার সাথেই সম্পর্কিত নয়; বরং এর সাথে জড়িয়ে আছে কোনো ভূগোলের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিষয়। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন’ তৈরি করে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জামদানি শাড়িকে দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করে। ইতিপূর্বে ২১টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করেছে বাংলাদেশ। এতদিনেও ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ বাংলাদেশের জিআই হিসেবে নিবন্ধন না করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও অমনোযোগিতার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে। এরপর বিলম্বে হলেও ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়ে বিবৃতিদাতা বিশিষ্টজনেরা বলেন, একইসঙ্গে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নামে ভারতে নিবন্ধন বাতিলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রকে সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানাই। ‘টাঙ্গাইল শাড়ির’ যাবতীয় প্রামাণিক দলিলসহ জাতিসংঘের ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার (ডাব্লিউআইপিও)’ কাছে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে সরকারকে আহ্বান জানাই। সেইসঙ্গে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ সহ দেশের সব প্রান্তের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য দ্রুত তালিকাভুক্তি এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া সক্রিয়করণের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক মেধাসম্পদ সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও সরকারকে আহ্বান জানাই। বিবৃতিদাতারা হলেন, মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চের (মেধাসুম) আহ্বায়ক আবু সাঈদ খান, জাতিসংঘ শুভেচ্ছাদূত বিবি রাসেল, জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, মেধাসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. তানভীর হোসেন, নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবীর, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নারী অধিকার নেত্রী ফরিদা আখতার, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রউফ, প্রাণবৈচিত্র গবেষক পাভেল পার্থ, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, নদীগবেষক শেখ রোকন, ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলী, ব্যারিস্টার উলোরা আফরিন, লেখক মোহাম্মদ আলী ও মেধাসুমের সদস্য সচিব আলী নাঈম।     
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮

‘টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আবেদনে অসত্য তথ্য দিয়েছে ভারত’
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ভারতের আবেদনে অসত্য তথ্য উপস্থাপন ও তথ্যের অপব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি : প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।  অন্যদিকে ‘বেঙ্গল মসলিন’-এর জিআই পণ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্নাল প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে আপত্তি জানাতে হবে বলে জানান দেবপ্রিয়।  এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ উচ্চতর মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সেজন্য মেধা সম্পদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। টাঙ্গাইলের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা করতে হবে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমাদের ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হবে। এ ছাড়া মসলিন ভারতের জিআই পণ্য হিসেবে এখনো নিবন্ধিত হয়নি। এ নিয়েও আপত্তি জানাতে হবে।  তিনি বলেন, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছে। তারা যদি আমাদের শাড়ি তৈরি করে তবে আমাদের ঐতিহ্যগত সুনাম নষ্টের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। কেননা আমাদের কাপড়, আমাদের তাঁতি, আমাদের মিল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের আবেদনে বলা হয়, হিন্দুরা ভারতে চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়িও নিয়ে যায়। আসলে তা সত্য নয়। প্রচুর মুসলমান তাঁতি টাঙ্গাইলে রয়েছে যারা শাড়ির কাজ করে। এতে তথ্যের অপব্যবহার ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

টাঙ্গাইল শাড়ি / ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা না হলে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা
টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশে একটি বহুল পরিচিত পণ্য। সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশও টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখন একই পণ্যকে দুটি দেশ নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করায় বিষয়টি সমাধানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে টাঙ্গাইল শাড়িকে ধরা হয় নদীয়া ও পূর্ববর্ধমানের পণ্য হিসেবে। তবে সামাজিক যোগােযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্ক শুরু হয়। ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরুর দু’দিনের মধ্যে পোস্ট সরিয়ে নেয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন। তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিতর্কের পর বাংলাদেশে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ওঠে। এ নিয়ে মানববন্ধনও হয়েছে। এরই মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দে‌শের প্রাচীন ঐতিহ্য টাঙ্গাইল তাঁত শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন করে জেলা প্রশাসন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন ক‌রেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। আবেদনটি পাওয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে শিল্প মন্ত্রণালয়। তবে এখন বিশ্বব্যাপী টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি না পেলে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সেজন্য বাংলাদেশকে দাবি নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতায় যেতে হবে বলেও মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান বলেন, ভারত টাঙ্গাইলের শাড়ির গেজেট করেছে, আমরাও করেছি। আমাদের অধিকার স্বীকৃত। তাই দুই দেশের সরকার পর্যায়ে দর-কষাকষির মাধ্যমে সমঝোতায় যেতে হবে। সেটি না হলে আমাদের আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতা ছাড়া এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তি হয় না। এদিকে বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের দারস্থ হবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, যদি বিরোধ বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তখন ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৪

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করল সরকার
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ অফিস আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন ও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পাঠান। বুধবার মন্ত্রণালয়ে হার্ড কপি জমা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে গত ২ জানুয়ারি নিজেদের ‘জিআই পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন। পোস্টটি নজরে আসার পরপরই বাংলাদেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক ওঠে এবং টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের নেওয়ার দাবি ওঠে। তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৬

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন করা হয়।  এ বিষয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসক নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ সব কথা বলেন। দ্রুতই আবেদনটি কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি। জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি প্রকৃতপক্ষে যে কোন বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দাবিদার। আমরা বিগত ৩ মাস ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম করেছিলাম। আজ আমরা আবেদন করেছি। মূলত শাড়িটির ইতিহাস, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুনের জীবন জীবিকার তথ্যটি, আড়াইশ’ বছরের ইতিহাসের তথ্যাদি সংগ্রহ করে ডকুমেন্টেশন তৈরি করে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই টাঙ্গাইল শাড়ি নামে জিআই স্বীকৃতি পাবো। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে করা একটি পোস্টে বলা হয়- ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্য্যরে মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।’ এরপর থেকে টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল মানববন্ধন করা হয়েছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৯

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারত তাদের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। দরকার হলে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডব্লিউআইপিও) সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৫ ফেব্রয়ারি) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এসব কথা উঠে আসে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, শিল্প মন্ত্রণালয় ও পেটেন্ট, শিল্প-নকশা এবং ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হন জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। এ বিষয় শিল্প সচিব বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে। তাই অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন ও সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন, দ্রুতই তা শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতির পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

জিআই স্বত্ত্ব নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে শিল্প মন্ত্রণালয়
টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে ভারতের দাবির পর দেশের সব ধরনের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের জিআই নিবন্ধন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভাও ডাকা হয় এজন্য। সভায় টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সব আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে। এজন্য অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। শিল্প সচিব আরও বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যে সব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ সময় শিল্প মন্ত্রণলয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।     
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়