• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঈদের পর ভেঙে ফেলা হবে কারওয়ান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন
ঈদের পর কারওয়ান বাজারের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার (১৮ মার্চ) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারওয়ান বাজারের দুটি ভবনই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ঈদের পর কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রাখা হবে না। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারের বেশির ভাগ দোকানই অবৈধ জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর কোনো অনুমোদন নেই। ভবনগুলোও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষ হতাহত হবে। আসাদুজ্জামান খান বলেন, কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে ওই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। গাবতলীতে স্থানান্তরের পর আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) সুযোগ-সুবিধা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মেয়র আপনাদেরই প্রতিনিধি, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে, একই সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও বলেছেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে।  তিনি আরও বলেন, কারওয়ান বাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলিতে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। যারা আসবেন না দায় তাদের। বরাদ্দ পাওয়ার পরে কেউ না আসলে অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

‘দেশে শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ, ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮ হাজার’ 
দেশে বর্তমানে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে। ৫টি খাতে ৩৮ হাজার ৮ শিশু কাজ করছে, যার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশই ছেলে শিশু। সবচেয়ে বেশি কাজ করে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশুশ্রম ২০২২’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  বিবিএস জানায়, শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন চুক্তি এবং কাঠামোগত উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুশ্রম নির্মূলে কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যগুলোকে সামনে রেখে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী জনসংখ্যার শ্রমশক্তি, কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা। জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন জানান, দেশে পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট চতুর্থ জরিপ যা শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করবে। জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আইসিএলএস ( ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্টাটিসটিসিয়ানস) সম্মেলনে গৃহীত শিশুশ্রম সম্পর্কিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসইউ) থেকে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা (১২টি নন-রেসপন্স খানাসহ) নির্বাচন করা হয় এবং ৬৪টি জেলা থেকে স্যাম্পল বেসিস তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত পরিচালিত হয়। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনে জাতীয় গণনার সঙ্গে শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন (৩৫ লাখ ৪০ হাজার) শ্রমজীবী শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ১.৭৬ মিলিয়ন শিশু শ্রমের বাইরে এবং ১ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন শিশুশ্রমে রয়েছে। এর মধ্যে ১.০৭ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম রয়েছে। পল্লী এলাকায় ২.৭৩ মিলিয়ন শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং শহরাঞ্চলে রয়েছে ০.৮১ মিলিয়ন, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ১.৩৩ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.৪৪ মিলিয়ন। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ০.৮২ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.২৪ মিলিয়ন রয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতের উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে শ্রমজীবী শিশুদের সবচেয়ে বড় অংশ নিয়োজিত রয়েছে অটোমোবাইল খাতে। পল্লী ও শহর বিবেচনায় এই খাতে কর্মরত শিশুর ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ পল্লী এবং ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ শহর এলাকায় বসবাস করে। এ জরিপের মাধ্যমে একটি শ্রমজীবী শিশু ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর সমূহে কাজ করার সময় কি কি ধরনের বিপজ্জনক কাজ করতে পারে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। আনুমানিক ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ছেলে এবং ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ে শিশু ভারী বোঝা বহন, মালামাল টানার কাজে, অধিক ওপর বা ফ্লোর হতে অতি উচ্চতায় উঠে কাজ করে প্রায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ  ছেলে এবং ০ দশমিক ৩ শতাংশ মেয়ে শিশু।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩

সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : আরেফিন সিদ্দিক
সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি বেশি থাকে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা। এজন্য সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়। এ ছাড়া তার লেখা সংবাদ দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার কাছে ততটা গুরুত্ব বহন করে। তাই শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। এতে সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার জ্ঞান আহরণ করা উচিত। পাশাপাশি শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা আবশ্যক। তা না হলে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতা উপযোগী প্রতিবেদন তৈরি দুরূহ হয়ে পড়বে।  পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মানস ঘোষ, পিআইবির পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পিআইবির সহকারী অধ্যাপক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পঙ্কজ কর্মকার ও প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৮

রাজধানীতে ২টি বাণিজ্যিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
রাজধানীর গুলশানে দুটি বাণিজ্যিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১টায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন এ ঘোষণা দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় জুলকার নায়নের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ গুলশান-২ এর ৪৬ নম্বর রোডের ৩৩ এবং ৩৪ নম্বর ভবনে সর্তকতামূলক ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। এর আগে, অনিয়মের অভিযোগ ওই দুটি ভবনে থাকা কাচ্চি ভাইসহ কয়েকটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আটতলা ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ব্যবসার অনুমোদন না থাকার পরও অগ্নিনিরাপত্তাহীন আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল। যার খেসারত হিসেবে অগ্নিকাণ্ডে এত মানুষের অকালমৃত্যু হলো। এ ঘটনার পরেই রাজধানীর বিভিন্ন ভবন ও রেস্টুরেন্টে অভিযানে নামে বিভিন্ন সংস্থা। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অপরিকল্পিতভাবে সিলিন্ডার ব্যবহারের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।  
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৬

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিলগালা করতে রাজউকে চিঠি
ঢাকা মহানগরীর যত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সিলগালা করতে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) এ চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ জন নিহত ও অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গেছে, ভবনটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন ছিল না। ভবনের ভেতরে ওঠা-নামার সিঁড়ি নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। এমনকি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নোটিশ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা চরমভাবে দায়িত্বের অবহেলা। চিঠিতে আরও বলা হয়, নিমতলীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ প্রায় প্রতি বছরই এ ধরনের অঘটন ঘটছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে। তাই সেসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবকে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে নোবিপ্রবির বাস
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিআরটিসির নয়নতারা নামের একটি লাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাইজদী থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বিআরটিসি নয়নতারা বাসাটি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে সোনাপুর এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের অর্ধেক অংশ রাস্তার বাইরে চলে যায়। এসময় বাসটিতে থাকা পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কয়েকজন। গাড়িতে থাকা নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী শহীদুর রহমান বলেন, আমাদের নিয়ে গাড়িটি মুহূর্তে রাস্তার বাইরের দিকে কাত হয়ে যায়। তবে অল্পের জন্য আমরা সবাই প্রাণে বেঁচে যাই। গাড়িটি পুরোপুরি পানিতে পড়তে পারেনি। নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমাদের শিক্ষার্থীরা বেঁচে ফিরেছে। আমরা লোক পাঠিয়েছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এখানে ড্রাইভারের ভুল ছিল সে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে বাসটি রাস্তার বাইরে নামিয়ে দেয়। ড্রাইভারকে শোকজ করা হবে এবং পরবর্তীতে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিআরটিসি বাসের বিষয়ে আমরা অতিদ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নেব এবং রাস্তাটি সংস্কার করতে আমরা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৪

ঢাকার অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানী ঢাকার দুই হাজার ১৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।  সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই উৎসব শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে ২১৪৬টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি গুরুত্বপূর্ণ। কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৪৭৮টি। তিনি বলেন, আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কিছু কিছু গোষ্ঠী নির্বাচন প্রতিহত করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। নির্বাচন কেন্দ্র করে এখন কোনো জঙ্গি তৎপরতা নেই, তবে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হাবিবুর রহমান বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের কার্যক্রম চলছে। প্রচারণার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা শহরে একই স্থানে একটি কেন্দ্র আবার একাধিক কেন্দ্র রয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এসব ভোটকেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া বাইরে টহলদল হিসেবে বিজিবি-আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়