• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বর্ষবরণে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজন
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানতে সাংস্কৃতিক জোট বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে তাদের নিজস্ব পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও পথনাটক নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হবে। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’-এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট আইটিআই-এর সাম্মানিক বৈশ্বিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধন পর্বে অংশ নেবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতৃবৃন্দসহ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্।          
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২২

প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
অবশেষে পাকিস্তানে নওয়াজ-শাহবাজের পিএমএল-এন এবং বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এ ছাড়া নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।  দীর্ঘ আলোচনার পরে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে তারা। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি। কে পাচ্ছেন কোন পদ : বিলওয়াল জানিয়েছেন, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরিফ এবং উভয় দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন তার বাবা আসিফ আলী জারদারি। সিনেটের চেয়ারম্যান হিসেবে পিএমএল-এন নেতা ইসহাক দারের মনোনয়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিলাওয়াল বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি দল আলাদাভাবে এর ঘোষণা দেবে। তিনি বলেন, যদি অতীতের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা আগের মেয়াদের তুলনায় অনেক দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং জোটের ঘোষণা দিয়েছি। একই সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, তিনি পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারা যথেষ্ট আসন দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এসময় বিলাওয়াল এবং আসিফ আলী জারদারিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ বলেন, উভয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদে জারদারিকে যৌথ প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামানো হবে। পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিএমএল-এন নেতা বলেন, প্রথম দিন থেকেই মন্ত্রিত্ব চায়নি বিলওয়ালের দল। তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় এবং পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদের দাবি মেনে নিচ্ছি বা তারা আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে। তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কিন্তু মধ্যবিন্দুতে পৌঁছানোই আসল রাজনৈতিক সাফল্য। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনার ভিত্তিতে পরে মন্ত্রিত্ব সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট করবে না পিটিআই : ইমরান খান
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গেও জোট গঠন করা হবে না। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জোট না করতে চাওয়া দলগুলো অর্থপাচারকারী। যাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে তারা সবাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারকারী। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে; তা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি আরও বলেন, যখন জানতে পেরেছি যে, নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করেছেন; তখনই বুঝতে পেরেছি, তারা দুজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আগে আমরা নির্বাচনের কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবো। তিনি বলেন, পিটিআই সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী ঠিক না করলেও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নাম ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ। সূত্র : জিও টিভি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

জোট গড়ছে নওয়াজ-বিলাওয়াল, ভাঙছে ইমরান খানের স্বপ্ন
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠকের পর কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হয়েছে তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে জিও টিভি ও দ্য নিউজ। জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাড়িতে নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তার ভাই শেহবাজ শরীফ পিপিপি’র বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলির সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে’ দুই দল জোট সরকার গঠনে একমত হয়। ভবিষ্যৎ সরকার কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এনের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। জোট সরকার গঠনে ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার কঠিন শর্ত দিয়েছে বাবা আসিফ আলি জারদারি। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চেয়ারও দাবি করেছেন তিনি। শুধুমাত্র এই শর্তেই পিএমএল-এনকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষমতা কীভাবে ভাগাভাগি হবে তা এখনো আলোচনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানা যায়নি। এদিকে তাদের সরকার গঠনের বিষয়টি পিএমএল-এন ও পিপিপি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈঠকের পর আলাদা আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে। পিএমএল-এনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষায় দুই পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। অন্যদিকে পিপিপি বলছে, বৈঠকে সরকার গঠনে দলটির সহযোগিতা চেয়েছে পিএমএল-এন। প্রস্তাবটি নিয়ে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই, জেআই ও জেইউআই-এফ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক।    পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে জিতলেও ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার বলেছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, এমন তিনটি আসনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। দেশটির নির্বাচনে ২৬৬ আসনের (একটির ফল ঘোষণা স্থগিত ও একটিতে ভোট হয়নি) মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল-সমর্থিত প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পেয়েছে ৭৫ আসন। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮

নওয়াজের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে বিলাওয়ালের ইউটার্ন!
জোট সরকার গঠনের বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজকে তিনি এ কথা বলেন। বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, আমার দল পিপিপি একা সরকার গঠন করতে পারবে না। তবে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে এখনও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বা অন্য কোনো দলের আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। সব ফলাফল যখন আসবে, তখন আমরা অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চিন্তা করব। পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তার বাবা আসিফ আলি জারদারির কোনো বৈঠক হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিলাওয়াল বলেন, এ ধরনের কোনো বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করার মতো অবস্থানে আমি নেই।  তবে বিলাওয়াল এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী এখন পর্যন্ত তার বা পিপিপির কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন স্বতন্ত্র নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কিন্তু পিটিআইয়ের কোনো স্বতন্ত্র সদস্য এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এর আগে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএ-এন) ও বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জোট সরকার গঠন করতে রাজি হয়েছে। পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ বিলওয়াল ভুট্টো ও পিপিপি কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি বৈঠক করে জোট গঠনে সম্মত হয়েছেন। একইসঙ্গে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এদিকে শনিবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্য বলছে, ভোট হওয়া ২৬৫টি আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তারা জিতেছেন ৯২টি আসনে। এরপর ৭১টি আসনে জিতেছেন নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। আর ৫৪টি আসনে জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের জোট গঠন করতে হবে। তবে কোন দলের নেতৃত্ব জোট গঠিত হবে—  এবং সর্বোচ্চ আসনে জয় পাওয়া ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জোট হবে কি না, সেটি এখন দেখার বিষয়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৭

জাবিতে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ
ধর্ষণের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তির সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদী  সাংস্কৃতিক সমাবেশ পালন করা হয়। প্রতিবাদী সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তি তাপসী বলেন, এ ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড নয়। আমরা দেখেছি এ ধরনের অভিযোগ বারংবার আসার পরেও সে অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয় না। সাংস্কৃতিক জোট বলতে চায় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে বিদ্যমান সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ও আশু সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যে প্রশাসন চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসার পরেও চুপ করে বসে থাকে, শিক্ষার্থীরা সেই প্রশাসনকে মান্য করে না। ধর্ষণকাণ্ডের পর থেকে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব থেকে যে পিছনগুটিয়ে চলে এসেছে তার দায় এই প্রশাসনকে নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল জনসাধারণের জন্য নিরাপদ করতে হবে। প্রশাসন যদি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যের নিরসনে কাজ না করে তবে আমরা আরও কঠোর ভূমিকা নিতে বাধ্য হবো। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, যারা ধর্ষক তারা একদিনে ধর্ষক হয়ে উঠেনি। তাদের পেছনে আছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদ, তার পাশাপাশি  রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্থার ছায়াতল। এই আন্দোলন শুধু ধর্ষকের বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন সেসব অছাত্র, মাদক চোরাচালানকারী ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যারা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে এ ক্যাম্পাসে। এ আন্দোলন সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে প্রশাসন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান জনিকে তাদের ছায়তলে রেখে সুরক্ষা দেয়। জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না বলেন, আমরা জানতাম এ ক্যাম্পাসে রাতে-দিনে নারীরা সবসময় নিরাপদ। এই যে মোস্তাফিজ ও মুরাদ তারা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও গণরুম বন্ধ হয়নি এখনো। যে গণরুম বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি মোস্তাফিজ ও মুরাদ তৈরি করছে সেই গণরুমকে বন্ধ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার হয়নি। যদি মোস্তাফিজ জানতো এই জনির বিচার হয়েছে তাহলে সে ধর্ষণের মতো এরকম কাজ করার সাহস পেত না। ধর্ষণকাণ্ডে শুধু মোস্তাফিজ ও মুরাদরা জড়িত নয়। এর পেছনে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মূলত জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের উৎপত্তি। আমরা সবসময়ই আন্দোলন করার চেষ্টা করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দেশের প্রচলিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে সেই মামলাটি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনের মূল যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে হলগুলো থেকে অছাত্রদের বিতাড়িত করা। এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যারা হলে অনেকগুলো সিট একসঙ্গে দখলে রেখেছেন এবং পলিটিকাল ব্লক তৈরি করে থাকেন তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং তার প্রেক্ষিতে মুহূর্মুহু যেসব তথ্য উঠে আসছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, মাদক, চোরাকারবারি এবং অভারল ক্যাম্পাসের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা যারা সংস্কৃতি কর্মী, আমরা জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সংস্কৃতি কর্মী রয়েছি, আমরা শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে সর্বদা চেষ্টা করি। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তাদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। দফাগুলো হলো - চলমান ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা এবং জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে পূর্বের সকল অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার পূর্বক দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হল থেকে অছাত্রদের বের করে সিট সংকট নিরসন করতে হবে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৭

সংরক্ষিত মহিলা আসনে জোট করবে না জাতীয় পার্টি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য অন্য কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে জোট করবে না জাতীয় পার্টি (জাপা)। রোববার (২৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে দেওয়া দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যোগদান বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আছে তারা জোট করতে পারে। রাজনৈতিক দলের মধ্যেও জোট হতে পারে। স্বতন্ত্ররাও জোট হতে পারে, আবার রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলেও জোট হতে পারে। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

স্বতন্ত্ররা জোট করলে কপাল পুড়বে জাপার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এরপর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর একাদশ সংসদে প্রধান বিরোধী দল থাকা জাতীয় পার্টি (জাপা) জয় পেয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্ররা এক জোট হয়ে বিরোধী দল গঠন করলে কপাল পুড়বে জাপার। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্ররা যদি জোট করে স্পিকারের কাছে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আবেদন করেন এবং তিনি সেটি গ্রহণ করেন, তাহলে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে না। এক্ষেত্রে ৬২টি জন স্বতন্ত্র সদস্য ওই জোটে না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সদস্যদের চেয়ে জোটের সদস্য বেশি হলে তারাই হবে বিরোধী দল। এখন নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করেন কিনা, সেটি দেখার বিষয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ বলেন, সংবিধানে বিরোধী দল গঠনের বিষয়ে কিছু বলা নেই। এবার স্বতন্ত্র সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন। তারা যদি গ্রুপ বা জোট করে আসে, স্পিকারের কাছে যদি আবেদন করেন, তবে ওই জোট বা গ্রুপই বিরোধী দল হবে, এতে কোনো বাধা নেই।  এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে হাজী সেলিমের নেতৃত্বে একটি জোট তৈরি করেছিলেন। সেই জোটকে আনুপাতিক হারে তিনজন সংরক্ষিত নারী সদস্যের কোটাও দেওয়া হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর পরে অবশ্য সেই জোটের নেতা হাজী সেলিমসহ বেশিরভাগ সদস্য আওয়ামী লীগে ফিরে যান। এ ছাড়া ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ২৫১টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে জাসদের নেতৃত্বে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি পেয়েছিল ১৯টি আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছিল ২৫টি আসন। এ ছাড়া জাসদ তিনটি এবং ফ্রিডম পার্টি দুটি আসন পায়। সেসময় ফ্রিডম পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে আ স ম আব্দুর রব সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়