• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আসলাম, সম্পাদক হাবিব
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মাহবুবুল বারি আসলাম সভাপতি ও মো. হাবিবুর রহমান আকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. সোহরাফ হোসেন মামুন সন্ধ্যার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম পেয়েছে সহ-সভাপতিসহ তিনটি পদ। বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা বৃহস্পতিবার সমিতির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা হতে বিরতিহীনভাবে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। মোট ৩০০ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৮ জন আইনজীবী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। সন্ধ্যার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. সোহরাফ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য মাহবুবুল বারি আসলাম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান আকন। সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়েছেন তিনজন যথাক্রমে মিজানুর রহমান মজনু, জাবির হোসেন ও মো. মোহসিন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনজন যথাক্রমে আবদুল্লাহ আল মামুন, টিটপ কুমার রায় বিটুল, ইসহাক হোসেন বাচ্চু। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে সালমা নাতাশা, গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাকির খান বশির, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা লুইস, সদস্য তিনজন যথাক্রমে আক্তারুজ্জামান বাবুল, মাহিন মেহেরাব অনিক ও আহাদ রহমান জিতু।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩২

লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে আসামির মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে ছেলে হত্যা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া (৭২)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর কারাগারের জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান। মৃত বেলায়েত রায়পুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর গ্রামের হেদায়েত হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে।  নিজের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় আদালত তাকে ১০ বছরের সাজা দেন। জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেলায়েত অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে রাত সাড়ে ১০টায় সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালেই নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বেলায়েত হোসেনকে কারাগারে আনা হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম আফজাল জানান, বেলায়েত হোসেনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন তারা। পথেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছি এখনই বলতে পারছি না। মরদেহ মর্গে রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩

জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন এমপির এপিএস 
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এমপির (ব্যক্তিতগ সহকারী) এপিএস আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি মোবাইল ফোন প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আবু বক্কর লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি মোতাহার হোসেনের এপিএস। বেসরকারি ফলাফলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মোবাইল ফোন প্রতীক পেয়েছেন ২৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী সফুরা বেগম কাপ-পিরিচ প্রতীক পেয়েছেন ২৭৩ ভোট। মোট ৯ ভোট বেশি পেয়ে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বেসরকারি ফলাফলে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারময়ান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া জেলার ৫টি উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৬টি কেন্দ্রেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা ভোট প্রদান করেছেন। উপনির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরমধ্যে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মোবাইল ফোন প্রতীক, মো. আশরাফ হোসেন বাদল চশমা প্রতীক, মো. নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা আনারস প্রতীক, মো. মমতাজ আলী মোটরসাইকেল প্রতীক এবং সফুরা বেগম কাপ-পিরিচ প্রতীক এ নির্বাচন করছেন। ৫টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ৪৫টি ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬২৪ জন। উল্লেখ্য, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে অ্যাড. মো. মতিয়ার রহমান পদত্যাগ করায় শুন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১২

ঢাকাস্থ নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার অনুষ্ঠিত
ঢাকায় কর্মরত নাটোরের গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন, ঢাকাস্থ নাটোর জেলা সাংবাদিক সমিতির (নাজেসাস) ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংগঠনের সভাপতি দীপঙ্কর লাহিড়ীর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান শ্রাবণের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, নাটোর জেলা সমিতি, ঢাকার সাধারণ সম্পাদক ডিআইজি একেএম নাফিউল ইসলাম, ডিউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, মিরপুর সায়েন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, আনোয়ার হোসেন রিপন, দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম প্রমুখ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাজেসাস সহ সভাপতি এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, কোষাধ্যক্ষ আলতাফ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মাহি মাহফুজ, নির্বাহী সদস্য মাহমুদুল হক খোকন ও সমিতির 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২

ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 
ঢাকায় কর্মরত রাজবাড়ী জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি রেস্তোরাঁয় ইফতার মাহফিলে অংশ নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।  এসময় ইফতার উপলক্ষে বসা মিলনমেলায় সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমানের সঞ্চালনায় ইফতার পূর্ব আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী হক।  এ সময় সংগঠনের সদস্যরা রাজবাড়ী জেলা এবং সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পরে সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য এবং প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুসের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অরণ্য গফুর।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৫

‘নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকা’র নতুন কমিটি গঠন
নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক নয়াদিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম রোহান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাইজিংবিডির সিনিয়র রিপোর্টার এস কে রেজা পারভেজ।   শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের ইফতার মাহফিল ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহি সংসদ নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটির মেয়াদ ২ বছর।   নতুন কমিটির সহ সভাপতি হাসান শাফিঈ (নয়া শতাব্দী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর আলম শেখ ( সকালের সময়), কোষাধ্যক্ষ  আকাশ মনি (শুভ দিন), সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বদরুল আলম (সবুজ বিপ্লব), দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম (বাংলা ভিশন) ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: মহিদুল ইসলাম  বৈশাখী টিভি) নির্বাচিত হয়েছেন।   কার্যনির্বাহি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন  সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু , আমিনুর রহমান (এস এ টিভি) ও তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু (দ্যা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম)।   এ ছাড়াও সংগঠনের ৪ জন উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন। তারা হলেন সৈয়দ জাফর (দিনকাল), মশিউর নেরু (করতোয়া), এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন (ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস) ও বশির আহমেদ (আমার দেশ)।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।  বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর সিটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।   শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।  এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।   
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে নির্যাতন, জেলা সভাপতির বহিষ্কার দাবি
আবারও কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্বয়ং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে রাস্তা থেকে তুলে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন তিনি। নানা ঘটনায় বিতর্কিত সদর উদ্দিন খানকে নিয়ে আতঙ্কিত দলটির শত শত নেতাকর্মী বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বলে জানান। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।   এদিকে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খোকসার শমসপুর বাজারের পাশের রাস্তা থেকে কয়েকজন মিলে থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।  এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন জানান, জোর করে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শমসপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সদর খান তাকে বেতের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সদর খানের ভাই রহিম খানের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনে ভোট করতে অস্বীকার করলে তার বুকের ওপর পা তুলে মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।  বৃহস্পতিবার বিকেলেই সদর খান, তার ভাই রহিম খান ও রহিম খানের ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন।  বিষয়টি জানাজানি হলে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেন থানা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় খোকসা বাসস্টান্ডে সদর উদ্দিন খান ও রহিম খানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশাল মানববন্ধন করেছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাসস্টান্ডে আসেন।  খোকসা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম এমদাদ হোসেন বলেন, কয়েকবার দল ও দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াসহ নানা কারণে বিতর্কিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানকে দল থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সহযোগী সংগঠনসহ ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার বলেন, গেল জাতীয় নির্বাচনেও খোকসা কুমারখালী আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন সদর খান। তার বিরুদ্ধে গেলেই দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালান তিনি।  এ সময় দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। বাদী পক্ষের অভিযোগ, থানা থেকে সদর খানের নাম মামলায় বাদ দিতে বলা হয়েছে।  এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। কোনো আসামিকে বাদ দেওয়া বা যোগ করার ব্যাপার নেই। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নেওয়া হবে। ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৬

নওগাঁ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নওগাঁয় জেলা কারাগারে সামিরুল সরদার (২২) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সামিরুল সরদার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমুখ সাপুরাপাড়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে।  নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় করা মাদক মামলায় কারাগারে আসেন সামিরুল সরদার। এরপর আজ ভোরে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জেল সুপার আরও বলেন, হাজতির মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালেই রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৪২

ইফতার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন শহর নোংরা করল রাজশাহী জেলা আ.লীগ
পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশ-বিদেশে। সেই শহরের অলোকার মোড়ে ইফতারের আয়োজন করে স্থানটিকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।  রোববার (১৭ মার্চ) এ ইফতার অনুষ্ঠানের পর ওই এলাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। উঠেছে প্রতিবাদ আর নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নগরবাসী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনাও করছেন। এ দিকে রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবার ইফতার পার্টি করছে না। তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ করেছে এর ব্যতিক্রম। রোববার বিকেলে নগরীর অলোকার মোড়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা। ইফতার শেষে খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো অলোকার মোড় ও আশপাশের এলাকা নোংরা করা হয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওই এলাকাজুড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।   নগরবাসী বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাজশাহী নগরী। পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী নগরীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে রাজশাহী মহানগরবাসীও এখন অনেক সচেতন। নগরবাসী কেউ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ও কোন খাবারের প্যাকেট ফেলেন না। কিন্তু আজ নগরীর বাইরে থেকে এসে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে শহর নোংরা করে যাওয়া হলো। ইফতারের প্যাকেট ও উচ্ছিষ্ট এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যাওয়া কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। এটি বহিরাগতদের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারণ এই শহরের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা ও দায়িত্ব নেই। বিশিষ্টজনরা আরও বলছেন, ইফতার আয়োজন যারা করেছেন, তাদের উচিত ছিল এলাকাটি পরিষ্কার করা। কিন্তু তারা তা না করে পুরো এলাকাটি নোংরা করে গেছেন। যিনি প্রধান অতিথি ছিলেন, তিনিও কিছু বলেননি। এখন ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্ট হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেন শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহরে এভাবে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা করে যাবে, এটি কাম্য হতে পারে না। শহর নোংরা করে তারা নিজেদের রুচি ও মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইফতারের আয়োজন এবং শহরকে এভাবে নোংরা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তার দলের নেতাকর্মীরা ইফতারের আয়োজন করলেন। এটা গরিব মানুষের সঙ্গে তামাশা। জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল। তারা যেভাবে শহর নোংরা করে গেলেন তা দুঃখজনক। অন্য কেউ করলে অপরাধ, এমপি-মন্ত্রীরা করলে অপরাধ নয় এটা তো হতে পারে না।’ জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের এটা ইফতার পার্টি ছিল না। আমাদের আলোচনা সভা ছিল। এর সঙ্গে নিজেরা ইফতার করেছি, কিছু বিতরণ করা হয়েছে।’ শহর নোংরা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা লোক লাগিয়ে দিয়েছি। রাতের মধ্যেই আমরা পরিষ্কার করে ফেলব।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়