• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে চাঁদপুরে সভা
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শহরের বাবুরহাট এলাকায় পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে জেলা পুলিশ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বক্তব্যে বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য, দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য, মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য, সাধারণ মানুষ যেন রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। এসপি বলেন, এসব পুলিশ সদস্যরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, সংকটে, দুর্যোগে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে জীবনের সর্বোচ্চ ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে, তার ওপর যে দায়িত্ব, যে দায়িত্বের শপথ সে নিয়েছিল। সেই শপথ সমুন্বত রাখার জন্য নিজের জীবনের রক্ত ঢেলে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি, গণতন্ত্র সমুন্বত রাখার জন্য সময়ে সময়ে রক্ত দিয়েছি। দেশে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছিল, সে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। যখন করোনার নামে মহামারির আবির্ভাব হলো তখন পুলিশ সামনের সারিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন দিয়েছে। রাষ্ট্রের অপরাধীদের ধরতে গিয়ে জীবনের মায়া নিয়ে কখনো পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে আসেনি। বরং তাদের ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে এবং শাহাদাত বরণ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা মার্চ মাসে এ দিবস পালন করি। শাহাদাত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের আবেদনগুলো গুরুত্বসহকারে শুনি এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ট করি। আমাদের নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে এ আয়োজন করা। তাদের যে কোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ তাদের পাশে আছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিবিআই চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তফা কামাল রাশেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর। অনুষ্ঠানে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলেদেন পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা। এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মধ্যে দুজন সদস্য তাদের চলমান পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৭

সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
এবার হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৫ দিন আগে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তামিম আহমেদকে খতনার জন্য বাজারে আনা হয়। এ সময় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আব্দুস শহীদকে ৫ হাজার টাকায় তামিমের খতনা করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর হাসপাতালের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। হঠাৎ শিশুর চিৎকারে তার পরিবার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড় মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আহত শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এ সময় হাসপাতালের মালিক স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে খবর প্রকাশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।  বুধবার রাতেই আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, খতনা করার সময় আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। কী জন্য প্রতিষ্ঠানটি খুলে এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, আহত শিশুর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতে পছন্দ করি : জয়া আহসান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নিজের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন জয়া। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।  ক্যারিয়ারে একাধিক সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে জয়ার মুকুটে। তবে কাজের জায়গায় সফলতা পেলেও ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন তিনি। যদিও একসময় ভালোবেসে মডেল ফয়সালের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া।  তবে বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় জয়া-ফয়সালের সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।  ২০১১ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি। বিবাহবিচ্ছেদের পর পুরোদমে ক্যারিয়ারেই ফোকাস করেন জয়া। মনোযোগী হন অভিনয়ে। বাংলাদেশ-ভারত দুই জায়গাতেই সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারেই কথা বলতে পছন্দ করেন না জয়া। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, জয়া আহসান বলেন, সাধারণত এই সময়ে নারীরা নিজের মূল ফোকাস থেকে সরে যায়। কিন্তু আমি কাজেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দেয়। যার ফলে আমি কাজকে এতটা ভালোবাসি। অভিনেত্রী আরও বলেন, সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল অনেক বেশি। মানুষ সবসময়ই আমার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়-ব্যক্তিগত জীবন আমি সবসময়ই আড়ালে রাখতেই পছন্দ করি। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

‘ফারাক’ বইটি হতে পারে জীবন রক্ষার হাতিয়ার
কানাডার টরেন্টো শহরের স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবাসী লেখক মোস্তফা আকন্দ ও নেসার আহমেদ প্রণীত ফারাক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় উপনেতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম।  শনিবার (২ মার্চ) আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও কানাডা প্রবাসী আসমা আহমেদ। ডলি বেগম তার বক্তৃতায় বলেন, টরেন্টোতে বাংলাদেশীদের মধ্যে প্যারিন্টং একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফারাক’ বইটির লেখকদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা কমিউনিটির জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। টরেন্টোতে বাঙালী যুবকদের আত্মহত্যা বিষয়ে তারা গবেষণা করেছেন কয়েক বছর আগে। খুব ভালো কাজ ছিলে সেটা।   তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ বাংলায় লিখিত ফারাক বইটি টরেন্টো বাঙালী কমিউনিটির প্যারেন্টসদের প্যারেন্টিং সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। কমিউনিটির সবাইকে বইটি পড়া উচিত। ফারাক গ্রন্থটির ওপর আলোচনায় অংশ  নিয়ে  বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও টরেন্টো ভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা নতুন দেশের সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ফারাক গ্রন্থটি লেখকদ্বয়ের প্যারেন্টিং বিষয়ের ওপর লিখিত একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ যেখানে আমাদের প্যারেন্টিং এর চ্যালেঞ্জগুলোকে গল্পের ঢংয়ে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। গল্পগুলো সুখপাঠ্য। পড়তে পড়তে মনে হবে আমি এই শহরেরই কোন গল্পের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি আর  মানসিক স্বাস্থ্য ও প্যারেন্টিং বিষয়ে শিখছি। এই শিক্ষণটা আমাদের ও আমাদের সন্তানদের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে। টরেন্টো প্রবাসী কবি, গল্পকার ও টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের স্পেশাল নিডস্ শিশুদের শিক্ষিকা সঙ্গীতা ইয়াসমিন বইটির ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, শুধু সন্তান জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায়না। বাবা-মা হতে গেলেও কিছু দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকা দরকার হয়। ‘ফারাক’ অনেকটা গবেষণা-ধর্মী তথ্য সম্বলিত এবং বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি নিয়ে রচিত গ্রন্থ। সেসব ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আমাদের মত হাজারো বাবা-মা অন্তত নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে শিখবেন। এই গ্রন্থ পাঠে যদি নিজে থেকেই আমরা কিছু শিক্ষণ নিতে পারি সেটা আমাদের সবার জন্য মঙ্গল। না-ও যদি পারি, তবুও আমরা আমাদের মুদিত চক্ষুকে মুক্ত করতে পারি! সুস্থ থাক জগতের সব সন্তান। সুখি হোক পরিবার। ঘুচে যাক সব দূরত্ব! যেখানে আছে 'ফারাক'। টরেন্টোর আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বলেন, কোন বই যে এভাবে লেখা যায়, আমি  কখনো দেখিনি। বইটি প্যারেন্টিং এর ওপর লিখিত বই। কিন্তু লেখকদ্বয় গল্প বলেছেন আর প্যারেন্টিং শিখিয়েছেন। শেষে প্যারেন্টিংয়ের ওপর একাডেমিক আলোচনাও করেছেন। বইটি পড়া শুরু করলে আপনি শেষ না করে ছাড়তে পারবেন না। কমিউনিটির মানুষদের বইটি পড়া  উচিৎ। টরেন্টোর চিকিৎসক নিলান্জনা দত্ত বলেন, মোস্তফা আকন্দর লেখা আমার খুবই ভালো লাগে।  তিনি আমাদের সমাজের সমস্যাগুলোকে এমন সুন্দরভাবে তার লেখা গল্পে তুলে ধরেন যে, মনেই  হয়না এটা কোন তথ্যবহুল আলোচনা। আর বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদের প্রফেশনাল লেবেল  অনেক উঁচু। ফারাক বইটি সবাইকে পড়ার আহবান করছি। অন্টারিওর গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মাহতাব শাওন বলেন, ফারাক নামটাই একটা সার্থক নাম। আপনারা বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন যে কেন এই নামটি রাখা হয়েছে? বইটির পটভূমি আমার জানা। যে গবেষণা লেখকদ্বয়কে বই লিখতে উৎসাহ যুগিয়েছে সেই গবেষণাটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। কয়েক বছর আগের টরেন্টোর বাঙালী তরুণদের আত্মহত্যার কাড়ন অনুসন্ধানের গবেষণার মুল ফলাফল ছিল মা-বাবার সাথে সন্তানের যোগাযোগের অভাব’ বা প্যারেন্টিং ইস্যু। এ বিষয়টি কখনো আমাদের কমিউনিটিতে এড্রেস করা হয়নি। তিনি সবাইকে বইটির অষ্টম অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ার অনুরোধ করেন।  সমাজসেবা মূলক কাজের উদ্যোক্তা ড্যানিয়েল হাকিম সবাইকে ফারাক বইটি পড়তে অনুরোধ করে বলেন, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের প্যারেন্টিং স্টাইল চেঞ্জ হয়নি। বাবা-মা ও সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক এর ফারাক তৈরিতে এটাই ভূমিকা রাখছে। বইটা আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সেই দূরত্ব পুরনে সহায়তা করতে পারে। প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও কানাডা প্রবাসী লেখক সুব্রত নন্দী বলেন, আমরা আগে জানতামই না যে প্যারেন্টিং বলে একটি বিষয় আছে। যাদের ক্ষতি হয়ে গেছে তাদেরতো গেছেই। আর আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে, তারা যদি গুড প্যারেন্টিং করতে পারি তাহলে আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হবেনা। আমি মনে করি, সবাইকে বাচ্চাদেরকে সময় দিতে হবে। আমাদেরকে চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। টরেন্টোর বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোস্তফা কামাল বলেন, বাবা মা হিসেবে আমাদের চিন্তার জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। তারা যেভাবে চায় সে মোতাবেক সহায়তা করতে হবে। তাহলেই দূরত্ব কমবে। টরেন্টো ভিত্তিক অলাভজন দাতব্য সংস্থা বেঙ্গলী ইনফরমশেন এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসের (বিআইইএস) নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘ফারাক’ বইটিতে যে বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে তার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যত টাকা পয়সার মালিকই হয়না কেন, বাচ্চারা যদি ঠিকমত বেড়ে না ওঠে তাহলে সব সম্পদ অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। নিজের সন্তানদেরকে লালনপালন করতে গিয়ে তিনি কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, এবং তা তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেছেন- তার বিবরণ তুলে ধরেন। সমাজকর্মী বদিউজ্জামান মুকুল বলেন, ‘এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ এখন আমাদের ঘরের মধ্যে হাতি। এটাকে আর গুরুত্বহীনভাবার অবকাশ নেই। সন্তানরা বাবা-মাকে হত্যা করছে। কেন? একটু ভাবুন। যেভাবে সন্তান লালন-পালন করছেন ঠিক আছে তো ? আপনি বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় থাকলে ‘ফারাক’ বইটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে। কারণ বইটির গল্পগুলো খুবই বাস্তব এবং আমার প্রফেশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। টরেন্টোর নারী উদ্যোক্তা সাবিনা শারমিন বলেন, ‘ফারাক’ হতে পারে কারো কারো জন্য জীবন রক্ষার হাতিয়ার। আপনি আপনার ঘরের মধ্যে কোন দানবকে বড় করে তুলছেন নাতো? ঢাকার ঔশি মেয়েটি কেন তার বাবামাকে হত্যা করল? মুল কারণ প্যারেন্টিং। তার বাবা-মা তাকে কীভাবে মানুষ করেছেন। তাকে কতটুকু সময় দিয়েছেন? তা নিয়ে কী আমরা ভেবেছি? ফারাক কেন সৃষ্টি হল? অনেক প্রশ্ন।  নিজেকে প্রশ্ন করুন। টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের  শিক্ষক ডঃ ফখরুদ্দীন, লেবানিজ-আমেরিকান কবি ও দার্শনিক কাহলিল জিবরানের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের নয়। তারা সময়ের সন্তান। তারা তোমাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে।  তোমরা তোমাদের সন্তানদের নিজের সম্পত্তি মনে করিও না। অর্থাৎ সন্তান হলেই যে সব কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে হবে তাদের মতামতের কোন দাম দেয়া যাবেনা-এটা ঠিক নয়। তারা ছোট হতে পারে কিন্তু তারাও সব বোঝে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্টারিওর নিবন্ধিত সমাজকল্যাণ কর্মী ও উপন্যাসিক জাকারিয়া মুইনুদ্দিন বলেন, আমাদের বাঁচতে হলে জানতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। মেন্টাল হেলথ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্যারেন্টিং আমাদের শিখতে হবে। ফারাক প্যারেন্টিং শিখতে সহায়তা করবে নিশ্চয়ই। বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ফারাক’ বইটি সময়োপযোগী বই। বইটি গল্প সমৃদ্ধ হলেও সবগুলো গল্পই সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে লেখা। সময়ের সাথে সাথে আমাদের নিজেদের প্যারেন্টিং স্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হবে। বইটি আমাদের সেই পরিবর্তন আনতে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে।  মোস্তফা আকন্দ বইটির ওপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমরা সবাই আমাদের বাচ্চাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। কিন্তু নতুন দেশ নতুন সময়ের চাহিদারে সাথে তাল মিলিয়ে আমরা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করতে ইস্ততঃবোধ করি। ফলে আমাদের সাথে আমাদের সন্তানদের ফারাক তৈরি হয়। নতুন দেশের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিদেশী সংস্কৃতি ও আমাদের সংস্কৃতির চাপে আমাদের বাচ্চারা স্যান্ডউইচ বেবি হিসেবে বেড়ে উঠবে অথবা হারিয়ে যাবে। আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী করবো।কারণ বাচ্চাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বইটি বাবা-মায়েদের পয়েন্টিং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে সন্দেহ নেই। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো মতামত ব্যক্ত করেন,  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টর এডভোকেট ও কানাডা প্রবাসী আক্তার মোসাম্মাৎ, ক্যানবাংলা টেলিভিশনের কর্নধর ড, মো. হুমায়ন কবির চৌধুরী, পিল ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের সিনিয়র শিক্ষক এমডি হাসান তারিক, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমেদ, আবাসন ব্যবসায়ী নাসিমা পারভীন ও মেফিল্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী মেহরীন মুস্তারীসহ অনেক।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

জীবন বীমা কর্পোরেশনে চাকরি, এইচএসসি পাসেও আবেদন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় বীমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন। এই প্রতিষ্ঠানে ৫ ক্যাটাগরির পদে ১১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যা যা প্রয়োজন- ১. পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার পদসংখ্যা: ২ যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা প্রকৌশল বা কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রোগ্রামিংয়ের স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স: ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বেতন স্কেল: ২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা ২. পদের নাম: জুনিয়র অফিসার–প্রকৌশলী (সিভিল) পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: প্রকৌশলে (সিভিল) স্নাতক পাস বা সমমানের ডিগ্রি অথবা প্রকৌশলে (সিভিল) ডিপ্লোমা পাস। উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) বা সমমানের পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়স: ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা ৩. পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি সুপারভাইজার/ কন্ট্রোল সুপারভাইজার পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর হিসেবে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স: ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা ৪. পদের নাম: সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর/ সিনিয়র কন্ট্রোল অপারেটর পদসংখ্যা: ১ যোগ্যতা: এইচএসসি পাসসহ ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর হিসেবে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ হাজার কি–ডিপ্রেশন মানের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স: ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা ৫. পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি অপারেটর/ কন্ট্রোল অপারেটর পদসংখ্যা: ৬ যোগ্যতা: এইচএসসি পাস। বিজ্ঞান বিভাগের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স: ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা আবেদন ফি: অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৩ নম্বর পদের জন্য ৬৬৯ টাকা এবং ৪ ও ৫ নম্বর পদের জন্য ৪৪৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।  আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে...
০২ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৯

ভাষা রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নত জীবন পেতে পারে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের মাতৃভাষা রক্ষায় যারা আত্মোৎসর্গ করেছে সেই শহীদদের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়ে গেছে। আর সেই দিবসটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অর্থাৎ, মাতৃভাষা সংরক্ষণের প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারটুকু কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ছাড়া একটা বিজাতীয় ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন, তিনি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ দিয়েই আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ভাষার রাষ্ট্র। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এই মর্যাদা অর্জন করেছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত
সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সুসম্পর্ক ও ভালবাসার মর্যাদা ব্যাপক। কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাসহ রাসুল (সা.)-এর পবিত্র জীবনে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে সাধারণ আচার-আচরণে রয়েছে সাওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। যা হতে পারে দুনিয়ার সব মানুষের জন্য গ্রহণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। অসম বিয়ের কারণে বর্তমানে দেশে একটি দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নিজের মেয়ের ১৮ বছরের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনার শীর্ষে আছেন ৬০ বছরের এক ব্যক্তি। আসুন দেখে নিই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান নিয়ে ইসলাম কী বলে। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ভারসাম্য রাখার ইঙ্গিত রয়েছে বয়স স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আচরণগত স্বভাব ও দৈহিক বিষয়ের প্রভাবক। যদিও এ ক্ষেত্রে কোরআনের সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও ইঙ্গিত আছে। সুরা সাদের ৫২ নং আয়াতে বলা ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং (জান্নাতে) তাদের পাশে থাকবে সমবয়সী আয়তনয়না (জান্নাতি রমণী)।’ অন্যদিকে সুরা ওয়াকিয়ার ৩৫-৩৮ আয়াতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি জান্নাতি রমণীদের উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের করেছি চিরকুমারী, সোহাগিনী, সমবয়স্কা।’  সুতরাং, স্বামী-স্ত্রীর বয়স কাছাকাছি হওয়া বাঞ্ছনীয়। বয়সের বেশি ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যে কারণে বিবাহে বয়েসের ভারসাম্য প্রয়োজন। রাসুল (সা.)-এর কন্যা ফাতেমা (রা.)-কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন আবু বকর (রা.) এবং ওমর (রা.)। খলিফাদ্বয়ের উদ্দেশ্য ছিল—তাঁরা রাসুল (সা.)-এর জামাতা হওয়ার সম্মান অর্জন করবেন। রাসুল (সা.) বলেন, সে [ফাতেমা (রা.)] অনেক ছোট। তাঁদের বয়স অনেক বেশি ছিল। রাসুল (সা.) বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন। উল্লেখিত ঘটনা থেকে বোঝা যায়, মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স অতিরিক্ত বেশি হওয়া উচিত নয়। বয়সের বেশি অসমতায় বিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। (ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা লিফাতিমাতা মিনাল মানাকিবি ওয়াল ফাদাইল, পৃষ্ঠা : ৩৪-৩৬)। উল্লেখ্য, ইসলামে সবচেয়ে আদর্শ বিয়ে হয়েছিল আলী (রা.) ও ফাতেমা (রা.)-এর বিয়ে। সে সময় ফাতেমা (রা.)-এর বয়স ছিল সাড়ে ১৫ বছর। (সিয়ারু আলামিন নুবালা, পৃষ্ঠা : ৪২৩)। তবে ইবনে সাদের মতে, সে সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। আর আলী (রা.)-এর বয়স ছিল ২১, মতান্তরে ২৫ বছর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ত্রী যদি স্বামীর চেয়ে বয়সে একটু ছোট হয় তাহলে ভালো। আর নারীর শারীরিক কাঠামো থাকে দুর্বল। ফলে সে আগে বৃদ্ধা হয়ে যায়। যদি দুই-চার বছরের পার্থক্য থাকে তাহলে সমতা আসে। (হুকুকুল জাওজাইন, পৃষ্ঠা ৩৭০)। তবে শরিয়তে বয়সে তারতম্যময় বিবাহ নিষিদ্ধ নয়। আবার ইসলাম এ বিষয়ে কাউকে উৎসাহও দেয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশস্ততা ও অবাধ স্বাধীনতা আছে। কিন্তু বিষয়টি নির্ভর করে বাস্তবতা, সমাজ, সংস্কৃতির ওপর। প্রশ্ন উঠতে পারে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর চেয়ে ২৫ বছরের বড় খাদিজা (রা.) এবং ৪৪ বছরের ছোট আয়েশা (রা.)-কে কেন বিয়ে করেছিলেন? প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, ইসলাম প্রচার এবং ইসলামের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর চেয়ে ১৫ বছরের বড় খাদিজা (রা.) কে বিয়ে করেন। বংশমর্যাদা, সহায়-সম্পদ, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই খাদিজা (রা.) ছিলেন সমাজের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়া। তাঁর জীবদ্দশায় রাসুল (সা.) অন্য কোনো নারীকে বিবাহ করেননি। (ইবনে হিশাম ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯-১৯০; ফিকহুস সিরাহ, পৃষ্ঠা ৫৯)। আর রাসুল (সা.) যখন তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করেন, তখন তাঁদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৫৩ ও ৯। যদিও বিবাহ আরো আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে প্রধানত যেসব কারণে বিয়ে করেছিলেন— ১. আয়েশা (রা.)-এর পিতা আবু বকর (রা.)-এর অতি আগ্রহ ছিল যে তিনি [আবু বকর (রা.)] যেভাবে ঘরের বাইরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গী হয়ে যাবতীয় খেদমত আঞ্জাম দেন, অনুরূপ ঘরের ভেতরও যেন তাঁর পরিবারের কেউ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর খেদমত করতে পারেন। তাই আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার সম্পর্কে রূপান্তর করেন। ২. সব ইতিহাসবিদ এ ব্যাপারে একমত যে, আয়েশা (রা.) ছিলেন তৎকালীন আরবের অন্যতম মেধাবী নারী। তাই মহানবী (সা.) তাঁকে বিবাহ করার মাধ্যমে ইসলামের বিধি-বিধান, বিশেষ করে নারীদের একান্ত বিষয়াদি উম্মতকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। ৩. মহানবী (সা.) তাঁকে বিয়ে করেছেন ওহির নির্দেশ অনুসরণ করে। ওহির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৫)। ৪. শুধু আরবের সংস্কৃতি নয়, গোটা বিশ্বে সেই সময়ে ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার মধ্যে অল্প বয়সী নারীকে বিবাহ করার ব্যাপক প্রচলন ছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে জীবন দিতে প্রস্তুত তরুণী
সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আইয়ুবুর রহমান আকাশ (২৯) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন মাস্টার্স পড়ুয়া (২৫) এক তরুণী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড়হামকুড়িয়া গ্রামে ওই যুবকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। যুবক আকাশ একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে ওই তরুণী আকাশের বাড়িতে অনশন করছেন। তিনি আসার পর আকাশসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে সন্ধ্যা হলেও ওই তরুণী বাড়ি ছেড়ে যাননি। অনশনকারী তরুণী দাবি করেন, আকাশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে গত রমজানে তাদের বিয়ে হয়। তবে তারা গরিব হওয়ায় প্রথম থেকেই আকাশের বাবা এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না। আমার মুরব্বিদের ওর বাবা বলেছিলেন, অনুষ্ঠান করে তিনি আমায় তুলে নেবেন। কিন্তু প্রায় এক বছর হলেও তিনি এমনটি করেননি। পুত্রবধূর মর্যাদা দিয়ে তাকে বাড়িতে তুলেননি। উল্টো ডিসেম্বরে আকাশকে দিয়ে আদালতের মাধ্যমে আমাকে একটি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন।  ওই তরুণী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করছি। আমি যদি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাই, তাহলে এখানে জীবন দেবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আইয়ুবুর রহমান আকাশের বাবা জামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, মেয়েটি গত রমজানে সিনক্রিয়েট করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছিল। এরপর আর তাকে বাড়িতে তোলা হয়নি। গতবছরের ২০ ডিসেম্বর আমার অজান্তে আকাশ মেয়েটিকে ডিভোর্স দেয়। পরে মুরব্বিদের মাধ্যমে মেয়ের পরিবারকে তিন লাখ টাকাও দেওয়া হয়েছে। তবুও মেয়েটা আবারও আজ বাড়িতে এসে সিনক্রিয়েট করছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, অনশন করার বিষয়টি জানা নেই। তবে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৯

জীবন যেখানে জীবনের কাছে হার মানে 
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের রণজিত দাস (৭০) শহরের অস্থায়ী কাঠের ব্রিজের এক পাশে বসে ভিক্ষা করছেন। রণজিত দাসের বয়স ও চাহনি দেখে তার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি অস্পষ্ট ভাষায় এ প্রতিবেদককে জানান, তার দুই কন্য সন্তান ও ৪ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নেই।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রণজিত দাসের বাড়ি উপজেলার কাশিমা জগনাথপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রণজিত দাসের ছোট্ট ঘরের বারান্দায় ৩০ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী মেয়ে অনিতা দাস শুয়ে আছেন। এ সময় প্রতিবেদককে রণজিত দাসের স্ত্রী সুবালা দাস (৫৮) বলেন, আমার দুই মেয়ে। তারমধ্যে অনিতা দাস প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ে রিতা দাসের বিয়ে হয়ে গেছে। আমাদের উপার্জন বলতে শুধু আমার স্বামীর ভিক্ষার টাকা।তাছাড়া আমার স্বামীর শ্বাসকষ্টজনিত রোগ আছে। আমাদের কিভাবে জীবন পার হয় তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন। জীবন ধারণের জন্য প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে শহরে ভিক্ষা করতে আসা রণজিত দাসের প্রতিবেশী বাদশা লস্কার জানান, রণজিত দাস এক সময় ভ্যান গাড়ি চালাতেন। হঠাৎ অসুস্থতায় তার জীবন এলোমেলো হয়ে যায়। সে অনেক কষ্টে দিন পার করে। যা আমরা দেখে আসছি।  ভিক্ষুকদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে কথা বলতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।  নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ভিক্ষুকদের জন্য বিভিন্ন সময় কর্মসূচি নিয়ে থাকে সরকার। তবে আপাতত চলমান কোনো কর্মসূচি নেই।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

‘বাংলাদেশে জীবন ও ভূমি এখন অরক্ষিত’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশের নাগরিক কেন মারা যাবে। এ ঘটনায় একটা প্রতিবাদ জানানোর সাহস নাই সরকারের। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সরকার এ সাহস পায় না। সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসাকে রহস্যজনক বলে দাবি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়ি সীমান্তে বাংলাদেশি নারী—পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টারের শেলে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধি প্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে, আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। রুহুল কবির রিজভী এসময় দাবি করেন যে, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত এবং জনগণ নিরাপদ ছিল। এই খালেদা জিয়া জনগণের সমাদৃত নেত্রী, এটাই তার অপরাধ। একটা ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে তাকে রায় দিয়ে আটকে রেখেছে সরকার। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথাকে চটুল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তার কথায় অপকর্ম ও দখলদারিত্বের পাপ আড়াল করার চেষ্টা রয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী কলঙ্ক আরও তীব্র হয়ে ওঠে। কারণ রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর। বিনাভোটের সরকারপ্রধানের কাছে লেখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন এই ভদ্রলোক।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়