• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জিয়া ছিলেন মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠানরত নবম 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে 'নভোটেল এথেন্স' হোটেল বলরুমে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন। এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে  ও সবাইকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহবান জানান মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সমবেতদের হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন যে গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গ্রিস আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ত্রিশটিরও বেশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  গ্রিস আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স মোহাম্মদ খালেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস নেতৃবৃন্দের মধ্যে গোলাম মওলা, হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল খালেক মাতুব্বর, আহসান উল্লাহ হাসান, শেখ আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বর, রায়হান খান, মিজানুর রহমান আলফা প্রমুখ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

যেভাবে কাটছে খালেদা জিয়ার ঈদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সকাল থেকেই ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ কয়েকজন কাছের আত্মীয়দের নিয়ে ঈদ কাটাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১১  এপ্রিল) দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সকাল থেকেই তার আত্মীয়-স্বজনরা দেখা-সাক্ষাৎ করতে আসছেন। বিকেলে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়েদা রহমান ভার্চুয়ালি তার সঙ্গে কথা বলেন। রাতে দলের সিনিয়র নেতারা ঈদের সালাম জানাতে আসবেন। এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। তিনি বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, গুলশানের বাসায় মেডিকেলে বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। বোর্ডের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে আছেন তিনি। তিনি জানান, ঈদের দিনে ঢাকায় তার যেসব নিকটাত্মীয়-স্বজন আছেন, তারা বাসায় দেখা করতে আসবেন। তাদের নিয়ে সময় কাটাবেন ম্যাডাম। এ ছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়েদা রহমান ভার্চ্যুয়ালি তার সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আরও জানান, এর আগের কয়েকটি ঈদে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। খালেদা জিয়া তাদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার তাদের কেউ আসেননি। যদিও বড় বোন (খালেদা জিয়া) প্রয়াত খুরশীদ জাহান হকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে প্রবাসী তিন ছেলে ছাড়াও আরেক বোনের ছেলের মেয়ে ঢাকায় এসে এই রোজার মধ্যেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে চলে গেছেন। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১

যেখানে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, গুলশানের বাসায় মেডিকেলে বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। বোর্ডের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে আছেন তিনি। তিনি জানান, ঈদের দিনে ঢাকায় তার যেসব নিকটাত্মীয়-স্বজন আছেন, তারা বাসায় দেখা করতে আসবেন। তাদের নিয়ে সময় কাটাবেন ম্যাডাম। এ ছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়েদা রহমান ভার্চ্যুয়ালি তার সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আরও জানান, এর আগের কয়েকটি ঈদে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান সিঁথি এবং তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। খালেদা জিয়া তাদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার তাদের কেউ আসেননি। যদিও বড় বোন (খালেদা জিয়া) প্রয়াত খুরশীদ জাহান হকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে প্রবাসী তিন ছেলে ছাড়াও আরেক বোনের ছেলের মেয়ে ঢাকায় এসে এই রোজার মধ্যেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে চলে গেছেন। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের।  বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তিন দিনের চিকিৎসা শেষে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তিনি বাসায় ফেরেন।   চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বাসায় পৌঁছেছেন। এর আগে, শনিবার মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ফুসফুসের পানি অপসারণের পর এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ কিছু পরীক্ষা করানো হয়। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে মেডিকেল বোর্ড তাকে বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।  তারও আগে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হয়। ওই সময় ১ দিন হাসপাতালে থেকে ১৪ মার্চ মার্চ বাসায় নিয়ে আসা হয় তাকে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে ৬ মার্চও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশসহ (খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো জরুরি) সেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা নাকচ করে দেয় সরকার। বরং আগের মতো দুই শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার।  গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।  ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পর পর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০০

সন্ধ্যায় বাসায় যাবেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের পর তিনি হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যাবেন। চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে আজ ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হবে। এর আগে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯

লিভার সিরোসিস জটিলতায় সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে তাকে।  সিসিইউতে রেখেই তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার। দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা। রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে খবর পেয়ে রাতেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান তার চিকিৎসকরা। সেখানে তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পরই খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়। লিভার সিরোসিসের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি। তারও দুই সপ্তাহ আগে ১৩ মার্চ মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান দেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হলো।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে।  রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।  দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা। রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।  তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে খবর পেয়ে রাতেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান তার চিকিৎসকরা। সেখানে তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।  এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে।  লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪২

শারীরিক অবস্থার অবনতি, আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে।  রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।  দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা।   এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে।  লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন এবং তিনি আপাতত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দুপুরের পর থেকে একটু অসুস্থতা বোধ করছিলেন। ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ড বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তারা মনে করছেন, তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আপাতত তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, এখন দুপুরের চেয়ে, সন্ধ্যার চেয়ে, অনেকটাই তিনি সুস্থ বোধ করছেন, যদি কোনো কারণে প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে আবার হয়তো যে কোনো সময় হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হতে পারে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত বছরের ৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। বেগম জিয়ার চিকিৎসা দিতে গত ২৫ অক্টোবর মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঢাকায় আসে। তারা লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ট্রান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়