• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার নিষিদ্ধ হাঙ্গরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ চরঘেরা ও ৪ পিস বেহুন্দি জাল জব্দ করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী পাথরঘাটার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী বলেশ্বর নদীর পাড়সহ বিভিন্ন নদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাথরঘাটার বিভিন্ন নদী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড় এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার কেজি হাঙর জব্দ করা হয়। এছাড়াও পাথরঘাটার লঞ্চ ঘাট, তালতলা, চরদুয়ানী, টেংরা, হাজীরখাল, রুহিতা ও পদ্মা এলাকা থেকে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল ও ৪ টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হাঙর শিকারি ও অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জব্দকৃত হাঙর উপজেলা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসার মো. রিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কারা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, প্রতিদিন বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে  আমাদের অভিযান চলে অবৈধ সকল জালের ওপরে এবং সকল সময় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।     
১ ঘণ্টা আগে

জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার তিন গ্রামের ছয়জন যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে জাল ভিসা নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা খেয়ে সেখান থেকে সরাসরি দালালের বাড়িতে এসে গত ছয় দিন ধরে অবস্থান করছেন। আর বিদেশ নয়, দেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে চান। তা না হলে, দালালের বাড়িতেই সবাই শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতি করবেন বলে জানান।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামে দালালের বাড়িতে গিয়ে ওই ছয় যুবকের অবস্থানের দৃশ্য দেখা যায়।  দালালের বাড়িতে অবস্থানরত যুবকরা হলেন, উপজেলার পাঁচগ্রামের আতিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আলামিন তালুকদার, মোলামগাড়ীহাটের মেহেদী হাসান, জিন্দারপুর গ্রামের আবু তাহের। অবস্থানরত যুবক, দালালের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিন্দারপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে দালাল সুলতান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান। এলাকায় তাকে মাবুদ নামে চেনেন। সাড়ে তিন বছর আগে একই এলাকার পাঁচগ্রাম, মোলামগাড়ীহাট ও জিন্দারপুর গ্রায়ের ছয়জন যুবক একসঙ্গে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালাল মাবুদের সাথে ৩৩ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তির পুরো টাকা তারা পরিশোধও করেছেন। তখন থেকে  কালক্ষেপণ করেন মাবুদ। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া নয়, তাজিকিস্তানে পাঠানোর কথা হয়। তাতেও রাজি হন ওই যুবকরা। অনেক দেরিতে হলেও চলতি বছরের ১৮ মার্চ তাদেরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকায়। ২০ মার্চ রাতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্য টিকিটসহ কাগজপত্র হাতে পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  উপস্থিত হন ওই ছয় যুবক। ‘বিধিরবাম’ এয়ারপোর্টে চেকিংয়ে গিয়ে জানতে পারেন ম্যানপাওয়ার, ভিসা, বিএমইটি স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করে তাদের ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছেন দালাল মাবুদ। শুধুমাত্র বিমানের টিকেট ছিল আসল। এয়ারপোর্ট থেকে তাদেরকে ফেরত আসতে হয়। তাই তারা নিজ বাড়িতে না গিয়ে দালাল সুলতান মাহমুদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখানেই শেষ নয়, গত ছয় মাস আগে একই উপজেলার আতাহার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম, জিন্দাপুর গ্রামের মোশারফের ছেলে মোহসিন আলী, বেলগড়িয়া গ্রামের ফরিদুলের ছেলে ফয়সাল, মহেশপুর গ্রামের ইউনুসের ছেলে রিমন, পাঁচগ্রামের মৃত মজিদের ছেলে মোস্তফাসহ আরও অনেককেই মালয়েশিয়াতে একই কৌশলে পাঠিয়েছে দালাল মাবুদ। তারা বর্তমানে কাজ না পেয়ে মাবুদের লোকজনদের কাছে বন্দি অবস্থায় মালয়েশিয়া জীবন-যাপন করছেন।   অবস্থানরত যুবক আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি বন্ধক রেখে দালাল মাবুদকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে আজ বড় বিপদে পড়েছি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ছয় দিন ধরে এ বাড়িতে অবস্থান করছি। পুলিশ নয়, নিজেরাই এর সমাধান চাই। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাবো না। কপালে যা আছে তা হবেই। আরেক যুবক আবু তাহের বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়া হয়নি তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাজিকিস্তানে যাওয়ার দিনে কেন ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হলো। আমরা আর বিদেশে যাবো না, টাকা ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, মাবুদের সাথে সমাধানের জন্য আমরা বসেছিলাম, কিন্তু ৯৯৯ এ ফোন করলে মাবুদকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরাও থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ মাবুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেছিল, আমরা অভিযোগ করিনি। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর থেকে মাবুদ পলাতক।   দালাল সুলতান মাহমুদ ওরফে মাবুদ বলেন, আমি যে এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে পাঠাচ্ছি মূলত তারাই এসব ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। তারা যে ভুয়া কাগজপত্র করেছে তার কিছুই জানি না। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমি তাদের নিকটে সময় চেয়েছি। তাদের টাকার ব্যবস্থা করছি। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া যাদেরকে পাঠিয়েছেন তারা এখন বন্দি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পায়নি, তার হেপাজতেই তারা রয়েছেন। খরচ যা লাগছে তিনিই দিচ্ছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তাদেরও ব্যবস্থা হবে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারিত যুবকদের অভিযোগ দিতে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তারা অভিযোগ দিতে নারাজ। মাবুদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে

জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ঈদুল ফিতর টার্গেট করে জাল টাকা তৈরি করা একটি চক্রের মূলহোতাসহ আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়ার চরমোহনপুর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা আরিফ ব্যাপারীসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ বিপুল পরিমাণ জাল নোট জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লে. কর্নেল আরিফ।
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৪

বরগুনায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামানের নেতৃত্বে পাথরঘাটার বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটার লঞ্চঘাট, তালতলা, চরদুয়ানী, টেংরা, হাজীরখাল, রুহিতা,পদ্মা, আজির খাল,হরিণঘাটা, বাদুরতলা এলাকা থেকে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৮০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়। এসব জব্দকৃত জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।  এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারী জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ অফিসার মো. রিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’ পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে সকল অবৈধ জাল উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০১

পাথরঘাটায় ২ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস 
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ ৯০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। জব্দকৃত জালের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোস্ট গার্ড বিষখালী নদীর পাথরঘাটা লঞ্চ ঘাট, নিশানবাড়িয়া ঘাট, নীলিমা পয়েন্ট, সুনবুনিয়া, কালমেঘা, কাকচিড়া ফেরিঘাট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।  এ সময় ৫ লাখ ৯০ হাজার মিটার ব্যবহারকৃত অবৈধ কারেন্ট জল জব্দ করে। কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থান থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্ট গার্ড।  কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামান বলেন, পাথরঘাটা উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসারের সাথে সমন্বয় করে অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অবৈধ জাল ধ্বংসে ভবিষ্যতে এরুপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

রমজানে জাল টাকা প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা
রমজান মাসে বাজারে যেন জাল টাকা ছড়াতে না পারে সেজন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় রাজধানীর ৫৮টি স্থানসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থলে নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ভিডিও প্রদর্শনে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিভিন্ন উৎসবের সময় দেশে নোট জালকারী চক্রের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এ প্রেক্ষিতে রমজান মাসে জাল টাকা বিস্তারের এ অপতৎপরতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হলো।   নির্দেশনা অনুযায়ী, রমজান মাসে ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ভিডিও চিত্র ঢাকা শহর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাগুলোর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বগুড়া জেলাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল, হাটবাজার, শপিং মল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশনসহ রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা করে প্রচার করতে হবে। আর দেশের ব্যাংকগুলোর শাখায় গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে ভিডিও চিত্রটি পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন করতে হবে।   এ ছাড়া ব্যাংকের শাখাগুলোতে উচ্চ মূল্যমানের নোট গ্রহণ ও প্রদানকালে এবং এটিএম মেশিনে টাকা ফিডিংয়ের পূর্বে আবশ্যিকভাবে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন দিয়ে নোট পরীক্ষা করতে হবে। রমজান মাস শেষ হওয়ার পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আলোচিত নির্দেশনা পরিপালনের স্বপক্ষে একটি সচিত্র প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।   রাজধানীতে অবস্থিত ব্যাংকগুলোর কোনটি কোন স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করবে তার তালিকা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে প্রতিদিন এই ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করবে। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৬

বা‌গেরহা‌টে ১৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১
বা‌গেরহা‌টে ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, বিপুল প‌রিমাণ সরঞ্জাম ও জাল টাকা তৈরির মেশিনসহ মো. ফয়সাল ইউনুস (৩০) না‌মের এক যুবককে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বি‌কে‌লে বাগেরহাট পৌরসভার যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আলহাজ্ব আব্দুল গফুর প্লাজার ৬ষ্ঠ তলায় অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে ডি‌বি পু‌লিশ তা‌কে আটক ক‌রে। আটক মো. ফয়সাল ইউনুস কচুয়া উপ‌জেলার বা‌রোদারিয়া গ্রা‌মের ম‌হিউদ্দীন শে‌খের ছে‌লে। বা‌গেরহাট ডি‌বি পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) স্বপন কুমার রায় জানান, গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে বা‌গেরহাট জেলা গো‌য়েন্দা পু‌লি‌শের এক‌টি দল যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আলহাজ্ব আব্দুল গফুর প্লাজার ৬ তলায় অ‌ভিযান চালা‌য়। এ সময় মহিউদ্দিন শেখের ছেলে ফয়সাল ইউনুসকে (৩৫) জাল নোট তৈরির সামগ্রীসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ফয়সাল ইউনুস ৪ মাস পূর্বে বাসা ভাড়া নি‌য়ে জাল‌ নোট তৈ‌রির কাজ ক‌রে আস‌ছিল। এ চ‌ক্রের অন‌্য সদস‌্যদের আটকের জন‌্য পু‌লিশ কাজ কর‌বে ব‌লে জানান তিনি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

কুয়াকাটায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২০ হাজার মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালে অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত থেকে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মাছ শিকারে যে সকল জেলেরা চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৮

লক্ষ্মীপুরে ১০ জেলে আটক, নৌকা ও জাল জব্দ
লক্ষ্মীপুরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১০ জেলেকে আটক করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ। এ সময় মাছধরার ৪টি নৌকা, আড়াই হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে সকালে মেঘনা নদী থেকে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস আটককৃত ৬ জনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৪ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জব্দকৃত জাল মজু চৌধুরীর হাট এলাকায় প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।  দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মোসলেহ উদ্দিন (৩১), মো. সালাহ উদ্দিন (৩৬), আকাশ মাঝি (২৭), মনির হোসেন (১৯), মো. শাহিন (১৯), ও শাহ আলম মাঝি (৩৭)। তারা সবাই সদর উপজেলার চররমনী মোহিন ইউনিয়নের বাসিন্দা। প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় সবুজ, তারেক, হৃদয় ও সামছুকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযান সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশ। এ সময় মতির হাট এলাকা থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের চারটি নৌকা ও আড়াই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, চার জেলে সবুজ, তারেক, হৃদয় ও সামছু অপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের দন্ডাদেশ না দিয়ে মুচলেকা নিয়ে দুটি ডিঙি নৌকাসহ তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য আটককৃত ৬ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যকের ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দকৃত মাছ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৪

সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকা মূল্যের এক হাজার একষট্টি বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে প্রশাসন।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে জালগুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরুল আমিন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান টের পেয়ে অবৈধ জাল বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। উপজেলা মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমর উন নাহার জানান, অভিযানে ১৬টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে ৫৬১ বস্তায় ১ কোটি ৮৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫শ’ বস্তা চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫৫ কোটি টাকা। জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়