• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে উপহার পেল ৬৯ কিশোর
টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬৯ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল ও ৬৬ জনকে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে উপজেলার বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী।  শিশু-কিশোরদের মোবাইলের কুফল, অতিরিক্ত আসক্ততা থেকে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমাম ও খতিব। মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজান মাসের ১০ দিন পূর্বে এই নামাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল শেষ হয়। যেখানে বহুরিয়া গ্রামের ৬৯ জন কিশোর অংশ নেন। টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয় ২৯ জন কিশোর। বাকি ৩০ জন কিশোর একাধারে ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়তে সক্ষম হয়নি। এজন্য তাদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছর। তারা প্রতিদিন নামাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। পুরস্কার বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়ামিন বিন মাজিদ, বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুল আলিম বাদশা, বহুরিয়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদ সিকদার, বহুরিয়া ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, বহুরিয়া আদর্শ নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি মল্লিক লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, অর্থ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, বহুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কয়েদ আলী সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আউলাদ হোসেনসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম বলেন, সব ধর্মের মূল্যবোধই সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত। তাই যে আয়োজনের মাধ্যমে ওই কিশোরদের ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করা হয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাতে জনসমুদ্র
শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শোলাকিয়ায় ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শহরের বড় বাজার মসজিদে ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারও দেশ-বিদেশের ৪ লাখেরও বেশি মুসল্লি এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে। সকাল সাড়ে ৮টার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাসাবাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান। ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়। শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করে। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত যাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে। এই মাঠে ২৬৫টি কাতার আছে, প্রতিটি কাতারে ৫০০ মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৪

ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।  ১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১

জামাতে ফজর নামাজ পড়ে উপহার পেলেন ১০ মুসল্লি
টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে বিশেষ ঈদ উপহার পেয়েছেন ১০ মুসল্লি। ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে এ উপহার দেওয়া হয়। রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মুসল্লিদের হাতে উপহার হিসেবে ঈদের পোশাক তুলে দেওয়া হয়। উপহারপ্রাপ্ত মুসল্লিদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা আবদুল লতিফ, ব্যবসায়ী রুহুল করিম, বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম, অটোচালক ইব্রাহিম, কৃষক নুরুল আমিন, কলেজছাত্র আবসার ও দুজন কিশোর রয়েছেন। এ উপলক্ষে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মামুনের সঞ্চালনায় উপহার প্রদান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মসজিদ কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবিউল হক। এ প্রসঙ্গে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মামুন বলেন, নামাজের পুরস্কার তো আল্লাহ দেবেন। আমরা মুসুল্লিদের উৎসাহ দিতে এমন আয়োজন করেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন ফয়সল, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ফরহাদ, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ পারভেজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০১

জামাতে নামাজ আদায়কারীর জন্য রয়েছে যেসব মহাপুরস্কার
আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যায়, তার আসা এবং যাওয়ায় প্রতি পদক্ষেপে গুনাহ মিটে যায় এবং প্রতি পদক্ষেপে নেক আমল লেখা হয় (আহমাদ : ৬৩১১)। চলুন, জেনে নিই জামাতে নামাজ আদায়ের বেশ কিছু গুরুত্ব ও ফজিলত- ১. সালাত শয়তান থেকে হেফাজত করে হযরত আবু দারদা (রাযি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি : যে গ্রামে বা মরুপ্রান্তরে তিনজন লোক অবস্থান করে অথচ তারা জামাত কায়েম করে সালাত আদায় করে না,  শয়তান তাদের ওপর চরে বসে।  কাজেই জামাতে সালাত আদায় করা একান্ত অপরিহার্য। কারণ বাঘ দলছুট বকরিটিকেই উদরস্থ করে  (আবু দাউদ : ৪৬০)। ২. নিফাক থেকে পরিত্রাণ এবং জাহান্নাম খেকে মুক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, এশা ও ফজরের সালাত মুনাফিকদের নিকট সবচেয়ে বেশি ভারী বোঝা বলে মনে হয় (বুখারি ও মুসলিম : ১৪১১)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি একাধারে চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রথম তকবিরের সাথে জামাতে সালাতে আদায় করে, তার জন্য দুটি মুক্তি রয়েছে- জাহান্নাম থেকে মুক্তি আর নিফাক থেকে মুক্তি (তিরমিজি : ২২৪)।   ৩. কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ হযরত বুরাইদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, অন্ধকার রাতে মসজিদে গমনকারীদের জন্য কেয়ামত দিবসে পূর্ণ নূরের সুসংবাদ দাও (আব‍ু দাউদ : ৪৪৭)। ৪. জামাতে সালাত আদায়কারী আল্লাহর হেফাজতে হজরত উমামাহ (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মায়, তার মধ্যে মসজিদে গমনকারী ব্যক্তি। সে আল্লাহর জিম্মায় থাকে ; এমনকি তার মৃত্যু হলে তাকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অথবা তাকে ছাওয়াব বা গনিমত প্রদান করে (বাড়িতে) ফিরিয়ে দিবেন (আবু দাউদ : ২১৩৩)। তাছাড়া নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালের সালাত জামাতের সাথে আদায় করে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকে। যে আল্লাহর জিম্মাকে অবমাননা করবে, আল্লাহ তাকে  জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন (দারামি : ৩৩৬৭)। ৫. মসজিদে সালাত আদায়ে অধিক ছওয়াব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জামাতের সাথে সালাত আদায়  ঘরে বা বাজারের সালাতের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি ছওয়াবের অধিকারী বানায়। আর এটা এভাবে যে, যখন সে অযু করে খুব সুন্দর করে । এবং (সালাতের জন্য) মসজিদের উদ্দেশে বের হয়। এ অবস্থায় সে যতবার পা ফেলে,  প্রতিবারের পরিবর্তে একটি করে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি করে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। তারপর যখন সে সালাত আদায় করতে থাকে, ফেরেশতাগণ তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকেন। যতক্ষণ সে সালাতের জায়গায় বসে  থাকে ফেরেশতারা তার জন্য এই বলে দোয়া করেন, হে আল্লাহ! এই ব্যক্তির ওপর রহমত নাযিল কর। হে আল্লাহ! এর ওপর দয়া কর। আর যতক্ষণ সে সালাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, ততক্ষণ সে সালাতের অর্ন্তভুক্ত থাকে (বুখারি ও মুসলিম : ৬১১)। ৬। কেয়ামত দিবসে আরশের নিচে ছায়া পাবেন সাহাবি আবু হুরায়রা (রাযি) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’আলা ছায়া দান করবেন ওইদিন, যেদিন আল্লাহর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে একজন হলো ওই ব্যক্তি, যার হৃদয় মসজিদের সাথে লাগানো। অর্থাৎ সালাত ও জামাতের প্রতি আন্তরিকভাবে আগ্রহী (বুখারি ও মুসলিম : ৬২০)। ৭. আল্লাহ তায়ালা মুসল্লির আগমনে খুশি হন রাস‍ুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পরিপূর্ণভাবে অযু করে, অতঃপর শুধু সালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি এমন খুশি হন যেরূপ খুশি হয় নিরুদ্দেশ ব্যক্তির আচম্বিতে ফেরে আসায়  তার পরিবারের সদস্যরা । (ইবনু খুযাইমাহ : ৮১৩১) ৮. একাগ্রতা অর্জন ও অন্তর বিগলিত হওয়ার উপকরণ কোনো মুসলিম যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন দুনিয়ার সকল ব্যস্ততা থেকে সে নিজেকে মুক্ত করে নেয়। আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হয়, অতঃপর সে মসজিদে আগত মুসল্লিদের আল্লাহর সামনে  রুকু-সিজদারত অবস্থায় দেখে। যিকির এবং কোরআন তিলাওয়াত প্রত্যক্ষ করে। আল্লাহর কালাম স্বকর্ণে শোনার সুযোগ পায়। এসব থেকে  সে বুঝতে পারে এ ময়দান আল্লাহ ও তার  জান্নাত লাভের উদ্দেশে প্রতিযোগিতার ময়দান। আর এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাকারীরাই  আন্তরিকতা ও একাগ্রতার সাথে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হয়। ৯. পারস্পরিক আন্তরিকতা ও মহব্বত সৃষ্টি করে জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে মুসলমানগণ দিন ও রাতে পাঁচবার পরস্পর মিলিত হয়। তাদের মাঝে সালাম বিনিময় হয়। একে অপরের  খোঁজ-খবর নেয়। হাসিমুখে একে অন্যের সাথে সাক্ষাত করে। এসব বিষয় পারস্পরিক মহব্বত, ভালবাসা এবং একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেয়। ১০. অজ্ঞ লোকের শিক্ষা এবং বিজ্ঞের উপদেশ যে ব্যক্তি জামাতের সাথে মসজিদে সালাত আদায় করে, সে সালাতের আহকাম, আরকান, সুন্নাত ইত্যাদি বিষয়গুলো আহলে ইলম থেকে শিখতে পারে । আহলে ইলমের সালাত দেখে উক্ত ব্যক্তি নিজের ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন করে নেয়। এমনিভাবে ওয়াজ-নসিহত শুনে ভাল কাজে উৎসাহিত হয়, মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এতে সে অনেক উপকৃত হয়, যা ঘরে সালাত আদায় করে আদৌ সম্ভব নয়।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়