• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুই হাজার কোটি টাকার মাদক পাচার, প্রযোজক গ্রেপ্তার
দেশের বাইরে দুই হাজার কোটি টাকার মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জাফর সাদিক নামের এক চলচ্চিত্র প্রযোজককে। তিনি ডিএমকের প্রাক্তন সদস্য ও কর্মকর্তা। মূলত তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন সাদিক।   গত ১৫ জানুয়ারি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সাদিক। অবশেষে শনিবার (৯ মার্চ) গ্রেপ্তার করা হয় এই প্রযোজককে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে মাদক পাচারের চক্রের মূল হোতা ছিলেন সাদিক। ভারত থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার মাদক অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়েছেন তিনি। ৩ হাজার ৫০০ কইলো সিউডোফেড্রিন ৪৫টি পার্সেলে করে অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন সাদিক। নারকেল এবং ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে করে এসব পার্সেল দেশটিতে পাঠানো হয়েছিল।   বিভিন্ন দেশের মাদক পাচার থেকে আসা টাকাই চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করতেন সাদিক। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘মঙ্গাই’ সিনেমাতেও সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল। এমনকি তিনি এই টাকা দিয়ে একটি হোটেলও কিনেছেন এই প্রযোজক।     গত সপ্তাহে দুই রেল যাত্রীর থেকে ১৮০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করার পরেই  উঠে আসে সাদিকের নাম। আটককৃতরা জানান, মাদকগুলো শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হচ্ছিল। তাদের দুজনের কাছে যথাক্রমে ৩৬ কেজি এবং ৬ কেজির মাদক উদ্ধার করা হয়। এই সিউডোফেড্রিন একটি অত্যন্ত নেশাজাতীয় জিনিস। অনেকটাই  কোকেনের মতো। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস  
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৮

ড. ইউনূসের পক্ষে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি কি অজ্ঞতাপ্রসূত?
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সমালোচনা এখন তুঙ্গে। সম্প্রতি তাঁকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর। এই নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা। গত ২২ জানুয়ারি ইস্যুকৃত চিঠিটি পড়ে জানা যায়, ড. ইউনূসের প্রতি কথিত ক্রমাগত হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তারা। তবে এতে করে একটা জিনিস স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, তাদের এ প্রতিবাদের সঙ্গে কৌশলে বাংলাদেশ ও এর সরকারবিরোধীদের পক্ষ নিয়ে তাদের পক্ষে দাবি জুড়ে দিয়েছেন তারা। তাছাড়াও সরকারবিরোধীদেরকে কৌশলে ‘সরকারের সমালোচক’ তকমা দিয়ে ঐ ১২ সিনেটর বলেছেন, তাদেরকে লক্ষ্য করে আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে মার্কিন সিনেটররা লিখেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১৫০টিরও বেশি অপ্রমাণিত মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রমে অনিয়ম হয়েছে। দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে  নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। আর এখানেই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারিক অপব্যবহার দেখতে পাচ্ছেন ১২ মার্কিন সিনেটর। এবারে ঘোলা জল কিছুটা পরিষ্কার করা হোক!   ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এ মামলা সরকার করেনি। বরং শ্রমিকেরাই করেছেন এ মামলা। ছুটি নগদায়ন এবং শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের বিভিন্ন বকেয়া পাওনার দাবিতে ২০১৬ সালে প্রথম মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৪ কর্মী, সরকার নয়। পরে বকেয়া পাওনা চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ৯৩টি মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান কর্মীরা।  ঢাকার শ্রম আদালতে সব মিলিয়ে ১০৭টি মামলা করা হয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে সরকারকে কোথা থেকে খুঁজে পেলে মার্কিন সিনেটররা? আসলে বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখার যে মার্কিন খোলামেলা অপচেষ্টা অনেকদিন ধরে করে আসছে; বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে, এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ১২ মার্কিন সিনেটরের এসব বানোয়াট বিবৃতি সেই মিশনেরই অংশ।  আমাদের কাছে এর যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ কাগজে কলমেও প্রমাণিত হয়েছে। ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ এ রায় দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।  ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এবারে আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ১৯৯৭ সালে কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠিত হয় “গ্রামীণ টেলিকম”। কোম্পানি গঠনের শর্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকম তাদের অর্জিত লভ্যাংশের ৫% হারে শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে দেওয়ার কথা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিকম কোম্পানি “গ্রামীণ ফোনের” ৩৪.২০% শেয়ারের মালিক গ্রামীণ টেলিকম। কিন্তু কোম্পানি আইনের শর্তে গ্রামীণ টেলিকম কোনো শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিল তো গঠন করেইনি, জমাও করেনি লভ্যাংশের ৫%। এ লভ্যাংশের এক দশমাংশ দেওয়ার কথা ছিল জাতীয় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে। কিন্তু নথি ঘেঁটে দেখা যায় ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে ৫% লভ্যাংশের দশ ভাগের এক ভাগ হিসেবে ৯৪ কোটি ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ টাকা জমা দিয়েছে “গ্রামীণ টেলিকম”। ৫ বছরে গ্রামীণ টেলিকমের “শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে” দেওয়ার কথা ৯৪০ কোটি টাকার মতো। ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২৫ বছরে ৫% লভ্যাংশ হিসাবে শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে জমা হওয়ার কথা এর ৫ গুণ টাকা। যার মোটামুটি হিসাব দাঁড়ায় ৪৭০০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। কিন্তু বারবারই মিথ্যাচার করে পার পেয়ে গেছেন তিনি। গ্রামীণ টেলিকম জানিয়েছে, তারা ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২৮ নম্বর ধারায় সৃষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে তারা বলছে ‘নট ফর প্রফিট কোম্পানি। বস্তুত এই আইনের দোহাই দিয়েই তারা বক্তব্যে উল্লেখ করেছে, “কোম্পানি আইন অনুযায়ী যার (গ্রামীণ টেলিকম) লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়।”  কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা তলিয়ে দেখলেই তাদের মিথ্যাচারটি ধরা পড়ে। কেননা এই আইনের প্রথম উপধারাতেই আছে, “যদি সরকারের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয় যে, সীমিতদায় কোম্পানি হিসাবে গঠিত হওয়ার যোগ্য কোন সমিতি বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, দাতব্য বা অন্য কোন উপযোগিতামূলক উদ্দেশ্যের উন্নয়নকল্পে গঠিত হইয়াছে অথবা গঠিত হইতে যাইতেছে এবং যদি উক্ত সমিতি উহার সম্পূর্ণ মুনাফা বা অন্যবিধ আয় উক্ত উদ্দেশ্যের উন্নতিকল্পে প্রয়োগ করে বা প্রয়োগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং উহার সদস্যগণকে কোন লভ্যাংশ প্রদান নিষিদ্ধ করে, তবে সরকার উহার একজন সচিবের অনুমোদনক্রমে প্রদত্ত লাইসেন্সের মাধ্যমে এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত সমিতির নামের শেষে “সীমিতদায়” বা “লিমিটেড” শব্দটি যোগ না করিয়াই উহাকে একটি সীমিতদায় কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধনকৃত করা হউক, এবং অতঃপর উক্ত সমিতিকে তদনুযায়ী নিবন্ধনকৃত করা যাইতে পারে।” সুতরাং এখানেই প্রমাণিত হয় যে, এ মামলাতে মিথ্যাচার করা হয়েছে। এবারে আসি চাকরি স্থায়ীকরণ না করা প্রসঙ্গে।  ড. ইউনুসের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, “গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।” তারা যুক্তি দিয়ে বলেছে, যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের সকল ব্যবসায়িক কার্যক্রম চুক্তিভিত্তিক, তাই তাদের নিয়োগও চুক্তিভিত্তিক। তবে আইন অনুযায়ী তাদের দাতব্য বা উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা। অর্থাৎ তার নিজের কথাতেই নিজের কাজের অসামঞ্জস্য ফুটে উঠেছে। গ্রামীণ টেলিকম তাদের বক্তব্যে  বলেছে, তারা কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে স্থায়ী করে না, বরং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়, এ দাবিটি মিথ্যা ও আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিমূলক।  শ্রমিক ঠকানোর জন্য তারা শিখণ্ডী হিসেবে শ্রম আইন ২০০৬ এর চতুর্থ ধারার কথা উল্লেখ করেছে। কিন্তু এ আইন তারা মানেনি। একটু তলিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। শ্রম আইনের ৪(১) ধারা অনুযায়ী শ্রমিকের যে শ্রেণিবিন্যাস দেওয়া আছে, সেখানে ‘চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক’ বলে কোনো কথা নেই, কোনো শ্রেণিবিন্যাসও নেই। এ আইনের ৫, ৬ ও ৭ ধারায় বিভিন্ন শ্রেণির শ্রমিকের কাজের বণ্টন দেওয়া আছে। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা যে শ্রমিকদের কীভাবে বঞ্চিত করছে, এটাই তার স্পষ্ট  প্রমাণ। এবারে আসি  লভ্যাংশের টাকার ব্যাপারে। রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক প্রবাহ থেকে দেখা যাচ্ছে- এই টাকা প্রথমে গেছে ‘গ্রামীণ উদ্যোগ’ নামের প্রতিষ্ঠানে। সেখান  থেকে গেছে ‘গণশিক্ষা-গ্রামীণ টেক্সটাইল মিল’ ও ‘গ্রামীণ শিক্ষা’ নামক প্রতিষ্ঠানে। আরও টাকা গেছে ‘গ্রামীণ সলিউশনস লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ আইটি পার্ক লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ-ডানো ফুড লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড’, ‘গ্রামীণ ফেব্রিকস ও ফ্যাশন লিমিটেড’ ও ‘গ্রামীণফোন’ নামক কোম্পানিতে। টাকা গেছে ‘গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিস লিমিটেডে’। এখান থেকে টাকা গেছে ‘গ্রামীণ ভ্যেয়োলা ওয়াটার লিমিটেডে’। টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ‘গ্রামীণ হেলথ কেয়ার ট্রাস্ট লিমিটেডে। এর টাকা আবার বিনিয়োগ হয়েছে ‘বিএএসএফ গ্রামীণ লিমিটেডে’। টাকা গেছে ‘গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট’ নামক কোম্পানিতে। এর টাকা আবার গেছে ‘গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশনে’।  অর্থাৎ কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা ভঙ্গ করে তারা এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে (অনুদান নয় কিন্তু)।প্রতিটি কোম্পানি ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, কারণ তাদের অডিট প্রতিবেদনে আরও বাণিজ্যিক বিনিয়োগের তথ্য আছে। অর্থাৎ যে আইনের দোহাই দিয়ে তারা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করলো না, সেই একই আইন ভঙ্গ করে তারা বাণিজ্যিক বিনিয়োগ করলো। এমনকি শ্রম আইন লঙ্ঘনের সকল অভিযোগ,  মামলা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং রায় নিজের পক্ষে আনার জন্য নীল নকশা তৈরি করে। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দালালের আশ্রয় নেয়।  এবারে আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এতকিছুর পরেও কীভাবে মার্কিন সিনেটররা দাবি করে যে ড. ইউনূসের সাথে অন্যায় হচ্ছে। এবং সে ইস্যুতে দেশের সরকার বরাবর চিঠি পাঠাচ্ছে? বরং এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ন্যায়ের নাম করে তারা অজ্ঞাতভাবেই সরকার বিরোধী কাজ করছে যা আপাত দৃষ্টিতে সরকারবিরোধীদেরকেই সমর্থন করছে। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার পদে পুনঃনিয়োগ পেলেন আবু জাফর রাজু 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার-২ হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেলেন মোঃ আবু জাফর রাজু।  তিনি ২০১৯ সাল থেকে এ পদে কর্মরত আছেন। মোঃ আবু জাফর রাজুর বাবা ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার।  তাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্নেহ করতেন ও ভালবাসতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারের নিমর্মভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এ জন্য তাকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। এর আগে, মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে থাকাকালীন অবস্থায় কুলাউড়া সংসদীয় আসনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।  তিনি প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইটালি, স্পেন, আজারবাইজান, মালদ্বীপ, ভারত, সংযুক্ত আরব আমীরাত, সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্নদেশ সফর করেছেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনে পড়ল যতো আবেদন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলোতে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির অনলাইন আবেদন সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। যা বুধবার বিকেল পর্যন্ত এক লাখ ছাড়িয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সেলের সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আবেদন শুরুর ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় এক লাখ ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। সোমবারই আবেদনের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ৫৭৪ জন। এবার প্রায় ৬ লাখের বেশি আবেদন পড়তে পারে। এদিকে অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। তাদের অভিযোগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইটে তথ্য দিয়ে সাবমিট করলে তা হচ্ছে না। অনেক সময় সাইট ডাউন হয়ে যায়। ফলে ওয়েবসাইটে প্রবেশও করা যায় না। এ কারণে অনেক চেষ্টার পরেও আবেদন করতে পারছেন না তারা। এ বিষয়ে সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদনে এই সমস্যা দু-এক দিনের মধ্যে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। প্রথম দিকে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী আবেদনের চেষ্টা করে। তাই অতিরিক্ত চাপে কিছু প্রার্থী সাইটে ঢুকতে পারেন না। যার কারণে আবেদন করতে সমস্যা হয়। কিন্তু বারবার চেষ্টা করলে একসময় ঢুকতে পারবেন তারা। চাপ কমে গেলে দু-এক দিন পরে সহজেই আবেদন করা যাবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির অনলাইন আবেদন গত ২২ জানুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়। যা চলবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৬

শেষবেলায় সরে দাঁড়ালেন জাফর আলম
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম শেষবেলায় এসে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।  রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে জাফর আলমের নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্বে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি ও আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে আমি ভোট বর্জন করলাম। জাফর আলম অভিযোগ করেন, চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন দিলেও ভোটের দিন তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদেরও নির্মমভাবে আহত করা হয়েছে বলেও জানান এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় জাফর আলম বলেন, প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণহানি হওয়ার চেয়ে নির্বাচন থেকে দূরে সরে দাঁড়ানো ভালো। আমি তা-ই করলাম। আপনাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং পাশে থাকব। উল্লেখ্য, জাফর আলম কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদকে। তবে ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালত। পরে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

নিক্সন চৌধুরীর গাড়ি বহর দেখে জাফর উল্লাহর সমর্থকদের বৈঠা মিছিল
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের গাড়ি বহর দেখে আচমকাই বৈঠা মিছিল করেছে নৌকার প্রার্থী জাফর উল্লাহর সমর্থকরা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিক্সন চৌধুরী সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি থেকে পথসভা শেষে মানিকদহ ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। তখন নৌকা স্লোগান দিয়ে নিক্সন চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। আরও পড়ুন : ইতিহাসে আজকের এই দিনে   এ বিষয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব পরাজয় জেনে আজকে আমার গাড়ির সামনে বৈঠা মিছিল করে। তাদের কাছে রাম দাসহ ধারালো অস্ত্র ছিল, এটা কি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না? পেয়াজখালির শিশু খার নেতৃত্বে মিছিল হয়। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী। এটা আচরণ বিধি লঙ্ঘন না? যদি হয় তাহলে এটার ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে আমার গাড়ি বহরে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় আমার লোকজন ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। আরও পড়ুন : প্রয়োজনে প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী : ইসি সচিব   তিনি বলেন, আমি প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। এতে যদি আইনশৃঙ্খলার অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে কিন্তু দায় প্রশাসনের। আমরা ধৈর্য ধরে আছি, কোনো ষড়যন্ত্র হলে কিন্তু ঘরে বসে থাকব না। আমরা কিন্তু খেলতে জানি, পরিস্থিতি অন্যদিকে নিয়েন না। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে দেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়