• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা আজকে ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, বলছে ইন্ডিয়া আউট তারা আসলে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে । তারাই পাকিস্তানপন্থী, পাকিস্তানি যে আদর্শ সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বুধবার (২৭ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই মাসেও আমরা দেখছি আবারও পানিঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত সরকার, ভারতবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে যেভাবে সহায়তা করেছে, আমরা যদি সেটা ভুলে যাই, তাহলে আমরা কী ধরনের মানুষ হলাম। এক কোটি মানুষ ভারতের শরণার্থী শিবিরে স্থান পেয়েছিল। তারা তাদের খাইয়েছে, পরিয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনী হিসেবে তারা সরাসরি অপারেশনে গেছেন। তিনি বলেন, ১৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য এ মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা যে অবদান রেখেছে, এটা কি আমরা ভুলে যাব! আর আজকে এই দেশ থেকে ইন্ডিয়া আউট, ভারত আউট কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। যারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, ইন্ডিয়া আউট বলছে, তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়েছে। তারা পাকিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তানের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি আরও বলেন, ভারত সহযোগিতা করেছে বলেই ভারতবিরোধী স্লোগান এবং রাজনীতিতে যখনই পরাজিত হয়ে যায় এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখনই ভারতবিরোধী স্লোগান শুরু করে। ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই তো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য লাখ লাখ মা ও বোনের আত্মত্যাগ নেই। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে বর্তমান বাস্তবতা সেটি প্রমাণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করলে যে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় আজকে ২০২৪ সাল সেটি প্রমাণ করছে। ভারত আউট মানেই হলো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আহ্বান জানানো। আমরা তো সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ করতে চায়; তারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাকে, দেশের এগিয়ে যাওয়াটাকে সহ্য করতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ সারা পৃথিবীতে কেন বিস্ময়কর একটি জায়গায় চলে গেল, কেন এটি উন্নয়নের রোল মডেল হলো, এটা তাদের বড় কষ্ট। তারা এই উন্নয়ন চায় না, তারা সবসময় প্রভুত্ববাদের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকতে চায়। দেশের উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বী হওয়া তারা চায় না। এ জন্য বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করে। বাকশাল একটি দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে রাজনীতিকরণ তারা করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর শুধু একটাই কারণ-দেশের স্বাধীনতা সুখ যেন আমরা না পাই।  তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি কমিটি গঠন করে দিলো। ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে ৭ জন নোবেল লরিয়েট ছিলেন। ওই কমিটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতর সম্পর্কে গবেষণা করল। তারা গবেষণা করে দেখল এই দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই। এই দেশকে সাহায্য সহযোগিতা করে কোন লাভ হবে না। এটা অসুস্থ একটা রোগী। এটাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। তখন তারা বলল-বাংলাদেশের দিকে না তাকিয়ে অন্য কোনো দেশের দিকে তাকাতে। হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিল- বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তাদের এই থিওরির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই দেশকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এবং যেই জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেই জায়গাগুলো এখনও আমরা ছুঁয়ে দেখতে পারি নাই। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য, একটি দেশকে হত্যা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আজকে তারই রক্তের উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন। ’৭৫-এর পরে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। আমরা যদি ’৭৫-এর এবং মুক্তিযুদ্ধে সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই- হবে না। কারণ, সমাজ অনেক বিশৃঙ্খলা হয়ে গেছে। শিক্ষায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে, অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সবকিছুতে ভেজাল ঢুকে গেছে। এই ভেজালকে পরিশুদ্ধ করা কঠিন কাজ। এর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। এই স্বাধীনতার জন্য অনেকেই সংগ্রাম করেছেন। কারও কথায় স্বাধীনতা আসেনি। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে লন্ডন শহর তৈরি করা হয়েছে, এই বাংলার সম্পদ দিয়ে কলকাতা শহর তৈরি করা হয়েছে। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে ইসলামাবাদ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। বঙ্গবন্ধু সেটা জানতেন এবং সেই পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আমার সম্পদ দিয়ে আমার অধিকার তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। দেশের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করেছিলেন, এই লুণ্ঠনকারীরা এদেশকে বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দিতে চাইবে না। বঙ্গবন্ধু সেটি করেছিলেন।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও একার দেশ না। এই দেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। বঙ্গবন্ধু এই দেশটিকে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব হল এই দেশটিকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। আত্মসম্মান নিয়ে দাঁড় করানো। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর হলো অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৩

লড়াই চলবে, জনগণ বিজয়ী হবেই : মান্না
এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আর এই লড়াইয়ে জনগণ বিজয়ী হবেই বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে, সরকার চাইলে আমরা নাম দেবো। বিএনপির কারা কারা আছে যদি পারেন তাহলে আপনারা (সরকার) নাম দেন। এ সময় দেশের অতিদরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে অন্তত এক হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবিও জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ সিন্ডিকেটকারীরা সরকারের ভিতরে আছে এবং তারা সংসদ দখল করে নিয়েছে। কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

জনগণ সিন্ডিকেট করে ফেললে কোথায় যাবে মজুতদাররা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে কোনো সংকট না থাকলেও অসাধু মজুতদাররা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে তিনি মজুতদারদের হুঁশিয়ার করেন, এখন যেমন করে জনগণকে তারা জিম্মি করছে, ঠিক তেমনিভাবে জনগণও যদি তাদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ফেলেন, তবে তারা কোথায় যাবেন।  সোমবার (১১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশে দেখা যায় কোনো উৎসব এলে সেখানে পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেওয়া। অথচ আমাদের দেশে উল্টো। কিছু মজুতদার আছে তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীদের বড় একটা অংশ এ কাজ করে। কোনো একটা উৎসব এলে, একটা উপলক্ষ্য পেলে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বাড়লে অসৎ মনোবৃত্তি নিয়ে তারা পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়।  পেঁয়াজের উদাহরণ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, এখন পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। বেশির ভাগ পণ্যেরই সংকট নেই। এরপরও কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক। আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী কাজ করছেন। সরকারের অন্যান্য বিভাগও কাজ করছে। অসাধু ব্যবসায়ী, অসাধু মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর সরকার।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে অনুরোধ জানাব, এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। এখন যেমন অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট হয়, জনগণ যখন তাদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ফেলবে তখন তারা কোথায় যাবে সেটা হচ্ছে প্রশ্ন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের সরকার সচেষ্ট রয়েছে।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আ.লীগকে বিজয়ী করেছে’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে দেখিয়ে দিয়েছেন। জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছেন এদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুরের সখিপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।  তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা এক বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দিয়ে ক্যারিশমেটিক এ নেত্রী পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রশ্নে কখনো আপস করে নাই। আগামী দিনেও আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নড়িয়া-সখিপুরকে স্মার্ট এলাকায় রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ। সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকাল থেকেই সখিপুর ও চরভাগা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কর্মকাণ্ড দেখেন এবং এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এনামুল হক শামীম।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৩

কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন জনগণ মানবে না : রিজভী  
শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক প্রস্থানের পথ হারিয়ে ফেলেছেন। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, বার বার কর্তৃত্ববাদী এ দুঃশাসন তারা আর মানবে না বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশান ১ নম্বর এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। আরও পড়ুন : ফের সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন   জনগণের উদ্দেশে রিজভী বলেন, এ অবৈধ সরকার একতরফা প্রতারণার নির্বাচন করে গোটা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সবাই আজ রুখে দাঁড়ান। জনগণ নির্বাচন বর্জন করে, প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকূল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ : বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে শেষের এক ঘণ্টায় কীভাবে ভোট ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।  আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের পক্ষে বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সরকার সব মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। প্রহসনের এই নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে। টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে ‘অলিগার্ক’। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।    
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৭

জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে : কাদের 
নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়ভীতি বা হস্তক্ষেপ করা হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্ব এবং বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়। তিনি আরও বলেন, ভোটাররা সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পৃথিবীর কোথাও পারফেক্ট গণতন্ত্র নেই। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে কতটা মানবতা, গণতন্ত্র প্রতিপালিত হয় সেটা সবাই জানে।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের দোসররা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা প্রতিহত করতে চেয়েছে। তাই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি এবং সমমনাদলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু ভোটাররাই বিএনপিকে বর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়েছি এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি এই নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতায় নৌকার পক্ষে রায় আসবে বলে মনে করি। এদিকে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮

জনগণ বিএনপির লিফলেট পড়তেও ভয় পায় : রিজভী
সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণে জনগণ বিএনপির লিফলেট পড়তেও ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, সরকারের ভয়ে জনগণ কথা বলতে পারে না, ফিসফিস করে চোখের ইশারায় কথা বলে। আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলান। তাদের চোখের ভাষায় বোঝা যায় আমাদের কর্মসূচিতে তাদের সম্মতি আছে। কিন্তু তারা আতঙ্কে আছেন। এমনও হয়েছে যে, একজন আমাদের লিফলেট হাতে নিয়ে বলেছেন- এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব। তিনি বলেন, সরকারের দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। যারাই সত্য কথা বলবে তাদের নামে মামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের লিফলেট প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে যাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবার হাতে হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। এটা শুধু শহরে বা নগরে দিলেই হবে না, এটা থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। জনগণের ভাষা এই লিফলেটের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এসময় রিজভী দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ১০৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসময়ে মামলা হয়েছে ৪টি, এসব মামলায় আসামি ৩২৫ জনের বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১০

জনগণ নয় সরকারই ঠিক করে ফেলেছে এমপি কে হবে : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, জনগণ নয় সরকারই ঠিক করে ফেলেছে এমপি কে হবে। সোমবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই কথা বলেন।   ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগের নিজের প্রার্থী ও তাদের গৃহপালিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাই এখন এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করছে। নির্বাচন সরকার নিজেরাই করে ফেলেছে, কে কোন সিট পাবে তা ঠিক হয়ে গেছে। কে কোন আসন পাবে তা আগেই সিলেকশনে হয়ে গেছে, ইলেকশনে নয়।  বিএনপি এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যে নির্বাচন হচ্ছে তা ভুয়া নির্বাচন, সরকার তা করতে গিয়ে সব হযবরল করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নয় শুধু ফলাফল ঘোষণা হবে, যা এখন অর্থহীন হয়ে গেছে।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ, ইইউ ও ইউএসএ নিজেরাই চিঠি ইস্যু করেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র মৃত এটা এখন বিশ্বস্বীকৃত।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়