• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তারাকান্দায় ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা সংকটাপন্ন
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় দোকানে বাকি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছেলে মো. ইকবাল (২৩) নিহত হয়েছেন। বাবা মো. সাদেক মুন্সিকে (৪৮) সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাজিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইকবালের বাবা সাদেক মুন্সি স্থানীয় মাজিয়াল এলাকার দিঘারকান্দা গ্রামের মৃত শাবান আলীর ছেলে। সাদেক স্থানীয় মাজিয়াল বাজারের ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।   তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুনেছি দোকানে বাকি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছেলে মারা গেছে এবং বাবাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

ছেলেকে পাশে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী
অবশেষে ফের বিয়ে করলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কের পর পরিচালক প্রেমিক রাতুল মুখার্জির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। তবে একমাত্র ছেলে রিয়ানকে কোলে বসিয়েই গাঁটছড়া বাঁধেন রূপাঞ্জনা।  জানা গেছে, রূপাঞ্জনার বিয়েতে হাজির ছিলেন তার একমাত্র ছেলে রিয়ান। ছেলেকে পাশে রেখেই সাতপাক, শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান সবই সম্পন্ন করেন রূপাঞ্জনা। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের সেই ছবিও প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।   শুটিং ফ্লোরেই আলাপ হয় রূপাঞ্জনা-রাতুলের। এরপর বন্ধুত্ব ও প্রেম। ৬ বছর ধরে লিভ-ইন রিলেশনে থাকার পরই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। বিয়ের রীতিগুলো পূরণের সময়ও ছেলেকে আগলে রেখেছিলেন মা রূপাঞ্জনা।  রীতিমতো রিয়ানকে কোলে বসিয়েই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। আর ছেলেও নতুন বাবা পেল। গেল বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিংয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাগদান সেরেছিলেন রূপাঞ্জনা। এবার বিয়েটাও করলেন রিয়ানকে সঙ্গে নিয়েই। একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই বিয়ে করেন রূপাঞ্জনা-রাতুল। নান্দীমুখ থেকে গায়ে হলুদ সব নিয়মই পালন করা হয়। বিয়ের দিন অভিনেত্রী পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসী, গলায় গোলাপ ফুলের মালা। সাজগোজ একেবারে ছিমছাম। অন্যদিকে রাতুলের পরনে ছিল ধুতি-চাদর।     প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে রিজাউল হককে বিয়ে করেন রূপাঞ্জনা মিত্র। তাদের কোল আলো করে জন্ম নেয় ছেলে রিয়ান। তবে খুব বেশি দিন টেকেনি অভিনেত্রীর প্রথম সংসার। ২০১৮ সালে ডিভোর্সের পথে হাঁটেন এই অভিনেত্রী।    সূত্র : আজতাক বাংলা  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৩

মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নুর মোহাম্মদের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় রোববার (১৪ এপ্রিল) নিহত নুর মোহাম্মদের মা ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।   নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনেরর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল তার দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজানে ওই বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটা খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি আসে নুর মোহাম্মদ।   বিবি খতিজা আরও জানান, বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইলে হুমকি দিতে থাকেন মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং ওই টাকা ফেরত দেন।   তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর মঈন উদ্দিনের চার ভাই তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। পরদিনও মারধর করা হয়। শনিবার ১৩ এপ্রিল বিকেলে মারা যায় নুর মোহাম্মদ।   তিনি আরও বলেন, আমি তাদের কাছে ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তাদের মন গলেনি। নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পিটাতে পিটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। এ হত্যার বিচার চাই।   ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম।   তিনি জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বিবি খতিজা ছয়জনকে আসামি করে রোববার ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। মারধরের কথা স্বীকার করেছে সে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৭

অত্যাচার সইতে না পেরে ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নাদিম নামের ওই ছেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম। এর আগে শনিবার রাতের দিকে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক নাদিম মোগড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাউতলা এলাকার মো. রেনু মিয়ার ছেলে। বৃদ্ধ বাবা রেনু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছেলের অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুরো রমজান মাস স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থাকতে পারি নাই। এ সময় অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে। এমনকি কয়েকবার আমাকে আমার ছেলে হত্যার চেষ্টাও করছে। এলাকায় কয়েকদিন পরপর ঝামেলা সৃষ্টি করে বেড়ায় সে। মাদকাসক্ত এই ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে।’ এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, নাদিম গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন। আদালতের নির্দেশে আমরা তাকে আটক করি। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

ছেলেকে হত্যার পর প্রকৌশলীর আত্মহত্যা, নেপথ্যে যা জানা গেল
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বাসা থেকে এক প্রকৌশলী ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মরদেহের পাশ থেকে ‘ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়’ এমন একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকৌশলীর স্ত্রী ও স্বজনরা জানান, জমি কিনে প্রতারিত ও শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মশিউর রহমান ও তার ছেলে মোদাব্বির হোসেনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ মর্গে রাখা রয়েছে, সোমবার (৮ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত করা হতে পারে। একই সময় আহত অবস্থায় প্রকৌশলীর মেয়ে সিনথিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি শ্যামলীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি বাসায় ছিলেন না। তিনি শিক্ষার্থী পড়ানোর জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। পরিবার নিয়ে আগারগাঁও তালতলার মোল্লাপাড়ার একটি বাসার দোতলায় ভাড়া থাকতেন। মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যান কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সাদাবের। সিনথিয়া শেরেবাংলা নগরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন। চিরকুটটি মশিউরের লেখা হতে পারে। এর পরও সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্বজনরা বলছেন, মশিউর একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করতেন। পাঁচ-ছয় বছর আগে চাকরি ছেড়ে শেয়ার বাজারে ব্যবসায় লাগেন। এতে আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, কয়েক বছর আগে দক্ষিণখান এলাকায় রতন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চার শতকের মতো জমি কেনেন তিনি। তবে পরবর্তীতে জানতে পারেন, জমির দলিল ভুয়া। রতন ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে রাজি হন। কিন্তু সেই টাকা দিচ্ছি-দেব করে ঘুরাতে থাকেন। কিছুদিন ধরে রতন মশিউরের ফোনও রিসিভ করছিলেন না। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। হতাশা থেকেই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। মশিউরের স্ত্রী মজিদা খাতুন ডলি জানান, ‘পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া ও ব্যবসায় মন্দা যাওয়ায় আর্থিক অনটনে ছিলাম আমরা। আমার টিউশনির টাকা দিয়ে দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসারের ব্যয় বহন করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ কারণে আমার স্বামী হতাশায় ছিলেন। অভাব-অনটনের কারণে হতাশা থেকেই হয়তো ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। মেয়েকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’ তিনি জানান, ‘তার স্বামী আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে শেয়ারবাজারের সেকেন্ডারি লেভেলে ব্যবসা করতেন। তবে সেখান থেকে খুব একটা আয় হতো না। গত এক সপ্তাহ থেকে ওই ব্যবসার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এছাড়া তার স্বামী পাঁচ–ছয় বছর আগে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে প্রতারিত হন। সেই টাকা তিন–চার বছর ধরে দিচ্ছি দেব বলে ঘোরানো হচ্ছে তাদের। সংসারের খরচ জোগান দিতে তিনি চারটি টিউশনি করেন।’  ডলি বলেন, ‘টিউশনি থেকে মাসে আয় হয় আট হাজার টাকা। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাসা থেকে টিউশনি করার জন্য বের হই। এ সময় দুই সন্তান ও স্বামী বাসায় ছিলেন। টিউশনি শেষ করে পৌনে ৪টার দিকে বাসায় এসে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না।’  তিনি আরও বলেন,  ‘একপর্যায়ে দরজা ভেঙে দেখি ঘরের এক রুমে মেয়েটা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আরেক রুমে খাটের ওপরে ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই রুমের সিলিং ফেনের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মশিউর। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আর মেয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে শ্যামলী ডক্টরস কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগানস্টিক সেন্টারের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।’  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২

মাকে মারধর, ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে বাবার আত্মসমর্পণ 
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিজের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক বাবা।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন। ওসি বলেন, ঘাতক বাবা আব্দুর রশীদ বাগমার (৭৫) তার মাদকাসক্ত ছেলে কাউসার বাগমারকে (২৪) হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ঘাতক বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।   স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউসার মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। ভোরে কাউসারকে তার বাবা কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। নিহতের মা মোসলেমা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ ও ভাঙচুর করতো। মাদকের টাকার জন্য জমি বিক্রি করতে তার বাবাকে প্রায়ই চাপ দিচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতেও নেশার জন্য ২ কাঠা জমি বিক্রি করে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তার বাবা ভোরে কাউসারকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪০

জন্মদিনে ছেলেকে মাহির ৩৫ লাখ টাকার গাড়ি উপহার
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। এই নায়িকার একমাত্র ছেলে মো. মোসাইব আরশ শামসুদ্দিন ফারিশ; যার জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ। এই দিনটি বেশ জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন অভিনেত্রী। কিন্তু একমাত্র ছেলের জন্মদিনে পাশে ছিলেন না সদ্য সাবেক হওয়া স্বামী রকিব সরকার। সাবেক স্বামী পাশে না থাকলেও ছেলেকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির তারকা এবং ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সবাই যেমন ছেলেকে শুভকামনা জানিয়েছেন, একই সঙ্গে মা হিসেবে অভিনেত্রীর যাত্রাকেও স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। বিশেষ দিনটিতে শেষ বেলায় ছেলেকে অভূতপূর্ব উপহার দিয়েছেন এ নায়িকা। একদম লাল রঙের একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন ছেলেকে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার চাঁদটা উপহার পেয়ে খুব খুশি। ভিডিওতে মা-ছেলে দু’জনকেই বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। এদিকে রকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন মাহি। ফের নতুন নতুন কাজ নিয়ে ব্যস্ত হতে দেখা যাচ্ছে তাকে।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এটি। দাম্পত্য জীবনের দুই বছরে তাদের সংসারে পুত্রসন্তান আসে। কিন্তু সেই ছেলের এক বছর পূর্ণ না হতেই গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান এ নায়িকা। এরপর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাদের।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৯

ওমরাহ করতে গিয়ে ১১ বছর পর হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা
২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধে নিজেদের ছোট্ট সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছিলেন এক সিরীয় মা। এরপর একে একে কেটে গেছে ১১টি বছর। এত বছরে আদরের সন্তানটিকে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ওমরাহ পালন করতে গিয়ে নিজের যক্ষের ধনকে ফিরে পেলেন ওই মা।      গালফ নিউজ বলছে, ১১ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মধ্যে যখন ভয়াবহ বোমা হামলায় গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল তখন নিজেদের ছোট্ট সন্তানটিকে হারিয়ে ফেলেন এক দম্পতি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পাননি ছেলেটিকে। কিন্তু এ মাসে ওমরাহ করতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় মা-ছেলের।  ১১ বছর পর মাকে দেখে ছেলের দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরার আবেগঘন দৃশ্যের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দৃশ্যটি নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।  গত মে মাসে প্রকাশিত সৌদি সরকারের এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্রায় সাড়ে চার লাখ সিরিয়ান রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়