• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফ্ল্যাটে মিলল মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ, পুলিশ হেফাজতে ছেলে 
রাজধানীর পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রোকেয়া বেগম (৫৫) নামে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে মা রোকেয়া বেগম খুন হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) ভোর রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জমসেদুল আলম। তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ৯৯৯-এর  মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নামাপাড়ার ওই বাড়ির পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে রোকেয়া বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী দুই সন্তানের মা। তার বড় সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন, বয়স আনুমানিক ৩০। ধারণা করা হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন বড় ছেলে বাসায় থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি আরও জানান, নিহতের সেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে পুলিশ হেফাজতে আছে। ঘটনার সময় তার ছোট ছেলে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং আইনিপ্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই। নিহতের স্বামীর নাম এস এম মোহাম্মদ আলী। তিনি নরসিংদী ঘোড়াশাল পাওয়ার হাউজের চাকরি করেন। পশ্চিম মানিকদি নামাপাড়া বাড়ির নম্বর ২৪৮/৩ পঞ্চমতলার একটি ফ্ল্যাট সপরিবারে থাকতেন রোকেয়া।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫২

প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয়ে আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে
কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক আমজাদ হোসেন। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। প্রয়াত গুণী এই নির্মাতার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান সংস্কৃতি অঙ্গনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত বাবার পথ ধরেই তারা মিডিয়ায় এসেছেন। দুজনেই পরিচালনায় সমানতালে ব্যস্ত। নির্মাণ দিয়ে চিনিয়েছেন নিজেদের। পাশাপাশি কালেভদ্রে দেখা মিলে অভিনয়ে। দীর্ঘ ১৫ বছরের বিরতি শেষে ২০২২ সালে ‘মুসা’ ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরেন নির্মাতা, লেখক ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। এরপর আর তাকে অভিনয়ে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, প্রায় তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন সোহেল আরমান। একাধারে তিনি একজন নাট্যকার, অভিনেতা, গীতিকার ও পরিচালক। বাকি কাজগুলো পর্দার পেছনের হলেও অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে এসেও পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তবে দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। অবশেষে পর্দায় ফিরছেন এই অভিনেতা। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দোদুল-আরমান দুই ভাই অভিনয় করছেন। একটি বেসরাকারি টিভি চ্যানেলের জন্য নির্মিতব্য ধারাবাহিকটির নাম ‘বোকা প্রেম’। কমেডি ঘরানার নাটকটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা করছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। এ নাটকের মাধ্যমে বড় ভাইয়ের পরিচালনা প্রথমবার কাজ করছেন ছোট ভাই সোহেল আরমান। দুই ভাইয়ের একসঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, সোহেল আরমান ভালো একজন অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিচালনা করছে। ওর মধ্যে অভিনয়ের প্রতিভা আছে। কিন্তু সেটা বিফলে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিভা শেষ হয়ে যাবে সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না। বড় ভাই হিসেবে আমার তো একটা দায়িত্ব আছে। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের সবাইকে আমি গাউড করছি। আমি ওকে অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার আগ্রহী করছি। তাছাড়া অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে দুই ভাই একসঙ্গে কাজ করব। তাই এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথমবার দুজনে পর্দা ভাগ করছি। দুজনেই প্রেমিক চরিত্রে পর্দায় হাজির হচ্ছি। আমাদের চরিত্রে চমক আছে। বাকিটা জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে। ধারাবাহিকটি প্রসঙ্গে দোদুল বলেন, এখানে প্রতিটি চরিত্র কমেডি ঘরানার। খুব সাধারণভাবে কমেডি তুলে ধরা হবে। তবে কমেডি হলেও গল্পে বার্তা আছে। প্রতিটি জায়গায় বার্তা থাকবে। এখন সিরিয়াস গল্প সেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যই কমেডি গল্প বেছে নেওয়া। দর্শকরা অবসর সময় বিনোদন চায়। তাদের জন্যই ‘বোকা প্রেম’। আশা করছি, আমার নতুন ধারাবাহিকটি প্রচারে এলে সবার পছন্দ হবে। সোহেল আরমান বলেন, আমার শ্রদ্ধাভাজন ও ভালোবাসার বড় ভাই অনেক দিন ধরেই অভিনয়ে ফেরার কথা বলছিল। একসময় প্রচুর অভিনয় করতাম। কাজের চাপে দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়ে নেই। মাঝে লম্বা একটা গ্যাপ। তবে এখনো আমাকে অভিনেতা হিসেবে ভক্তরা দেখতে চায়। তাদের থেকে একটা চাপ অনুভব করছি। ভাইয়াও প্রবল চাপ দিচ্ছেন। সে ফেরার জন্য অনেক বোঝাল। তার মাঝে বাবার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। তাকে আমি বাবার চোখেই দেখি। যেহেতু তাকে ভালোবাসি এবং অভিনয়ের জন্য চাপ আছে সবকিছু বিবেচনা করে অভিনয়ে ফিরছি। আমার চরিত্রটা বেশ সুন্দর। সবকিছু মিলিয়ে প্রধান চরিত্রে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও অধিক পর কাজ করছি। চেষ্টা করব এখন থেকে নিয়মিত হওয়ার। আশা করছি, নাটকটি প্রচারে এলে সবার পছন্দ হবে। ‘বোকা প্রেম’ ধারাবাহিকে আরও অভিনয় করছেন, আখম হাসান, ফারজানা ছবি, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীর, সাব্বির আহমেদ, এলেন শুভ্র, ইমতু রাতিশ, ইমু শিকদার, লাবণ্য লিজা, সিয়াম মৃধা, বিটলু শামীম, সামিয়া আক্তার, কাজী মিথিলা মুন প্রমুখ। নির্মাতা জানান, রোববার (২৪ মার্চ) থেকে পূবাইলে ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু। একটানা চলবে দৃশ্য ধারণ। ঈদুল ফিতরের আয়োজন শেষ হলেই প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার থেকে একটি বেসরাকারি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিক নাটকটির প্রচার শুরু হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩

আমার ছেলে গান না শিখে কোরআন শিখেছে : খালিদের স্ত্রী
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট কণ্ঠশিল্পী খালিদ সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার নিথর দেহ যখন হাসপাতালে পড়ে আছে তখন তার কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের স্কুলে। সেখানে বসেই পান বাবার মৃত্যু সংবাদ। এরপর তিনিও বাবাকে নিয়ে দেন একটি ভিডিও বার্তা।  একজন সাংবাদিক ও উপস্থাপকের  মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দেন জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন। এদিকে ওই ভিডিও বার্তায় তবে খালিদপুত্র ছিলেন স্বাভাবিক। পিতার মৃত্যুর পর তার এই স্বাভাবিক আচরণ নেটিজেনদের অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ করেছেন সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী শামীমা জামান। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি আর আমার ছেলে রোবট। আমরা কাঁদব না। তাতে তোদের কীরে সমাজ? এর আগে তিনি লিখেছিলেন, এই ছেলে ১২ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়ে, মাশাআল্লাহ, এই ছেলের গানের গলা থাকা সত্ত্বেও গান না শিখে কোরআন শিখেছে। এই ছেলে বাবাকে নামাজ পড়তে বলতে বলতে হতাশ হয়েছে। সে তার অসুস্থ মায়ের সেবা করেছে ৭ মাস, রাত ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামির মতো দাঁড়িয়ে থেকে। ছেলে তার মায়ের মৃত্যুর অপেক্ষায় একা একটি বাসায় কাটিয়েছে। এরপর তিনি লেখেন, এই ছেলে তার আল্লাহর হুকুম পালন করতে আমেরিকান মেয়েদের আহ্বান সত্ত্বেও একটা প্রেম করেনি। এই ছেলে তেমন বন্ধু হয় না যখন সে দেখে বন্ধুগুলো গাজা খায়। এই ছেলে প্রতিটি কাজে আগে আল্লাহর বিধান কি জেনে নেয়, আমেরিকার স্কুলের হারাম চিকেন দেখলে না খেয়ে থাকে তবু হারাম পেটে দেয় না, এই ছেলেকে তার বাবার টাকা দিতে হয় না, তার মা তার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে। তার বাবার চিন্তা এই ছেলেকে নিয়ে নয় যতটা, তার গান আর ভক্ত শিষ্যদের নিয়ে। তাই খুব খেয়াল করে আমার ছেলেকে নিয়ে না জেনে একটা খারাপ কথা উচ্চারণ করলে ওপর আল্লাহ তার বিচার করবেন। সবশেষে শামীমা লিখেছিলেন, আরিক স্কুল থেকে এসে বুঝতেও পারছে না আসলে কি ঘটে গেছে, ও স্মার্ট তো তাই হঠাৎ করে খ্যাত হয়ে কীভাবে কথা বলবে? যত্তসব। আর সানগ্লাস? উন্নত দেশে কান্না লুকাতেও সানগ্লাস পরে মানুষ। শুধু সাংবাদিক তানভীর তারেকের অনুরোধে ও এই কথাগুলো বলতে রাজি হয়েছে। বড়দের সম্মান করে বলে, নয়তো মিডিয়ায় কথা বলতে বা কাজ করতে ও পছন্দ করে না। প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন খালিদ। সেসময় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান খালিদ চলে গেছেন, তাকে ফেরানো গেল না কিছুতেই।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

আমার ছেলে হারাম খায় না : খালিদের স্ত্রী
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ সোমবার (১৮ মার্চ) মারা গেছেন। গায়কের মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন না তার স্ত্রী শামীমা জামান ও ছেলে জুহাইফা আরিক। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন দুজনেই। সেখান থেকেই খালিদের মৃত্যুর খবর পান তারা।      বাবার মৃত্যুর খবরে নিউইয়র্ক থেকে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে খালিদের ছেলে জুহাইফা আরিক বলেন, আমার বাবা সম্পূর্ণ  সুস্থ এবং ভালো ছিলেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। আমি এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না, পরে বলব। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেবেন।    এদিকে খালিদের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে ছেলের ভিডিওবার্তা দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। শুধু তাই নয়, ভিডিও করার সময় আরিকের সানগ্লাস পরে থাকা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।      অন্যদিকে ছেলের ভিডিও নিয়ে সমালোচনার বিষয়গুলো ভালোভাবে নেননি খালিদ হোসেনের স্ত্রী। নিউইয়র্ক থেকেই এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তিনি। শামীমা জামান বলেন, ‘১২ বছর বয়স থেকে আমার ছেলে নামাজ পড়ে, কোরআন শিখেছে। এমনকি তার বাবাকে নামাজ পড়ার কথা বলতে বলতে হতাশ হয়েছে। রাত ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামির মতো দাঁড়িয়ে থেকে সে তার অসুস্থ মায়ের সেবা করেছে টানা ৭ মাস।   খালিদের স্ত্রী আরও বলেন, আল্লাহর হুকুম পালন করতে গিয়ে আমার ছেলে আমেরিকান মেয়েদের আহ্বান সত্ত্বেও একটা প্রেম করেনি। আমার ছেলে যখন দেখেছে  বন্ধুগুলো গাজা খায়, তখন থেকেই তাদের থেকে দূরে থেকেছে। এমনকি প্রতিটি কাজে আগে আল্লাহর বিধান কী, সেটা জেনে নিয়ে তারপর সেই কাজ করে।  আমেরিকার স্কুলের হারাম চিকেন দেখলে না খেয়ে থাকে। তবু হারাম খায় না। আমার ছেলেকে তার বাবার টাকা দিতে হয় না। কারণ, তার মা তার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে। তাই খুব খেয়াল করে আমার ছেলেকে নিয়ে না জেনে একটা খারাপ কথা উচ্চারণ করলে ওপর-আল্লাহ তার বিচার করবেন।    শামীমা বলেন, আরিক স্কুল থেকে এসে বুঝতেও পারছে না আসলে কী ঘটে গেছে। ও স্মার্ট, তাই হঠাৎ করে খ্যাত হয়ে কীভাবে কথা বলবে? যত্তসব। আর সানগ্লাস? উন্নত দেশে কান্না লুকাতেও সানগ্লাস পরে মানুষ। শুধু সাংবাদিক তানভীর তারেকের অনুরোধে আমার ছেলে এই কথাগুলো বলতে রাজি হয়েছে। বড়দের সম্মান করে বলে, নয়তো মিডিয়ায় কথা বলতে বা কাজ করতে খুব একটা পছন্দ করে ও।  দীর্ঘদিন ধরেই গান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন খালিদ। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করতেন নিউইয়র্কে। সেখানে পড়াশোনা করেন গায়কের একমাত্র ছেলে আরিক। মাঝে মধ্যে দেশে এসে কিছুদিন থেকে আবারও উড়াল দিতেন প্রবাসে। বরাবরের মতো এবারও দেশে এলেন খালিদ। কিন্তু নিউইয়র্কে আর ফেরা হলো না তার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।      
২০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৫

সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ ২ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
ঢাকার সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিকের স্কুলপড়ুয়া ছেলে ও তার বন্ধুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, স্কুলে দ্বন্দ্বের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দুজনকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কুপিয়ে আহত করেছে। আহত দুই শিক্ষার্থীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার রেডিওকলোনী বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত জিসান প্রামাণিক (১৫) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত সিয়াম সরকারসহ তারা দুজনই সাভারের বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত জিসানের বাবা সাংবাদিক মতিউর রহমান বলেন, প্রায় এক মাস আগে গাজীপুরের সাফারি পার্কে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে বাসা উঠা নিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িক ভাবে মীমাংসা করা হয়৷ এরপর আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অবগত করি যাতে পরবর্তীতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যায় ইফতার করে বন্ধু সিয়ামের সঙ্গে সাভার রেডিওকলোনীতে আসে আমার ছেলে জিসান। এ সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ২৫-৩০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ছেলে ও তার বন্ধু সিয়ামের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় তাদের দুজনকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। আমার ধারণা, স্কুলের বনভোজনের বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে আহত হওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে।  এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩১

ছেলে আরিয়ানের পরিচালনায় শাহরুখ ও মেয়ে সুহানা
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। কাজ, দুই ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তার জীবন। কন্যা সুহানা খানও নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। তবে এখনও জুটি বাঁধা হয়নি বাবা-মেয়ের। এবার সে গল্প রচিত হলো। বাবার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সুহানা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। তবে কোনো সিনেমায় নয় বিজ্ঞাপনে পর্দা ভাগ করেছেন বাবা-মেয়ে।   বিজ্ঞাপনটি পরিচালনা করেছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। ওই জায়গা থেকে ফ্যামিলি প্যাকেজ বলা যেতে পারে। আরিয়ানের পোশাক ব্র্যান্ড ডি’ইয়াভোলের প্রচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছের বিজ্ঞাপনটির টিজার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেটি শেয়ার করে কিং খান লিখেছেন, এই কোলাবরেশনের বিষয়টি যে প্রয়োজন ছিল, তা হয়ত আপনার জানাই ছিল না। প্রতিটি ভালো গল্পই সিকুয়েলের দাবি রাখে। এক্স-২ আসছে ১৭ মার্চ। টিজারে দেখা গেছে, আঙ্গুলে তিনটি আংটি পরা কিং খানের। যার ওপর ডি'ইয়াভোলের তিনটি অক্ষর লেখা। কোনোকিছুর ওপর ঘুষি মারতে দেখা যায় তকে। হাত রক্তে লাল হয়ে যায়। গালেও লাগে রক্তের ছিটে। এরপর সেই হাত দিয়ে একটা পরিত্যক্ত ট্রেনের বগির জানালার কাচে 'এক্স' চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করেন। পরের দৃশ্যে এক মেয়েকে হেঁটে ঢুকতে দেখা যায়। মেঝে থেকে একটি যাদুকরী লাঠি তুলে নেয় সে। লাঠি থেকে বেরিয়ে আসা নীল রঙের আভা, আর তখনই তার মুখট সামনে আসে। বোঝা যায় তিনি সুহানা খান। সুহানা ট্রেনের জানালার পাশের অংশটি সেই জাদুকরী লাঠি দিয়ে ডিজনি লোগোর আকারে নীল রঙ দিয়ে এঁকে দেন। একে অপরের মুখোমুখি হয় বাবা ও মেয়ে,  চোখে চোখ পরতেই সুহানা ও শাহরুখের মুখে ফুটে ওঠে মৃদু হাসি। শোনা যাচ্ছে ‘পাঠান’ ছবির দ্বিতীয় কিস্তি ‘পাঠান ২’ নিয়ে আসছেন শাহরুখ। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ছবি হবে যশরাজ ব্যানারে তৈরি স্পাই ইউনিভার্সের অষ্টম ছবি। দীপিকা পাড়ুকোন তো থাকছেনই, দেখা যেতে পারে আলিয়া ভাটকেও।   
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৪

আম্বানির ছেলে অনন্তর ঘড়ি দেখে মুগ্ধ জাকারবার্গের স্ত্রী
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যোগ দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যক্তিত্বরা। তিন দিনের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান শেষ হচ্ছে রোববারই। বিয়ের এই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় বড় ব্যক্তিত্ব। প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের অনেক ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এরমধ্যে ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মার্ক জাকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান অনন্তের ঘড়ি দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, অনন্ত আম্বানির সঙ্গে কথা বলতে বলতে জাকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলার চোখ পড়ে অনন্ত আম্বানির ঘড়ির উপর। ঘড়িটি দেখে তিনি রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে যান। ঘড়ি নিয়ে তিনি অনন্ত আম্বানির সঙ্গে কথাও বলেন। তিনি বলেন, ঘড়িটি দুর্দান্ত। এটা দেখতে দারুণ। জাকারবার্গও এ প্রসঙ্গে জানান, আমিও এই বিষয়টা তাকে বলেছি। আম্বানির পরিবারের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির ঘড়ির দাম কত, এ সম্পর্কে স্পষ্ট করে না জানা গেলেও মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী- এই ঘড়ির আনুমানিক দাম রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ কোটি টাকা। এটি পাটেক ফিলিপের গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়ি, যা দেখে আসলে প্রিসিলা চমকে গিয়েছিলেন। বহু মূল্যবান এই ঘড়িটির মধ্যেও অনেক ফিচার রয়েছে। এই ঘড়িতে রয়েছে রিভার্সিবল কেস, বিশেষ ধরনের ডায়াল ও আরও নানা ধরনের উন্নতমানের প্রযুক্তি। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, অনন্তের এই ঘড়িতে বসানো রয়েছে হীরা, পান্না, চুনির মতো বহুমূল্য পাথরও। যদিও আম্বানি পরিবারের তরফে এই ঘড়ির বিষয়ে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনন্ত ও প্রিসিলার এই ভিডিও কিন্তু রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ভিডিও দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মিম হতেও দেখা গেছে। জানা যায়, অনন্ত আম্বানির প্রি-ওয়েডিং ঘিরে গুজরাটের জামনগরে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চাঁদের হাট বসেছে। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প, সস্ত্রীক মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস, সুন্দর পিচাইসহ বড় বড় অতিথিরা। দেশের স্বনামধন্য অতিথিদের মধ্যে হাজির ছিলেন বলিউডের তিন খান শাহরুখ, আমির ও সালমান। এছাড়াও, রণবীর-দীপিকা থেকে শুরু করে বলিউডের অন্য অতিথিরাও এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। ক্রিকেট জগতের নক্ষত্রেরাও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৩

এরশাদের ছেলে বললেন, খুব কষ্ট হচ্ছে, মানবেতর জীবনযাপন করছি
অর্থের অভাবে মানবেতর দিন কাটছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় অবস্থিত পৈতৃক বাসভবন পল্লি নিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এরিক। এসময় তার মা বিদিশা এরশাদ সংবাদ সম্মেলনে না এসে দূরে দাঁড়িয়েছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে এরশাদপুত্র বলেন, আমি একজন এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। আমার নামে বাবার করে যাওয়া ট্রাস্ট থেকে কোনও টাকা পাচ্ছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে আমার মানবেতর দিন কাটছে। ট্রাস্টের টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে আমি চরম অসহায়ত্ব বোধ করছি।  এ সময় এরিক বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে মরহুম বাবা এরশাদের কবর জিয়ারত করার জন্য রংপুরে আসি। জিয়ারতের পর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত পল্লিবন্ধু এরশাদ কোল্ড স্টোরেজে যাই মাকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে গেলে বারী মুন্সি, মুকুল ও তার ছেলে মান্নু আমাকে ও আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাদের কোল্ড স্টোরেজে ঢুকতে দেননি। এমনকি আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই কোল্ড স্টোরেজের মালিক আমি, আমাকে ঢুকতে দেবে না, দেখে নেবে! দুই বছর ধরে কোল্ড স্টোরেজে যে আয় হচ্ছে, সেখান থেকে আমাকে এক পয়সাও দেওয়া হচ্ছে না। সব টাকা তারা লুটেপুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের বোঝা উচিত, আমি এতিম ছেলে, আমার বাবা নেই। তারা আমার মাকেও গালি দিয়েছে, তার অশোভন আচরণ করেছে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে বলেছি, তারা পূর্ণ সহায়তা করেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এরিখের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদিশা এরশাদ। তিনি বলেন, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ একমাত্র সন্তান এরিকের কল্যাণের জন্য জন্য তিনি জীবিত থাকা কালে একটি ট্রাস্ট করে যান। যার নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট। রংপুরে পল্লী নিবাস বাস ভবন, নগরীর মাহিগঞ্জে একটি কোল্ড স্টোরেজসহ ঢাকায় কিছু সহায়সম্পদ আছে। এরশাদ যে ট্রাস্টের কমিটি করে গেছেন। তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা এখনও দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না। ফলে আয়-উপার্জন না থাকায় এরিখ প্রচণ্ড রকম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বারবার বলার পরেও ট্রাস্টের দায়িত্ব এরিখকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ ছাড়া এরিখের চাচা জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান তাকে পুরো বিষয় জানানো হবে তিনি কি করেন দেখি। জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের পাল্টাপাল্টি দল করার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৩

একুশের ভোরে চিরবিদায় নিলেন কবি শামছুদ্দিনের ছেলে
‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে বাঙালি, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি’- মর্মস্পর্শী এ গানের রচয়িতা বাগেরহাটের চারণ কবি শেখ শামছুদ্দিনের বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন খোকন (৬৬) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  বেশ কিছুদিন ধরেই দেলোয়ার হোসেন অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ সন্তান ও এক ভাই রেখে গেছেন। বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বাবার স্বীকৃতি না পাওয়ার বেদনা আর অভিমান নিয়েই একুশের ভোরে কবি পুত্রের এ প্রস্থান বলছেন তার পরিবারের সদস্যরা।  দেলোয়ার হোসেনের পরিবার বলছে, ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরেও চারণ কবি শেখ শামছুদ্দিন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় এক বুক অভিমান নিয়েই বিদায় নিয়েছেন কবিপুত্র।  উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সময় পাক সেনাদের নির্বিচার গুলিতে ছাত্র নিহত হওয়ার খবর বাগেরহাটে পৌঁছার পর ওই রাতেই কবি শামছুদ্দিন ‘ভাষা আন্দোলন’ নিয়ে গান রচনা করেন। পরদিন সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠে (বর্তমান এসি লাহা মিলনায়তন) এক আবেগঘন প্রতিবাদ সমাবেশে কবি শামছুদ্দিন স্বরচিত ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন করিলিরে বাঙালি, তোরা ঢাকার শহর রক্তে ভাসাইলি’ লেখা গানটি নিজ কণ্ঠে গেয়েছিলেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২২

বাবার মরদেহ বাসায় রেখে এসএসসি পরীক্ষার হলে ছেলে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় বাবার মরদেহ বাসায় রেখে চলমান এসএসসি পরীক্ষা দিলেন সৈকত নামে এক পরীক্ষার্থী।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সৈকতের বাবা বীরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা শফিউল আলম সুরুজ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।  শফিউল আলম সুরুজ ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য।  নিহত শফিউল আলম সুরুজের ছেলে সৈকত মাহানপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে একই উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের রহিম বখস উচ্চবিদ্যালয়ে।  মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোপাল দেব শর্ম্মা বলেন, শফিউল আলম সুরুজ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ২বারের ইউপি সদস্য। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাস মারা যান তিনি। তার নামাজের জানাজা বিকেলে ৩টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মৃত বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে সৈকতকে। বীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার আলী শাহ বলেন, সৈকত মাহানপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের মেধাবী ছাত্র। মৃত্যুবরণ করার পরেও বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিচ্ছে।   
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়