• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ কমার খবর নেই আবহাওয়া অফিসের। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তবে তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু হতে পারে। আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাপপ্রবাহজনিত ছুটি। তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।  ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে

ছুটির ৫ দিনে পদ্মা সেতুতে যত টাকার টোল আদায়
৯ থেকে ১৩ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে পদ্মা সেতু হয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩টি। এতে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পার হয়েছে। একইভাবে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পার হয়েছে। সব মিলিয়ে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। সেতু বিভাগের তথ্য বলছে, গেল বছরের তুলনায় এবারের ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে টোল আদায়ের পরিমাণও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা। সেই হিসেবে এ বছর সেতুতে যানবাহন পারাপার কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। এর ফলে গত বছরের তুলনায়  ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা কম টোল আদায় হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৩

আজ ছুটির দিনেও যে কারণে ব্যাংক খোলা
তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য ভাতা পরিশোধ এবং রপ্তানি বিল বিক্রির সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও তিনদিন সীমিত প‌রিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা আজ ৫ এপ্রিল (শুক্রবার), ৬ ও ৭ এপ্রিল (শনি ও রোববার) খোলা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। তবে মাঝে জুমার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪২

ঈদের আগে ছুটির মধ্যেও ৩ দিন খোলা থাকবে ব্যাংক
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঈদের আগে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির মধ্যেও ৩ দিন সীমিত পরিসরে তফসিলি ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। আগামী ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব শাখা খোলা থাকবে। রোববার (৩১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রফতানি বিল বিক্রয় ও শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ৫, ৬ এবং ৭ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।   এতে আরও বলা হয়, ৫ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত। তবে মাঝে জুম্মার নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ৬ ও ৭ এপ্রিল ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তবে মাঝে জোহরের নামাজের জন্য বিরতি থাকবে দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।    কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩০

ছুটির দিনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট
আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত। সকালে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বিকেল ৩টার পর তীব্র যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে রাজধানীর গুলিস্তান, শাহবাগ, বাংলামটর, ধানমন্ডি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরের পর সরেজমিনে দেখা যায়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের সিগন্যাল থেকে শুরু করে গুলিস্তান হল মার্কেট পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি। এ ছাড়া শাহবাগ হয়ে পরীবাগ ও বাংলামটর এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত উভয় পাশেই যানজটে আটকে আছে অসংখ্য গাড়ি। রোজা রেখে রোদ-গরমে গাড়িতে দীর্ঘ সময় বসে থেকে অস্বস্তি এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী-চালক উভয়ই।  এদিকে মিরপুর সড়কের সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ২টি সিগন্যাল থেকে শুরু করে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত উভয় সড়কেই দীর্ঘ গাড়ির সারি। যানজটে আটকে আছে মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অসংখ্য গণপরিবহন। বিশেষ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে শাহবাগ অভিমুখে প্রবেশের জন্য এবং শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মিরপুর সড়কে প্রবেশ করতে অপেক্ষা করছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। আর নিউমার্কেট এবং নীলক্ষেত মোড়েও রয়েছে যানজট। তাছাড়া, গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও। ভুক্তভোগী মানুষ বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা না থাকায় দিনদিন বাড়ছে যানজট। বৃহৎ নগরীতে সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকে, যেটা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। ফলে যানজটের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে না মেট্রোপলিটন ঢাকা। ভুক্তভোগীরা আরও বলছেন, সরকারি ছুটির দিনেও এত যানজট। এ জন্য শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা দায়ী। সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ (মঙ্গলবার) নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। ফলে নিউমার্কেটে সকাল থেকেই কেনাকাটা করতে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়। এই ভিড় মার্কেট থেকে ফুটপাত হয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ ফলে তৈরি হয়েছে যানবাহনের ধীরগতি এবং যানজট। বাসচালক ও তাদের সহকারীরা বলছেন, অন্যান্য এলাকার সড়ক ফাঁকা থাকলেও এই এলাকায় এসে দীর্ঘ সময় যানজটে নাকাল হতে হয়েছে। ভিআইপি ২৭ পরিবহনের সহকারী রজ্জব মিয়া বলেন, শুধুমাত্র সায়েন্সল্যাব পার হতেই প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখন আবার নিউমার্কেট এলাকায় যানজট। অনেক মানুষ। গাড়ি চালানোর জায়গাই নেই৷ সকালে আপ ট্রিপে খুবই ফাঁকা রাস্তা পেয়েছি। এখন ডাউন ট্রিপে স্ট্যান্ডে যেতেই অনেক সময় লাগছে। মানুষ-দোকানপাট ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় চলে এসেছে। আর মূল সড়কে অনেক রিকশা। যার জন্য গাড়ির যেতে পারছে না৷ অপরদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হালদার অর্পিত ঠাকুর। তিনি বলেন, কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের বাড়তি চাপের কারণে কিছুটা যানজট তৈরি হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

অফিস ছুটির পরই গন্তব্যে রওনা দেওয়ার আহ্বান
রমজানে অফিস ছুটির সাথে সাথেই বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মো. মুনিবুর রহমান বলেন, রমজানে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হয়। কিন্তু দেখা যায়, ইফতারের আগপর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। তাই অফিস ছুটির সময়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়, যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকে ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট-বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পাশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে যানবাহন অযাচিতভাবে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশ করে যানজট তৈরি করে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের এ বিষয়ে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অনেক সময় এই সময়সীমা না মেনে চালকেরা চলার চেষ্টা করেন, যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:১৭

ছুটির দিনে জমজমাট ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে চকবাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর মানুষের ভিড়। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করার জন্য চকবাজারে এসেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইফতার বিক্রির দোকানগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ আসায় ব্যবসায়ীদের বিক্রি হচ্ছে অনেক ভালো। প্রায় ৫০-৬০ বছরের পুরোনো এই ইফতার বাজার নানার মুখরোচক খাবারের জন্য বিখ্যাত। ছোলা-বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, শাহী জিলাপি, কাচ্চি বিরিয়ানি, ছাড়াও নানার আইটেমের বিরাট সমাহার রয়ছে এই বাজারে। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ইফতার আইটেম রয়েছে চকবাজারে। এর মধ্যে সুতি কাবাব, শামী কাবাব, আস্ত মুরগি, হাঁসের রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  কেরানীগঞ্জ থেকে আসা তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে এখানে ইফতার করতে এসেছি। চকবাজারের ইফতারের অনেক নাম শুনেছি। সেজন্য আজকে টেস্ট করার জন্য এসেছি। সব ঘুরে দেখছি। এখনও কিছু কেনা হয়নি। শেষ সময়ে কিনব।  ফার্মগেট থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে চকবাজারের ইফতার বাজারের ভিডিও দেখে আজকে কিনতে এসেছি। খাসির লেগ রোস্ট, আস্ত হাঁস রোস্ট আর শরবত নিয়েছি। নেওয়াজ গাজী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, শরবত থেকে শুরু করে ইফতারের অভিজাত সব আইটেম চকবাজারে পাবেন। সারাদেশ ঘুরে যেসব খাবার পাবেন না, সেগুলো এখানে পাবেন। এ ছাড়া দামও মানুষের হাতের নাগালে। এখন বাজারে সব কিছুর দামই বাড়তি। তবুও আমরা এমনভাবে দাম রাখছি যেন ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

ছুটির দিনে পুরান ঢাকার ভবনে আগুন
শুক্রবার ছুটির দিনে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাটের চাদরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিপরীত পাশের একটি ভবনে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। নির্মাণাধীন ভবনটির নিচের তলায় ছিল মার্কেট আর ওপরে আবাসিক রুমের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকেই সূত্রপাত এ ঘটনার। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাশের বেস্ট বাই আউটলেটের এক কর্মী জানান, শুরুতে ভবনটির পাশ থেকে পাটের চাদর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর হঠাৎ করেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উপস্থিত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউনিটটি কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এ নিয়ে বলেন, কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের চেষ্টায় অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার স্থান এখন ঝুঁকি মুক্ত।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩০

রমজানে মাদরাসার ছুটির তালিকা সংশোধন, ক্লাস চলবে যতদিন
রমজান উপলক্ষে ৭ মার্চ থেকে মাদরাসায় ছুটি শুরুর কথা থাকলেও তা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের সই করা প্রজ্ঞাপন বলা হয়, ২০২৪ সালের মাদরাসার ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। এরপর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও ৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত সব মাদরাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে, চলতি বছরের বাৎসরিক ছুটির প্রকাশিত তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রাখা হয়েছিল। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকায় সংশোধনী এনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রোজায় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোজার প্রথম ১০ দিন এবং কলেজগুলো ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে রোজা শুরু হয়ে থাকে। সে হিসাবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রমজান শুরু হতে পারে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬

ছুটির দিনেও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রাজধানী। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২০৫ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ২৩৪ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ২০৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কিরগিজস্তানের বিশকেক এবং ১৬৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানিং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়