• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নগদের ২ কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
নরসিংদীর রায়পুরার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় নগদের দুই কর্মীকে গুলি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজার সংলগ্ন ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।  গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন, পলাশ উপজেলার চরনগরদী এলাকার রশিদ পাঠান এর ছেলে নগদের সুপারপাইজার দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও একই উপজেলার ইছাখালি এলাকার মৃত আমির চাঁন মিয়ার ছেলে নগদের মাঠ কর্মীর শাহিন মিয়া (২৫)।  নগদের নরসিংদী ব্রাঞ্চের ডিস্ট্রিবিউটর শহিদ মিয়া ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগদের নরসিংদী ব্রাঞ্চ থেকে রায়পুরা ব্রাঞ্চে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় হাসনাবাদ বাজার সংলগ্ন বীজের কাছে পৌঁছালে ২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নগদের দুই কর্মীর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে দেলোয়ার পেটে ও শাহিনের হাতে গুলি করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।  নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুসরাত শারমীন জানান, দুইজনকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।  এ বিষয়ে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি।  তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

আরও একটি জাহাজ ছিনতাই করল সোমালি দস্যুরা
এমভি রুয়েন ও এমভি আবদুল্লাহর পর আরও একটি জাহাজ ছিনতাই করেছে সোমালি জলদস্যুরা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে আরব সাগরে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’। জাহাজটি মাত্র ৯ জন দস্যু ছিনতাই করেছে। তবে দস্যুদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের নৌবাহিনী। শুক্রবার ভারতের দুটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পাঠানো ওই দুই যুদ্ধজাহাজ শুক্রবার ছিনতাই হওয়া ইরানি জাহাজের কাছে চলে যায়। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত নাবিকসহ ছিনতাই হওয়া জাহাজটি উদ্ধার করা যাবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে ছিনতাই হওয়া এমভি রুয়েন’ জাহাজটি গত ১৫ মার্চ ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে ভারতে আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জাহাজে ১০ লাখ ডলার মূল্যের ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল। Based on the inputs on a potential piracy incident onboard the Iranian Fishing Vessel 'Al Kamar 786' late evening on 28 March, two Indian Naval ships, mission deployed in the Arabian Sea for maritime security operations were diverted to intercept the hijacked fishing vessel. The pic.twitter.com/B2zAcgDK73— JAMMU LINKS NEWS (@JAMMULINKS) March 29, 2024
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫

ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে ছিনতাইয়ের সময় গ্রেপ্তার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান। বহিষ্কার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জেলার বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া। তারা দুইজন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন। গত ২৪ মার্চ রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদেরকে আটক করে। পরে মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের সোপর্দ করা হয়। ওই রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক মো. রানা (৩১) বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া ফ্লাইওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে (সার্ভিস লেনে) একটি পিকআপ সিগনাল দেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। এ সময় চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশেই দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালক ও হেলপারদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। এ সময় আটক পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ২১০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি হ্যান্ডকাফ, পুলিশের পোশাক ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, এ মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে সোমবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে বিচারক মনিরুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা বর্তমানে মির্জাপুর থানায় রিমান্ডে রয়েছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, তারা দুইজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:২১

ময়মনসিংহে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই
ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ত্রিশালের ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫) ও এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, এএসআই রাকিবের পেটে কোপ লেগেছে। তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ ছাড়া এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই রসুলের কনুইয়ের ওপরে কোপানোর আঘাত রয়েছে। শুরুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। আহতদের বেডে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, বেদেনা নামে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ধরতে ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যান ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। আসামিকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাতাড়ি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে তার মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে আসামি বেদেনাসহ অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৯

ছিনতাই হওয়া জাহাজে ছিল ৮০ কোটি টাকার কয়লা
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজে রয়েছে ৮০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা।  আর এসব কয়লা মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার পথে ২৩ নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিকে নিজেদের দখলে নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।   রোববার (১৭ মার্চ) জাহাজে কয়লার পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। জাহাজে থাকা কয়লার দাম জানতে চাইলে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জানা নেই। তবে পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৫৫ হাজার টন।’  জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র বলেন, জাহাজে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা হয় আমাদের। সেখানে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ থাকছে না। আজ সারাদিন নাবিকদের কারো সঙ্গে আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। গতকাল শনিবার দিনভর ছিল এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। রাত আটটার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলার সুযোগ পাই আমরা।  এ দিকে তথ্যসূত্র বলছে, জাহাজে থাকা এসব কয়লার মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বা ৬৬ লাখ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ডলার কয়লার দাম ১১০ থেকে ১২০ ডলারে ওঠানামা করছে। নিউক্যাসেল কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ ডলার। আবার ইন্দোনেশিয়া কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১১৫ থেকে ১২০ ডলার।   বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, সাগরে চলাচল করা কার্গো জাহাজে বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকে। কিছু পণ্য নির্ধারিত সময়ে খালাস না করলেও কোনো সমস্যা হয় না। আবার কিছু পণ্য আছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খালাস করে ফেলতে হয়। কোনো কারণে খালাস করতে দেরি হলে তা বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জাহাজের ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকলে এই ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।  উল্লেখ্য, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা দু-তিনদিনের মধ্যে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু এখন এসব কয়লা কখন খালাস হবে, জিম্মিরা কবে মুক্তি পাবে- তা জানে না কেউই। গত মঙ্গলবার তাদের জিম্মি করে জলদস্যুরা জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নিয়ে গেছে। এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মিদের মুক্তি দিতে কেউ এখনো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তবে মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি মিলবে না বলে নিশ্চিত হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৪

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক সেজে ১০ মোবাইল ছিনতাই
শিক্ষক সেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের ১০টি মোবাইল ছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাবির মোকাররম ভবনে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তুষার, ইমরুল হাসান, আব্দুল্লা আল মুফিদ, রাফিদ রহমান মাহিন, শেখ জান্নাত, হাসিবুল হাসান। জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা মোকাররম ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা ফরমাল ড্রেসকোডে বিভিন্ন হলে গিয়ে শিক্ষক পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে কয়েকজনের মোবাইল জমা নেন এবং পরীক্ষা শেষে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরুল হাসান বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে আমাদের রুমে ঢুকে এক ব্যক্তি শিক্ষক পরিচয় দেয়। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না তাই মোবাইল গুলো ওনার কাছে রাখার জন্য বলেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে নাম, মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। আমরা পরীক্ষা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখি তিনি আর নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ তুষার বলেন, আমাদের রুমে এসে এক ব্যক্তি ফোন দিতে বললে আমরা ড্রেস দেখে দিয়ে দেই। পরীক্ষা শেষে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে শুনি আমার সাথে আরও কয়েকজনের ফোন চুরি হয়েছে।  হাসিবুল হাসানে মা বলেন, আমি টাঙ্গাইল থেকে আমার ছেলেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। এমন ঘটনা আমাদের অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বের করবো কে এই কাজটা করেছে। এটা বের না করলে আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪০

জুস খাইয়ে অটোবাইক ছিনতাই 
পাবনার সাঁথিয়ায় জুয়েল (২০) নামে এক অটোবাইক চালককে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে অটোবাইক, মোবাইল, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।  চালক জুয়েল উপজেলার সোনাতলা গ্রামের জমিন হোসেনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাটগাড়ী ইটভাটার পাশে। জানা যায়, শুক্রবার (২৩ ফ্রেবুয়ারি) সন্ধ্যায় অটোবাইক চালক জুয়েল ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে সিএন্ডবি বাস স্ট্যান্ড থেকে পাটগাড়ির দিকে যায়। পথে পাটগাড়ি গিয়ে তাকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে অটোবাইক, মোবাইল, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে তার পারিবারের নিকট নিয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সাঁথিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা জানান, তার অবস্থা এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত। চিকিৎসা চলছে। তবে কী ধরনের কেমিক্যাল তারা ব্যবহার করেছে সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলা যাবে। কতক্ষণে তার জ্ঞান ফিরবে সেটাও সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৬

বিদেশি নাগরিকের ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার, ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার 
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ারের (রাশিয়ান নাগরিক) ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মো. আসিফ (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাকে সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফোনসেটটি উদ্ধারের পর রাশিয়ান নাগরিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম। গ্রেপ্তার আসিফ উপজেলার কামারখন্দ হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানান, গত শনিবার ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী যাওয়ার পথে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এ সময় বিদেশি ওই নাগরিকের হাত থেকে আই ফোন-১৩ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান আসিফ। এ ঘটনায় রাশিয়ান নাগরিক ওই দিনই ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে কামারখন্দ থানা-পুলিশ ফোনসেটটি উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করে। কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফোনটি উদ্ধার করে বিদেশি নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীকে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

রায়পুরায় র‌্যাবের ৩ সদস্যকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই
নরসিংদীর রায়পুরায় মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র‌্যাবের উপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা  র‌্যাবের তিন সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে ইউনুস আলী (৪০) নামে এক মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ইমরান হোসেন (৩৫) নামে  র‌্যাব-১১ এর এক কনস্টেবলের নাম পাওয়া গেলেও বাকিদের তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার র‌্যাব-১ ও নরসিংদীর র‌্যাব-১১ এর একটি যৌথ দল মাদকবিরোধী অভিযানে নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি এলাকায় যায়। এসময় নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ইউনুস আলীকে (৪০) আটকের পর নিয়ে আসার সময় তার আত্মীয় স্বজন ও তার পক্ষের লোকরা ব্যারিকেড দিয়ে র‌্যাব সদস্যদের উপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় হামলাকারীদের কোপে র‌্যাবের কনস্টেবল ইমরান হোসেনের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরো দুই র‌্যাব সদস্য গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, র‌্যাবের  মাদকবিরোধী অভিযানে আসামি ধরে নিয়ে আসার সময় তাদের উপর হামলা হয়েছে। এতে তিন র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৭

পুলিশ পরিচয়ে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে ছিনতাই
প্রাইভেটকার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডসহ জনবহুল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তোলেন গাড়িতে। কিছুক্ষণ পরেই প্রকাশ পায় চালক ও সহযাত্রীদের আসল চেহারা। তারা মূলত ছিনতাইকারী। নির্মম নির্যাতন করে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।  পুলিশ বলছে, শুধু রাতে নয়, দিনের বেলায়ও ছিনতাই করেন তারা। তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এ রকম একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি এটিএম বুথ থেকে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলছেন যে ব্যক্তি এই কার্ডের প্রকৃত মালিক তিনি নন। একজনকে অপহরণ করে তার সঙ্গে থাকা এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলছেন তিনি। একই বছরের জুলাই মাসের ২০ তারিখে আরেকটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও টাকা তুলতে দেখা যাচ্ছে এই একই ব্যক্তিকে। এখানেও এই একই ঘটনা। বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা ব্যক্তির নাম আফজাল। তিনি মূলত একটি ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান। রাসেল আহমেদ গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আফজাল বাহিনীর হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য তিনি দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়নের একটি এলাকায়। একটি প্রাইভেটকার এসে থামে তার সামনে। ভাড়া মিটিয়ে তিনি উঠে পড়েন গাড়িতে। পরের ঘটনা শোনা যাক তার মুখেই। সেই রাসেল বলেন, তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পকেট থেকে ম্যানিব্যাগ, মোবাইল ও হাত থেকে ঘড়ি নিয়ে নেন। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। কথা বলারও সুযোগ দেয়নি। আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তারা বলেন যে, আপনার স্বামীকে রিসোর্ট থেকে মেয়েসহ ধরা হয়েছে। তাকে মারধর করা হচ্ছে। এই ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে তারা বলেন যে তারা পুলিশের লোক। তারা আমাকে সেভ করেছেন। আমাকে সোপর্দ করার কথা বলে আমার স্ত্রীকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এই মহাসড়কে রাসেলের মতো ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আরও একাধিক ব্যক্তি। এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা নিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। সেইসঙ্গে এটিএম কার্ড, বিকাশ ও নগদের পাসওয়ার্ড নিয়ে নেন তারা।   থানা পুলিশের কাছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ঠিক কি পরিমাণ ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই এক্সপ্রেসওয়েতে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ অনেকেই যারা ভুক্তভোগী অর্থাৎ ছিনতাই কিংবা ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি কিংবা মামলা করেননি। তবে যেসব ঘটনায় মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি হয়েছে সেগুলো তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক ডাকাত চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। পুলিশ প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করে আফজাল বাহিনীকে। মূলহোতা আফজালসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পুলিশ বলছে, ১১ মামলার আসামি আফজালের দলে আছেন একাধিক সদস্য। প্রতিদিন তিন থেকে চারজনকে নিয়ে তিনি বের হন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে।   কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির গণমাধ্যমে বলেন, কবে কাজ করবে, কীভাবে করবে- আফজাল এসব পরিকল্পনাগুলো করতেন। তিনি পালাক্রামে একেকদিন ৪ থেকে ৫ জনকে নিয়ে নিয়ে কাজটা করতেন। আফজালের কাছ থেকে এই হাইওয়ে রোডে এ ধরনেরই আরও কয়েকটি গ্রুপের তথ্য পেয়েছি।  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, রাজধানীর তিনশো ফিট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ যেসব সড়কে বিরতিহীনভাবে যানবাহন চলাচল করে সাধারণত সেসব এলাকায় তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন কবির আরও বলেন, বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে খুব চতুরভাবে নিজেরাও যাত্রী সেজে চক্রটির সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করতেন। সাধারণত যাত্রীরা মনে করেন যে বাসে করে গেলে বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে গেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হবে। প্রাইভেটকারে করে গেলে দ্রত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। সামান্য একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে তারা বিপদে পড়ে যান। পুলিশ বলছে, একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এতে পুলিশের মতে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচতে দরকার যাত্রী সাধারণের সচেতনতা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়