• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে গরম আর শীত বেশি চুয়াডাঙ্গায়
শীত ও গরমের আবহাওয়ায় আলোচনায় থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ, শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত আর গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। এটি এ জেলার আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গরমে হাঁসফাঁস আর শীতে কাঁপাকাঁপি। কেন এমন হয়?  তাপমাত্রার এমন তারতম্যের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি কারণে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভৌগোলিক কারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি। আর এ কারণেই শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছপালা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াও অন্যতম প্রধান কারণ। এ জেলায় অপেক্ষাকৃত কম জলাভূমি রয়েছে। জলাভূমি বেশি থাকলে শীতের সময় তা শীত ধারণ করে ঠান্ডা কমিয়ে দিতে পারে। আর গরমের সময় জলাভূমির স্বল্পতার জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় না। তাই বেশি গরম অনুভূত হয়। জামিনুর রহমান জানান, শীত ও গ্রীষ্ম উভয়েই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি—এসব এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে আসে। আবার পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে এ জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও বাড়ে।  এদিকে, গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তীব্র গরমেরও রেকর্ড রয়েছে এ জেলার। গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ২২ মে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫  এপ্রিল ওই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চারবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আজ চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪ ঘণ্টা আগে

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি 
তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এর আগে দুপুর ৩ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
৯ ঘণ্টা আগে

চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ 
চুয়াডাঙ্গা থেকে অপহৃত তামিম হোসেন (৭) নামের এক শিশুকে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১২ এর সদস্যরা। এ সময় অপহরণকারী আল-আমিনকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ র‍্যাব-১২ এর সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন। গ্রেপ্তার হওয়া আল-আমিন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মেষতলী বাজার এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। অপহৃত তামিম হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের মো. সুন্নত আলীর ছেলে। বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত তামিম হোসেনকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব সদস্যরা। র‍্যাব-১২ অধিনায়ক বলেন, অপহৃত তামিম হোসেনের বাবা সুন্নত আলীর সঙ্গে অপহরণকারী আল-আমিনের প্রায় দুই মাস আগ থেকে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এ সুযোগে কৌশলে আল-আমিন গত ১৭ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বাড়ির পেছন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তামিম হোসেনকে। এ ঘটনায় তামিমের বাবা চুয়াডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি র‍্যাব-১২ জানার পর তামিমকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। বুধবার রাতে বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অপহৃত তামিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে হয়। র‍্যাব অধিনায়ক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তামিমকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হতো। কিন্তু অপহরণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত তামিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাব সদস্যরা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৪

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলার তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপপ্রবাহ বইছে তীব্র আকারের। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়ায় চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যানরিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৫

চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।   শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার পারলক্ষীপুর গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বুড়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে খালিদ হোসেন (১৮) ও একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে তামিম হোসেন (১৮)। আহত সজিব আলী (১৯) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে কুষ্টিয়ায় একটি কনসার্টে গিয়েছিলেন ওই তিন যুবক। পরে একই মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এসময়  পারলক্ষীপুর গ্রামে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান খালিদ ও তামিম। গুরুতর আহত হন সজিব। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহীদ হাসান চত্বরের রিকশা চালক করিম আলী বলেন, ‌রোজার মাস চলে। তার ওপর এমুন তাপ একদম সজজু  করা যাচ্চি না। গরমে সারা শরীল জ্বালা-পুড়া করছি। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন মাঝারি তাপদাহের পর আজ তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে ।    
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪

চুয়াডাঙ্গায় ৪ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গায় ঈদ বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে কাপড় বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের নিউমার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, মিষ্টির প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এসময় নিউ মার্কেটে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশানের মালিক আকতার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা, নির্ধারিত লাভের চেয়ে অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয়ের মালিক আজিজ মাকসুদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  প্রিন্স প্লাজা মার্কেটে মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে অভিযানে ৭৫০ টাকা মূল্যের একটি শার্টে ২৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির অপরাধে মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানের  ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সবাইকে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২ 
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১ টা ও সাড়ে ১১ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহতরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৯) ও সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রীবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে ইমরান খান (৩০)। তাদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে দ্রুতগামী একটি ইজিবাইক শিশু ইব্রাহিম হোসেনকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় সে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজারে ট্রাক্টরের সঙ্গে ইমরান খানের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে জখম হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোর্শেদ আলম বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, এই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়