• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্যাংকে চুরি করতে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে প্রেমিক-প্রেমিকা
চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকে টাকা চুরি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী শাহাদাতকে হত্যা করেন প্রেমিক-প্রেমিকা। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পিবিআই পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মতলব উত্তরে গজরা বাজারের কৃষি ব্যাংকে টাকা চুরি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী শাহাদাতকে খুন করেন প্রেমিক-প্রেমিকা।প্রেমিককে এখনও ধরা যায়নি, চেষ্টা চলছে। তবে প্রেমিকা মিলি আক্তার ও তাদের আরেক সহযোগী মো. সজিব হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আটক সজিবের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শনিবার সকালে গজরা বাজার কৃষি ব্যাংকের ভল্ট কাটার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ও বিভিন্ন সরঞ্জাম পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মতলব উত্তরে গজরা বাজারের কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে শাহাদাত হোসেনের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ঘটনার পর মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পরিবার।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৪

আবাসিক হোটেলে থেকে বাসাবাড়িতে চুরি করেন তারা
সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।  আটককৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার পুনিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫২), ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৪০), গুরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে মো. রফিক ব্যাপারী (৩৭) ও ঝিনাইদহ জেলার বিত্তিরাণী নগর ঘোষপাড়ার মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে সাধন কুমার বিশ্বাস (৪৫)। এদের মধ্যে সাধন কুমার চোরাই মালামাল ক্রয় করতেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশন রোডের আল হামড়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, শহরের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে চুরি করার জন্য চোর দল ওই আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সিরাজগঞ্জ শহরের সুবিধাজনক বাসাবাড়িতে বা দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিল। তাদেরকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য শহরের অনুন্নত মানের হোটেলে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কক্ষ নিয়ে অবস্থান করে থাকে এবং চুরি করে বেড়ায়।  মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, তারা বগুড়ার একটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়িতেও চুরি করেছেন। তার হাত ঘড়ি ও অন্যত্র থেকে চুরি করা স্বর্ণের চেইনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও চোরাই কাজে ব্যবহৃত তালা ভাঙার চাইনিজ কাটার, হাতুড়ি, স্বর্ণালংকার মাপার ডিজিটাল স্কেল, নাট খোলার সেলাইসহ নানান প্রকার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তাদের আরও অনেক চুরির পরিকল্পনা ছিল। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে এমন সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২০ জনের মতো চোরকে ধরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক এই চারজনকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  এ সময় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস, উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণসহ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫২

কুষ্টিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় ভল্টের তালা ভেঙে বিপুল পরিমাণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ইনচার্জ মো. শামসুল আলম। তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে ব্যাংকে এসে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, ভল্টের তালা ভাঙা। ভল্টে রাখা ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৬ টাকা নেই। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজও নেই। আলমারি অগোছালো। রাতের কোনো এক সময় ব্যাংকে চুরির এ ঘটনা ঘটেছে। আমি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ দিকে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামী ব্যাংকের এই এজেন্ট শাখার একটি জানালার গ্রিল কাটা। ভল্টের তালা ভাঙা, সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। অগোছালো আলমারি। উৎসুক জনতার ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।  এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।  উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করেছে অস্ত্রধারীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় ২ কোটি টাকা লুট করে অস্ত্রধারীরা।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

সারের দোকানে ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর দোকানের পেছনের গেট ভেঙে কীটনাশক, মাছের খাদ্য, মোবাইলের লোডের টাকা এবং নগদ টাকা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই দোকানদারের প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে তাড়াশ থানায় এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তোভোগী মো. হাফিজুর রহমান। এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রানীরহাট বাজার এলাকায় মেসার্স হাফিজ কৃষি ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দোকানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখা যায় চোরের দল সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মুখে গামছা বেঁধে দোকানের পেছনের দরজা ভেঙে বাঁশের সেলিং সরিয়ে মূল দোকানে ঢোকে। এ সময় দোকানে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক, মাছের ওষুধ, বিকাশ ও নগদের টাকাসহ প্রায় ১০ দশ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আশা করছি দ্রুতই এ ঘটনায় জড়িত সবাই আটক করা সম্ভব হবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:২২

হাওরে চুরি ৩ বৈদ্যুতিক টান্সফর্মার, ৪ চোর গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত অষ্টগ্রামের হাওরে সেচপাম্পের তিনটি বৈদ্যুতিক টান্সফর্মার চুরির ঘটনায় চার চোরসহ টান্সফর্মারের খণ্ডাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) ইটনা, অষ্টগ্রাম ও করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক সময়ে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন ইটনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে মো. সায়েম (২২), একই ইউনিয়নের বড়হাটির গ্রামের সোনা উল্লাহ ছেলে মাইনুল ইসলাম (২৬), নয়াহাটি গ্রামের সিজিল ঠাকুরের ছেলে মো. লিটন ঠাকুর (২৫) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার তেরহাসিয়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৭)। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের হাওরে একটি সেচপাম্পের তিনটি টান্সফর্মার চুরি হয়। এ ঘটনায় বুধবার মামলা দায়ের হলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে অষ্টগ্রাম থানা পুলিশ। শুক্রবার গোপন খবরের ভিত্তিতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী ফেরীঘাট থেকে চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের ৬টি তামার কয়েল ও চোরাই পণ্য পরিবহনে জড়িত ব্যাটারীচালিত একটি অটোরিকশা এবং অষ্টগ্রামের ভাতশালা হাওরের ভুট্টাখেত থেকে ট্রান্সফর্মারের ৩টি খালি টাংকি (ঢাকনাসহ) উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বুধবার মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৫

রিমোর্ট কন্ট্রোলে ওজন কমিয়ে অভিনব চুরি
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের অসাধু কিছু ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের বেশি ওজনের মালামাল কম ওজন দেখিয়ে ডিজিটাল চুরি করছেন। পণ্যের ওজন দূরে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ইচ্ছেমতো কমাতে পারেন তারা। ওজন কম দেখানোর সাংকেতিক শব্দ হলো ‘গাপসি’। আর এসব ডিজিটাল মেশিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে একটি চক্র। অন্তত ২৫টি এমন ডিজিটাল মেশিনে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ‘ডিজিটাল চুরি’ করছে। ডিজিটাল ওজন মেশিন বিক্রি চক্রের চার সদস্যকে শনিবার রাজধানী থেকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজিব (৩৩), মো. মনির (৩৫), মো. লিটন (৩৮) ও মো. আলাউদ্দিন খান (২৮)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ডিজিটাল ওজন মেশিন, সাতটি রিমোট কন্ট্রোল ও তাতালসহ ওজন মেশিনে কারসাজি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. রাজীব আল মাসুদ বলেন, প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ ঠকানোর উৎকৃষ্ট উদাহরণ ডিজিটাল মেশিন কারসাজি। গ্রাম থেকে আসা প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে চক্রটি। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণও এটি। তিনি আরও বলেন, চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২০ থেকে ২৫টি মেশিন ছড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ডিবি সূত্র জানায়, সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজিব পেশায় ইলেকট্রিক মেকানিক। অনলাইনে বিশেষ কিছু সার্কিট সংগ্রহ করে। পরে ডিজিটাল ওজন মেশিনে রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে ওজন কম-বেশি করার কৌশল রপ্ত করে সে। ফলে ২০০ কেজি পণ্যের ওজন দূরে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ইচ্ছেমতো কমাতে পারতো। এগুলো বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দূরে বসে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা একটি অভিনব ও নতুন ধরনের প্রতারণা। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তিনি বলেন, সজিব প্রতিটি মেশিন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। এই চক্রের কাছে ওজন কম দেওয়ার সাংকেতিক শব্দ হলো ‘গাপসি’। এর অর্থ হলো ওজনে কম দিতে হবে। এসব মেশিন কাপ্তান বাজারে মুরগি বা মাংসের অসাধু পাইকারি বিক্রেতারা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তবে তাদের টার্গেট থাকে নতুন পণ্য বিক্রেতা ও পাইকারি ক্রেতারা।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৮

সাবেক সচিবের মেয়ে চুরি করেন ৮০০ মোবাইল  
অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) পরিবারের পরিচয় ব্যবহার না করে রাজধানীর অভিজাত পাড়ার বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবে ভুয়া পরিচয়ে সেমিনার এবং নানা প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণ করতেন। এর নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য চুরি। অভিজাত পাড়ায় অভিজাত চোরের খ্যাতি পাওয়া এই নারী গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজীবিষয়ক এক সিমিনারে অংশগ্রহণ করে জুবাইদা চুরি করেন ডা. ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা। ডা. ফারহানা হক গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজী বিভাগের চিকিৎসক। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে হস্তান্তর করে নেন জুবাইদা। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন রোগীদের এবং হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে গত ১২ মার্চ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নারীদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, চারটি মোবাইল, পাঁচটি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপারশপের কার্ড, চারটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ডিবি জানায়, জুবাইদা সুলতানা ১২ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে চুরি করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আটশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। হারুন অর রশীদ বলেন, জুবাইদা অভিজাত চোর। তার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীরা। তিনি ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁওয়ের মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে চুরি করতেন। চোরাই জিনিস ব্যবহার করে অভিলাষী জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জুবাইদা বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারাদিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পরতেন এই নারী। ডিবিপ্রধান বলেন, ১২ বছর ধরে জুবাইদা চুরি করে আসছিলেন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে গুছিয়ে। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার ও ওয়ার্কশপে। এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে সুকৌশলে চুরি করতেন দামি জিনিসপত্র। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। জুবাইদা সুলতানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এসব তথ্য। তিনি আরও বলেন, জুবাইদার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব। তার বোন গ্রামীণফোনের একজন বড় কর্মকর্তা। তার এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে পরিবার থেকে বিতারিত করা হয়েছে। জুবাইদা বিয়ে করেছেন দুটি। তার বর্তমান স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। স্বামী সৌদিতে থাকলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৩

এবার হাইকোর্টে লাশের সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি রোধে রিট
এবার হাইকোর্টে সারাদেশের কবরের লাশ সুরক্ষা ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যাদের লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরি প্রতিরোধে বাংলাদেশে কোনো আইন নেই। বিশ্বের অনেক দেশেই এ সংক্রান্ত আইন আছে। কিন্তু লাশ সুরক্ষায় বাংলাদেশে কোনো আইন করা হয়নি। তিনি বলেন, লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় নিউজ এসেছে। শত শত লাশ ও কঙ্কাল চুরি হয়েছে। লাশ চুরি করে বিক্রি করা হয়। কঙ্কাল চুরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিক্রি করা হয়। এমনটি পাচারেরও খবর আসছে গণমাধ্যমে। এজন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

গরু চুরি করে জবাই, হরিণের মাংস বলে বিক্রি
বাগেরহাটের মোংলায় চুরি করা গরু জঙ্গলে জবাই করে হরিণের মাংস বলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১০ মার্চ) মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার বাদী চিলা ইউনিয়নের বৌদ্ধমারী গ্রামের সফর জমাদ্দারের ছেলে নজরুল জমাদ্দার।  মামলায় নজরুল জমাদ্দার উল্লেখ করেন, সুন্দরবনের পাশে তার বসবাস। তার আয়ের উৎস গাভিটি। রোববার সকালে গরুটি মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। দুপুরে মাঠে গিয়ে আর গরুটি খুঁজে পাননি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন গাভিটি পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন ইউনিয়নের শাহজাহান শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৩৬), হামেদ শেখের ছেলে বাবুল শেখ (৩৭) ও আফজাল ব্যাপারীর ছেলে সাজ্জাক ব্যাপারী চুরি করেছেন। পরে সুন্দরবনের ভেতরে নিয়ে জবাই করে হরিণের মাংস বলে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরু চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৬

থানা থেকে অটোরিকশা চুরি
টাঙ্গাইলে ঘাটাইল থানার ভেতর থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অটোরিকশাচালক আব্দুস সাত্তার ও ঘাটাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান। চুরি যাওয়া অটোরিকশার মালিক আব্দুস সাত্তারের বাড়ি মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলার গাংগাইর গ্রামে।  তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় থানার পরিদর্শক চেয়ারের লোহার ঝালাই খুলে যাওয়ায় তা মেরামত করতে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসেন। চেয়ার মেরামত করে এশার নামাজের পর অটোরিকশা নিয়ে থানায় যান। অটোরিকশাটি রাখেন থানার ভেতর জাতীয় পতাকা বাঁধা খুঁটির পাশে। কক্ষে চেয়ার পৌঁছে দিয়ে থানার ভেতরই খোঁজ নিতে যান পুলিশের খাবার রান্নার দায়িত্বে থাকা বাবুর্চি আব্দুস সালামের। আব্দুস সালামের বাড়ি ধনবাড়ি উপজেলায়। ঘাটাইল উপজেলার শাহপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদিন সালামকে সঙ্গে নিয়ে ফিরেন তিনি। সাত্তার বলেন, ‘এ সময় দেখা হয় মিজান স্যারের (পুলিশের সহকারী উপরিদর্শক) সঙ্গে। স্যার পেয়ারা কিনেছেন। সেই পেয়ারা অটোরিকশা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দিতে বলেন। এসে দেখি অটোরিকশাটি নেই। রাতেই বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। পুলিশ তাকে জানিয়েছেন খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে, এখনও অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঘাটাইল থানা পুলিশের পরিদশর্ক (তদন্ত) সজল খান বলেন, অটোরিকশাচালক আব্দুস সাত্তার থানার কাজ করে দেন। চুরি যাওয়া অটোরিকশাটি খুঁজে বের করতে রোববার রাত থেকেই পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে সাত্তারকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়