• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডিএনসিসির সঙ্গে চীনের আনহুই প্রদেশের সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সমঝোতা স্মারকে সই করেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এবং আনহুই প্রদেশের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং জায়োলিন। মেয়র আতিক বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এই চুক্তির ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে। দুই সিটির উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে আনহুই প্রদেশ। অন্যদিকে ডিএনসিসির উত্তম কার্যক্রমগুলোও শেয়ার করতে পারবে। মেয়র বলেন, চীনা দূতাবাসের সঙ্গে ডিএনসিসি দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে কাজ করছে। গত বছর চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বনানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মাঝে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত রমজান মাসেও চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় মিরপুর ভাসানটেক বস্তিতে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। আজকের এই নতুন চুক্তিতে ডিএনসিসির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
১৯ ঘণ্টা আগে

ঢাকা সফরে আসছে চীনের দুই প্রতিনিধিদল
টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশি অতিথি হিসেবে ঢাকা সফর করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক দপ্তরের ভাইস মিনিস্টার। তার ওই সফরের মাত্র তিন মাসের মাথায় এবার চীন থেকে বাংলাদেশ সফরে আসছে বড় দুটি প্রতিনিধিদল। এদের মধ্যে একদল আসছে পানি ইস্যুতে আলোচনা করতে। আরেকদল আসছে রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চীনের দুটি প্রতিনিধিদল একই সময়ে বাংলাদেশ সফর করবে। তাদের মধ্যে চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল ২২-২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করবে। অপর প্রতিনিধিদলটি ২৩-২৪ এপ্রিল ঢাকা সফর করবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আনহুয়েই প্রদেশের ভাইস চেয়ারম্যান।  চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রধান পরিকল্পনাকারী উ ওয়েনজিং। প্রতিনিধিদলটি সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকায় আসবে। প্রতিনিধিদলটির মূল বৈঠক হবে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সঙ্গে। বৈঠকে কোন বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে জানতে চাইলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, চীনা প্রতিনিধিদলের সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বন্যার পূর্বাভাস নিয়ে আলোচনা হবে। তারা ওয়ার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া হাইগ্রোলজিক্যাল স্টেশন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন। চীনের প্রতিনিধিদলটি মাঠ পর্যায়ে পদ্মা নদীর ওপরের সীমানা এবং নিম্ন সীমানা পরিদর্শনেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদলটির বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশের থেকেও একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে যাবে। ওই সফরে ইআরডি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন। অন্যদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আনহুয়েই প্রদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়েই সিয়াওমিংয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আগামী ২৩-২৪ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন।  জানা গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আনহুয়েই প্রদেশের ভাইস চেয়ারম্যান রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে ঢাকায় আসছেন। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর বিষয়টি হয়তো তুলে ধরতে পারেন। এখন অবধি চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর বৈঠকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এদিকে চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বেইজিং। ওই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন তিনি। আশা করা হচ্ছে, ভারত সফরের পর দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং যাবেন তিনি।  ঢাকার দায়িত্বশীল এক কূটনৈতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের জন্য প্রস্তাব আছে। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করতে পারেন বলে আশা করা যায়। সাধারণত শীর্ষ পর্যায়ে সফর হতে গেলে অনেক আনুষ্ঠানিকতা থাকে, অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। শীর্ষ পর্যায়ে সফরের আগে দ্বিপক্ষীয় সফর বিনিময় হয়, দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু সমীক্ষা করতে হয়; তারপর কোনো বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। চীনের প্রতিনিধিদলের সফরেও সে ধরনের কিছু কাজ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নতুন সরকার গঠনের ১২ দিনের মাথায় ঢাকা সফর করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক দপ্তরের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়া। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

রাজধানীতে চীনের মেডিকেল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রাজধানীর মালিবাগের একটি বাসা থেকে এক বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম এইচ এম রায়হান আহাদ (২৩)। তিনি চীনের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রুমমেট ডা. রেজা বলেন, মালিবাগের একটি ফ্ল্যাটে আমরা পাশাপাশি কক্ষে থাকতাম। রায়হান চীনের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করত। করোনার সময়ে সে দেশে চলে আসে। পরবর্তীতে অনলাইনে সে ক্লাস করত। ডা. রেজা আরও জানান, কয়েকদিন আগে ওই মেডিকেলের কর্তৃপক্ষ তাকে চীনে যেতে বলে। তারপর থেকেই সে মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ে। পারিবারিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে তার পক্ষে চীনে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বেশ কয়েক মাস ধরে রায়হান রাজধানীর বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল। কিন্তু এতেও অনেক টাকা লাগবে বলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তিনি জানান, আজ সন্ধ্যার দিকে সে শুয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে আমরা সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে গলায় পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।    
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬

বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের (এনজেইউপিটি) বাংলাদেশি কমিউনিটির আয়োজনে পহেলা বৈশাখ- ১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দেশীয় ঘরোয়া খেলা, আবৃত্তি, বাংলা লোকসঙ্গীত পরিবেশনসহ বাংলাদেশি নানান পদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নানান পর্বে বিদেশিদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। রোববার (১৪ এপ্রিল) চীনের নানজিং শহরের নানজিং ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের বাংলাদেশি কমিউনিটির এই আয়োজনে চীন, পাকিস্তান, ভারত, মরক্কো, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। মরক্কোসহ কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় গান ও নাচে অংশগ্রহণ করেন। এনজেইউপিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী নাঈম মণ্ডল পুরো অনুষ্ঠানের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাস্টার্স শিক্ষার্থী তাজবিদ শ্রিজন। অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাবেক সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি আহনাফ আনন, সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ-চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নানজিং ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক এ বি সিদ্দিক বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি সবার মাঝে আমরা ছড়াতে চাই। আমরা যে তা করতে পারছি, এর প্রমাণ হলো আজকের অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ।’ প্রথম আলো বন্ধুসভা চীনের সভাপতি আহনাফ আনন সবাইকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য। তিনি জোর তাগিদ দেন এমন আয়োজন প্রতিবছর করার প্রতি। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও লোক সংগীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপন’ অনুষ্ঠানে সমাপ্ত করা হয়।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছে : শি জিনপিং
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অভিনন্দনপত্রে শি বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দনপত্র পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট। এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকায় চীন দূতাবাস। অভিনন্দনপত্রে শি লিখেছেন, গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। অর্থনীতি এবং জনগণের জীবিকার উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন সাধিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে  দুই দেশ দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ব্যবহারিক সহযোগিতা উপভোগ করেছে, এতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়েছে। শি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। এছাড়া চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রস্তুত।   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর লি কিয়াং ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৬

চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মোট আমদানির বড় অংশ আসে চীন থেকে। গত অর্থ বছরে (২০২২-২৩) চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ডলার। মোট আমদানির যা ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ। এর বিপরীতে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬৮ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরে দেশটি থেকে ২ হাজার ৮৮ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছিল, যা ছিল মোট আমদানির ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।  এবার মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে এবার চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়নায় অ্যাকাউন্ট খুলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেনের বার্তা প্রেরণে সুইফটের আদলে গড়ে ওঠা চায়নার সিআইপিএসে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ চীনের মাধ্যমে পরিশোধ করা। গত ৫ থেকে ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। এ সময় তারা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অ্যাকাউন্ট খোলা ও লেনদেনের বার্তা প্রেরণের মাধ্যম দ্য ক্রসবর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমে (সিআইপিএস) যুক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, ফ্রান্সসহ ১১টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ‘নস্ট্রো’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন নিষ্পত্তি হয়। চীনের সঙ্গে লেনদেন নিষ্পত্তিতে বেশি ব্যবহার হয় এইচএসবিসি। অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ লেনদেন হয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেরও বেশির ভাগ রক্ষিত আছে সেখানে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) বার্তা পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হলেও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। তবে চীনের মুদ্রা ইউয়ান অফিসিয়াল কারেন্সি হওয়ার পর সরাসরি আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কেউ ইউয়ানে এলসি নিষ্পত্তি করতে চাইলে করতে পারে। এখন দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি যেন নিষ্পত্তি করতে পারে, সে জন্য এ রকম সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এবিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিকল্প মুদ্রা প্রচলনের চেষ্টা ভালো উদ্যোগ। তবে বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন নিষ্পত্তিতে কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অনেক দেশ মিলে করতে পারলে কার্যকর হবে।’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাইরে বড় অর্থনীতির কয়েকটি দেশ বেশ আগে থেকে ডলারের প্রভাব কমিয়ে বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন চালুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া ও চীন। সম্প্রতি ভারতও নিজেদের মুদ্রা শক্তিশালী করতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশকে রাশিয়া তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব লেনদেনের বার্তা প্রেরণ ব্যবস্থা ফাইন্যান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেমে (এসপিএফসি) যুক্ত করার জন্য ২০১৬ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এর আগে ২০১৮ সাল থেকে চীনের মুদ্রায় এলসি খোলার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার গত বছরের জুলাই থেকে ভারতের সঙ্গে সরাসরি রুপিতে লেনদেন নিষ্পত্তির একটি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। 
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্কের ঘোষণা চীনের
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে চীন ও রাশিয়া ঐতিহাসিক সম্পর্ককে শক্তিশালী ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার। চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েডংয়ের মস্কো সফরের পর এ বিবৃতি এলো। এতে বলা হয়েছে, শতাব্দীর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতার ভরসাস্থল হিসেবে চীন ও রাশিয়ার উচিত আরও ভালো ভূমিকা পালন করা।  সান বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কৌশলগত দিকনির্দেশনায় দুই দেশের সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়ে রয়েছে।  পশ্চিমারা গেল দুই বছর ধরে মস্কো বেইজিংয়ের সম্পর্ককে বাড়তি উদ্বেগ নিয়ে দেখছে। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষায় সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।   পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিনষ্ট হওয়ার বিষয়ে সতর্কতার মধ্যেও বেইজিং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্রিকসের দুটি রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উষ্ণই রয়ে গেছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়াকে সহযোগিতার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনা কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এতে বেইজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১

আরটিজিএস লেনদেনে যুক্ত হচ্ছে চীনের মুদ্রা
দেশে রিয়েল টাইম গ্রোস সেটেলমেন্টে (আরটিজিএস) যুক্ত হচ্ছে চীনের মুদ্রা ইউয়ান। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে এই আরটিজিএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ষষ্ঠ মুদ্রা হিসেবে আরটিজিএস লেনদেনে ইউয়ান যুক্ত হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট (পিএসডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় ক্লিয়ারিং কার্যক্রম আধুনিক, যুগোপযোগী ও তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ২০২২ সালে এফডিডির পরিবর্তে আরটিজিএস ব্যবস্থা চালু করে। তখন ৫টি বৈদেশিক মুদ্রায় (মার্কিন ডলার, পাউন্ড স্টার্লিং, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও কানাডিয়ান ডলার) অটোমেটেড ক্লিয়ারিং কার্যক্রম শুরু হয়। এখন চীনের মুদ্রা ইউয়ান অন্তর্ভুক্ত করা হলো। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আরটিজিএস লেনদেনে ইউয়ান চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এর কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৫

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চীনের কাছে আরও সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন ও কৌশলগত অংশীদার আখ্যায়িত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে বেইজিংয়ের কাছে আরও সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস-মিনিস্টার সান হাইয়ান গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ সহযোগিতা চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করতে অতীতের চেয়ে চীন আরও বেশি সহযোগিতা করতে পারে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। এ সময় সান হাইয়ান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে তার দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের সংগ্রাম এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও মমতার কারণে শি জিংপিং প্রধানমন্ত্রীর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন। সান হাইয়ান আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শি নিশ্চিত ছিলেন, কারণ দেশ ও জনগণের প্রতি তার দেশপ্রেম এবং তিনি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন সরকার ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান। এছাড়া সান হাইয়ান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আশা করেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বব্যাপী অটিজম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। সান সাইয়ান আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে চলবে।  এ প্রেক্ষিতে চীনের উপমন্ত্রী ১৯৯১ সাল থেকে তার একাধিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সময় আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব ও অবিশ্বাস্য উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কারণ, তিনি সফলভাবে দেশবাসীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছেন যে আমরা করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতাকেও কৃতিত্ব দিয়ে বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। শেখ হাসিনা সান হাইয়ানকে বাংলাদেশের ‘প্রকৃত পরিবর্তন’ দেখতে গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশবাসীকে উন্নত জীবন দিয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের এখনই সময়। এ জন্যে তিনি চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার ক্রমবর্ধমান কর্মসূচিগুলো আরও বাড়ানোর মাধ্যমে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ এম. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩২

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপমন্ত্রী মিস. সুন হাইয়ানের নেতৃত্বে চীনা প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সাক্ষাৎ করতে এসে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের আন্তর্জাতিক বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপমন্ত্রী ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।  এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক আচিম স্টেইনার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ইউএনডিপির পক্ষ থেকে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন যাত্রা এবং জাতিকে আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করছি। স্টেইনার বলেন, ইউএনডিপির নির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের নতুন ভূমিকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি একইভাবে আনন্দিত। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি শুধু আপনার দেশের উন্নয়ন অর্জনের স্বীকৃতিই নয় বরং বাংলাদেশের জন্য বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা গঠনের জন্য একটি অমূল্য সুযোগও উপস্থাপন করে। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্পের অর্জনসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা অর্জনে আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারকে সমর্থন করার জন্য ইউএনডিপি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়