• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন রোগী মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে যাদের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ভর্তিকৃতদের যা যা সেবা লাগে তা আমরা সবাইকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দিচ্ছি। এখানে একজন রোগীরও চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনোরকম ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে দগ্ধ রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকব। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত কাউকেই আশঙ্কার বাইরে রাখছি না আমরা। এদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন রোগী মারা গেছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

‘মানুষ যেন ভালো চিকিৎসা পায়, এ লক্ষ্যে কাজ করছি’
‘এ দেশে সাধারণ মানুষ যেন ভালো চিকিৎসা পায়, এ লক্ষ্যে কাজ করছি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি সবসময় একটা কথায় বিশ্বাস করি, জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। এই মন্ত্র মাথায় নিয়ে আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা যেন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করছি, যাতে এ দেশে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়। তিনি বলেন, আজকে এখানে আসতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। আমার জীবনের অনেক স্মৃতি এখানে। আমার বিয়ে থেকে শুরু জীবনের সব কিছু এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে। সেই ১৯৮০ সাল থেকে এর সঙ্গে জড়িত।   সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

অবৈধ চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুয়া চিকিৎসক ও অবৈধ চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা এ বিষয়গুলো নিজেরা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আমাদের পক্ষে সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে অভিযান চালানো সম্ভব না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী মেডিকেলে আমি আগেও এসেছি। তবে আজকে এসেছি অন্য একটি দায়িত্ব নিয়ে। যা দেখলাম তাতে খানেও মাটিতে রোগী। সব হাসপাতালগুলোয় যে অবস্থা, ওসমানী হাসপাতালেও একই অবস্থা।  তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) সিলেট বিভাগের সব টিএইচএফপিও (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) ও সুপারিনটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেটি হচ্ছে জনবলের খুব অভাব। বিভিন্ন উপজেলায় আমরা যদি ঠিকমতো কনসালট্যান্ট দিতে পারি, তাহলে উপজেলা পর্যায়ে ভালো কাজ হবে। মাটিতে রোগী শুয়ে থাকবে না—এ লক্ষ্যেই কাজ শুরু করব। এক দিনে পারব না; পর্যায়ক্রমে এগুলোর সমস্ত সমাধান করার চেষ্টা করব। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিলেটের সব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা হাফিজ
ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। রোববার (৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানবন্দরের ভেতরে রাখেন। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টায় সেখান থেকে বের হন তিনি। জানা গেছে, হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে ১২ ডিসেম্বর স্ত্রী দিলারা হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনি ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে যেতে দেয়নি। তখন তার স্ত্রী ভারত চলে যান। এরপর ১৩ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিন তাকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। রিটে তাকে বাংলাদেশ ত্যাগ ও বিদেশ থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৮

সিলেটে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপের ৫৫ চিকিৎসক
একটি মেগা মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপ থেকে ৫৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সিলেটে এসেছেন। লন্ডন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেলিনা বেগমের নেতৃত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তারা। এসময় চিকিৎসকদের বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহমদ আল কবির। শেলিনা বেগম বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব সুযোগ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসকদের একত্রিত করার মাধ্যমে দেশের অগণিত অসহায় দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় অংশ নিতে পারছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দরে বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল জব্বার জলিল, ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ফ্রি ক্যাম্পে ৩ হাজার রোগীর চিকিৎসা
প্রতি বছরের মতো এবারও ভাষা শহীদের স্মরণে টাঙ্গাইলের সখিপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্প। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে তালিমঘরে দিনব্যাপী বিনামূল্যে এ চিকিৎসাসেবার আয়োজন করে কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)। সখিপুর ছাড়াও আশপাশের উপজেলার প্রায় ৩ হাজার রোগীর মাঝে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও প্রায় ৩০০ রোগীকে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্যে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে আয়োজকরা। অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আওলাদ হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ আমিন শরীফ সুমন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সখিপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ। ক্যাম্পসের নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হকসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, দেড়যুগ ধরে হাতিবান্ধা গ্রামে ক্যাম্পস ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের স্মরণে দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার আয়োজন করে আসছে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে স্থানীয়রা বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে মেলার আয়োজন করে থাকে।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন খন্দকার মোশাররফ
সিঙ্গাপুরে এক মাস ধরে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো আছেন। তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি তার গুলশানের বাসায় ৪ থেকে ৬ মাস বেড রেস্টে থাকবেন। যেহেতু ব্রেইনে অপারেশন হয়েছে, তাই ডাক্তার আগামী ৪ মাস কোনো ধরনের জনসমাগম ও কারও সাথে সাক্ষাৎ থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে।  মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার উন্নত না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা নিতে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা গত ২১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে যান।  গত বছরের ১৭ জুন বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে গত ২৭ জুন সিঙ্গাপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরেছিলেন। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১০

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারীর মৃত্যু
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী আরও এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট টু সোনাপুর সড়কের নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত আরিফ হোসেন (২৪) উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া ইউনিয়নের গুনবলির বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসা সহকারী। আহত তরুণের নাম প্রাহিমুল হক তুহিন (২৪)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুজ জাহের। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই আব্দুজ জাহের বলেন, রাস্তার পাশে মালামাল নামানোর জন্য একটি ট্রাক দাঁড়ানো ছিল। ওই সময় উপজেলার মান্নান নগর থেকে আরিফ ও তুহিন মোটরসাইকেলযোগে জেলা শহর মাইজদীতে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে থাকা সেই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে তারা মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   তিনি আরও বলেন, মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। তুহিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫

বিজিবি’র প্রহরায় চলছে মিয়ানমারের ৪ সৈন্যের চিকিৎসা
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চার সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলেন– ইউ পিও ((৪৮), কিয়া থান সিন (২৯), কিন মং (২০) ও লা নি মং (৩০)। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ২ নম্বর ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে আহত চারজনকে একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিক ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। কক্ষটিতে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম আশেক জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিবি সদস্যদের প্রহরায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে হাসপাতাল এলাকায়ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি চট্টগ্রাম-৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, সীমান্তবর্তী সংঘর্ষের কারণে আহত বিজিপি সদস্যরা বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয়ভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় চারজনকে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মানবিক কারণে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চমেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে চিকিৎসাকালীন সময়ে তারা বিজিবির প্রহরায় থাকবেন। জানা গেছে, মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাহিনীটির অন্তত ১০৬ সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাতে লড়াই করছে বিদ্রোহী তিন সংগঠনের জোট থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্স। এখানে আরাকান আর্মি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং টা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মতো সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮

কঠোর নিরাপত্তায় চলছে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের চিকিৎসা
আরাকান বিদ্রোহীদের গুলিতে আহত হয়ে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের আহত ২ বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) সদস্যকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তায় চলছে তাদের চিকিৎসা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিজিবি সদস্যরা।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আহত বিজিপির সদস্যদের ভর্তি করার পর হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালে। আহত বিজিপি সদস্যরা হলেন জা নি মং এবং নিম লাইন কিং। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ২ বিজিপির সদস্যকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে টিকে থাকতে না পেরে নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষায় কয়েক দফায় ৫৮ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। তাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ। বিজিবির হেফাজতে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের উখিয়ায় বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়