• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারত থেকে আসলো পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে আমদানি করা প্রথম চালানের ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।  রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় পেঁয়াজের বড় এ চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পেঁয়াজের এ চালানটি সিরাজগঞ্জে পৌঁছাবে। সেখান থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে।  দর্শনা রেলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) কর্তৃক ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালন ভারত থেকে দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে দেশে এসে পৌঁছেছে। মোট ৪২টি ওয়াগনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে। এ পেঁয়াজের চালানটি রোববার রাতেই সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, টিসিবির আমদানি করা প্রথম চালানের পেঁয়াজ বুঝে পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি পেঁয়াজের চালান ট্রেনযোগে দেশে আসতে পারে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭

কারওয়ান বাজারে মাছ কেটে সংসার চালান অভিনেত্রী তটিনী!
রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।  ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে। তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...। মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান। পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৭

শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্বর্ণের বড় চালান জব্দ
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওমান এয়ারের ডব্লিউওয়াই ৩১১ ফ্লাইটে আসা যাত্রীর সিট থেকে ৬৪ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে।   শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ। তিনি জানান, বিমানবন্দরের কর্মরত কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বিমানবন্দরের ভেতর থেকে ৬৪ পিস স্বর্ণের বার আটক করেছে। যার ওজন প্রায় সাড়ে সাত কেজি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ দিকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আবদুল মতিন বলেন, ওমান এয়ারের ফ্লাইটটি রাতে শাহ আমানতে অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে সোনার চালান আসছে বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি আসনের নিচ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তবে আসনটিতে কেউ ছিলেন না। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এক যাত্রীর বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১২

কুমড়া বড়ি তৈরি করে সংসার চালান ব্রাহ্মনডাঙার নারীরা
কুমড়ার বড়ি তৈরি করে সংসার চলে নড়াইলের ব্রাহ্মনডাঙা গ্রামের নারীদের। কলাই ডাল বেটে তাতে চাল-কুমড়া মিশিয়ে তৈরি হয় এই বড়ি। প্রতি বছরই কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গ্রামটিতে ধুম পড়ে যায় বড়ি তৈরি করার কাজে। বছরের এই ৫ মাস বেশির ভাগ পরিবারগুলোর আয়ের একমাত্র উৎস এই বড়ি বিক্রি। ডালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রয় মূল্য না বাড়লে বড়ি উৎপাদন করা দুরুহ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।  কারিগর মিনতি কুন্ডু জানান, বাজার থেকে ডাল ক্রয় করে রাতে ভিজেয়ে কাক ডাকা ভোরে সে ডাল মেশিনে ভাঙিয়ে উজ্জল রোদে ডাল ও চাল-কুমড়ার মিশ্রণ রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় কুমড়া বড়ি। নরম অবস্থায় এগুলো পাতলা কাপড়ে ও মাচায় সারি সারি করে রোদে রাখা হয় শুকানোর জন্য। ভালো করে শুকিয়ে তা বাজারে বিক্রয় করা হয়। কাছেই রুপগঞ্চ বাজারে আমরা এগুলো বিক্রি করি কখনো ৩০ টাকা কখনো ৫০ টাকা প্রতি কেজিতে লাভ হয়। এখন আগের মতো লাভ হয় না প্রতিটা জিনিসের দাম বেশি। এই বিক্রি আমাদের সংসার চলে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কেজি বিক্রয় করতে পারি। এতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থাকে। এই কাজে আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহায্য করে।  মিনতি আরও জানান, ১০-১২ বছর আমি এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করি, এতে সংসার খুব একটা ভালোভাবে চলে না। এইকাজ শিখেছি তাই করি।  নারী উদ্যেক্তা নন্দিতা বোস বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কুমড়ো বড়ি বাজারের অন্য পন্যের তুলনায় দামের দিক থেকে অনেক কম। ভালো বাজার পেলে সারাদেশে তুমুল জনপ্রিয় এই খাবার বিক্রি করি গ্রামের এই নারীরাও স্বাবলম্বী হতে পারবে। নড়াইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা গ্রামের অনেক নারী এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অনেকে ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এই কাজ করছেন।    নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান বলেন, বাংলার ঐতিহ্য কুমড়ার বড়ি, সারাদেশে তুমুল জনপ্রিয় মূল উপকরণ চাল-কুমড়া, মাসকলাই যা নড়াইলে ব্যাপক চাষাবাদ হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মহিলারা এই কাজে আত্মনিয়োগ করে তারা যে কুমড়ার বড়ি তৈরি করছেন এতে তাদের যেমন কার্মসংস্থান হচ্ছে সেই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। উন্নিতবাজার ব্যবস্থা ও কারিগরি সহযোগিতা পেলে তারা আরও উৎসাহী হয়ে এই কাজে আত্মনিয়োগ করবে। এই কার্যক্রম যদি আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারি বাজার ব্যবস্থা উন্নত করতে পারি তাহলে অনেকেই এই কাজে এগিয়ে আসবে।  বর্তমানে প্রতি কেজি বড়ি তারা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে থাকেন। যেখানে প্রতি কেজি ডালের বাজার মূল্য ১৫০ থেকে দুই শ’ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি বড়ি বিক্রয় করে ৩০ থেকে ৫০ টাকা লাভ হয়। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি বিক্রয় করেন বলে জানান এই কাজে নিয়েজিত নারীরা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়