• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাউলসহ জুয়েল মিয়া জাবেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার গোডাউন থেকে ২৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।  ১৫ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ শাকির মোহাম্মদপুর মধ্য বাজার থেকে এ চাল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল মিয়া জাবেদপাইকুড়া গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে।  পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের শাকির মোহাম্মদপুর মধ্য বাজারে অভিযান করা হয়। এসময় জুয়েল মিয়া জাবেদের মা বাবার দোয়া ভেরাইটিজ স্টোরের চালের গোডাউনে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি কালে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ সম্বলিত লেখা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পাটের সেলাই করা ২৯ বস্তা সরকারি চাউল উদ্ধার করা হয়। পরে দোকান মালিক জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে সরকারি চাল মওজুদ করার অপরাধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।      
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

চাল আমদানির অনুমতি পেল আরও ৫০ প্রতিষ্ঠান
দেশের চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। এ পরিস্থিতিতে মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে বেসরকারি পর্যায়ে আরও ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে আরও ৫০ জন আমদানিকারককে ৯১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত চালের বাজারের সংকট কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা এ চাল ১৫ মে এর মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।   বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করতেও নিষেধ করেছে মন্ত্রণালয়। বাইরে থেকে যে বস্তায় চাল আসবে, তাতে করেই বিক্রি করতে হবে।   তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।   এর আগে গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৪

চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা, না মানলে শাস্তি
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখসহ থাকবে ওজনের তথ্যও; যা রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রয়েছে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।   এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে, যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে।   খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।    এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

মোংলায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল উত্তোলন শুরু
বাগেরহাটের মোংলা পশুর চ্যানেলে ঈদ উপলক্ষে গরিব ও অসহায়দের জন্য আনা ডুবে যাওয়া সরকারি চাল উত্তোলন শুরু হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে থেকে ৫০ জন শ্রমিক ও ৭ জন ডুবুরি চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেন।  তবে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড জাহাজটি উদ্ধার করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মেসার্স আব্দুর রশিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. আরাফাত। তিনি জানান, ডুবে যাওয়া এমভি সাফিয়া নামের বাল্কহেডটির মাধ্যমে আমরা সরকারি এ চাল মোংলা খাদ্য গুদামে পৌঁছানোর দায়িত্বে ছিলাম। সকাল থেকে আমরা চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। চাল উত্তোলনের পর ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হবে। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মোংলা পশুর নদীর ত্রিমোহনায় এমভি শাহজাদা নামের লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ১৭৫ টন (৬ হাজার বস্তা) চাল নিয়ে এমভি সাফিয়া নামের বাল্কহেডটি ডুবে যায়।এসময় বাল্কহেডটিতে থাকা নাবিকসহ ৫ কর্মীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।   খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সন্ন্যাসী নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘষিয়াখালী এলাকা হতে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজটি (এমভি শাহজাদা-৬) আটক করে। এর আগে রোববার সকালে খুলনা মহেশ্বরপাশা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে মোংলা খাদ্য গুদামের ৬ হাজার বস্তা (১৭৫ টন) চাল নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি সাফিয়া।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

১৯ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১০
সরকারি চাল কালোবাজারি চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।  রোববার (৩১ মার্চ) বাড্ডা থানাধীন মেরুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন ইখতিয়ারের সেমি পাকা ঘরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৯ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।  পুলিশ বলছে, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সংযুক্ত বস্তা থেকে খুলে নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরা হচ্ছিলো। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ১০ জনকে আটক করা হয়। আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য লোগো লাগিয়ে বাজারে বিক্রয় করে আসছিলেন।  বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।  তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাদিম মাহমুদ জানতে পারেন যে, ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন লোগো যুক্ত বস্তায় চাল ভর্তি করে কালোবাজারির  মাধ্যমে বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালালে যার সত্যতা পাওয়া যায়।   তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোওয়ালা বস্তাগুলো খুলে সেখানে থাকা চাল নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাজারজাতের প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এ সময় ১৮ হাজার ৯৮০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো যুক্ত ৩০ কেজি ওজনের বস্তার সংখ্যা- ৯৬টি, সরকারি বস্তা পরিবর্তনকৃত নুরজাহান ব্র্যান্ডের বস্তায় ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তার সংখ্যা- ৩০৬টি এবং অভিযান স্থলের ঘরের মেঝেতে খোলা অবস্থায় প্রায় ৮০০ কেজি চাল রয়েছে। এসব ঘটনার হোতা আমিনুল ইসলামের ম্যানেজারসহ সর্বমোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিচয় যাচাই শেষ তাদের নাম জানানো হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫

সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবার বেসরকারিভাবে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন।  প্রথম পর্যায়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনুমোদন দেওয়া হবে। খাদ্য সচিব জানান, দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা এক লাখ মেট্রিক টন। মূলত বাজার সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানির এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে হঠাৎ করে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমনের মৌসুম শেষ এবং বোরো চাষ শুরু হবে। মাঝে এক থেকে দেড় মাসের একটি গ্যাপে চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করতে পারে চালকল মালিক ও মজুতদাররা। তাই আমদানির এই অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এদিকে চাল আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনুমোদন পাওয়া আমদানিকারকদের ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চাল দেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চাল পুনরায় প্যাকেটজাত না করে বিক্রি করতে হবে মূল বস্তাতে করেই।   
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

রমজানে এবার চাল নিয়ে চালবাজি
রমজান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাজার। আগুন লেগেছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামে। সিন্ডিকেটে লাগাম টানতে গলদঘর্ম সরকার। দফায় দফায় দাম বেঁধে দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চড়তে থাকা বাজারদর। এরই মধ্যে বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নিতে চালবাজিতে মেতে উঠেছে মিলাররা। কারসাজি করে বাড়িয়ে দিয়েছে চালের দাম। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও। পেটে এক মুঠো ভাত জুটাতে গিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।  গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হুট করে গরিবের সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০-২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে মিলাররা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও হু হু করে বাড়ছে দাম। এক কেজি মোটা চাল কিনতেও ৫২-৫৪ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এখন। সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের ভীড়ে এবার চালের দামেরও এমন উচ্চলাফে ভোগান্তিতে পড়ে গেছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) নওগাঁ ও দিনাজপুরে মিলপর্যায়ে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হতে দেখা গেছে ২৪০০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও ২২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই চাল। পাশাপাশি প্রতি বস্তা মাঝারি আকারের বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। ৭ দিন আগেও যার দাম ছিল ২৩০০ টাকা। প্রতি বস্তা মিনিকেট চালের দামও ১০০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৩২০০ টাকায়।  অটোরাইস মিল মালিক সমিতি সূত্র বলছে, ধান থেকে চাল তৈরিতে ব্যাঘাত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে একটু। এছাড়া সরকার চাল কিনে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে ও সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সাধারণ মানুষকে দিচ্ছে। এ কারণে দাম তুলনামূলক বাড়ছে। মিল মালিক সমিতির এই খোঁড়া যুক্তির ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না খোদ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন রোজার মাস। এ মাসে মানুষ চাল একটু কম কেনে। বেচাকেনা কম হয়। দামও কম থাকে। কিন্তু এবার উলটো চিত্র। মিলাররা রোজা ঘিরে কারসাজি করছে। বস্তা প্রতি ১০০-২০০ টাকা দাম বাড়িয়ে চাল মিল পর্যায় থেকে বিক্রি করছে। কিনে আনতে বেশি দাম পড়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।  রাজধানীর কাওরান বাজারের আল্লাহ দান রাইস এজেন্সির মালিক ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে মিল পর্যায় থেকে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে না। যে পরিমাণ চাল অর্ডার করা হচ্ছে, দিচ্ছে তার কম। এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বাজার খাতুনগঞ্জের এস কে ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী শামসুল হক বলেন, মিল মালিকরা আমাদেরকে চাল দিচ্ছে না। আবার দিলেও আগের চেয়ে বাড়িয়ে নিচ্ছে দাম। তাই আমরাও বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। এভাবে চক্রাকারে চট্টগ্রামে চালের সংকট তৈরি হচ্ছে এবং দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মিলাররা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যে কোনও অজুহাতে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। এবারও সেটাই হয়েছে। তাই মূল্য নিয়ন্ত্রণে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।  এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চালের দাম কেন বেড়েছে, তা তদারকি করে বের করা হবে। মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকি করা হবে। অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:১৪

চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিলো সরকার
রমজানে সুগন্ধিসহ সব ধরনের চালের দামই স্বাভাবিক রাখতে চায় সরকার। তবে এ সময় সুগন্ধি চালের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থায় আতপ চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ খাদ্যগুদামের অফিস ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুতের মূল্য কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে এর কারণে চাল উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষক তথা ধান-চাল সেক্টরে সরকার ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে। যা দিয়ে কৃষকেরা স্বল্প মূল্যে সেচ দিতে পারেন। একই সঙ্গে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। এর আগে সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ওই ভাষণে জাতির জন্য স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এটি এমন একটি ভাষণ যেখানে তিনি এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিকনির্দেশনা সেখানে ছিল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ দিতে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন, ওটা বলবেন। কিন্তু বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন, আপনি আপনার মনের কথা বলবেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। তার নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়। ইউনেস্কো এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৯

চাল চুরির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
দিনাজপুরের হিলির হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুসুফিয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।  বুধবার (৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি বুধবার বিকেলে পেয়েছি। সেখানে উল্লেখ আছে যে, হাকিমপুর উপজেলার ৩ নং আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ভিডব্লিউবি’র ১ হাজার ৮০০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগ ৫ মার্চ ১৮৮নং প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। দিনাজপুর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগে আবু সুফিয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে কেন আবু সুফিয়ানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদানের অনুমতি চেয়েছেন। আমরা চাই যে অপরাধ করবে তার যেন সঠিক বিচার করা হয়। জনগণের সঙ্গে যে প্রতারণা করবে তাকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা খুব দ্রুতই প্রতিবেদন পাঠাব।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫

রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসন্ন রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে তিনি এই কথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ মার্চ থেকেই লিফটিং (ডিলারদের চাল উঠাতে) করতে বলেছি। ১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা কমিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন খাদ্য বিতরণ শেষ করা হবে। এই চাল বিতরণে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বস্তায় চালের দাম ও জাত লেখা রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব বলেছিলাম, আর কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে। যেসব চাল এখন বাজারে বস্তায় এবং সিল মারা আছে সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে। ডিসিদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসি-মিল মালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি। সাধন চন্দ্র বলেন, মজুতবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল হয়েছে। বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়