• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাপে আছে মার্কিন ডলার, কমছে মান 
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও টালমাটাল হতে শুরু করেছে। অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দামে পতন হয়েছে। আগামী দিনও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) ডলারের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।  গেল জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করায় অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডের ডলার বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে জাপানি ইয়েন ডলারের বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছিল। ডলার ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৪৭ দশমিক ০৫ ইয়েনে ছিল, এটি ২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দুর্বলতম। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ১ দশমিক ০৯৪২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডলার চাপে পড়ায় এই সপ্তাহে ইউরো উত্তোলন বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার ফেডারেল রিজার্ভ তা থেকে ‘খুব বেশি দূরে নয়’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমালে মুদ্রা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। ইক্যুইটি ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোল বলেন, বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, আমি মনে করি, সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমানোর অবস্থানে থেকে সরে আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রম বিভাগের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো শুক্রবার কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে বলেছে যে গত মাসে ২ লাখ ৭৫ হাজার চাকরি তৈরি হয়েছে। জানুয়ারির তথ্য সংশোধন করে দেখা গেছে, আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ লাখ ৫৩ হাজারের পরিবর্তে ২ লাখ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন মাস বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশে থাকার পর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৮

ঋণের চাপে আত্মহত্যা বাড়ছে
ঋণের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সর্বশেষ সোমবার মেহেরপুরে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আরও একজন ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন৷ এক সপ্তাহ আগে মুন্সিগঞ্জে দুই সন্তান নিয়ে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ঋণের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার কারণ কী? সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে অনেকেই আয়েসে জীবন যাপন করছেন। তাদের ঐ সম্মানবোধটাই নেই। এখন পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে গরিব আরো গরিব হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের নুর আলীর স্ত্রী নুরজাহান খাতুন এনজিওর ঋণের কিস্তির চাপে (৪২) গলায় ফাঁস দিয়ে লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আটটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলে নুরজাহান। একটা থেকে ঋণ নিয়ে আরেকটা শোধ করত। এভাবে করতে করতে তারা আর শোধ করতে পারেনি। ঋণের কিস্তির জন্য যখন চাপ দিচ্ছে, তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বেধে যেত। শুধু নুরজাহান নয়, ঋণের চাপে আমার গ্রামের চরটি পরিবার পালিয়ে গেছে। এনজিওগুলো যেভাবে জাল বিছিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের সেখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ কীভাবে কমানো যায়? জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এনজিও থেকে যে ঋণটা একজন নিচ্ছে, অন্যজন সেটা জানে না। কারণ তাদের ঋণের কোন কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই। যেমন ধরেন একটি ব্যাংক থেকে আপনি যদি ঋণ নেন, সেটা সার্ভারে পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে। ব্যাংকের ক্ষেত্রে একজনের নামে একটি ঋণ থাকলে অন্য ব্যাংক সাধারণত আর দেয় না। কিন্তু গ্রামের একজন মানুষকে ৮-১০টি এনজিও ঋণ দিচ্ছে। তার হয়ত সেই ঋণ শোধ করার সামর্থ্যই নেই। তাহলে তিনি দেবেন কীভাবে? এজন্য আমরা বলছি, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রেও একটা কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকা প্রয়োজন। এবং কোন ব্যক্তিকে একাধিক এনজিও ঋণ দিতে পারবে না। এগুলো নিশ্চিত করতে না পারলে সংকট আরও বাড়বে। একই দিনে মেহেরপুরের গাংনীতে ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে বিষপান করেছেন রিপন হোসেন (৩২) নামের একজন ব্যবসায়ী। যদিও তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। রিপন আলী গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কেন এমন করলেন? জানতে চাইলে রিপন বলেন, আমি মাংসের ব্যবসা করি, পাশাপাশি আমার একটা জুয়েলারিও আছে। আমি তিনটি এনজিও থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। একটা এনজিও থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছি। প্রতিমাসে সেখানে ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়। এটা এক বছরে শোধ হওয়ার কথা। আরেকটা থেকে ৯৫ হাজার টাকা নিয়েছি, সেখানে মাসে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এটাও এক বছরে শোধ হওয়ার কথা। আরেকটা থেকে নিয়েছি ৭০ হাজার টাকা। সেখানে সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এটা ৫ মাসে শোধ হওয়ার কথা। জুয়েলারি ব্যবসায় আমার ৬ লাখ টাকার মতো বাকি আছে। সেই টাকা তুলতে পারছি না, আবার এনজিওগুলোও ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এ কারণে এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার জন্য বিষপান করেছিলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হৃদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠে লিখে যাওয়া শেষ চিরকুটে, সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী? জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। সরকার এত ব্যাংক দিয়েছে। তারপরও ৪২ থেকে ৪৫ ভাগ মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে। যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে তারা তো প্রয়োজন হলে এনজিও থেকে ঋণ নেবে। কারণ ব্যাংকের সঙ্গে তো তাদের সম্পর্ক নেই। আর একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিলে তো ফাঁদে পড়তেই হবে। শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা। পাশাপাশি দেশের সব মানুষকে ব্যাংকিং সেবার মধ্যে আনতে হবে। তাহলে এই ধরনের পরিস্থিতি কমে আসবে। গত মাসের শুরুতে নীলফামারীর আশিকুর মোল্লা বাবু নামে একজন ব্যবসায়ী স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশিকুরের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, বাবার মৃত্যুর পর ব্যাংক থেকে নেওয়া ২২ লাখ টাকা ঋণ শোধ করতে গিয়ে আশিকুরের ব্যবসার পুঁজি শেষ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি যে ব্যবসা করতেন, সেখানেও বড় ধরনের লস করেছেন। তার গোডাউনে রাখা রসুন সব পচে গেছে। মানসিক বিপর্যয় থেকে তিনি এ কাজ করেছেন বলে আমাদের বলেছেন। গত বছরের মে মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তবা আলী আত্মহত্যা করেন। ঋণের চাপ সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। মুস্তবা আলীর ছেলে আহমেদ ওয়াসিফ প্রিতুল সে সময় জানিয়েছিলেন, তার বাবা ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যুরো বাংলাদেশ, বীজ এনজিওসহ কয়েক জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মাসুদ আলম, কিশোরগঞ্জের রোকন উদ্দিন, রাজশাহীর চারঘাটের মাছ চাষি আবদুল কুদ্দুস, কুমিল্লার তিতাসের কড়িকান্দি বাজারের কলা ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তাসলিমা আক্তারসহ অন্তত দুই ডজন মানুষ ঋণের কিস্তির চাপে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এমন ঘটনা এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। প্রসঙ্গত, এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি, আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৩

তিন উইকেট হারিয়ে চাপে কুমিল্লা
বিপিএলের অষ্টম আসরের ফাইনালে কুমিল্লার কাছে শিরোপা খুইয়েছিল বরিশাল। সেই ক্ষত এখনও ভুলতে পারেনি বরিশাল। এক আসর পর আবারও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই ম্যাচের চার বারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চায় বরিশাল। শুক্রবার (১ মার্চ) ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সুনিল নারিনকে হারায় কুমিল্লা। ৪ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে এসেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই টাইগার ব্যাটার। ১০ বলে ১৫ রান করে জেমস ফুলারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখার কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। তবে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি লিটন। ১২ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ৪৯ রান। জনসন চার্লস ৭ এবং মাহিদুল ইসলাম ২  রানে ব্যাট করছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

‌‘ঋণের সুদ পরিশোধে কিছুটা চাপে আছে দেশের অর্থনীতি’
বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপে আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে কিছুটা চাপে আছে দেশের অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে, কিন্তু মানুষ তো না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে নানামুখী চাপ আছে, সেসব নিয়েই চলতে হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজও করা হচ্ছে। ডলার সংকট ছিল, কিন্তু তাতে সবকিছু আটকে নেই। এলসিও খোলা হচ্ছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

বিদেশি চাপে নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করবে না পাকিস্তান সরকার
বিদেশিদের চাপে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর কোনো তদন্ত করবে না পাকিস্তান সরকার। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এ কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি। এ প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের সময় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে অত্যধিক বিলম্ব করা হয়েছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামী এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ)-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং জালিয়াতির যেসব অভিযোগ আমরা উত্থাপিত হতে দেখেছি, তাতে পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার অধীনে এগুলোর সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এর পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতেও এ নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারেই পরে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানের বর্তমান সরকারপ্রধানের কাছে। জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, পাকিস্তান কি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার তদন্ত করতে বলেছিল? তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং কোনো চাপের কাছে মাথানত করবে না।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২০

মেট্রোর চাপে দিশেহারা বাস মালিকরা
মেট্রোরেল চালুর পর পাল্টে গেছে রাজধানীর মিরপুর-মতিঝিল রুটের দৃশ্য। পথের যানজট অনেকটাই কমেছে। যাত্রীর অভাবে বন্ধ প্রায় অর্ধেক বাস-মিনিবাস। যানবাহন বিক্রির চেষ্টা করছেন অনেক মালিক। আর পরিবহন শ্রমিকরা পেশা পরিবর্তনের উপায় খুঁজছেন। এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! উপরে যখন ঝা চকচকে আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়, ঠিক তার নীচে ধুকে ধুকে চলা মেয়াদহীন বাস-মিনিবাসে যাত্রী খড়া। আধুনিক যাতায়াতের সুযোগ পেয়ে উত্তরা-মিরপুর-মতিঝিল রুটের যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ফিটনেস আর শৃঙ্খলাহীন বাস মিনিবাস থেকে। যুগের পর যুগ যাদের হাতে জিম্মি ছিলেন এ পথে যাত্রীরা।  সিটিং সার্ভিসের নামে ওয়েবিলের অত্যাচার, কিংবা ১৫ টাকা জ্বলানির দাম বাড়ায় ২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি। প্রতিবাদ করলে এসব পরিবহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার রেকর্ড পর্যন্ত আছে। অথচ সেইসব পরিবহনই এখন যাত্রী খুঁজছে। মিরপুর ১২ থেকে যাত্রীবাড়িগামী বিকল্প পরিবহনের এই সহকারীর আয় অর্ধেকের নীচে নেমে আসায় তিনি গ্রামে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আধাঘন্টা ডাকাডাকি করেও পিক আওয়ারে তার গাড়িতে উঠেছেন দুজন যাত্রী। পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, আগে যে পরিমাণ যাত্রী হত তা এখন নাই বললেই চলে। মেট্রোরেল চালুর আগে দৈনিক যে বেতন পাওয়া যেতো তা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন নিজে চলবো কিভাবে আর সংসারই বা চালাবো কি করে।    শ্রমিকদের হতাশায় দ্বগ্ধ মালিকরাও। চালক খরায় কেউ গাড়ি বন্ধ রেখেছেন, কেউ আবার বাস বিক্রির উপায় খুঁজছেন। বিকল্প পরিবহনের ম্যানেজার মো. সবুজ জানান, যাত্রী স্বল্পতায় ৪৫টি বাসের ২৫টি রাস্তায় নামাতে পারেননি। এ রুটের অন্য পরিহবনগুলোরও প্রায় একই অবস্থা। পরিবহন নেতারা বলছেন, বাস মালিকদের বাঁচাতে বিকল্প পথ পাচ্ছেন না তারা। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন কোনো রকম টিকে আছে বাস মালিকরা। হয়ত অনেকেই এই গাড়ির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। সরকার যদি এদের ব্যাপারে কোনো নতুন উদ্যোগ না নেয় তাহলে এ ব্যবসা থেকে মালিকদের সরে যেতে হবে।    এমন বাস্তবতা থেকে পরিবহন মালিকদের শিক্ষা নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জনগনকে জিম্মি করে নয়, বরং নিয়ম মেনে সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার পরামর্শ তাদের।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১০

মাসে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৫.৮৯ শতাংশ, বাড়তি চাপে মানুষ
গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দেশে বাড়ি ভাড়া গড়ে পাঁচ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। আগের বছর ২০২২ সালের একই সময়ে ভাড়া বেড়েছিল ৫.৮৬ শতাংশ।  সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাড়িভাড়া সূচকের (এইচআরআই) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পাকা, আধাপাকা, কাঁচা ও ঝুপড়ি এই তিন ধরনের বাড়ির ভাড়া নিয়ে বিবিএস হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পরিবারের মোট আয়ের ১৪ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িভাড়ায় ব্যয় হয় বিবিএসের জরিপের তথ্য অনুসারে, গত অক্টোবর-ডিসেম্বর কাঁচা ঘর বিভাগের ভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সূচক বেড়ে হয়েছে ১১২.৪৭। এটি এর আগের বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ বেশি। একইভাবে টিনের ঘর বিভাগের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সূচক বেড়েছে ১১০.৮১। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬.৪ শতাংশ বেশি। পাকা ঘর বিভাগে দ্বিতীয় প্রান্তিকে সূচক বেড়েছে ১০৮.৮৮ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫.৭৫ শতাংশ বেশি। বিভাগীয় হিসাবে দেখা গেছে, বাড়িভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ভাড়া বৃদ্ধির সূচক বেড়েছে ১০৯.৯২ শতাংশ। এরপর রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ বিভাগে ভাড়া বেড়েছে ১০৯.৪০ শতাংশ। সবচেয়ে কম বাড়িভাড়া বেড়েছে সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে বাড়িভাড়া বেড়েছে ১০৮.৬৪ শতাংশ। জানা গেছে, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের আইনটি করা হয়েছিল ১৯৯১ সালে। ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার নানা বিষয় এখানে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে আইনটির তেমন প্রয়োগ নেই। বিবিএস ২০২২ সালের খানার আয় ও ব্যয় জরিপের তথ্য অনুযায়ী, একটি পরিবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম খরচের খাত হলো বাসাভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানির বিল ইত্যাদি। এই বিল খাতে একটি পরিবারের মাসে খরচ হয় চার হাজার ৪১৮ টাকা। এটি মোট খরচের ১৪ শতাংশ। তবে যেসব পরিবারের নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে, তাদের বাসাভাড়ার খরচ নেই। গ্রামে বাসাভাড়ার প্রচলনও নেই। তাই এই খাতে খরচ আপাতত দৃষ্টিতে কম মনে হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৬২৮ শতাংশ। গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়িভাড়াসংক্রান্ত জরিপে সংগঠনটি জানিয়েছিল, এ সময় বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এ সময়ে নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়িভাড়া বৃদ্ধির হার দ্বিগুণ। সংগঠনটির অন্য এক পরিসংখ্যান  বলছে, ঢাকার ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা শুধু বাসাভাড়া পরিশোধে ব্যয় করে থাকে। ঢাকার খিলগাঁওয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাকে বলা হলো জানুয়ারি থেকে ভাড়া ১৪ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। ফলে আমার চার সদস্যের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ বেড়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাড়িভাড়ার উচ্চ প্রবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির ধারাবাহিক প্রভাবের বহিঃপ্রকাশ। এই বাড়তি খরচ কম আয়ের পরিবারগুলোর বোঝা দ্বিগুণ করে দেয়। কম আয়ের পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়ার দাবি খুবই বাস্তবসম্মত। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতা খুব কম। বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, বাসাভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করতে আমরা বারবার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। এ ছাড়া মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। তবু ভাড়াটিয়াদের কোনো কথাই শোনা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে ভাড়াটিয়াদের চাপে ফেলার সুযোগ বাড়িওয়ালাদের আছে। কারণ, দেশে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১ থাকলেও বাস্তবে এর তেমন প্রয়োগ নেই।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

বিয়ের চাপে তামান্না-বিজয়!
দীর্ঘদিন ধরেই অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। গেল বছরের শেষে নিজেদের সম্পর্কে সিলমোহরও দিয়েছেন দুজনই। এরপর থেকেই এই জুটির প্রেম কবে পরিণতি পাবে, সেটা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই নেটিজেনদের। পরিবার থেকেও বিয়ের চাপে রয়েছেন তামান্না-বিজয়।   নানা সময়ই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তামান্না-বিজয়কে। কিছুদিন আগে মণীশ মালহোত্রার বাড়ির দীপাবলির অনুষ্ঠান শেষে হাত ধরে গাড়িতে ওঠার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাদের বিয়ে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও নিজেদের বিয়ে নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করেননি বিজয়-তামান্না।  এবার অনুরাগীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বিজয়। অভিনেতা বলেন, সবসময় একই প্রশ্ন শুনে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে তার! শুধু বাইরের লোকজন নয়, বাড়িতেও প্রতিদিন এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, আমি মাড়োয়ারি পরিবারের ছেলে। আমাদের পরিবারে ১৬-১৭ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় ছেলেদের। অনেক দিন আগে থেকেই আমার বিয়ে দেওয়া নিয়ে বাড়ির সকলেই অত্যন্ত আগ্রহী। আর এখন এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। কারণ বিয়ের বয়স পার করে ফেলেছি আমি।   বিয়ের চাপ যে শুধু বিজয়ের বাড়ি থেকে আসছে, সেটা নয়। একই রকম চাপে রয়েছেন নাকি তামান্নাও। কিছুদিন আগেই ৩৩-এ পা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ফলে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তামান্নার পরিবার।  সূত্র : আনন্দবাজার   
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

নিজ দেশে চাপে আছেন বাইডেন-নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজ নিজ দেশে চাপের মধ্যে আছেন। আর এ নিয়ে প্যারিসে বৈঠক চলছে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে। সেখানে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মিশর, কাতার এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা। এরই ভেতরে জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণের ঘটনা ঘটে। যেখানে কয়েকজন মার্কিন সেনা নিহত হন এবং আহত হন অর্ধশত মার্কিন নাগরিক। এতে দেশের ভিতর চাপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। রিপাবলিকানরা সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটরা আরো একটি যুদ্ধে যেতে বাধা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। তারপরেই কৌশলী আক্রমণের কথা জানান তিনি। তবে বিশদে সেই কৌশলের কথা প্রকাশ করেননি তিনি।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, আঘাতের জবাব দিতে প্রস্তুত আমেরিকা। মঙ্গলবার পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আমরা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। খুব শিগগির এই জবাব দেয়া হবে। তবে কীভাবে জবাব দেয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি বাইডেন। এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, জবাব দেয়া হলেও মধ্যপ্রাচ্যে আরো একটি লম্বা লড়াইয়ে অংশ নিতে চাইছে না আমেরিকা। অর্থাৎ, ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে না। এদিন সাংবাদিকেরা বাইডেনকে ইরান নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি কি এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন? বাইডেন জানান, ইরান সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে আমেরিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর জন্য। বিভিন্ন স্তরে আক্রমণ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নানা স্তরে জবাব দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, একবার আক্রমণ না চালিয়ে নানা দিক থেকে ইরান এবং তার মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, সমস্ত পণবন্দিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল কোনোরকম সংঘর্ষ-বিরতিতে যাবে না। বস্তুত, গাজা স্ট্রিপে এখনো শতাধিক পণবন্দি আটক। গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাস ওই ব্যক্তিদের পণবন্দি করে। এর আগে বেশ কিছু বন্দিকে মুক্তি দিলেও এখনো বহু মানুষ হামাসের হাতে আটক। এদিকে ইসরায়েলে প্রায় প্রতিদিনই পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতে মিছিল বের হচ্ছে। বন্দিদের পরিবারের সদস্যেরা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। হামাসের বক্তব্য এদিকে প্যারিসে যে বৈঠক হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মিশর, কাতার এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা। দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার চাপ তৈরি করছে এই দেশগুলি। সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব তারা তৈরি করতে পেরেছে সর্বসম্মতিক্রমে। হামাসের কাছে এই সেই পত্র পাঠানো হয়েছে। হামাস সবুজ সংকেত দিলে চুক্তিটি বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব। চুক্তিতে বলা হয়েছে একশজন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। হামাস একাজ করলে ইসরায়েল দুইমাসের জন্য সংঘর্ষ-বিরতির কথা ভাবতে পারে। হামাস জানিয়েছে, প্রস্তাবটি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২১

‘ঢাকা মেডিকেলের মেঝেতে রোগীদের চাপে হাঁটাচলা করাই মুশকিল’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বিগত সময়ে স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে, এখনো অনেক কাজ বাকি। হাসপাতালে এখনো রোগীরা মেঝেতে চিকিৎসা নেয়। ঢাকা মেডিকেলের মেঝেতে রোগীদের চাপে হাঁটাচলা করাই মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে ভালো চিকিৎসা দেওয়া কঠিন। কোনো রোগীকে যেন ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে না হয়, সে বিষয়ে খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।  এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কেন চিকিৎসকরা থাকেন না, সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উপজেলা পর্যায়ে একজন চিকিৎসককে থাকতে হলে সেখানে তার জন্য সুযোগ-সুবিধাও তো থাকতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তাও আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। সামান্য কোন কারণে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণ হলে এবং তারা যথাযথ নিরাপত্তা না পেলে পরিবার ছেড়ে এত দূরে থাকবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক। এজন্য প্রথমে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি, আগামীতে এই সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়