• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদযাত্রায় ফিরতি ট্রেনে যাত্রীর চাপ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ফিরতি যাত্রার চতুর্থদিনে সকাল থেকেই ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় প্রচুর যাত্রী ফিরছেন।  ঈদের পর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী ট্রেনে ফিরতি যাত্রা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতদিন অধিকাংশ যাত্রীরা নিজে ফিরলেও আজ থেকে পরিবার নিয়ে তাদেরকে ফিরতে দেখা গেছে। মঙ্গলবারের (১৬ এপ্রিল) ট্রেনের টিকিট ১০ দিন আগে বিক্রিও করে রেলওয়ে। সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ফিরতি যাত্রার প্রথম তিনদিন খুব বেশি চাপ না থাকলেও এদিন চাপ ছিল অনেক বেশি। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গগামী একতা এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন ছাড়তে দেরি করছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলো অধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা প্রবেশ করায় যাত্রীচাপের যথাসময়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারছে না। এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, সকাল থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৪টি ট্রেন এসেছে আর সবগুলোই ঢাকা ছেড়ে গেছে। ঢাকায় আসা ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় অনেক ছিল বেশি। কিছু ট্রেন দেরিতে ছাড়লেও শিডিউল জটিলতা নেই। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদের আগে ঢাকামুখী আন্তনগর ট্রেনগুলোর ১৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৩ এপ্রিল, ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৪ এপ্রিল, ১৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৫ এপ্রিল, ১৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৬ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৭ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করে ৯ এপ্রিল। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে বিক্রি করা হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বাড়ছে। গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকা ফিরছেন মানুষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে রোববার রাত থেকে মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের পরিমাণ বেড়েছে। সোমবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়েছে।  ওসি আরও বলেন, তবে কোথাও যানজটের ভোগান্তি নেই। ঈদ উৎসব শেষে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

ঈদযাত্রার শেষ দিন / গাবতলী-সায়েদাবাদে নেই যাত্রীর চাপ
ঈদের আগের দিন গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ কম দেখা গেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) কাউন্টারগুলোতে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে তারা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি গাড়ি অপেক্ষমান থাকলেও যাত্রীর চাপ কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে বাস কাউন্টারের স্টাফরা।   দেখা গেছে, গাবতলী স্টেশনে কোন যাত্রী আসলেই, হাঁক ছাড়ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কাউকে টেনে আনছেন কাউন্টারের কাছে। ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এবার আগেভাগেই গ্রামে গেছেন মানুষ। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে বাস পেলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। আর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাবতলীতে আসতে পোহাতে হচ্ছে বকশিস বিড়ম্বনা। মিরপুর ৬০ ফিট থেকে গাবতলী এসেছেন মাগুরা যাবেন আহমেদ শেখ ও তার স্ত্রী। তিনি বলেন, সব খানেই বকশিস। ১৫০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিলাম ২৫০ টাকা। অন্য সময় ৫৫০ টাকা ভাড়া, আজ নিল ৭০০ টাকা। আবার বলে চার্টের ভাড়া নিয়েছি, বকশিস দেন। ফরিদপুর যাচ্ছেন চম্পা ও তার স্বামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনে। তিনি বলেন, অন্য সময় ৩৫০ টাকা ভাড়া হলেও আজ নিচ্ছে ৫০০ টাকা। ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে ৩০০ টাকায় যাওয়া যেতো। কিন্তু সঙ্গে রোগী থাকায় ভেঙ্গে গেলাম না। অভিযোগ করে চাকরিজীবী আমিনুল হক বলেন, ভাড়া প্রতি ঈদেই পরিবহনের লোকেরা বেশি নেয়। চার্টের কথা বলে, এই চার্টেই তো ভাড়া বেশি রাখা হয়েছে। সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভাড়া বেশি রাখার সুযোগ নাই। বিআরটিএ, পুলিশ, মিডিয়া সবাই আছে। একটাকা বেশি রাখছিনা। কাউন্টারে যাত্রী কম জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ৮টা গাড়ি গেছে। সবগুলোই যাত্রী পূর্ণ করে গেছে। দুপুরে আরও ২টা গাড়ি আছে। সেগুলোর কোন স্ট্যান্ডিং টিকেট নাই। গোপালগঞ্জগামী সেবা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিকালে ২-৩টা বাস আছে। বাসের কয়েকটা টিকিট বিক্রি হয়নি। এবার যেহেতু লম্বা ছুটি যাত্রীরা আগেই বাড়ি গেছে। অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ায় আমরা ট্রিপের বাইরে নতুন কোনো বাস নামাতে পারিনি। এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. নজরুল বলেন, সকালে কিছু যাত্রী ছিল। এখন সেটাও নেই। সময় যতো বাড়বে যাত্রী চাপ ততো কমবে। আমরা ট্রিপও সেজন্য এখন কমাব। যাত্রীর চাপ না থাকলে বাড়তি গাড়ি ছেড়ে তো লাভ নেই। শ্যামলি কাউন্টারের মোফাজ্জল বলেন, যাত্রী কম। সকাল থেকে অনেক গাড়িই ছেড়েছে। কিন্তু যাত্রী সেভাবে হয়নি। সকাল থেকে আমার কাউন্টারে মাত্র ১৩টা টিকিট বিক্রি করেছি। মনে হয় দুপুরের পর যাত্রী পাওয়াই যাবে না। এস আলম পরিবহনের ম্যানেজার মোহাম্মদ নাইম বলেন, সকাল থেকে টুকটাক যাত্রী গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন যাত্রী কম। বাস যাচ্ছে, কারণ অন্য জায়গার কাউন্টার থেকেও যাত্রী উঠবে। কিন্তু সায়দাবাদে যে পরিমাণ যাত্রী থাকে তেমন তো পাচ্ছি না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছে আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত অফিস ছিল। তাই ভাবলাম আজ যাত্রীদের চাপ কম থাকবে, সেজন্য আজকে যাচ্ছি। যাত্রীর চাপ নেই, তাই যানজটহীনভাবে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারব বলে আশা করি। অনেক যাত্রী শেষ দিনেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ তুলেছেন । যাত্রীরা বলছেন, ঈদে বাড়ি ফেরা জরুরি, সেই সুযোগ নিচ্ছে বাস কর্তৃপক্ষ। বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন তারা। অন্যদিকে বাস কর্তৃপক্ষ বলছে, কোন বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যেটা ন্যায্য ভাড়া সেটাই নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে শেষ দিনের যাত্রায় লঞ্চঘাটেও নেই বাড়তি চাপ। তবে ঢাকা-চরফ্যাশন রুটের কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চটি যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি না ছাড়ায় যাত্রীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছেড়ে যায় লঞ্চটি।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কম
আর একদিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ট্রেন ও অসংখ্য পরিবহন চলছে বলে ঢাকার অধিকাংশ মানুষ সেপথেই যাত্রা করছে। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। চাপ কম থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে ও ফেরিতে পার হয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আসছেন।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় ছিল। যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চ থেকে দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে এসে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশসহ পরিবহন মালিকদের স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাট এলাকায় সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমী। ঈদ করতে নাড়ির টানে কুষ্টিয়া নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন তিনি। ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসলে কথা হয় তার সঙ্গে।  তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় এবার কোনো ভোগান্তি নেই। ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে না। ঈদে চাপ একটু থাকে। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ এবার খুবই কম। বেশির ভাগ যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারীদের এবার ভোগান্তি কম। আমি পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফাঁকা ছিল। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি বলতে গেলে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সক্ষমতা অনেক। কিন্তু সেই তুলনায় যানবাহন ও যাত্রী নেই। ঈদের আগে দৌলতদিয়াতে যাত্রীর চাপ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভাবনা কম। কারণ, বেশির ভাগ যানবাহন ও যাত্রী পদ্মা সেতু ব্যবহার করছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীরা এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় চাপ
ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে সেতুর টোল প্লাজায় ৭টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহনের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বিষয়ে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. জিয়া বলেন, ঈদের বাকি আর একদিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তাই এ সময়ে যানবাহনের চাপ একটু বেশি হবেই। পদ্মা সেতু এলাকায় ভোরে বাসের চেয়েও মোটরসাইকেলের চাপ বেশি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কমেছে। টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ গাড়ির সারি রয়েছে। আজ গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেলেও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রয়েছে। তবে বেপরোয়া মোটরসাইকেল যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ দিকে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথের মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোগান্তি ছাড়াই পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ বলেন, ভোরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা কমছে। আমরা সকাল থেকে মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। ওসি কাঞ্চন কুমার আরও বলেন, হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে এবার বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মহাসড়কে কাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বিভিন্নভাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫০

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের চাপ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদভর্তি যাত্রী নিয়েই রওনা করছে ট্রেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষের এ চাপকে স্বাভাবিক বলছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মানুষের চাপের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আগের মতো ট্রেন দেরিতে ছাড়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার অভিযোগ নেই যাত্রীদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি, কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি, কিন্তু এসেছেন কোনোভাবে যাওয়া যায় কি না। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। এ ছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ। রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী ফারিন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোনো ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্ত। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোনো অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ব্যাক্তিগত যানবাহনে বাড়ি ফিরছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানি জানান, রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যানচলাচলের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যানজটেন সৃষ্টি হয়নি।  তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ও ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১২ হাজার ২৩৬ যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে এক কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৮ যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এ থেকে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদের ছুটিতে যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

গাড়ির চাপ আছে, যানজট নেই: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান ঈদযাত্রায় কোনো যানজট নেই। তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে। পরে মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, বিএনপির এখন গলার জোর আর মুখের জোর। এছাড়া তারা শক্তিহীন। শক্তি কমে গেছে বলে বিএনপির মুখের বিষ বেড়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে গেছে বিএনপি। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে পত্রিকায় তাকালেই দেখি ফখরুলের বক্তব্য। দেশে নাকি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কোথায়? একটা লোকও কি না খেয়ে মারা গেছে? সংকট আছে তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি নেই। পৃথিবী জুড়ে সংকট চলছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সংকটও কাটিয়ে উঠবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা বিলিয়ে দেবে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক-সাবধান থাকতে বলেন সবাইকে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

সময় বাড়ায় মেট্রোরেলে স্বস্তি, রাতেও যাত্রীর চাপ
পবিত্র রমজান মাসে মানুষ যাতে ঈদের কেনাকাটা করে সহজে স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে সে জন্য মেট্রোরেলের সময় রাতে এক ঘণ্টা বাড়িয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে এ সময় বাড়ায়স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন এ সিদ্ধান্ত চমৎকার হয়েছে। রাতে যাতায়াতে মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। রাত ৯টার দিকে সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার স্টেশনে দেখা যায়, ট্রেনের জন্য অপক্ষো করছেন অনেক যাত্রী। এসময় অনেক যাত্রীকে দেখা যায় এমআরটি পাসে রিচার্জ করছেন, কিনছেন টিকিট। বাংলামোটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সুফিয়ান সাদি। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, খুব ভাল হয়েছে। মেট্রোরেল চলাচলে এক ঘণ্টা সময় বাড়ানোয় মানুষ এখন কাজ শেষ করে দ্রুত বাসায় যেতে পারবেন। তবে সময়টা আরও বাড়ানো উচিত। কেননা রাজধানীতে রাতেই জ্যাম থাকে। রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু থাকলে মানুষের ভোগান্তি অনেকেটাই কমবে। রিয়াদ মোর্শেদ ফাহিম। কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে চাকরি করেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের সময় বাড়ানোয় খুব ভালো হয়েছে। অফিস কাছে হলেও মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারতাম না। একঘণ্টা সময় বাড়ানোর ফলে সুযোগটা তৈরি হয়েছে। এখন নিয়মিত মেট্রোরেলে চলাচল করা যাবে। তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে বাসে চলাচল যে কতটা ভোগান্তির তা ভুক্তভোগী সবাই জানে। এবার সেই ভোগান্তি পোহাতে হবে না। তবে এই সময় একঘণ্টা নয়, আরও বাড়ানো হলে মানুষ নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারবে। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য তিনি আজই এমআরটি পাস নিয়েছেন বলেও জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেল এখন একটি নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো ও চলমান যাত্রীবহনকারী বগীর সাথে নতুন বগীর সংযোজন মানুষের আগ্রহের জায়গা আরো বৃদ্ধি করবে।  তিনি আরও বলেন, যানজট, গণপরিবহনে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা, আরামদায়ক যাতায়াত ও নাগরিক জীবনে সৃষ্ট ভোগান্তি নিরসনে মেট্রোরেল সময়োপযোগী একটি উপায় হিসেবে স্বস্তি ও নিরাপদে চলাচলের সুযোগ দিচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা ও আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় এনে চলাচলের সময় ও অধিক যাত্রী ধারণের ব্যবস্থা দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ড. তৌহিদুল হক বলেন, যানজট সৃষ্ট সমস্যা মানুষের কর্মক্ষমতা নষ্ট করছে ও মনস্তাত্ত্বিক ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। ফলে মেট্রোরেল নিয়ে এক ধরনের প্রত্যাশা ও নির্ভরযোগ্যতার বাস্তবতা লক্ষণীয়। তাই এই সুবিধা আরো দ্রুত বৃদ্ধিকরণ এবং মেট্রোরেলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সকল ধরনের নিরাপত্তার অপরিহার্য। রমজানে রাতে একঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে, মানুষের চাহিদার বিবেচনায় এ সময় আরও বাড়ানো প্রয়োজন। ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কারওয়ানবাজার স্টেশনের বিপণন কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম দিনেই যাত্রীদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। সময় বাড়াতে যাত্রীরাও খুব খুশি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সিঙ্গেল এন্ট্রি যাত্রীরা রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো স্টেশনে এসে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। যাদের এমআরটি পাস আছে, তারা রাত ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সবশেষ ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। উত্তরা থেকে ট্রেন ছাড়ার শেষ সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, উত্তরা থেকে রাত ৯টায় সবশেষ ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। যাদের এমআরটি পাস আছে তারা রাত ৯টার মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল যাতায়াত করতে পারবেন। এদিকে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, ঈদের কেনাকাটার জন্য বের হওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে মেট্রোরেলের সময় বাড়ানো হয়েছে। রোজা শেষে আবারও আগের সময়সূচিতে ফিরবে মেট্রোরেল। তবে চাহিদা থাকলে এই সময়সূচি নিয়মিত রাখারও পরিকল্পনা আছে। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে উত্তরা থেকে সবশেষ ট্রেন ৯টা এবং মতিঝিল থেকে সবশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে। শেষের এই এক ঘণ্টায় ১২ মিনিট পরপর চলবে ট্রেন। এতে ১০টি ট্রিপ বেশি চলবে মেট্রোরেল। আগে দিনে ১৮৪ বার চললেও এখন চলবে ১৯৪ বার। এ ছাড়া রমজানে র‍্যাপিড পাস বা এমআরটি পাসে ৬০ মিনিটের বদলে ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ‘পেইড জোনে’ অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। ইফতারের সময় মেট্রোরেলে ২৫০ এমএল পানির বোতল সঙ্গে রাখতে পারবেন যাত্রীরা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫

অভিযান বন্ধে নাবিকদের চাপ দিচ্ছে দস্যুরা
কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে দস্যুদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন খবরে অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে দস্যুরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, গত দুদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী জিম্মি হওয়া জাহাজটিকে চাপের মুখে রেখেছে। অন্যদিকে দস্যুরাও অভিযান বন্ধ করতে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে। দস্যুরা নৌবাহিনীর উদ্দেশে বলেছে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে। এদিকে, জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।  জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম’র মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছি না। তাছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট বার্তা হচ্ছে সহিংস অভিযান পরিচালনা করা যাবে না। তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়