• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
হাইকোর্ট রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার তথ্য চেয়েছেন। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩৮ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে বলেছেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ নিয়ে এক আদেশ দেন। স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের রিটের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারকরা। মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে গতকাল ২৩ এপ্রিল রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে রিটে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেয়ার আর্জি জানানো হয়। সে পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ জন রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা / ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান রিয়াজ 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা।  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।  এদিকে খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি চরম ন্যক্কারজনক বলে মনে করছেন শোবিজের তারকারাও। সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। ন্যক্কারজনক এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।    সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের  কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধন বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।  রিয়াজ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। এমনটা আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না।  অপ্রীতিকর এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিনেতা বলেন, আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বেনাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রিয়াজ লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।  ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে চান মুশতাক
বিসিবিতে ব্যস্ত কর্তারা। বোর্ডে এদিন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের প্রায় সবাই উপস্থিত। ক্যামেরার লেন্সের ফোকাস মুশতাক আহমেদের দিকে। বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ বিসিবিতে এসে এদিন ব্যস্ত সময় পার করেছেন।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার দিনে হোম অব ক্রিকেটে ক্রিকেটীয় আমেজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে মুশতাক আহমেদের অ্যাসাইনমেন্ট। মিরপুরে এসে রোমন্থন করলেন স্মৃতি। সেখানে উঠে আসে তার খেলোয়াড়ি জীবনের নানান কথা। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের ভাষ্য, ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের কয়েক বছর পর, ৯৩ সালে আমি দলের নিয়মিত সদস্য। আমি এখানে এসে বেশ আনন্দ পাই। বাংলাদেশি মানুষ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেশ পছন্দ করে। তাদের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের খাবার ও আবহাওয়া সবই উপভোগ্য। আমার মনে আছে, আমি ১৯৯৮ সালে সবশেষ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছি। বাংলাদেশে এসে প্রথম দিনেই জানালেন লাল-সবুজের স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টে বৈচিত্র্য আনতে চান। দেখাতে চান কোচ হিসেবে নিজের মুনশিয়ানা। তার দাবি, আমি মনে করি কাজটা চ্যালেঞ্জিং। একজন কোচ হিসেবে কোথাও কাজ করতে গেলে সেখানকার পরিবেশ ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, আমি বাংলাদেশের স্পিন বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন আনতে পারবো। আমি জানি, এখানে বেশ ভালো মানের স্পিনার আছে। এদিকে বিসিবিতে এদিন বৈঠক করেছে কোচিং প্যানেল। বোর্ডে এসে ব্যস্ত সময় পার করেছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহেও।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯

বেনজীরের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। এ সময় তিনি হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ নিয়ে এক আবেদন জমা দেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছি। সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, ‘বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।’ দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত-আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যাসন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। পরে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসেছে। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকের দ্বারস্থ হয়েছি। দুদক আমলে না নিলে হাইকোর্ট আছে মন্তব্য করে সুমন বলেন, সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ দেখে সৎ পুলিশ অফিসার খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে, আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন ২০ এপ্রিল। ভিডিওতে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এসবের দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

ফর্মে থাকা নারিনকে বিশ্বকাপে চান পাওয়েল
অবসর ভেঙে ঘরের মাঠে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য সুনীল নারিনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে প্রচেষ্টা করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন নারিন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বল হাতে দুই উইকেটও নেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৪ বছর আগে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ৩৫ বছর বয়সী নারিন। তবে আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে নারিনকে পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন পাওয়েল।  রাজস্থানের হয়ে খেলা পাওয়েলের ভাষ্য, ‘গত ১২ মাস ধরে তার কানে ফিসফিস করছি আমি। কিন্তু সে কারও কথাই শুনছে না।’ এদিকে পাওয়েলের আশা, আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিনিয়র ক্রিকেটার কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো এবং নিকোলাস পুরাণরা তাকে রাজি করাতে পারবেন। পোলার্ড ও ব্রাভো কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে লখনৌর হয়ে খেলছেন পুরাণ। ক্যারিবীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পুরাণ। বাঁ-হাতি ব্যাটার নারিন সাধারণত মিডল কিংবা লোয়ার-অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন। কিন্তু আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার ইনিংস উদ্বোধন করছেন তিনি। মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। এখন পর্যন্ত এবারের আসরে ২৭৬ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি হাই-স্কোরিং উইকেটে বল হাতে ৬ দশমিক ৮৭ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট শিকার করেছেন। এবারের মৌসুমের শুরুতে নারিন বলেছিলেন, ‘বাড়িতে বসে আগামী বিশ্বকাপ দেখবেন।’ কিন্তু সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরে আসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রহস্যময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নারিন। ২০১২ সালে অভিষেকের পর ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলা নারিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে। তবে দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি হয়।’
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৩

স্মৃতিকথা / ‘চান উইল্ল্যে চান উইল্ল্যে, হালিয়ে ঈদ’
আমার গ্রামের নাম গুনাগরী। চট্টগ্রাম শহর থেকে দুইটা মোটামুটি বিখ্যাত নদী পার হয়ে যেতে হয়। প্রথমটা কর্ণফুলী। দ্বিতীয়টা সাঙ্গু বা শঙ্খ। দুই নদীর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে একসময় আপনার চোখ প্রবেশ করবে দুইপাশে সবুজের ছড়াছড়ি আর সর্পিলদেহী একটা মোটামুটি সংকীর্ণ হাইওয়েতে। যার পুবে উঁচু পাহাড় আর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি ও খেতখামার। আর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। সবজি আর ধানের মাঠ। যেখানে প্রায় সারা বছরই চাষ হয়। খিল নেই কোনো জমি। আরও পশ্চিমে গেলে, কয়েক কিলোমিটার জনবহুল এলাকা ফেলে, বঙ্গোপসাগর; যার পাড়ে দাঁড়িয়ে আপনি আকাশ আর জলরাশি ছাড়া আর কিছুই দেখবেন না। আসলে ওদিকটাতে আর কোনো বসতির চিহ্ন নেই। পাড়ের কোনো নিশানা নেই। আমার নানারা বলতেন, আমাদের পশ্চিমে বেমান সাইগর! আমি জীবনের প্রথম ষোলো বছর কাটিয়ে এসেছি এই বাঁশখালী উপজেলায়। একসময় রাস্তাঘাট তেমন পাকা ছিলো না। শুধু মেইন রোড বাদ দিলে আর সব রাস্তাই বর্ষাকালে কাদামাটির দমদমা হয়ে যেতো।  শীতকালে অবশ্যই সুন্দর লাগতো সবকিছু। বিল পাতাড়ি হাঁটাই ছিলো যোগাযোগের অন্যতম সহজ উপায়। শহর থেকে যেতে গেলেও পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। সাঙ্গুর উপর দিয়ে ফেরি পার হয়ে। মিস হলে সাম্পান। সাম্পানওয়ালার সেই বিখ্যাত গান তো দেশের প্রায় সবাই জানেন। ‘বাঁশখালী -মহেশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সামপান/গুরগুরাই টানে/তোরা হন হন যাবি আঁর সাম্পানে!’  আমাদের ছোটো বেলায় ঈদ হতো শীতকালে। সেসময় স্কুলের প্যারা থাকতো না। নিরবচ্ছিন্ন অবসর যাকে বলে। তো, রোজা আর ঈদ ছিলো আমাদের ছিলো বিশাল এক উপলক্ষ। রোজার আগে আগে মক্তবের মিজ্জি আমাদেরকে রোজার প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন। দলবেঁধে সুরা তারাবি, রাতে কেয়ামুল লাইল, সেহেরির আগে গজল পরিবেশনে আমাদের কয়েকজনের দায়িত্ব ছিলো বেশি। বিশেষ করে হুজুর যাদেরকে তাঁর পাঠশালার মেধাবী ছাত্র মনে করতেন! সৌভাগ্যক্রমে আমি ছিলাম হুজুরের প্রিয়। তাই আমার অংশগ্রহণ ছিলো অগ্রভাগে।  সেহেরিতে উঠে খাওয়ার আগে মসজিদে গিয়ে ‘রোজাদার অক্কল ঘুমত্তুন উড়ি যনগুই’ কয়েকবার বলে লোকজনকে ডেকে দিয়ে শুরু করতাম গজল গাওয়া। ‘ওহে সকালের বাতাস তুমি কোথায় চলে যাও?/ মদিনার খুশবু তুমি আমায় দিয়ে যাও’, ‘ওগো মদিনা মনোয়ারা হে,/ ওগো মদিনা মনোয়ারা’, ইত্যাদি গজল গাইতাম। রোজা শেষ হওয়ার আগে আগে আমরা ঈদের প্রস্তুতি সেরে নিতাম। তবে অন্য দশজনের মতো ঈদ ছিলো না আমার। আমাদের স্কুলে একটা প্রবন্ধ বা নিবন্ধ ছিল এতিমদের নিয়ে। ঈদের দিন তাদের দুঃখী মুখে রাসুল (সা.) হাসি ফুটাতে বলেছিলেন। আমার বাবা-মা দুইজন থাকলেও নিজেকে আমি এতিম মনে করতাম। কারণ, আমি তাদের কারো ঘরে থাকতাম না। থাকতাম নানা বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবে আমার মনে সবসময় একটা ভয় কাজ করত। কারো কাছে ঈদেও জামা চাইতে পারতাম না! ঈদের আগের দিন দেখা যেতো আমার মা তার নতুন সংসার থেকে একটা শার্ট পাঠাত। আর বাবা এলাকার এক লোককে দিয়ে চাঁদরাতে বা তার আগের দিন একটা কী দুইটা শার্ট পাঠাতেন। দুয়েকবার বাঁশিসহ জুতো। অবশ্যই নানাভাইও একটা কিনে দিতেন। সেটা কোনো মার্কেট থেকে নয়। হকার থেকে। আমরা তখন হকারকে নিলামি টাল বলতাম! ঈদ তবুও খুশির উপলক্ষ ছিল।  মসজিদের হুজুর তার খুতবা পূর্ববর্তী ওয়াজে প্রায়ই বলতেন ঈদ আসলে রোজাদারের জন্য। অন্যরা সেদিন ঈদ মানে খুশি সেটা বুঝতে পারে না। এই বুঝ নিয়ে চাঁদ ওঠা সন্ধ্যায় রাজ্যের যত আগ্রহ নিয়ে মাগরিবের নামাজ কোনো রকম ফরজটুকু পড়ে আমরা মিছিলে চলে যেতাম। ‘চান উইল্ল্যে, চান উইল্ল্যে’, ‘আঁজিয়ে রোজা/হালিয়ে ঈদ, তোর মা কাঁদের ফিইতফিইত!’ তারপর বাড়ির পশ্চিমে আদ্দুনী বিলের মোহনায় গিয়ে নতুন চাঁদ দেখে গড়্গড়িয়ে পড়তাম, নতুন চাঁদ উঠিলে এই দোয়া পড়িতে হয়- আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’  ঈদের দিন খুব ভোরে আমার ঘুম ভেঙে যেত খিদেয়; যা এখনো ঘটে। দীর্ঘ ত্রিশ দিন সেহেরি খাওয়ার অভ্যাসের কারণে এইদিন খিদে লেগে যায় ভোরে। আযানের সাথে সাথে মসজিদে যেতাম। নামাজ সেরে আবারো গজল ধরতাম। যা চলতো দিন শুরু পর্যন্ত। ঈদের জামাতেও আগে আগে যেতাম। নামাজের আগে যদি আরেকবার গজল গাওয়ার সুযোগ পাই! এবং, সেটা জুটতো। আরো দুয়েকটা গজল গাওয়ার সুযোগ পেতাম!  জামাত শেষে শুরু হয়ে যেতো আমাদের ঈদচলা। পুরো গ্রাম ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম। সন্ধ্যা নামার আগে ঘরে ফিরতাম। আমাদের দল ছিলো মোটামুটি আট দশ জনের। দলের তেমন কারো সাথে এখন যোগাযোগ নেই অবশ্যই।এদের অধিকাংশই  মধ্যপ্রাচ্যে এখন। তো, আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে সবাইকে কদমবুসি করতাম। লাল সেমাই, জর্দাসেমাই, মুরাব্বা, লাচ্ছাসেমাই আর বোম্বে সেমাই ছিলো ঈদের খাবার। যাদের কৃষি ছিলো, তাদের ঘরে ঘুরাপিঠা বা চুটকি বানানো হতো। গুড়, দুধ আর নারিকেল দিয়ে বানানো হতো এই পিঠা। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাসা হলে আমরা দেশি মুরগী অথবা গরু মাংস দিয়ে ভাত খেতাম!  তবে সেমাই আর পানিতে সেদিন আমাদের পেট হয়ে উঠতো একেকটা চালের মটকা! তখন সেলামীর অত চল ছিলো  না। তবুও আমাদের কিছু নির্দিষ্ট টার্গেট থাকতো। আমার মার কাছে গেলে পাঁচ টাকা পেতাম!  আরো কিছু কিছু আত্মীয় বা পরিচিত মানুষের ঘরে গেলো আমাদেরকে  দোয়েলপাখির ছবিসহ দুই টাকার নতুন নোট দিতেন! এক টাকার হরিণমার্কা নোটও ছিলো আমাদের আগ্রহের তালিকায় । ঈদে সাকুল্যে দশ বারো টাকা পেতাম। সেটা দিয়ে নানারকম প্ল্যান করতাম। আর দিনশেষে আইস্ক্রিমওয়ালার পকেটে যেতো এর একটা অংশ।  অবশ্যই প্রায়সময় আমি কলম কিনে রাখতাম এই টাকা দিয়ে।  একসময় গ্রামের ঈদ মানে ছিলো অনাবিল আনন্দ। আমার এক বন্ধু ঈদ কার্ড দিতো আমাকে। সেখানে লেখা থাকতো, ঈদ আপনার জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ। আর উপরে সে লিখে দিতো, ঈদ মানে খুশির দিন।আসতে হবে ঈদের দিন! ঈদের আগে আমার টার্গেট থাকতো বাণী সম্বলিত  ছোটো ছোটো কার্ডের দিকে। দুই টাকার এসব কার্ড লাগিয়ে ঘরের সৌন্দর্য একটু বাড়াতে চাইতাম। কারণ স্কুলে আমার বন্ধুদের প্রায় সবারই বাবা চাকুরিজীবী ছিলেন। ওদের স্বচ্ছলতার গল্প শুনে ভয়ে কুঁকড়ে থাকতাম আমাদের ঘরে আসলে কি ভাববে! অবশ্যই আমার নানুর আন্তরিকতা যাবতীয় সব শংকা দূর করে দিতো। তবে আমার বন্ধুদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া ছিলো। তারা আমাকে কখনো বাবা মা কোথায় সেটা জানতে চাইতো না। আমার কাছে গ্রামের ঈদের প্রতি আজো একটা মোহ কাজ করে। ঈদ মানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের সাথে দেখা হওয়া। বছরে একবারের জন্য হলেও প্রায় শ’খানেক বাড়িতে গিয়ে কুশল বিনিময় করা। ভালো মন্দ কিছু খেতে পারা। একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা পরস্পরের মধ্যে৷ সারা বছরের যাবতীয় সব গ্লানি অনায়াসে ভুলে গিয়ে এই একটা দিনে আমরা সকল ভেদাভেদ অতিক্রম করে কাঁধে কাঁধ রেখে দাঁড়িয়ে যেতাম ঈদের নামাজে৷ বেরিয়ে পরস্পর কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি। সেমাই খাওয়া দিন ভর। যার ছিঁটফোটাও নেই শহুরে নাগরিক জীবনে।  ঈদ মানে আমার কাছে গ্রামে যাওয়া। যেখানে বেড়ে উঠেছি। যাদের সাথে বড় হয়েছি সুখ, দুঃখ, ক্লেদ ও আনন্দে। বছর শেষে আবারো সবার সাথে হাসি বিনিময়। সালাম বিনিময়। অধুনা প্রচলিত সেলামি তো আছেই! ঈদ সবার জীবনে এক দিনের জন্য হলেও হাসি ফোটাক। দুঃখ, মান-অভিমান ভুলে সবাই গেয়ে উঠুক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক!  লেখক : শিক্ষক ও অনুবাদক, ইংরেজি বিভাগ, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৫

দস্যুদের কবলে জিম্মি জাহাজ / মুক্তির পর আমিরাত থেকেই ফিরতে চান নাবিকরা
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের কবলে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো মুক্ত হয়নি। দ্রুতই জাহাজটি মুক্তি পাবে এমন আশা করছেন মালিকপক্ষ। জাহাজটি মুক্তির পর যাতে দ্রুত নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। এমনটিই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।  প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জাহাজটি মুক্ত হলে নাবিকেরা কোথা থেকে সাইন অফ করবেন তথা জাহাজের কর্ম হতে অব্যাহতি নিবেন, তার তালিকা জাহাজের ক্যাপ্টেনকে দেওয়ার জন্য মালিকপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । সেই নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নাবিকরা একটি তালিকা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি।  সূত্র জানায়, মালিকপক্ষের নির্দেশনার পরজাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে সাইন অফ করবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে বাকি পাঁচজন সাইন অফ করবেন। জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করছি, কম সময়ের মধ্যে নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে পারব। কয়লা নিয়ে জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি মুক্ত হলে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বন্দরে নেওয়া হবে। সেখানে কয়লা খালাসের পর চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে। তাই নাবিকদের মধ্যে কারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সাইন অফ করবেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করছে মালিকপক্ষ। যতজন নাবিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকে নেমে যাবেন, ততজন নাবিক বাংলাদেশ থেকে সেখানে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার অগ্রগতি হয়েছে বলে  জানিয়েছে কবির গ্রুপ। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতার কথা বলেনি তারা।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩২

আমিরকে জাতীয় দলে দেখতে চান না রমিজ রাজা
২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। ১৪ বছর হলেও আমিরকে এখনও ক্ষমা করতে পারেননি সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। তাই আমিরের জাতীয় দলে ফেরা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির। তবে ২০২০ সালের পর অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার পথে এই বাঁহাতি পেসার। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। গত মাসে আমির জানিয়েছেন, অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরতে ইচ্ছুক তিনি। দলে চতুর্থ পেসার হিসেবে বিশ্বকাপে ভূমিকা রাখার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ উপলক্ষে সামরিক প্রশিক্ষণের ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে আমিরকে। মূল দলেও তার থাকার আভাস স্পষ্ট। এই বিষয়ে পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে রমিজ রাজা বলেন, এই ব্যাপারে আমার মতামত খুবই সোজসাপ্টা। দেখুন ক্রিকেট শোধরানোর শপথ আমি নেইনি। তবে সমাজ ও ভক্তদের জন্য এটা বোঝা জরুরি। লর্ডস টেস্টে আমি তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম।  ‘মানুষ তখন আমাকেও ঘৃণা করা শুরু করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ফিক্সারদের সঙ্গে আমাকেও দেখা গেছে। যে সমালোচনার মুখে আমরা পড়েছিলাম কখনোই ভোলার নয়।’ তিনি আরও বলেন, আমিরের প্রতি সহানুভূতি থাকলেও কোনো দয়া নেই। সৃষ্টিকর্তা এই পথে না নেক, তবে আমার ছেলেও যদি এই কাজ করে তাকে আমি ত্যাজ্য করে দেবো।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

প্যারিস অলিম্পিকে এমবাপ্পেকে চান ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকে জাতীয় দলের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পের খেলার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি রাজধানীতে একটি স্কুল পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমে এ সম্পর্কে ম্যাক্রোঁ বলেন, আশা করছি সে অলিম্পিক গেমসে খেলতে পারবে।’ এর আগে অলিম্পিকে ফ্রান্সকে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন এমবাপ্পে।  কিন্তু সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ স্পষ্ট ভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে তারা তাদের কোন খেলোয়াড়কে অলিম্পিকে অংশ নিতে অনুমতি দিবে না। বিশ্বকাপ বিজয়ী ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বর্তমানে পিএসজিতে খেললেও লিগ ওয়ানের ক্লাবটির সাথে তার এ মৌসুমের পরেই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদই হতে যাচ্ছে তার সম্ভাব্য পরবর্তী গন্তব্য। অলিম্পিকে প্রতিটি দেশের অনুর্ধ্ব-২৩ দলটি অংশ নিয়ে থাকে, তবে সেই দলে তিনজন বেশী বয়সী খেলোয়াড় খেলানোর নিয়ম রয়েছে। অলিম্পিকের ম্যাচগুলো ফিফার আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য নয়। এদিকে আগামী ১৪ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো ২০২৪-এ ফ্রান্স দলকে নেতৃত্ব দেবেন এমবাপ্পে। অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট ২৪ জুলাই শুরু হয়ে ৯ আগস্ট শেষ হবে। গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ড। গ্রুপের শেষ দল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, লেস ব্লুজরা  ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করতে পারলে  তিনি জার্মানিতে গিয়ে খেলা দেখবেন। বার্লিনে যেদিন ইউরোর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সেই ১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৮

বিয়ের পর যে কারণে সিনেমা ছেড়ে দিতে চান পূজা চেরি
ক্যারিয়ারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। সিনেমায় পূজার সঙ্গী হয়েছেন আদর আজাদ। বর্তমানে তাই এই সিনেমার প্রচারণার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পূজা। এদিকে দিন কয়েক আগেই মা হারিয়েছেন পূজা। ফলে ঈদ ও সিনেমা নিয়ে এখন খুব একটা উচ্ছ্বসিত নন তিনি। কিন্তু তবুও পেশাগত কারণে সিনেমার প্রচারণা করছেন। কারণ তার মায়েরই স্বপ্ন ছিল নায়িকা হবেন পূজা। মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই নিজের কাজ গুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে করতে চান।  তবে সম্প্রতি সিনেমার প্রচারণা অনুষ্ঠানে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন পূজা। এসময় তিনি জানান, বিয়ের পর পূজার পরিবার যদি চায় তাহলে আর সিনেমা করবেন না। বিদায় নেবেন শোবিজ দুনিয়া থেকে। পূজা বলেন, এবার ঈদে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, সেটা অবশ্যই অনেক আনন্দের। আবার অন্যদিক থেকে ভীষণ কষ্টেরও। কেননা— এই ঈদে আমার মা নেই। এরপরও আমাকে অভিনয় এবং সিনেমার প্রোমোশনে যেতে হবে। কারণ এটা আমার পেশা। যে পেশায় সফলতা পেলে সবথেকে বেশি খুশি হবে আম্মু। এজন্য তার স্বপ্ন পূরণে কাজটি মন দিয়ে করতে চাই আমি। মাকে হারানোর পর এখন পরিবারই সবকিছু উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা বলেন, পরিবার যদি চায় বিয়ের পর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিতে হবে, তাহলে ছেড়ে দিব। আমার মায়ের নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা ছিল। তিনি হতে পারেননি। তবে আমাকে বানিয়েছেন। আর এখন মা নেই। এখন পরিবারই আমার কাছে সব। পূজা আরও বলেন, পরিবার চাইলে বিয়ে করে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব আমি। আমার কাছে তাদের চাওয়াই সব। আর এই ঈদে কোনো আনন্দ নেই আমার। শপিংও নেই। সিনেমার প্রচারে বের হব,  পরে ফের বাসায় চলে যাব। প্রসঙ্গত, রোমান্টিক ধাঁচের সিনেমা পূজা অভিনীত ‘লিপস্টিক’। গ্রাম থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আসে বুচি নামের এক কিশোরী। একপর্যায়ে নায়িকাও হয়ে যান। কিন্তু এরপরই শুরু হয় তার ভিন্ন এক জীবন। সিনেমায় বুচির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়