• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাইকে লোক ডেকে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এক ছাত্রীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট-সংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।  জানা গেছে, গত ১২ মার্চ চবির কর্মচারী স্থানীয় বখতিয়ার উদ্দিনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল চবি ছাত্রলীগের একাংশের। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিচারের দাবি করছিলেন বখতিয়ারের অনুসারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ছাড়া স্থানীয়রা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে তাদের মামলাও নেওয়া হয়নি। এ ঘটনার জের ধরে তারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট অবরোধ করে রাখে এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে।  আহত শিক্ষার্থী শাহাদাত বলেন, মাইশার আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তিনি তাকে এগিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। তিনটার দিকে ১ নম্বর গেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গোলচত্বর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন তারা। পরে অটোরিকশাটি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন পথ আটকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাদের। এতে মাইশার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেছেন স্থানীয় লোকজন। মাথার চুলও কিছুটা পুড়িয়ে দিয়েছেন তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।  তবে মারধরের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, তিনি কাউকে মারধর করা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ শাহা জয় বলেন, স্থানীয়রা আমাদের ছাত্রদেরকে মারধর করেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন। ছাত্ররা মারধরের বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন।   
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

দুর্ঘটনার কবলে চবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বহনকারী বাস
রাজশাহী যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিনিধি ও প্রশ্নপত্র বহনকারী বাস। তবে এ ঘটনায় প্রশ্নপত্র সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় দুর্ঘটনার শিকার হয় বাসটি। এরপর গাড়ি পরিবর্তন করে আবারও রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রতিনিধিরা। চবি ‘ডি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, রাজশাহী যাওয়ার পথে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে এ ঘটনায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সুরক্ষিত আছে। প্রসঙ্গত, শনিবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হবে চবির আইন অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

এক নেতাকে কোপানোর জের, ফের সংঘর্ষে জড়ালো চবি ছাত্রলীগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির এক নেতাকে কোপানোর জেরে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষে জড়ানো এ দুটি পক্ষ হলো সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি)। এ দুটি পক্ষের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের আরেক উপপক্ষ ‘বিজয়ের’ দুদফা সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই সমাঝোতায় আসেনি। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর রেশ ধরে রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে সিক্সটি নাইনের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটি জানাজানি হওয়ার পর সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ দুটি হল পাশাপাশি। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সিক্সটি নাইনের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তাদের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে।  জানতে চেয়ে সিএফসি উপপক্ষের নেতা সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওই পক্ষের আরেক নেতা সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসেন বলেন, তাদের ২ জুনিয়রকে মারধর করা হয়েছে। পরে তারা এটি প্রতিহত করছেন। মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে চাইলে রমজান হোসেন বলেন, জুনিয়রকে মারতে গিয়ে ওই নেতা ব্যাথা পেয়েছে। তারা কাউকে মারেননি। জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির আরও তিন সদস্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমানে কমিটি নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনার পর গত বছর ২৪ এপ্রিল এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। এ দুটি পক্ষ আবার ১১টি উপপক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের আর বাকি নয়টি উপপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

রুমে ডেকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন স্যার : চবি ছাত্রী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের জৈব শাখার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘আমি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে মাস্টার্সের থিসিস করছি। থিসিস চলাকালে আমার সুপারভাইজারের মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন। ওই ছাত্রী আরও বলেন, জোর করে হাত-পা চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে জোরপূর্বক স্পর্শ করাসহ অসঙ্গত ও অনুপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি ল্যাবে একা কাজ করা অবস্থায় তিনি জোর করে জড়িয়ে ধরেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা প্রকাশ না করতে ওই শিক্ষক বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একই সঙ্গে আমার পক্ষে এ গবেষণাগারে থিসিসের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এমনিতেই আমি বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে আছি, তার ওপর এ অভিযোগ। ৩১ বছরের শিক্ষকতা জীবন পার করছি, কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। আমার বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছে, যার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ওই ছাত্রী বিভিন্ন সময় আমার ঘরে আসত। আমার স্ত্রীর সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক। আমার বয়স হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা আমি কেন করব। আমার এক ছাত্রর কাছ থেকে দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। থিসিসের কারণে বিভিন্ন সময় কেমিক্যাল চাইতো ছাত্রীটি। আমি অনেক ক্ষেত্রে দিইনি। হয়তো সে কারণে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য এই চেষ্টা বলে জানান অধ্যাপক।’ এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান দেবাশীষ পালিত জানান, শিক্ষক হিসেবে আমাদের কাছে বিষয়টি লজ্জার। ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন অভিযুক্ত শিক্ষক। উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে  ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়