• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

ঘরে বসে টেলিস্কোপ তৈরি করল কিশোর ফারাবী 
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক যুবক নিজ হাতে টেলিস্কোপ তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন তার বাড়িতে এটি দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। রাজারহাটের সেই যুবকের নাম ফাহাদ আল ফারাবী (১৬)। এত কম বয়সে টেলিস্কোপ তৈরিতে সফলতা পাওয়ায় সে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। পোষা বিড়ালের নামে টেলিস্কোপটির নাম দিয়েছে সে এনইকেও-কে-১।  ফাহাদ তার মেধা ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে টেলিস্কোপ বানিয়েছে। আর তাই তার এমন প্রতিভা দেখে খুশি এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা। তার আবিষ্কৃত টেলিস্কোপের মাধ্যমে খালি চোখে চাঁদ, সূর্যের স্পষ্ট ছবি দেখতে পাওয়ায় প্রতিদিন তার বাড়িতে অনেক মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফাহাদ আল ফারাবী রাজারহাট উপজেলার মেকুটারী গ্রামের জয়নুল আবেদীন ও পারভীন খন্দকারের ছোট ছেলে। সে রাজার হাট পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমানে মাত্র দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে বলে জানা গেছে।  ফাহাদ আল ফারাবী ছোটবেলা থেকে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। বইয়ের পাতায় গ্রহ, নক্ষত্র ও উপগ্রহের অবস্থান পড়ে দেখার খুব ইচ্ছে হয় তার। ২০২১ সালের শেষে টেলিস্কোপ বানানো সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে থাকে সে। একপর্যায়ে সে পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে টেলিস্কোপ কিনতে পাওয়া যায়। বাজারে একটি টেলিস্কোপের দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষার্থী হয়ে এত টাকা সংগ্রহ করতে পারবে না বলে ২০২৩ সালে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় সে। এ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিলেন ফাহাদ আল ফারাবীর বড় ভাই ফাহমিদ আল জাবের। তিন মাসের মধ্যে টেলিস্কোপ বানাতে পেরে খুশি ফাহাদ আল ফারাবী।  ফাহাদ আল ফারাবীর ইচ্ছে, সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে টেলিস্কোপ নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহীদের মাঝে স্বল্প দামে তা সরবরাহ করবে।  এ বিষয়ে ফারাবী জানায়, আমি ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে কাজ করছি। এস্ট্রোনমি ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় কাজ করতে পারিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার এক এস্ট্রোনমি হাউজ থেকে যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে টেলিস্কোপটি বানাতে সক্ষম হই। আমি এখন অত্যন্ত খুশি। ছড়িয়ে দিতে চাই এটি সবখানে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬

তীব্র তাপদাহে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন ও কৃষক মাসুদ মিয়ার ৫৫ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ধানগুলো মাড়াই করে কৃষকদের ঘরে তুলে দিয়েছেন তারা। এতে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা ওই দুই কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন। কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরি এবার বাড়তি। অন্যদিকে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক এখনো আসা শুরু করেনি। ঝড় বৃষ্টির শঙ্কায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ খবর শুনে আমার ২৫ শতাংশ জমিতে থাকা ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাদের এমন কাজে আমি ভীষণ খুশি।’ কৃষক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘ধারদেনা করে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ করেছি। সার, বীজ ও কীটনাশকের বাড়তি দামের কারণে খরচ অনেক বেশি হয়েছে। পাকা ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। গরমের কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে রাজি না। করলেও বাড়তি দাম দিতে হয়। কোনো প্রতিদান ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। আশা করি তারা আমার মতো অন্য কৃষকদের পাশেও দাঁড়াবে।’ ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমিক সংকটের কারণে যেসব কৃষক পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না আমরা তাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকের যেমন উপকার হচ্ছে তেমনি আমরাও কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’ নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল হুদা বাপ্পি বলেন, ‘কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া মহৎ কাজ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, খরচ ১২০ টাকা
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) তৈরি কিট দিয়ে এখন ঘরে বসেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি নামক কিটটির মূল্য মাত্র ১২০ টাকা। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান। তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা। ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি এবং এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি। জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়। বিআরআইসিএম কর্মকর্তারা বলেন, সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার তাদের কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। তারা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পরীক্ষার কিটগুলো কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো অর্ডার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যেকোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৫

ঘরে ঝুলছিল তরুণের মরদেহ
রাজধানীর খিলগাঁও সিপাহীবাগের একটি বাসা থেকে জামাল (২২) নামের এক রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা গলায় রশি পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। জামালপুর সদর উপজেলার নুর মিয়ার ছেলে জামাল।  পুলিশের ধারণা, হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, সিপাহীবাগ ঝিলপাড় হাসমতের টিনসেড বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকতেন জামাল। কয়েক দিন আগে তার মা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। এরপর থেকে বাসাটিতে একাই ছিলেন জামাল। গত রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রুমের ভেতর আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে জামালের দেহ। তবে তার হাত-পা বাঁধা। পরবর্তীতে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
লক্ষ্মীপুরে শত্রুতার জেরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ (৫০) সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিরাজ সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের রবু মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- এরশাদ (১৯), রিপন (২৩), জাকির (২১) রিমন (২৬), রাকিব (১৯), ইব্রাহিম (২৪) ও সাহেরা বেগম (৪০)।   এর মধ্যে রিপন, রাকিব, জাকির ও রিমন প্রধান আসামি সিরাজের ছেলে। এরশাদ ও ইব্রাহিম একই এলাকার মিজানের ছেলে। অপর আসামি সাহেরা মিজানের স্ত্রী।   র‍্যাব ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনাদের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জেরে ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুইজনকে আশপাশের লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‍্যাব তদন্ত শুরু করে। র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলার ভিন্ন ভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ছয়জন এজাহারনামীয় ও একজন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

আগে ঘরের ছেলেরা নিরাপদে ঘরে ফিরুক
আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। ৩২ দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ২৩ নাবিক এখন পাড়ি দিচ্ছে এডেন উপসাগর। বাড়তি নিরাপত্তার জন্যে জাহাজটি ঘেরা হয়েছে কাঁটাতার দিয়ে। আরও নিরাপত্তার জন্যে জাহাজের ডেকে যুক্ত করা হয়েছে ফায়ার হোস পাইপ। যাতে আবার কোনো বিপদ হলে নিরাপত্তাকর্মীরা শত্রুর দিকে গরম পানি ছিটাতে পারে। নাবিকরা যেন লুকিয়ে থাকতে পারেন সেজন্যে প্রস্তুত রয়েছে নিরাপদ গোপন ঘর সিটাডেল। আর সব শেষ নিরাপত্তার জন্যে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ।  জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা এসব তথ্য দিয়েছেন গণমাধ্যমে। তারা বলছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলেও এমভি আবদুল্লাহ এখনও উচ্চঝুঁকিপ্রবণ এলাকা অতিক্রম করেনি। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নিয়মের কারণেই তারা সাংবাদিকদের বলেননি, কী পরিমাণ মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি মুক্ত হলো। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একজন জলদস্যুর বরাত দিয়ে, মুক্তিপণের পরিমাণ উল্লেখ করা করা হলেও তা স্বীকার করেনি কেএসআরএম।  এদিকে জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জলদস্যুদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে সমঝোতা করা হয়েছে। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আলাপ-আলোচনা ও বিভিন্ন ধরনের চাপ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে আব্দুলাল্লাহকে। অনেকে ছবি দেখাচ্ছেন, এ ছবিগুলোরও কোনো সত্যতা নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিপিং ডিপার্টমেন্ট, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং, ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্স, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং সোমালিয়ার পুলিশ এই উদ্ধার কাজে এখনও সহায়তা করছে।  আমরা যদি একটু পেছনে যাই দেখব, ছিনতাই হওয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় সোমালিয়ার উপকূল থেকে জিম্মি জাহাজ ছাড়িয়ে আনার নজির প্রায় নেই। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হয় ১২ মার্চ। জাহাজটি মুক্ত হয় শনিবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে। এ হিসাবে ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পেলো। এর আগে ২০১০ সালে এই একই গ্রুপের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। সেটি উদ্ধার করতে তিন মাস নয় দিন সময় লেগেছিল। সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের চূড়ান্ত অত্যাচার ছিল ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ান আর্থ ফিউচার ফাউন্ডেশনের হিসাবে ২০১১ সালে ৩১টি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালীয় দস্যুরা। এর প্রত্যকেটিকেই মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেতে হয়েছিল। প্রতিটি জাহাজ ছাড়া পেতে সময় লাগে গড়ে ১৭৮ দিন। সোমালিয়ায় নাবিকদের দীর্ঘ সময় জিম্মি থাকার ঘটনা মালয়েশিয়ার জাজাজ এমভি আলবেদো জাহাজের। তাদের ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর জিম্মি করেছিল দস্যুরা। ২০১৩ সালের ৭ জুলাই জাহাজটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে নাবিকেরা মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তির সব শেষ ধাপটি ছিল ২০১৪ সালের ৭ জুন।  জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসি এর তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল ছিনতাই হওয়া মিয়ানমারের একটি মাছ ধরার জাহাজটি মুক্ত হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। জাহাজটির ২৪ জন নাবিকের মধ্যে ৬ জন অসুস্থ হয়ে মারা যান। মিয়ানমারের ১৪ জন নাবিক মুক্তি পান ২০১১ সালে। বাকি ৪ জন মুক্তি পান ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। শেষ ৪ জন মুক্তি পান ৪ বছর ৩১৩ দিন পর। সোমালিয়ান দস্যুদের মুক্তিদেয়ার এত ফিরিস্তি এখনে দিলাম, কারণ প্রথমত বলতে চাইলাম এরা ভয়ঙ্কর হতে পরে। দ্বিতিয়ত সম্প্রতি যেভাবেই আমাদের নাবিকরা মুক্তি পান না কেন, খুব কম সময়ে তারা ঘরে ফেরার পথে আছেন, কিন্ত তারা এখনও শতভাগ বিপদমুক্ত নন।  অনেকে আমার এমন কথায় আঁতকে উঠতে পারেন। ভয় পাওয়ার হয়তো কিছু নেই। কিন্তু কিছু অদ্ভুত বিষয় এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। এবার এই বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি হওয়ার পর আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেখলাম সোমালিয়া উপকূলে এই অপহরণের বিষয়টি যেন কোনো অপরাধ নয়। একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। ডাকাতরা রীতিমতো দক্ষ। তারা প্রযুক্তি জানে।  আধুনিক অস্ত্র আছে। এমনকি তাদের পক্ষে কথা বলার মত বৈধ প্রতিষ্ঠান আছে। ডাকাতির মতো একটি ভয়ঙ্কর অপরাধীদের সঙ্গে মধ্যস্ততার জন্যে প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে লন্ডন আমেরিকার মত দেশে। রাষ্ট্র শক্তির মতো কোনো অমোঘ শক্তি পেছনে না থাকলে কী এই দৌরাত্ম সম্ভব? তাই কারা দস্যুদের পক্ষে কারা বিপক্ষে তা বোঝার ঝুঁকি তো রয়েই যায় শেষ মুহূর্তে। পাঠক আসুন আবারও প্রেক্ষাপটে ফিরি। জিম্মি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক মুঠোফোনে তার স্ত্রীর কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন, ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাঁদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। অর্থাৎ প্রথম থেকেই ২৩ নাবিকের বেঁচে থাকার আকুতি বাংলাদেশের কাছে ছিল। যে কারণে নাবিকদের যেন ন্যূতম ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি প্রথম থেকে খুব মুখ্য ছিল। তাই এ কথা আর বলতে বাঁধা নেই যে, জিম্মি হওয়ার পর ২৩ নাবিকই শুধু  চূড়ান্ত ঝুঁকির মুখে পড়েননি। ঝুঁকির মুখে ছিলেন যারা তাদের উদ্ধার করতে চাইছিলেন তারাও। তাদের সামনে একদিকে ভয়ঙ্কর জটিল কূটনীতি অন্যদিকে ২৩ জনকে বাঁচিয়ে রাখার দায়। সবকিছু মিলিয়ে সবাকে কৌশলী হতে হয়েছে। শুধু কৌশলী বললে ভুল হবে, বলতে হবে সুক্ষ্ম কৌশলী। যে কারণে বার বার অভিযানের প্রস্তাব আসলেও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। জাহাজ জিম্মি হওয়ার খবর প্রথম জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। তাদেরকেও বাংলাদেশ শুধু অনুসরণ করার অনুরোধ করেছিল। সেখানো ভারতীয় নৌবাহিনীরও একটা বিশেষ ভূমিকা ছিল। তারাও বিশেষ নজর রেখেছিলেন, নাবিকদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।  এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজের পুরো প্রক্রিয়া প্রকাশ্য হয়নি। কিন্তু সার্বিক বিশ্লেষণে বোঝা যায় যে, ২৩ জন  নাবিক যে নিরাপদে ফিরতে যাচ্ছেন, এটা একজন মানুষ বা একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নয়। এটা রীতিমতো কূটনীতিক সাফল্যই বলতে হবে। যারা কাজ করেছেন, তাদের কাউকে ছাড়া কারো পক্ষে এতদূর এগোনো সম্ভব ছিল না। আর সম্ভব হলেও সেই মাসের পর মাসের ধাক্কা ছিল হয়তো। থাক আর হয়তো বলে মন খারাপ করতে চাই না। কারণ এই ‘হয়তো’ আমাদের সামনে অনেক বিপজ্জনক প্রশ্ন আনতে পার। তাই আর প্রশ্ন না বাড়িয়ে শুধু বলি, গোটা প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে ধান ভানতে এই  শিবের গীত গাইতে হলো। ছবির যে প্রসঙ্গ খোদ প্রতিমন্ত্রী তুলেছেন, সেই ছবিটি আমিও দেখেছি। আজকের এই ফেক ভিডিও ছড়ানোর যুগে আমার মনেও যে প্রশ্ন ওঠেনি তা নয়। একদল ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করে, প্লেনে বহন করে পর পর ৩টি ডলারের প্যাকেট ফেলা খানিকটা সিনেম্যাটিক। কিন্তু সত্য যে হতে পারে না, তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে আমার প্রশ্ন হচ্ছে টাকা যদি দিয়েই থাকে, তাহলে ফেরত আসার পথে এত নিরাপত্তা লাগছে কেন? আর যেখানে আমরা জলদস্যু দলপতির চিঠির কথা জেনেছি। যে চিঠিতে তিনি বলেছেন এই চিঠি দেখালে কেউ তাদের আটকাবে না। তারপরেও এত সতর্কতার কারণ কী শুধুই আন্তর্জাতিক নিয়ম? যে কারণে বলতেই হচ্ছে জাহাজ এবং নাবিক উদ্ধার কূটনীতি এখনও সক্রিয়। যাই হোক, বিমান থেকে টাকা ফেলার ছবি, কেএসআরএম এর বিবৃতি এবং প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে এক ধরণের অমিল খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। এটা কোন কোন গণমাধ্যম থেকে সংক্রামিত হয়ে  মানুষের মনেও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। সেই ধোঁয়াশা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একটা সফল অপারেশনের শেষ সময়ে এটা আসলেই প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ এই তিন বক্তব্যে আপাত দৃষ্টিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ মিল হয়তো নেই, কিন্তু আমাদের ভাবা দরকার গোটা বিষয়টা একটা কূটনীতি। এখানা নানা কৌশল থাকবেই। তাই ধোঁয়াশাও থাকবে। আর সবচেয়ে বড় কথা ২৩ জন নাবিকসহ জাহাজটি এখনও সমুদ্রে। নিশ্চয়ই ঘরের ছেলেরা ঘরে ফেরার পর অনেককিছু প্রকাশ্য হবে। আর যদি নাও হয়। তারাতো ফিরলো। না হয় এই সুযোগে একবার নজরুল চর্চা করে নেবো " মানুষের চেয়ে বড় কিছু নয়, নহে কিছু মহীয়ান'। লেখক: গণমাধ্যমকর্মী  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২

রণবীর-দীপিকার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
বলিউডের তারকা জুটি রণবীর-দীপিকা। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারা। আর এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের মাঝে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সবার মুখে একই কথা, অনাগত সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে? অবশ্য এর জবাবও দিয়েছেন রণবীর। তিনি বলেছেন, ‘ঈশ্বরের মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ নিয়ে বাছবিচার কি করি আমরা? না। তাই ঈশ্বর যা দেবেন তাতেই খুশি।’ যদিও এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন, সংসারে দীপিকার মতো একটি কন্যাসন্তান চান তিনি। তবে ছেলেসন্তানের বাবা হলে নাম রাখার ইচ্ছা রয়েছে শৌর্যবীর সিং। অনেকে অবশ্য বলছেন, দীপিকাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা। হয়তো সারোগেসির সাহায্য নিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তারকা দম্পতি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৪

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

ঈদের দিনও নেতাকর্মীদের ঘরে কান্নার রোল : রিজভী
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল আর ক্ষমতাসীনদের ঘরে লুটপাটের অট্টহাসি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গুম হওয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, পুলিশের নির্যাতন ও গুলিতে নিহত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু ও ‘পুলিশ হেফাজতে নিহত’ খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ ঈদের দিন, আমি গুম হওয়া ইলিয়াস আলী, পুলিশের নির্যাতন ও গুলিতে নিহত নুরু ও পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত জনির বাসায় গিয়ে দেখি সেখানে শোকের মাতম চলছে। তাদের পরিবারে কোনো ঈদের আনন্দ নেই। তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা এখনও শোকে কাতর।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গুম, খুন, জুলুম নির্যাতনে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঈদ-আনন্দ আজ বিবর্ণ। বিএনপি নেতাকর্মীরাসহ দেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত। তাই সবাই কোনো না কোনো দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এই ঈদেও মানুষের মধ্যে কোনো শান্তি নেই, সুখ নেই। এভাবে আর চলতে পারে না। এ সরকারের বিদায় ছাড়া দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি হত্যা ও গুমের বিচার একদিন হবে। গুম করে, হত্যা করে, নিপীড়ন করে, ডামি নির্বাচন করে সরকার পার পাবে না।’ ঈদের দিন প্রথমে গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জে নুরুল আলম নুরুর বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতেও ঈদ উপহার তুলে দেন। এরপর বিএনপির এ নেতা যান ‘পুলিশ হেফাজতে’ নিহত জনির খিলগাঁওয়ের বাসায়। সেখানে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন। পরে তিনি নিহত জনির কবর জিয়ারত করেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়