• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্যবহার সনদ ছিল না বেইলি রোডের সেই ভবনের
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ২০১৯ সালে অভিযান চালিয়েছিল রাজউক। সে সময় ভবন তৈরিতে অনিয়মের কারণে ওই ভবনের অননুমোদিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ভবনটিতে ছিল না রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাত তলা ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে অগ্নিনির্গমন পথ ছিল না। সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারসহ নানা ধরনের মালামাল রাখা ছিল। নিচতলায় আগুন লাগলে ওই সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারেনি মানুষ। আটকা পড়ে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। অপরদিকে রাজউক জানিয়েছে, ভবনটিতে অফিসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁর জন্য কোনো অনুমোদন ছিল না। কিন্তু গ্রিন কোজির বিভিন্ন ফ্লোরে রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলার চা-কফির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম রোববার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম ভঙ্গ করায় ওই ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, পরে সেখানে অভিযানও চালানো হয়। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ওই ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই। ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের পর ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। একটি ভবন সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কি-না, ভবনটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই দেওয়া হয় অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। রাজউক আরও জানায়, ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ বেইজমেন্টসহ আট তলার অনুমোদন নেওয়া হয়। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া ওই ভবনটির নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং উপরের অংশ আবাসিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে ভবনের কাজ শেষ হয়। রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই ওই ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ কারণে ভবন মালিককে ২০১৯ সালে নোটিস দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক সংস্থা দ্য ক্যাটো ইনস্টিটিউট দেশটিতে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরে মাত্র ৩ শতাংশ আবেদনকারীকে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড (আবাসন) দেওয়া হবে। সম্প্রতি একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং বৈধ কর্মী হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক গ্রিন কার্ড পূর্বে বসবাস ও কর্মসংস্থান উভয় কাজে ব্যবহৃত হত। তবে বর্তমানে দুটির কাজের জন্য দুটি আলাদা কার্ড গ্রহণ করতে হয়। ক্যাটো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৪৭ লাখ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন পড়েছে। আর কর্মসংস্থানের জন্য ১৮ লাখ আবেদন পড়েছে। এই সংখ্যক আবেদনের মধ্যে এবার বৈধ আবাসনের জন্য ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৮ শতাংশ আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করে গ্রিনকার্ড প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর ১ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে গ্রিন কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির অভিবাসী ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের পর থেকে গ্রিন কার্ড ইস্যুর হার সীমিত রাখার নীতি মেনে চলছে যুক্তরাষ্ট্র।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪

অবশেষে চুরি যাওয়া ব্যাগি গ্রিন ফিরে পেলেন ওয়ার্নার
হারিয়ে যাওয়া ব্যাকপ্যাক খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। টিম হোটেলেই এটি পাওয়া গেছে। সিডনি টেস্ট শুরুর আগে নিজের ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানান ওয়ার্নার। ইনস্টাগ্রামে সেটা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। অবশেষে হারানো সেই ব্যাগ ফিরে পেলেন ওয়ার্নার। এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। এজন্য কানটাস এয়ারলাইনস এবং টিম হোটেল ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ওয়ার্নার অজি ওপেনারের ভাষ্য, আমি আপনাদের জানাতে পেরে খুশি ও স্বস্তি বোধ করছি যে আমার ব্যাগি গ্রিন ফিরে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। আমি অনেক কৃতজ্ঞ। কানটাস (এয়ারলাইনস), পরিবহন কোম্পানি, আমাদের হোটেল ও টিম ম্যানেজমেন্ট। সবাইকে ধন্যবাদ। যেকোনো ক্রিকেটারই জানে তাদের কাছে ক্যাপ কতটা বিশেষ কিছু। আমি এটি বাকি জীবনে মনে রাখব। এর আগে গত ২ জানুয়ারি ক্যাপ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ওয়ার্নার বলেছিলেন, এটা আমার শেষ অবলম্বন। কিন্তু আমার যে ব্যাগপ্যাকে ব্যাগি গ্রিন ছিল, লাগেজ থেকে সেটা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে ওটা মেলবোর্ন বিমানবন্দর থেকে সিডনিতে যায়। এটার সঙ্গে আমার আবেগ জড়িত। এটা এমন একটি কিছু যা আমি ফিরে পেতে চাই। সে সময়ে তিনি জানান, যদি এই ব্যাগপ্যাকটিই আপনি চেয়ে থাকেন, আমার কাছে অতিরিক্ত একটা আছে। আপনি কোনো সমস্যায় পড়বেন না, শুধু আমার কিংবা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি ব্যাগি গ্রিন ফেরত দেন, আমি আপনাকে আমার এই ব্যাগপ্যাক খুশি-মনে দিয়ে দেব।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯

শেষ টেস্টের আগে ওয়ার্নারের ব্যাগি গ্রিন চুরি
সিডনি টেস্ট শুরু হবে আগামীকাল। এরপর আর টেস্টে দেখা যাবে না ওয়ার্নারকে। এর মধ্যেই ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। টেস্ট শুরুর আগে নিজের ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ফেলেছেন ওয়ার্নার। ইনস্টাগ্রামে সেটা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ওয়ার্নার সিডনির এক ফ্লাইটে ব্যাগি গ্রিনটি হারিয়ে ফেলেছেন। যেদিন তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল, ওই দিন তাকে ব্যাগি গ্রিন তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিদায়ী টেস্টের আগে এটা হারিয়ে মন খারাপ তার। কারণ, এটা তার কাছে বিশেষ কিছু। এদিকে ব্যাগি গ্রিন হারিয়ে ইনস্টাগ্রামে ওয়ার্নার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, কয়েক দিন আগে মেলবোর্ন বিমানবন্দর থেকে সিডনিতে যায়। ওই সময় আমার যে ব্যাগপ্যাকে ব্যাগি গ্রিন ছিল, লাগেজ থেকে সেটা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ‘এটা আমার শেষ অবলম্বন। এটা আমি ফিরে পেতে চাই।’  তিনি আরও বলেছেন, ‘যে এটা নিয়েছেন, যদি ফেরত দেন তাহলে আমি আপনাকে আমার ব্যাগপ্যাক খুশিমনে দিয়ে দেব।’ এর জন্য আমার কিংবা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কথা দিচ্ছি আপনি কোনো সমস্যায় পড়বেন না।’ এর আগে ইনস্টাগ্রামে ডিসেম্বরে পার্থ টেস্টের আগে ব্যাগি গ্রিন পরা একটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘সব শিশু এবং তরুণ প্লেয়ারদের উদ্দেশ্যে আমি এটা বলতে চাই, এটি আমার ছেলেবেলার ছবি, যখন আমি প্রথম ব্যাগি গ্রিন পাই। আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই স্বপ্ন দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের প্রতি, সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখো, আমি যেভাবে বড় স্বপ্ন দেখেছি, সেভাবে বড় স্বপ্ন দেখতে ভয় পেয়ো না।’
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়