• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অবশেষে বাগানে ফুল তোলার চাকরি নিলেন তটিনী
হালের অন্যতম প্রিয়মুখ তানজিম সায়রা তটিনী। যার হাসিতে বুঁদ হয় থাকেন সবাই। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কাজ করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে পর্দায় মেলে ধরতে চান তটিনী। শিগগিরই ‘গোলাপ গ্রাম’ নামের একটি নাটকে দেখা যাবে তটিনীকে। যেখানে ফুল শ্রমিকের জীবন ও প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। মেজবাহ উদ্দিন সুমনের চিত্রনাট্যে বিশেষ এই নাটকটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান। এতে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু। নাটকটির প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, এই নাটকের মাধ্যমে মূলত গোলাপ গ্রামের ফুল তোলা শ্রমিকদের জীবন যুদ্ধের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেখানে ফুল তোলা শ্রমিকের চরিত্রে তটিনী আর ফুল বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোহান। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেম। তবে মহাজন কুতুব মিয়া তাদের জীবনে ধরা দেয় কাঁটা হয়ে। প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘গোলাপ গ্রাম’।  তটিনী-ইয়াশ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, লামিয়া ল্যাম, পাপিয়া, পিয়াল, শর্মী প্রমুখ।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৬

তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সংসদে গ্রাম আদালত বিল
গ্রাম আদালতের জরিমানা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করা হচ্ছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এমন বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়, একজন চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিলের তফসিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-  ১. কোনো চুক্তি রসিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়;  ২. কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা;  ৩. স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা;  ৪. কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা;  ৫. গবাদি পশু অনধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা;  ৬. কৃষি শ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা; ৭. কোনো স্ত্রী কর্তৃক তার বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৬

‘স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়, গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে’
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়, এর পরিধি একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেটাই চান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে কাজ করতে হলে চিকিৎসকদের সুযোগ সুবিধাগুলোও ভাবতে হবে। নার্সদের নিয়ে আমাদের আরও পরিকল্পনা করতে হবে। আজকের এই আয়োজন প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া সরকারের কাজকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ডা. সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসা প্রশিক্ষণার্থী বিনিময় কর্মসূচির মতো উদ্যোগগুলো শুধু আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে না বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকেও সমৃদ্ধ করবে। দেশে এবং দেশের বাইরে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এ ধরণের প্রোগ্রামে তৃণমূলের চিকিৎসকদের যুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নার্সদের গুরুত্ব অপরিসীম। চিকিৎসকদের পাশাপাশি তাদের নিয়েও এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা যায়।  এ সময় আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের সিইও ডা. মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ।   অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার (পিএইচএ) ট্রাস্টি ডা. নাসির খান। এ ছাড়া রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস এডিনবার্গ, রয়েল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন, ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন, আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এর প্রেসিডেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সামিট-২০২৪ এ দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। স্পিকার হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও বেশি খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। নয় দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন। দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন শুধু বাংলাদেশেই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

খাগড়াছড়ির পিছিয়ে পড়া গ্রাম এখন মডেল ভিলেজ
খাগড়াছড়িতে সাঁওতাল সম্প্রদায়কে পিছিয়ে পড়া জাতি থেকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানামুখী সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আধুনিক গ্রাম গঠনে এমন কোনো অংশই বাকি নেই এই গ্রামে। ফলে নতুনত্বে ফিরেছে গ্রাম, পরিচিতি পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।  বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো সাঁওতাল সম্প্রদায়। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি অংশ বসবাস করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় সাঁওতাল পাড়া নামক গ্রামেই তাদের বসবাস।  কিছুদিন আগেও যাদের ছিলোনা মাথা গোঁজার ঠাঁই, ছিলোনা পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ছিলোনা পান করার মতো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আজ সেই গ্রাম পরিপূর্ণতা পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।  কী নেই এই গ্রামে। ৭৮ পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ২৭টি পরিবার। এবং জেলা পরিষদ, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এ এলাকার প্রত্যেকটি ঘরে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে স্যানিটারি ল্যাট্রিন। রয়েছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে পানি তোলার ব্যবস্থা। যার সংযোগ রয়েছে প্রত্যেকটি বাড়ির আঙ্গিনায়। ২০টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে গবাদি পশু, রয়েছে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক শিক্ষারও ব্যবস্থা আর কাঁচা রাস্তা থেকে এখন পরিপূর্ণ ইট-সোলিং। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ‘সাঁওতালি বর্ণমালা’। গ্রামে রয়েছে পাঠাগার। রয়েছে কৃষিজ জমি, বাড়ির এক কোণে জৈব সার তৈরির অবকাঠামো, রয়েছে মৌ-চাষের সামগ্রী। উপকারভোগী জুনিয়া সাঁওতাল বলেন, একসময় বৃষ্টি এলে রাতে ঘুমাতে পারতাম না, ঘরে বৃষ্টি পড়তো। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে একটি ঘর উপহার দেওয়ায় নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।  এলাকার পাঠাগার সম্পাদক আকাশ সাঁওতাল বলেন, উন্নয়ন বোর্ড, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ সহযোগিতা করায় আমরা এখন নির্বিঘ্নে এলাকায় চলাচল করতে পারি। এক সময় অসুস্থ রোগীকে কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হতো। এখন গাড়ি আমাদের ঘরের সামনে পৌঁছায়। মডেল ভিলেজ সভাপতি মিলন সাঁওতাল বলেন, সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এখন আমরা স্বাবলম্বী। আগামীতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা আরও উন্নত জীবনযাপন করতে পারবো।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৫

আনসারের কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা ও জনসম্পৃক্ত বাহিনী। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব প্রয়োজনে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প এবং বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধানে এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে থাকেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এ বাহিনী যুব ও নারীদের বিভিন্ন পেশায় বিনামূল্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে এ বাহিনীর কার্যক্রম আরও বেগবান করতে হবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সেবার মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও জননিরাপত্তায় সদা নিয়োজিত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০০

গ্রাম আদালতের জরিমানার ক্ষমতা বাড়ছে
গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করছে সরকার। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, এখন থেকে দুই পক্ষের চার জনের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সভাপতি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আগে এটা পরিষ্কার ছিল না। তিনি আরও বলেন, গত বছর এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এটি সংসদে উপস্থাপন না হয়নি। এর মধ্যে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। ফলে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন নতুন মন্ত্রিসভা এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ‌গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৮

মিয়ানমারের সংঘাতে জনশূন্য নাইক্ষ্যংছড়ির ৭ গ্রাম
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। তাদের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়ছে। এরইমধ্যে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছে। ফলে আতঙ্কে জনশূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন। এই জনপ্রতিনিধি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার থেকে এ পর্যন্ত সাতটি পাড়ার ৪০টি পরিবারের শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিকেল ৩টায় নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট পরির্দশন করে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে যান তারা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জলপাইতলী এলাকা যান তারা। সেখানে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে নিহত হোসনে আরার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। সেই সঙ্গে প্রশাসনে পক্ষ থেকে হোসনে আরার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন। পরির্দশন শেষে সার্বিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, মর্টারশেল ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে পুরো সীমান্ত এলাকা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হোয়াইক্যং এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে তুমব্রু সীমান্তে দুজনের মৃত্যুতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সামনে টিকতে না পেরে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা। সবশেষ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে উখিয়া, টেকনাফ এবং তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বিজিপি সদস্যসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ১৪৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনদিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ২৬৪ জন সদস্য। অন্যদিকে সীমান্তে উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে ওপারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর লোকজনও অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার উখিয়ার পালংখালী সাতটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। অনুপ্রবেশে বাধা দিতে গিয়ে চারজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ছোড়া হাতবোমার আঘাতে আহত হয়েছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৯

মর্টার শেলে দুজন নিহতের পর সীমান্তে আতঙ্ক, গ্রাম ছাড়ছে মানুষ
বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে দুইজন নিহতের ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী ও আশপাশের এলাকার লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জলপাইতলী গ্রামসহ আশপাশের আরও দুটি গ্রাম থেকে অন্তত ৫০টি পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।  ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই অনেকেই বাড়িতে থাকতে চাইছেন না। এ জন্য অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল হোসনে আরা নামের এক বাসিন্দার রান্নাঘরে এসে পড়েছে। এতে দুজন নিহত হন। এরপর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। অনেকে নিরাপদে থাকতে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম হুসনে আরা (৫০)। তিনি জলপাইতলি এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত রোহিঙ্গা তাদের বাড়ির কাজের লোক। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তার ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বাদশা মিয়ার বসতবাড়িতে এসে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই ওই নারীসহ তাদের বাড়ির কাজের লোক নিহত হন।  বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত সপ্তাহ থেকে আরাকান আর্মি ও দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। সংঘর্ষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। গত রোববার ভোর থেকে বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

গ্রাম পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় মামলা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির চরআড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশ সদস্য রনজিৎ কুমার দে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নিহতের স্ত্রী রিতা দে বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চর আড়কান্দি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে যান রনজিৎ কুমার দে। সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. ইউসুফ হোসেন ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে রনজিৎ টয়লেটে যাওয়ার জন্য স্কুলের পেছনে যায়। পরে শনিবার ভোর ৫টার দিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে রনজিৎ দে’র মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের একটি সূত্রে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস। ঘটনার দিন রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। হত্যা করে মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা ছিল খুনিদের। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।  মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. রাজিবুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত চলমান। আশা করছি, দ্রুতই মামলার রহস্য উদঘাটন হবে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়