• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
থানচিতে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি
বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির কয়েক দফা গোলাগুলি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচির বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও থানচি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাজারের চারপাশে গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। এ সময়  যৌথবাহিনী তাদের প্রতিহত করে। পুলিশ জানায়, সাড়ে ৮টার দিকে কেএনএফ সদস্যরা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাংক লুটের চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এজন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। এর আগে, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।  বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই দিনের অভিযানের পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪২

হোয়াইক্যং সীমান্তে গোলাগুলি, রক্ষা পেল দুটি পরিবার
আবারও নতুন করে গোলাগুলি, মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত। সংঘর্ষের সময় সীমান্তের ওপার থেকে গুলি বাংলাদেশের বাড়িঘরে আসায় অল্পের জন্য রক্ষা পাই দুইটি পরিবার। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত মিয়ানমারের কুমির খালী সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে।  এদিকে বেশ কিছু বুলেট এ পারে ছুটে আসে বলে জানান এলাকাবাসী। অল্পের জন্য রক্ষা পায় হাজী আফসার ও মনোয়ারার পরিবার। আবসারের জানালায় পড়ে ভেতরে ঢুকে যায়। মনোয়ারার টিন ভেদ করে ভেতরে ঢুকে পড়ে।  এ ছাড়া অপর একটি মার্কেটেও একটি বুলেট এসে পড়ে। হোয়াইক্যং এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। বিজিবি জানায়, মিয়ানমারের বিলাই চাড় দ্বীপে গোলাগুলি ও ফায়ারিংয়ে ঘণ্টা খানেক শব্দ হয়। সেইখানে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে নবী হোছেন গ্রুপের সঙ্গে এগোলাগুলি হয়। নবী হোছেন গ্রুপ বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে আশ্রয় নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হোয়াইক্যং বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আবু জানান, কয়েকটি বুলেট এপারে এসেছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৪

আরাকান আর্মির দখলে বিজিপির ক্যাম্প, কমেছে গোলাগুলি
মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-কে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর থেকে সেখানে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা গোলাগুলির ভয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আবার ঘরে ফিরেছেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে পাহাড়ের টিলায় টিলায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি বিওপি রয়েছে। সেখানে অস্ত্রসহ অনেকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সীমান্তের বাসিন্দারা যাদের আরাকান আর্মি বলছেন। তাদের ভাষ্য, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপির কাছ থেকে তাদের ক্যাম্পের দখল পুরোপুরি নিয়ে গেছে। এ কারণে গোলাগুলির মাত্রা কমেছে। এখন হয়তো জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নতুন কোনো কৌশল নিতে পারে। তবে বর্তমানে মিয়ানমারের সীমান্তরেখা দেশটির সরকারি বাহিনীর হাতে নেই। তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি গ্রামের আবদুল মালেক বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তানকে এতোদিন সীমান্ত থেকে দূরে আত্মীয়র বাড়িতে রেখেছিলাম। মঙ্গলবার রাত থেকে গুলির শব্দ কম হচ্ছে। তাই তাদের আবার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, গোলাগুলি কমে যাওয়া এবং সীমানার ওপারে ক্যাম্পে যারা ঘোরাঘুরি করছে তা দেখে মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে পরাস্ত করে তাদের ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। একই এলাকার কৃষক শামসুল আলম বলেন, নাসাকা বাহিনী আর আরাকান আর্মির পোশাক আলাদা। কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে বিজিপি ক্যাম্পে আরাকান আর্মির পোশাকে অনেককে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। নাসাকার কারও দেখা নেই। তুমব্রুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার দিল মোহাম্মদ বলেন, আমার ওয়ার্ডে চার হাজারের মতো লোক। নারী-শিশুরা অন্যত্র চলে গেছে। গোলাগুলি বন্ধ হতে শুরু করলে কেউ কেউ ঘরে ফিরছেন। ওপারে সীমান্তরেখার নিয়ন্ত্রণ আসলে এখন কাদের হাতে– এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। তুমব্রু বিওপি থেকে আমি যেটা দেখে এলাম, সেখানে রাইট বিজিপি পোস্ট রয়েছে। কিছু লোকজন চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে তারা মিয়ানমার আর্মি, বিজিপি নাকি বিদ্রোহী বোঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যেই হোক না কেন, আমাদের সীমানার ভেতরে যেন কোনো আক্রমণ না আসে– সেটা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এদিকে টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং সীমান্ত হয়ে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে আরও ৬৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। পরে তাদের নিরস্ত্রকরণ করে বিজিবি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩২৮ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ হচ্ছে। যারা এখানে এসেছে, তাদের নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। এদিকে সীমান্তে অস্থিরতার কারণে আগামী শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন অভিমুখে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫১

রাঙ্গামাটিতে জেএসএস ও মগ পার্টির মধ্যে গোলাগুলি
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনার তৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) উপজেলার দুর্গম গাইন্দা ইউনিয়নের মাঝামাঝি ও বাঙ্গালহালিয়া আগাপাড়া ম্রাংখ্যপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনসারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকালে আঞ্চলিক দুদলের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের কয়েকশ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানেছি পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মারমা ন্যাশনাল পার্ট (এমএনপি/মগপার্টি) এর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিস্তারিত জানানো যাবে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় ম্রাংখ্যপাড়ায় দুদলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় দল কমপক্ষে এক হাজার রাউন্ড গুলিবিনিময় করেছে।  তবে এ বিষয়ে দুই আঞ্চলিক সংগঠনের কারও বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৫

খাগড়াছড়িতে দুই পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে দুটি পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও ইউপিডিএফের (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির দেওয়ান পাড়া এলাকার শান্তিগ্রাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। তবে হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরটিভিকে জানান, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেলে আপনাদের অবগত করব। আরও পড়ুন : দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ মার্চ   এদিকে, প্রতিপক্ষের গুলিতে সম্প্রতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতা নিহত হয়। এর প্রতিবাদে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ইউপিডিএফ এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয়।  এরপর গত ১২ জানুয়ারি বয়কটের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ায় সংগঠনটি। এ সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বাজার বয়কটের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানায় ইউপিডিএফ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়