• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পীর বাবা ৩ লাখ টাকার গহনা নিয়ে গায়েব
মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার সোনার অলংকারসহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন খুইয়েছেন এক গৃহবধূ। পীর পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূকে কৌশলে ধর্মীয় কথাবার্তার আড়ালে এসব হাতিয়ে নেয় চারজনের এই প্রতারক চক্র। রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের উত্তর কমলাপুরমুখি সড়কের মোড়ে ঘটে এ ঘটনা। এ বিষয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী।  ভুক্তভোগী শহরের উত্তর কমলাপুরের বাসিন্দা কামরুন নাহার কনা (৪২)।  ওই নারীর স্বামী মো. আজিজুর রহমান মিলন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।  এ ঘটনায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। ভুক্তভোগী নারী জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি নাটকীয়ভাবে একজনকে বড় ধরনের পীর সাজিয়ে কথাবার্তার ফাঁকে তাকে সম্মোহন করে ফেলে। তারপর তাদের কথামতো নিজেই তার হাত ও গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের দুটি চুরি ও ১২ আনা ওজনের একটি গলার চেইন খুলে তুলে দেন পীরের হাতে। যার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা। প্রতারকরা কামরুন নাহারের ভ্যানিটিব্যাগে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে নেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাটি তদন্তে গিয়েছিলেন। পীর সেজে ওই গৃহবধূর মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকরা।  তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

হারালেন ফোন, ব্যাংকের সাড়ে ১২ লাখ টাকা গায়েব
ফোন হারানোর কথা জানাতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহক জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ দিন আগেই সাড়ে ১২ লাখ টাকা তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। কুমিল্লার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক গ্রাহকের হিসাব থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা সিটি ব্যাংকের কুমিল্লা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন শাখার পৃথক চারটি হিসাব নম্বরে ট্রান্সফারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এ অভিযোগ করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার গ্রাহক কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক।  তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।   আরও পড়ুন : এখনও খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুনের   অভিযোগে মো. নাজমুল হক জানিয়েছেন, কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৫ লাখ টাকা লোন করেন। কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অগ্রণী ব্যাংকের কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার শাখার হিসাব থেকে গত ২ জানুয়ারি নাজমুল হকের নামে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। উক্ত চেকের মাধ্যমে নাজমুল হক তার নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের হিসাবে (নং- ১৪১১০৩০১২৩২৬৬) লোনের ১৫ লাখ টাকা জমা করেন। এরই মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন (নং- ০১৭১৬৯৫৪০৮৮) হারিয়ে যায়। এতে তিনি উক্ত মোবাইল ফোনে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং নেক্সাস-পে অ্যাপসটি বন্ধ করতে ওই ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ১৬২১৬ নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন তার নামীয় ব্যাংকের হিসাব নম্বর হতে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের কয়েকটি হিসাব নম্বরে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। অভিযোগ তিনি জানান, কাস্টমার কেয়ার থেকে তাকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড হতে তার নামীয় ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। তিনি দেখেন তার নামীয় ১৪১১০৩০১২৩২৬৬ হিসাব নম্বর থেকে ২ জানুয়ারি হতে ৬ জানুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ৪টি হিসাব নম্বরে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার যানজট   অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে তার নামীয় উক্ত হিসাব হতে সিটি ব্যাংকের ঢাকার নিকুঞ্জ খিলক্ষেত শাখার জাহিদুল হক রনি নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৮৭৬২০৪০০১ হিসাব নম্বরে ৫ লাখ টাকা, একই ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার ইমতিয়াজ আহাম্মদ নামের গ্রাহকের ২৩০৪০২৭৫৬৪০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা, ঢাকাস্থ সিটি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ি শাখার সফিকুল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৯৮৮৫২১০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ টাকা এবং রংপুর শাখা সিটি ব্যাংকের মেহেরুন অ্যাগ্রো নামের গ্রাহকের ১৫০৩৬৩৫৮১৩০০১ হিসাব নম্বরে এক লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংকের গ্রাহক মো. নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। এ টাকা না পেলে আমাকে পথে বসতে হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকালে আমি সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ করেছি।’ আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুরে পৌর হকার্স মার্কেটে আগুন, পুড়ল ৪ দোকান   ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মো. সোলায়মান বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ গ্রাহকের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়