• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তারা কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়, প্রশ্ন ডিপজলের
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এমনকি সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিল্পী সমিতির নির্মাচনে কলি-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়া হবে তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনা যতটা না হেলেনা জাহাঙ্গীরের হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে কলি-নিপুণ পরিষদের। কারণ, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত ডিপজল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথমত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক। আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম। হেলেনা জাহাঙ্গীর যে কথা বলেছেন, তা শিল্পীদের জন্য অবমাননাকর। আমি বলছি না, গার্মেন্টসে কাজ করা খারাপ। অবশ্যই সেটা ভালো। তবে যার যেটা পেশা নয়, সে অন্য পেশায় গিয়ে তা করতে পারবে না। হেলেনা জাহাঙ্গীর কি অভিনয় করতে পারবে? পারবে না। আর শিল্পী সমিতি তো আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন নয় যে, সদস্যদের গার্মেন্টসে চাকরি দেবে। ডিপজল বলেন, এটা কেমন কথা! কোথায় সিনেমা নির্মাণ করে শিল্পীদের কাজে লাগাবে, তা না, অন্য পেশায় শিল্পীদের কাজে লাগাতে চায়। তাহলে, শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের কাজ কি? কলি-নিপুণ পরিষদ এমন অফার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দেয় কী করে! তারা যদি তাকে সিনেমা বানানোর অফার দিয়ে শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থার কথা বলত, তাহলে একটা কথা হতো। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতাম। যদিও গত বছর ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছয়টি সিনেমা বানাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেনি। এবার শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলছে! হেলেনা জাহাঙ্গীরের কথা শুনে প্রশ্ন জেগেছে, কলি-নিপুণ পরিষদ কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়? আমি গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, একজন শিল্পী হিসেবে এমন কথায় আমি লজ্জিত। যারা শিল্পী তারা যদি গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইত, তাহলে সিনেমায় আসত না। গার্মেন্টস বা অন্য পেশায় কাজ করত।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

সিদ্ধিরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেকের পানিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাস
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেকের পানিতে পড়ে গেছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি বাস। এতে কোনও প্রাণহানি ঘটে নি, তবে বাসের চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় আদমজী ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদমজী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল হাই বলেন, নিট কনসার্ন গার্মেন্টসের বাসটি শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে চিটাগাং রোড থেকে আদমজীর দিকে যাচ্ছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেকে পড়ে যায় বাসটি। খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চালক জাহাঙ্গীর (৫০) ও তার সহকারী আমানুল্লাহকে (৪৩) উদ্ধার করে আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়। তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাসটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, চেষ্টা চলছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ০২:১৮

গাজীপুরে গার্মেন্টস মালিক অপহরণ, ২২ লাখ টাকা লুট
গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিক আবু তালহাকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে অপহরণ, ইলেকট্রিক শক ও ড্রিল মেশিন দিয়ে জখম করে নগদ সাড়ে ২২ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে। ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ী আবু তালহা এখন গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে হুমকিতে নানা ধরনের শঙ্কায় রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা। অবশ্য কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাছিম জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী আবু তালহা ও তার স্বজনদের অভিযোগ, তিনি কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে  ফেন্ডস নীটওয়্যার  কারখানা পরিচালনা করছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জমি কেনার জন্য ২২ লাখ টাকা নিয়ে নিজস্ব গাড়িযোগে কালিয়াকৈর যাচ্ছিলেন। প্রাইভেটকারটি সফিপুর আনসার একাডেমির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি ও বেশ কিছু মোটর সাইকেলযোগে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্তরা গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় গাড়ির কাঁচ ভেঙে তালহা, তার গাড়ি চালককে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তালহাকে টেনে হিঁচড়ে অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনার হোতা টুটুলের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই রাত ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলের ৭-৮ কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে তালহাকে গুরুতর আহতাবস্থায় পুলিশের একজন এসআইর উপস্থিতিতে উদ্ধার করে স্বজনরা। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভুক্তভোগী তালহা আরও জানান, তাদের যৌথ মালিকানাধীন বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি পোশাক কারখানা অংশীদারিত্ব ও এক কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তসরুফ করা নিয়ে মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। এর জের ধরে টুটুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি গতিরোধ করে অপহরণ ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মামলা দেওয়া হলেও পুলিশ নানা রকম টালবাহানা করে দশ দিন পর থানায় মামলা এন্ট্রি করে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। উপরন্তু আসামি পক্ষ মামলার বাদীসহ ব্যবসায়ী তালহার লোকজনকে মামলা তুলে নেওয়ার চাপসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। এতে কারখানা উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি জানান, ব্যবসায়ী তালহাকে উদ্ধার, গাড়ি জব্দ, মামলা এন্ট্রিসহ পরবর্তী সব কাজই আন্তরিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন টুটুলের মোবাইলে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 
০১ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪

গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে চলমান গ্যাসসহ বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে টেকসই উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক। সম্ভাবনাময় শিল্পের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করবে এসব সংস্থা।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নরবান কমটেক্স কারখানা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন ফেডারেল ফরেন অফিস-জার্মানি ও সার্ক এন্ড বিমসটেকের ইনচার্জ স্টিফেন হিলার লাহজালি। এ সময় কারখানার সার্বিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।  পরিদর্শন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন জার্মান এম্বাসির ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরাব বিন তারেক,নরবান গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী,পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল আলম সুমন।  পরিদর্শন শেষে ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের তথ্য নিশ্চিত করে জানান,বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প  নিয়ে তারা কিভাবে সহযোগিতা করবে,কিভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায়-সেগুলো নিয়েও কাজ করছেন স্টিফেন হিলার লাহজালি। এছাড়া, বহির্বিশ্বের বাজারে দেশের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য(পোশাক) ধরে রাখতে টেক্সটাইলে বহু বছরের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে,সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশেই নেতৃত্ব দিবে।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

গার্মেন্টস শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে চলমান গ্যাসসহ বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে টেকসই উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সার্ক ও বিমসটেক। সম্ভাবনাময় শিল্পের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করবে এসব সংস্থা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে নরবান কমটেক্স কারখানা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন ফেডারেল ফরেন অফিস-জার্মানি ও সার্ক অ্যান্ড বিমসটেকের ইনচার্জ স্টিফেন হিলার লাহজালি।  এ সময় কারখানার সার্বিক উৎপাদন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, জার্মান অ্যাম্বাসির ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেহরাব বিন তারেক, নরবান গ্রুপের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী, পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল আলম সুমন।  পরিদর্শন শেষে ওয়াহিদুল হক সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে, কীভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায়-সেগুলো নিয়েও কাজ করছেন স্টিফেন হিলার লাহজালি। এ ছাড়া বহির্বিশ্বের বাজারে দেশের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য (পোশাক) ধরে রাখতে টেক্সটাইলে বহু বছরের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে, সুতরাং আগামীতে বাংলাদেশেই নেতৃত্ব দেবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে গার্মেন্টস শিল্পে দুর্ভোগের শঙ্কা
তৈরি পোশাক শিল্প দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত। এ খাতে গত বছর রপ্তানি ৪৭.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে সম্প্রতি তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের ওপর সরকারি নগদ প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোর ওপর এই সিদ্ধান্তের কতটা প্রভাব পড়বে—তা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মোট ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা দিয়ে থাকে সরকার। তৈরি পোশাক খাত ছাড়াও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি খাত, চামড়াজাত দ্রব্য, হাতে তৈরি পণ্য, হিমায়িত চিংড়ি, নানা ধরনের কৃষিপণ্য, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, হিমায়িত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ইত্যাদি এর আওতায় রয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে অল্প অল্প করে এই প্রণোদনা কমিয়ে আনা হবে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা একবারে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেই বিবেচনায় অল্প অল্প করে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে। আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে গেলে তারা রপ্তানি প্রণোদনা দিতে পারে না। এটাকেই প্রণোদনা তুলে নেওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বর্তমানে নিট, ওভেন ও সোয়েটার খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ, শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক-এর পরিবর্তে ৩ শতাংশ, নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা হিসেবে ৩ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য অতিরিক্ত ১ শতাংশ ও তৈরি পোশাক খাতে ০.৫০ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতে সব বাজারে সব পণ্যের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যের খাতে এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপর। বিকল্প বাজার তৈরির সম্ভাবনাও হারানোর শঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেহেতু ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে, তাই প্রণোদনা তুলে নেওয়ার বিষয়টি খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনানির্ভর কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতানির্ভর বাজারের দিকে ঝুঁকতে হবে। বড় ক্ষতির শঙ্কা উদ্যোক্তাদের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ এর জুলাই-ডিসেম্বর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে ২০২২-২৩ জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় ১৭.০৫ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১.২৪ শতাংশ,  আমেরিকায় ৫.৬৯ শতাংশ এবং কানাডায় ৪.১৬ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।  গার্মেন্টস মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে রপ্তানি খাতে সবচেয়ে বেশি টানাপড়েন চলছে। রপ্তানির পরিমাণ বাড়লেও মুনাফা সেই হিসেবে বাড়ছে না। মন্দার কারণে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর উৎপাদন মূল্য বেড়ে গেছে। সেই হিসেবে রপ্তানির মূল্য বেড়ে গেছে। এক্সপোর্টের ভ্যালু (মূল্য) বেড়ে যাওয়া মানেই কিন্তু মালিকরা সেই টাকাটা পায় না। মালিকরা সিএম বা চুক্তি অনুযায়ী দাম পায়। এসব বিভিন্ন কারণে আয় এখন আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে, সেই সঙ্গে বাজারে এখন পর্যাপ্ত অর্ডার নেই। তিনি বলেন, ভ্যালুর কারণে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ছে। অর্ডার কিন্তু শর্টেজ, ক্যাপাসিটি কিন্তু খালি যাচ্ছে, কথা কিন্তু সত্যি। তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে সব ধরনের জ্বালানির দাম কয়েক গুণ করে বেড়েছে। এমন অবস্থায় প্রণোদনাটা বাড়বে বলে তারা আশা করছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো হচ্ছে। কমিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নীতি-নির্ধারকরা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা আসলে দিনের শেষে যে কয়টা টাকা এক্সট্রা পেতাম, সেটা দিয়ে হয়তো লোকসানটা কিছুটা কমিয়ে আনা হতো। সেটার গ্যাপ এখন আরও বাড়বে। তাই নিশ্চিতভাবেই ব্যবসায়ীদের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন। মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বর্তমানে পোশাক শিল্পে বড় কোম্পানিগুলো তাদের কারখানা বা ইউনিট বাড়াচ্ছে। বড় মাপের বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু ছোট বা মাঝারি আকারে কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। নতুন এই সিদ্ধান্তের পর এ ধরনের উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার হার আগের তুলনায় আরও কমবে। নতুন বিনিয়োগের ওপর প্রভাব পড়বে, লোকসানের পরিমাণ বাড়বে, দীর্ঘমেয়াদি গার্মেন্টস বন্ধের সংখ্যাও বাড়তে পারে। বিজিএমইয়ের পরিচালক বলেন, বর্তমান প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছিল নতুন বাজার বা অপ্রচলিত বাজার। কারণ, আমেরিকা ও ইউরোপের বাজার মন্থর হয়ে গিয়েছিল। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে। তিনি বলেন, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াতে নতুন বাজার গড়ে উঠেছিল। ভারতের বাজারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভালো করছিল এবং এ কারণেই এই বাজারের প্রতি ব্যবসায়ীদের আগ্রহও বাড়ছিল। এই সার্কুলারে অপ্রচলিত বাজার থেকে প্রণোদনা বাদ দিয়ে দিয়েছে। তাতে যেটা হবে, যারা ওইখানে কনসেনট্রেট করছিল বিকল্প মার্কেটে। আমরা সবসময় বলি না, বিকল্প মার্কেট, বিকল্প প্রডাক্টে যাও, সেই ইনস্পিরেশন বা অনুপ্রেরণাটা মালিকরা এখন লুজ করে ফেলবে। তিনি মনে করেন, অপ্রচলিত বাজারে আর কোনো প্রণোদনা না থাকলে তার প্রভাব এই বাজারগুলো নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পড়বে। পোশাক উৎপাদনকারীরা এখানে আর রপ্তানি করার উৎসাহটা পাবে না। কারণ, নতুন বাজারে রপ্তানি করলে তো একটা (নগদ প্রণোদনা) পেত। পোশাক খাত নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অবধারিত ছিল। প্রণোদনা যেহেতু ভর্তুকির একটি অংশ, তাই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এ বিষয়ে একটি নিয়ম রয়েছে। আর তা হচ্ছে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে ২ শতাংশের বেশি ভর্তুকি দেওয়া যাবে না। সেই বিবেচনায় অধিকাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে যে হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে তা আসলে কমিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা আসলে একটা নীতিগত বাধ্যবাধকতা। এটা মানতেই হবে।  ‘সরকারি এই সিদ্ধান্ত এই শিল্পের ওপর আসলে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না’ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত গার্মেন্টস খাত দীর্ঘদিন ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছে। তাই এই প্রণোদনা যে তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে তা বলার সুযোগ নাই। কারণ, এই খাত আর প্রাথমিক অবস্থায় নেই। এই প্রণোদনা হয়তো উদ্যোক্তার মুনাফায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা দেয়। তিনি বলেন, এই ধরনের ইনসেনটিভগুলো যদি প্রাপ্যতার যুক্তিতে ধরেন তাহলে অন্য অনেক ইমার্জিং সেক্টর রয়েছে তাদের বরঞ্চ এই ধরনের ইনসেনটিভগুলো পাবার কারণ রয়েছে, যেটা হয়তো গার্মেন্টসের নেই। সাধারণত কোনো খাত প্রাথমিক অবস্থায় থাকার সময়, প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় চ্যালেঞ্জ থাকলে বা নতুন ক্রমবর্ধমান অবস্থায় থাকলে সেসব খাতকে উৎসাহিত করার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়। সেই বিবেচনায় গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই খাতকে এই প্রণোদনা দেওয়া হয়, এটি না দিলেও এই খাত সেই উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে। তাই এই খাত থেকে এই প্রণোদনা প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা আছে। তৈরি পোশাক খাতে এই প্রণোদনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংক থেকে এই প্রণোদনা আদায়ের ক্ষেত্রে এক ধরনের মধ্যস্বত্ত্বভোগী তৈরি হয়। তারা এই প্রণোদনার একটি অংশ রেখে দেয়। বাকিটা উদ্যোক্তারা পান। তবে সেটাও সময় মতো পান না, অনেক বছর পরে পান। তিনি বলেন, এখান থেকে অনুমান করা যায় যে, এই ধরনের প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরণের ‘ইমপ্যাক্ট’ বা ফল পাওয়ার যুক্তি দেখানো হয়, সেটা আসলে এই খাতে খুব একটা কাজ করছে না। আর প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রক্রিয়াগত নানা চ্যালেঞ্জ থাকার কারণে এটা যে খুব ইম্প্যাক্টফুল, তা বলা যাবে না। অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, এই প্রণোদনা যেহেতু ধাপে ধাপে প্রত্যাহার বা কমিয়ে আনা হবে, তাই এটির নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা থাকলেও সেটি এড়ানো সম্ভব। প্রণোদনা কমিয়ে আনা ২০২৪ সাল থেকে শুরু হচ্ছে এবং ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় রয়েছে। তাই এই দুই বছরে যদি একটা সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করে এগোনো যায় এবং এটি প্রত্যাহার করা হলে কী ধরনের চাপ পড়বে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাহলে চূড়ান্ত প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা ভাবতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য যে এক শতাংশ প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি যত পরে গিয়ে প্রত্যাহার করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এই উদ্যোক্তারা কিছুটা সময় পান। এক্ষেত্রে সরকারের ঋণ সহায়তা, গ্রিন ফান্ডের সহায়তা এবং বিদেশি বিনিয়োগ কাজে লাগানো যেতে পারে। সূত্র : বিবিসি
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬

মন্দা কাটাতে নতুন বাজারে চোখ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের
মন্দা পরিস্থিতিতে ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করায় নতুন নতুন বাজারের সন্ধানে নেমেছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প মালিকরা। বিশেষ করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও আফ্রিকার মতো অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রপ্তানি বাড়ানো হচ্ছে। রপ্তানির এ ধারা বজায় রেখে তৈরি পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়াতে সেসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাসেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মত ব্যবসায়ীদের। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির মূল বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া ৪৭.৩৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশেই রপ্তানি হয়েছে ২৩.৩৮৪ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এছাড়া আমেরিকায় ৮.২৭৩ বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যে ৫.৩৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং কানাডায় ১.৫১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এদিকে ২০২১ সালে এক লাফে গার্মেন্টস খাতের আয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪৫.৮০৯ বিলিয়ন ডলার হলেও গত দু’বছরে মন্দা পরিস্থিতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমছে। এই সংকট কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের রপ্তানি কমার বিষয়টি অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানো মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনা করছি এবং তা কিছু কাটিয়ে উঠেছিও।   বৈশ্বিক মন্দার পাশাপাশি রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে ইউরোপ-আমেরিকার বাজার হারানোর শঙ্কা থেকেই নতুন নতুন মার্কেটের সন্ধানে নেমেছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গত কয়েক বছর ধরে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি বাড়ছে। ২০২৩ সালে অপ্রচলিত দেশ থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৮.৮৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে জাপানে ১.৬৭৫ বিলিয়ন ডলার, অস্ট্রেলিয়ায় ১.২৮৪ বিলিয়ন ডলার, ভারতে ৯১৮ মিলিয়ন ডলার, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার এবং রাশিয়ায় ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে এসব বাজার থেকে আয় হয়েছে ৭.৩৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া ২০২১ সালে অপ্রচলিত বাজার থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫.৬৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২০ সালে এই আয় ছিল ৪.৫১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিষয়ে বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা যখন শুরু হয়েছে, তখন আমরা ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকেছি। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে এখন আমাদের পণ্যের বড় বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।’   বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে গত চার বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০.৯৮ শতাংশ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭.৪২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩৯.২৮ শতাংশ এবং অপ্রচলিত বাজারের দেশগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার ৬০.৮৯ শতাংশ। তবে, নতুন বাজারগুলোতে পণ্য পাঠাতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক এ এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আগে থেকে নতুন বাজারে খোঁজে ছিলাম। কিন্তু এখন ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য সেই খোঁজ আরও জোরালোভাবে হওয়াটা প্রয়োজন। অপ্রচলিত দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি বাড়িয়ে মন্দাভাব অনেকটা কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। তবে রপ্তানির এ ধারা বজায় রাখতে গেলে সেসব দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।’
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়