• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘পরিবারের লোকজনও আমাদের শুধু টাকার গাছ মনে করে’
বাংলাদেশের মত নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার একটি অন্যতম উপায় প্রবাসী আয়। অথচ বিদেশের মাটিতে রক্ত জল করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এই সব প্রবাসীরা দেশ, সমাজ এমনকি পরিবারের কাছেও অবহেলিত থেকে যান। শ্রীলঙ্কার কথা মনে আছে, ২০২২ সালে দেশটি নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল তার মূল কারণ ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে চলে যাওয়া। তখন শ্রীলঙ্কা সরকার অর্থনীতি বাঁচাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা শ্রীলঙ্কানদের দেশে বেশি বেশি বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়েও জোর আলোচনা শুরু হয়। যা এখনও আমাদের দেশে দারুণ সংবেদনশীল একটি বিষয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নানা সূচকে এগিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার ওই পরিণতি সকলকে বিস্মিত করেছিল। যে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা দেশের ঝুঁকির দিকগুলো এবং সে ঝুঁকি মোকাবেলায় কোন কোন খাতে কাজ করতে হবে তা তুলে ধরেছিলেন। তাদের সেই আলোচনায় গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে প্রবাসী আয় বাড়ানোর বিষয়টি। দীর্ঘ আট বছর সৌদি আরবে প্রবাস জীবন শেষে ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে দেশে এসেছেন সাতক্ষীরার হাফেজ মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম। যিনি ২০১৭ সালে দালালের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে যান। বাংলাকে তিনি শুনিয়েছেন তার দীর্ঘ প্রবাস জীবনে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাওয়ার গল্প। মালির কাজ নিয়ে সৌদি আরব গেলেও সেখানে গিয়ে মোমিনুল সেই কাজ পাননি। বরং তার কফিল (যে মালিক তাকে ভিসা দিয়েছিলেন) তাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মত কাজ খুঁজে নিতে বলেন। উপরন্তু কফিল প্রতিমাসে তার কাছ থেকে ৩০০ রিয়াল চেয়ে বসে। অবশ্যই দিতে হবে, নতুবা কাজ ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযোগে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন। মোমিনুল বলেন, প্রথম তিন মাস তেমন কোনো কাজ পাইনি। খেয়ে-না খেয়ে ছিলাম, কখনো রাস্তায় রাস্তায় থাকতে হয়েছে, কেউ খোঁজ নেয়নি। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অল্প কিছু কাজ করতাম। সাগরে মাছ ধরার জাল বোনার কাজ পেয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ সময় বসে থেকে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি বিধায় কাজ ছেড়ে দেই। কিন্তু কফিলকে প্রতিমাসে তিনশ রিয়াল দিতেই হতো। তিনমাস অনেক কষ্ট করার পর পরিচিত এক চাচার মাধ্যমে একটি বেকারিতে কাজ পাই। তখন মাসে ১৫০০ রিয়াল বেতন পেতাম। এদিকে ছয় মাস পর কফিল মোমিনুলের কাছে চারশ রিয়াল দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তা দিতে রাজি হন এই যুবক। কিন্তু দুই মাস যেতে না যেতেই কফিল মোমিনুলের কাছে পাঁচশ রিয়াল দাবি করে বসেন। আমি তখন তাকে অনুরোধ করি, মাত্র ১৫০০ রিয়াল বেতন পাই। ৫০০ তাকে দিলে আমার তো কিছু থাকে না। বাড়িতে ঋণ শোধের চাপও বাড়ছিল। কিন্তু কফিল টাকা কম নিতে রাজি না। পরে আমি রেগে গিয়ে তাকে বলি আমি আর কোনো টাকাই দিব না। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। ফোনে তার নম্বর ব্লক করি। তখন কফিল আমার নামে মামলা করে দেয়। মামলার কারণে পুলিশের ভয়ে থাকতেন মোমিনুল। লুকিয়ে কাজ করতেন। নিজের কাগজপত্র বৈধ করতে বহুবার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করেনি। জানান, আট বছরের প্রবাস জীবনে তিনবার গ্রেপ্তারও হয়েছে। দুই-একদিন কারাগারে থাকার পর মোটা অংকের অর্থ দিয়ে মুক্তি মিলেছে। অর্থ উপার্জনের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করেছি। ৪০ ডিগ্রির উপরের তাপমাত্রায় রাতে ১২ ঘণ্টা বেকারিতে কাজ করার পর দিনে আবার পার্টটাইম কাজ করতাম। আল্লাহর রহমতে এক সময় আয় বাড়ে। ঋণ শোধ করে ভবিষ্যতের জন্য বাড়িতে টাকা পাঠাতে শুরু করি। এই আট বছরে একবারও দেশে আসেননি মোমিনুল। কারণ, তার বৈধ কাগজপত্র ছিল না। মোমিনুল যখন প্রবাস জীবনে খানিকটা গুছিয়ে নিয়েছেন তখন হানা দেয় করোনা মহামারি। যদিও করোনা মহামারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে জানান তিনি। বলেন, ওই সময়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল ১৫ দিন। তাছাড়া, কাজ চলেছে। আর বেকারির কাজ তো বন্ধ করার উপায়ও নেই। তাই তার উপার্জনে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্যের দাম দুই-তিনগুণ বেড়ে যায়। আয় না বাড়ায় তাকে তাই খানিকটা চাপে পড়তে হয়। কেউ কেউ তখন কুলিয়ে উঠতে না পেরে দেশে চলে আসে বলে জানান তিনি। বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সৌদি আরবে আটার দাম ছিল হাফ রিয়াল। যুদ্ধ শুরুর পর তা দুই রিয়াল পর্যন্ত উঠে যায়। এরকম সব পণ্যের দামই কম-বেশি বেড়ে যায়। যে দাম আর খুব একটা কমেনি। আট বছরের প্রবাস জীবন শেষে মোমিনুল একেবারেই দেশে চলে এসেছেন। যেহেতু তার কাগজপত্র বৈধ নয়, তাই ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম দেশে এখন কী করবেন? তিনি জানান, আরেকটু সময় নিয়ে, একটু ভেবেচিন্তে কোনো একটা ব্যবসা শুরু করবেন। এজন্য পুঁজি দরকার। কতটা পুঁজি নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি খানিকটা আক্ষেপের সুরে বলেন, কিছু পুঁজি নিয়ে এসেছি। তবে পরিবার যদি সহযোগিতা করতো তবে আরো বেশি সঞ্চয় হতো। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমার পরিবার। সবাই শুধু টাকা চায়। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। সবাই মনে করে প্রবাসীরা টাকার গাছ। আমরা যে কত কষ্ট করে টাকা কামাই পরিবার সেটা দেখে না।  চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারলে আমরা হিরো, না পারলে আমরা ভিলেন। আমাদের ভালো-মন্দের খোঁজ কেউ রাখে না। একই রকম কথা শোনান জনি মন্ডল। ঢাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করা এই তরুণ গাড়ির গ্যারেজের কাজ নিয়ে ২০২১ সালের শেষ দিকে করোনা মহামারি যখন বিদায় নিতে শুরু করেছে তখন সৌদি আরব যান। জনি বলেন, শুরুতে ভালোই ছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চাল, তেল, আটাসহ সব নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাদের আয় বাড়েনি। এই টাকায় তারা চলতে পারছেন না। বাড়িতে ঠিকমত টাকা পাঠাতে পারেন না। পরিবার থেকেও তখন চাপ আসে। বেশিরভাগ মানুষ তো ঋণ করে বিদেশে আসে। প্রত্যেক বছর আকামা করতেই ১০ হাজার রিয়াল লেগে যায়। অনেকে পোষাতে না পেরে তাই দেশে চলে গেছেন। কাতার প্রবাসী সুমন আহমেদ অবশ্য খানিকটা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রায় নয় বছর ধরে তিনি কাতারে আছেন, সেখানে সেলসে কাজ করেন। নিজের আয়, কাজের পরিবেশ নিয়ে তিনি বেশ সন্তুষ্ট। দুই সন্তানের জনক সুমন আহমেদ দুইবার দেশে থেকে ঘুরে এসেছেন। তার আয়ে পরিবার বেশ স্বচ্ছন্দে চলছে। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারছেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ বা গাজা যুদ্ধের কারণে আমাদের কাজের পরিবেশে পরিবর্তন হয়নি। আয়ও একই আছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছিল। তবে এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। আগের মত না হলেও নাগালের বাইরে নয়। নিজের প্রবাস জীবন নিয়ে এক ধরনের সন্তুষ্টি দেখা গেছে সুমন আহমেদের কথায়। তবে সবাই তার মতো ভাগ্যবান নন। বরং বেশিরভাগ প্রবাসীকেই প্রবাসে কষ্টকর এক জীবন পাড়ি দিতে হয়। দেশের জন্য, পরিবারের জন্য শত কষ্ট সহ্য করেও তারা কাজ করে যান। দেশের জন্য শুধু রেমিটেন্স যোদ্ধা আর পরিবারের জন্য টাকা ছাপানোর মেশিন হয়ে নয় বরং সবার কাছে সম্মান আশা করেন তারা।
১২ ঘণ্টা আগে

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না থেকেও যেভাবে পানি পাবে টবের গাছ 
ঈদের ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান বেশ কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু ঘরে থাকা গাছ নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। গাছে পানি দেবে কে এই চিন্তায় শহর ছেড়ে বেড়াতে বা ভ্রমণে যাওয়াটা এক রকম চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। তবে এ সমস্যার সমাধানে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে বাড়িতে কেউ না থাকলেও গাছ পানির অভাবে অন্তত মারা যাবে না। চলুন জেনে নিই পদ্ধতিগুলো- বোতলবন্দি: গাছে পানি দিতে বোতলকে অনেক ভাবেই কাজে লাগানো যায়। প্রথমে একটি বোতল নিয়ে তার গলা পর্যন্ত পানি ভরে নিতে হবে। সেই পানিতে কিছু সার গুলে দিতে পারেন। তারপর বোতলের মুখ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে উলটে দিন। ধীরে-ধীরে বোতলের মুখ গুঁজে দিন টবের মাটিতে। বোতলটা উলটে থাকবে। এক দিকে একটু হেলে থাকলেও অসুবিধে নেই। এবার বোতলের পিছন দিকে পানির মাত্রায় দাগ দিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা বাদে দেখুন পানি সেই লেভেল থেকে নীচে নেমেছে কি না। তা হলে বুঝতে পারবেন পানি পাস করছে। কিন্তু পানির মাত্রা যদি না নামে, তার মানে বোতলের মুখে মাটি জমে পানির পথ আটকাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বোতল তুলে নিয়ে তার মুখটা পরিষ্কার করে আবার গুঁজে দিতে হবে টবের মাটিতে। অথবা বোতলের গায়ে দু’-চারটে ফুটো করে, বোতলে পানি ভরে নিন। এবং পুরো বোতলটাই মাটির মধ্যে পুঁতে দিন। বোতলে পানি ভরে আর অল্প মাটি দিয়ে তার মধ্যেও গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সব গাছ কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাঁচে না। রশির বাঁধনে: একটা বড় গামলায় পানি ভরে নিতে হবে। এবার যে গাছগুলোতে পানি দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার চারপাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার পানির নীচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। তবেই গাছ ভালো করে পানি পাবে। পানিভর্তি গামলার মুখ যেন টবের চেয়ে বেশি উচ্চতায় থাকে। এই পুরো পদ্ধতি শুরু করার আগে টবের মাটি পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা পানি শুষে নেবে। পানিভর্তি টাব: একটা বড় গামলা বা বাথটাব থাকলে তার মধ্যে পানি ভরে ফেলুন। তারপর সেই পানিনিকাশি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই পানিভর্তি টাবের মধ্যে একে একে সব গাছ বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, গাছের টবের নীচে যেন পানি পাস করার ফুটো থাকে। এই পদ্ধতিতে গাছেরা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত পানি পাবে এবং ভালো থাকবে। টুকরো টিপস- • বাড়ির বাইরে থাকাকালীন গাছে পানি দেওয়ার যে কোনও পদ্ধতি বাছতে পারেন। কিন্তু যে পদ্ধতিই প্রয়োগ করুন না কেন, গাছকে প্রত্যক্ষ সূর্যালোকে রাখবেন না। তা হলে গাছের গোড়ার পানি গাছের কাজে লাগার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তাই এমন কোনও জানালার ধারে গাছের টবগুলো রাখতে হবে যাতে গাছ আলো পায়, কিন্তু রোদ যেন না লাগে। • এই পদ্ধতিতে চারদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত গাছে পানি সরবরাহ করা যায়। আর গাছ তার নিজের আপনিধারণ ক্ষমতায় আরও তিনদিন হয়তো বাঁচতে পারে। কিন্তু তার বেশি দিনের জন্য যদি বাইরে থাকতে হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের দায়িত্ব কোনও প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দিয়ে যাওয়াই ভালো। • গাছে পানি দেওয়ার উপকরণ সাজিয়ে আগে দেখে নিন, সেই পদ্ধতিতে গাছের পানির চাহিদা মিটছে কি না। বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই পদ্ধতিগুলো পরখ করে দেখে নিন, আপনার গাছের জন্য কোন পদ্ধতি সহায়ক। বাড়িতে কোনও প্রাণী থাকলে তার যতটা যত্নের প্রয়োজন, গাছেরও ততটাই। তাই দরজায় তালা দিয়ে বেরোনোর আগে কিছুটা সময় দিন। তা হলে আপনার সাধের বাগানও আর শুকিয়ে যাবে না।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

কলাপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে মো. বশির উদ্দিন হাওলাদার (৪৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্বটিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত বশির হাওলাদার পূর্বটিয়াখালী প্রামের আবদুল বারেক হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত বশির উদ্দিন হাওলাদারের চাচাত ভাই মো. রফিক উদ্দিন জানান, তার বাড়িতে চাম্বল গাছ কাটতে উঠে ডাল ভেঙে ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৩

ভূঞাপুরে ১ হাজার কলা গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এক হাজারের অধিক ছড়িসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সহযোগী মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল আওয়াল টাঙ্গাইল কোর্টে মাজেদুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই ইউনিয়নের খরক গ্রামের মৃত ছোবাহানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম এ গাছগুলো কেটে ফেলেন বলে দাবি করেছেন আব্দুল আওয়াল। জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বিদেশে থাকাস অবস্থায় মাজেদুল ও ইকবালকে নিয়ে অলোয়া ইউনিয়নের চরনিকলা এলাকায় ১৭ বিঘার জমি লিজ নেন। সেখানে কয়েকটি পুকুর খনন করা হয়। পরে পুকুরের চারপাশে কলাগাছ রোপণ করা হয়। এরপর মাজেদুল তার ব্যবসায়িক সহযোগী আওয়ালের কাছ থেকে ২০২২ সালে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ২ বছর ভোগ দখলের জন্য ২টি পুকুরের কলা গাছ কিনে নেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় মাজেদুল তার লোকজন নিয়ে আওয়ালকে না জানিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। যদিও গাছগুলো কাটার কোনো শর্ত ছিল না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতাব্বরদের অবহিত করে বিচার চান ভুক্তভোগী।  অভিযোগের বিষয়ে মাজেদুল বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এখনো মেয়াদ শেষ হয়নি, আরও কিছুদিন রয়েছে। তাই আমি পরিপক্ক কলাগাছের গোড়ায় থাকা কলা গাছের আগাছা পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কাটিনি। পরে জানতে পারি বড় বড় কলাগাছগুলো কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া কলাবাগানের চুক্তি শেষ হলেও কলা বাগান ও পুকুরের ১০ ভাগ শেয়ার রয়েছে আমার।  ভুক্তভোগী কলা গাছের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে কলা বাগান শুরু করার সময় থেকেই মাজেদুল এসব দেখাশোনা করতো। পরবর্তীতে তাকে ১০ ভাগ ব্যবসার শেয়ার দিয়ে সবকিছুর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সুযোগে মাজেদুল ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে টাকা পয়সা নয়ছয় করেছে।  তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর মাজেদুলের কাছে হিসাব চাইলে সে টালবাহানা করতে থাকে। এ ছাড়া তার কাছে ২ বছরের জন্য কলাগাছ বিক্রি করলেও চুক্তিতে কর্তনের কোনো শর্ত ছিল না। সে স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কলা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।  অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের কাছে জেনেছি মাজেদুল ইসলামসহ আরও দু-একজন আওয়ালের পার্টনার ছিল। তারমধ্যে মাজেদুল ও কলাগাছের মালিক আওয়ালের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, কলা গাছ কাটা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৪

সুনামগঞ্জে সড়কে ৩ হাজার গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ-সাচনাবাজার (জামালগঞ্জ) সড়কের ১৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় তিন হাজার গাছ কাটার উদ্যোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে ওই সড়কের টুকের বাজার পয়েন্টে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা সড়কের গাছ না কাটার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় বক্তব্যে গাছ লাগানোর কথা বলেন। আর এরা (বনবিভাগ) তিন হাজার গাছ কাটতে ফন্দি করছে। কোনো কারণ ছাড়াই কেবল সামাজিক বনায়নের দোহাই দিয়ে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সড়কের গাছগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে উপকারভোগীদের সরকার থেকে ভুর্তকি দিতে হবে। তবুও গাছ কাটা যাবে না।  জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত, জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল হাসান তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খলিল রহমান, সমাজকর্মী ওবায়দুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ ফুজায়ের কিবরিয়া প্রমুখ। বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-সাচনা (জামালগঞ্জ) সড়কে ২০ বছর আগে প্রায় ২০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই গাছ রোপন করা হয়। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসব গাছ কাটতে বনবিভাগ দরপত্র আহ্বান করেছে। এ জন্য প্রতিটি গাছের বাকল কেটে লাল কালিতে নাম্বার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ অনুযায়ী গাছ বিক্রির টাকা উপকারভোগী ৫৫ ভাগ, বন অধিদপ্তর ১০ভাগ, ভূমির মালিক হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০ ভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ৫ ভাগ পাবে। বাকি ১০ভাগ টাকা রাখা হবে আবার বনায়নের জন্য। বনবিভাগের সুনামগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, এই সড়কসহ বেশ কিছু জায়গার গাছ কাটার বিষয়ে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আগামী তিন এপ্রিল দরপত্র খোলার তারিখ। তবে গাছ কাটার বন্ধের দাবির বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নজরে এসেছে। এখন আলোচনা সাপেক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৭

স্কুলের গাছ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক কারাগারে
জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় কাশিয়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জয়পুরহাট আমলি-১ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় চত্তরের ৮টি বড় গাছ প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কাঠ ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র হাওলাদারের কাছে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পূবালী ব্যাংকে জয়পুরহাট শাখায় জমা দেন। আর বাকি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন।  এ ঘটনায় বাদী হয়ে একই বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোস্তাকিম হোসেন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সোমবার প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২৪

মাথায় গাছ পড়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গাছ পড়ে মো. ইসমাইল হোসেন (৪৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কুমারগঞ্জ বাজারের কাছে বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈল মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।   নিহত ইসমাইল হোসেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের মৃত বজির উদ্দিনের ছেলে। তিনি লাহিড়ী ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন। নিহতরে চাচাতো ভাই মকিম উদ্দিন সরকার বলেন, ইসমাইল হোসেন নেকমরদ বাজারে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে রাণীশংকৈলে তার শ্যালিকার বাড়ি যাচ্ছিলেন। কুমারগঞ্জ এলাকায় সড়কের ধারে গাছ কাটছিলেন কয়েকজন। মোটরসাইকেলটি সেখানে পৌঁছালে গাছটি ইসমাইল হোসেনের মাথার ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রাণীশংকৈল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, কুমারগঞ্জ এলাকার মো. কামাল উদ্দিন বাড়ির পাশে ও সড়কের ধারে একটি নিম গাছ কাটছিলেন। এ সময় গাছটি পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।   
০৮ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজেদের পিতৃপুরুষের জমি জবর দখল ও গাছ কাটার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্বার অর্ধশতাধিক পরিবার। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে বিলবৈলঠাসহ কয়েকটি গ্রামের কোল সম্প্রদায়ের মানুষ। মানববন্ধনে আসা পরিবারগুলো বলেন, তাদের পূর্বপুরুষের ভোগ দখলে থাকা হোসেনডাঙ্গা মৌজার প্রায় ১১ বিঘা জমি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে দখলের চেষ্টা করছে ভূমিদস্যুরা। গত মঙ্গলবার তারা দলবল নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে জমিতে থাকা ২৫ টির বেশি বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলেছে।  নরেশ কোল হাসদা নামে একজন অভিযোগ করেন, তাদের পূর্বপুরুষের এ জমি ভোগদখল করে আসছিল। তারা এখন জমিটি ভোগদখল করছে। ভূমিদস্যুরা জাল দলিল করে এ জমির দখল নিতে আসে, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। তারপরও জোর করে জমির গাছ কেটে নিয়েছে। এসময় বাধা দিতে গেলে আদিবাসীদের ওপর হামলাও করে। মানববন্ধনে আসা জামিলি টুডু, অঞ্জলি মার্ডী, আঁখি টুডু,শ্রী লক্ষন কুমার মুরমু, শাহাদেব মরমুসহ বক্তব্য দেন। পরে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে কোল সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১

মাদারীপুরে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেলো যুবকের
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের উল্লাবাড়ি গ্রামে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে দিনেশ বাড়ৈ (৩২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।  নিহত দিনেশ বাড়ৈ একই গ্রামের অতুল বাড়ৈর ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিনেশ বাড়ৈ দুপুরে বাড়ির পাশে একটি নারিকেল গাছের আগাছা পরিষ্কার করতে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি গাছের ডাল ছিড়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় গুরুতর অবস্থায় দিনেশকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজৈর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ঘটনার বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৪

এক খেজুর গাছের ৬ মাথা  
সেই আদিকাল থেকে সুমিষ্ট ফল হিসাবে খেজুর ফলের খ্যাতি পৃথিবীয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফিনিক্স ড্যাকটিলিফিরা (phoenix dactylifera) গোত্রভুক্ত এ খেজুর গাছ কমপক্ষে ৬ হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে টিকে আছে। সাধারণত এক মাথা নিয়ে জন্ম নেয় খেজুর গাছ। তবে প্রচলিত নিয়ম ভেঙে একাধিক মাথা নিয়ে মাঝে মাঝে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক খেজুর গাছকে। যে গাছগুলো দেখতে অদ্ভুত ও অসাধারণ মনে হয়। তেমনি এবার ৬ মাথার একটি খেজুর গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে ঝিনাইদহে কালীগঞ্জ উপজেলার বনখির্দ্দা গ্রামে। গাছটিতে পূর্বে ৭ টি মাথা থাকলেও ১ টি মাথা নষ্ট হয়ে এখন ৬ টি মাথা আছে। উপজেলার বনখির্দ্দা গ্রামের হানিফ মণ্ডলের মাঠের জমিতে বেড়ে উঠেছে ৬ মাথাওয়ালা এ খেজুর গাছটি। এটি দেখতে এখন গ্রামটিতে অনেক মানুষ ভিড় করেন, বিশেষকরে পড়ন্ত বিকালে। বনখির্দ্দা গ্রামের মোহাম্মদ হানিফ মণ্ডলের মাঠের জমিতে এ গাছটি ১০-১৫ বছর ধরে দাড়িয়ে আছে বলে জানান স্থানীয়রা। যে গাছ দেখতে অনেকে এখন বনখির্দ্দা গ্রামের এ মাঠে আসেন। গাছটির বর্তমান মালিক হানিফ মণ্ডলের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমার আব্বা শুধু একটি খেজুর গাছের চারা লাগিয়েছিলেন, চারা বড় হওয়ার পর দেখছি গাছটির অনেক মাথা হয়েছে। গাছটি কতদিন বাঁচবে জানিনা। গাছটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য কেউ যদি উদ্যোগ নেয়, তবে ভাল হয় । কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও বনখির্দ্দা গ্রামের বাসিন্দা ইমন মাহমুদ ইকবাল জানান , গাছটির আগে ৭টি মাথা ছিল, ১ টি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ৬টি মাথা আছে। প্রতিনিয়ত দূর দূরান্ত থেকে গাছটি অনেকে দেখতে আসেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন গাছটির রক্ষণাবেক্ষণসহ সংরক্ষণ করে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়