• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরম আরও বাড়ার আভাস 
প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। টানা হিটওয়েভে ওষ্ঠাগত জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ চড়াও যশোর-চুয়াডাঙ্গায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এপ্রিলই শেষ নয়, এবারের মে মাস হবে আরও উত্তপ্ত। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ১৩ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবনের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শনিবার (২০ এপ্রিল) গরম আরও বাড়াতে পারে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং অব্যাহত থাকতে পারে। তাই তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
৩ ঘণ্টা আগে

যে কারণে গরম আর শীত বেশি চুয়াডাঙ্গায়
শীত ও গরমের আবহাওয়ায় আলোচনায় থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ, শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত আর গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। এটি এ জেলার আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গরমে হাঁসফাঁস আর শীতে কাঁপাকাঁপি। কেন এমন হয়?  তাপমাত্রার এমন তারতম্যের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি কারণে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভৌগোলিক কারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি। আর এ কারণেই শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছপালা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াও অন্যতম প্রধান কারণ। এ জেলায় অপেক্ষাকৃত কম জলাভূমি রয়েছে। জলাভূমি বেশি থাকলে শীতের সময় তা শীত ধারণ করে ঠান্ডা কমিয়ে দিতে পারে। আর গরমের সময় জলাভূমির স্বল্পতার জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় না। তাই বেশি গরম অনুভূত হয়। জামিনুর রহমান জানান, শীত ও গ্রীষ্ম উভয়েই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি—এসব এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে আসে। আবার পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে এ জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও বাড়ে।  এদিকে, গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তীব্র গরমেরও রেকর্ড রয়েছে এ জেলার। গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ২২ মে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫  এপ্রিল ওই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চারবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আজ চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগে

গরম নিয়ে সবশেষ যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস
দেশের আট বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, একই সময়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিরাজমান তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি প্রশমিত হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়  সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪

গরম বাড়তেই ঈদের পর ফের বেড়েছে তরমুজের দাম 
ঈদের আগে তলানিতে নেমেছিল তরমুজের দাম। বড় আকারের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছিল ৩০-৪০ টাকায়। ঈদের পরদিন প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকায়। তরমুজের বাড়তি দামের বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের মধ্যে সরবরাহ কম ছিল। এছাড়া মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে নতুন করে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী শংকর পাল বলেন, পাইকারীতে দাম বেড়েছে, কিছু করার নেই। নিলে নেন, নইলে বাদ দেন।  ক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে মানুষ তরমুজ বয়কট করায় বিক্রি তলানিতে নেমেছিল। এখন নতুন করে দাম বাড়াচ্ছে, মানুষ তরমুজ না কিনলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সোজা হবে। শান্তিনগর বাজারে কথা হয় মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস আছে, তাই অন্য ফলের চেয়ে তরমুজটা একটু বেশি খাই। ঈদের আগের তুলণায় আবার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকায় তো মানুষ নেই। তরমুজ কেনার মানুষ নেই। এরপরও বিক্রেতারা দাম ছাড়েনা। রাজধানীর খুচরা বাজারে মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম নামে ৮০ টাকায়।  সেই সময় বেশি দাম ও তরমুজ অপরিপক্ব হওয়ায় মানুষ খুব একটা তরমুজ কেনেননি। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। তখন কমে যায় তরমুজের দাম। তবে গরম বাড়তেই ঈদের পর ফের বাড়ছে তরমুজের দাম।   
১২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১২

ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, বাড়বে গরম
টানা কয়েক দিন গরমের পর গত দু’দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও হয়েছে ঝড়। বৃষ্টির ফলে গরম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। গতকাল সকাল থেকেও বিভিন্ন স্থানে ছিল মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টির এমন পরিস্থিতি বেশি সময় স্থায়ী হবে না বলে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই; বরং বাড়বে গরম। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিক। এর পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। সেই হিসাবে ঈদের দিন (বুধ কিংবা বৃহস্পতিবার) বৃষ্টি হবে না, বরং ভ্যাপসা গরম থাকবে। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। তাপমাত্রা থাকবে বেশি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকবে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।  সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এ পরিবর্তন। তিনি বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। গত এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

গরম নিয়ে যে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
কয়েক দিনের টানা গরমের পর রোববার (৭ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে দুদিন পর আবারও গরম বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (৭ এপ্রিল) দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টি কোনো আশঙ্কা নেই। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১২

সোনারগাঁয়ে তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
তীব্র গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সোনারগাঁয়ের জনজীবন। গরম আর লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে মুসল্লিদের পবিত্র রমজানের তারাবি পড়তে কষ্ট হচ্ছে এবং রাতে ঘুমাতেও পারছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দিন-রাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে স্থানীয় শিল্প মার্কেট, জামদানি পল্লী, হাসপাতালগুলোতে প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন পেশাজীবীর শ্রমিকরা অল্প সময় কাজ করে হাঁপিয়ে উঠছে। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।  স্থানীয় বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।  অটোচালক মো. হোসেন জানান, রোজা রেখে তীব্র গরমে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে অটোরিকশা ঠিকমতো চার্জ দিতে পারছে না। ফলে এবারের ঈদে পরিবারের প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে সন্ধিহান রয়েছেন তিনি।  ধন্দী বাজার মুদি ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার মিয়া জানান, এমনিতেই তীব্র গরম তার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায়। এতে করে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়ির শিশু থেকে বয়স্করা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।  জামদানি শিল্পী আবু তাহের জানান, ঈদকে সামনে রেখে জামদানি পল্লীতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করার কথা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তীব্র গরমে জামদানি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কারিগর ও ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ মুনাফা হবে না বলে দাবি তার।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক জানান, গরমে হিটস্ট্রোকের কোনো রোগী আমাদের এখানে এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে হিটস্ট্রোক এড়াতে বেশি বেশি পানি পান করা, প্রচণ্ড রোদ বা তাপ এড়িয়ে চলা ও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক।  স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম দীলশাদ ই ঐক্যতান জানান, স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদার শতকরা ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৫

গরম ও বৃষ্টি নিয়ে সবশেষ যে বার্তা দিলো আবাহওয়া অফিস
দেশের অধিকাংশ জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এ অবস্থা আরও বাড়ার পাশাপাশি বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। বাতাসে বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকবে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথভা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৪

তীব্র গরম কমবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
সারাদেশে কয়েক দিন ধরে বাড়ছে গরমের পরিমাণ। ঢাকাসহ চার বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গরমে মানুষের প্রচুর ঘাম ঝরছে। এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, বাড়ছে অবসাদ। তাপমাত্রা যাই থাকুক না কেন গরম বেশি অনুভব হচ্ছে। তবে আগামী ৭ এপ্রিল রোববার থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। তখন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, বৃহস্পতিবারও (৪ এপ্রিল) রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। আগামী শনিবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।  আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুল রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।  উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু এবং ৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।   এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  শনিবারের (৬ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবারের চেয়ে শনিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা হতে পারে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৪

কোথায় কেমন গরম পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস
দেশের দুই জেলা ও চার বিভাগে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী (৮ জেলা), ঢাকা (১৩ জেলা), খুলনা (১০ জেলা) ও বরিশাল (৬ জেলা) বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্থি বৃদ্ধি পেতে পারে। চলমনা তাপপ্রবাহের আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।  এদিকে, আবহাওয়ার মাসব্যাপী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। পাঁচ থেকে সাত দিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরন বৃষ্টি হতে পারে। এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি) ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়