• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এস্তোনিয়া হবে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য : পলক
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এস্তোনিয়া হবে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি কারেলশন এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ থেকে আইটি পণ্য আমদানি এবং তাদের উৎপাদিত স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।  জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এস্তোনিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অনেক মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্মার্ট শিল্পবিপ্লবে বিশ্বে এখন নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে।  এসময় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশে মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে এ খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভজনক। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এস্তোনিয়া প্রতিনিধিদলের প্রধান সেদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন দিক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলককে অবহিত করে বলেন, সাইবার নিরাপত্তাসহ স্মার্ট অবকাঠামো উন্নয়নে এস্তোনিয়া কাজ করছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে এখাতে অগ্রগতির অভিজ্ঞতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে উল্লেখ করেন। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন, ভারতে এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্জি লুপ, বাংলাদেশে এস্তোনিয়ার অনারারি কনস্যুল সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ এবং নয়দিল্লীতে এস্তোনিয়া দূতাবাসের ডিসিএম মারগুস সলসন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৯

পর্যটনের উন্নয়নে আকাশপথে নতুন গন্তব্য চায় ভারত-বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে আকাশপথে যুক্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি দেশ। পর্যটক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পর্যটন মেলা আয়োজনেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর কার্যালয়ে হওয়া সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে মত দেন তারা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা এসব বিষয়ে আগ্রহের কথা ‍তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পর্যটন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, পর্যটনশিল্পে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ করে ভারত থেকে আরও বেশি পর্যটক কীভাবে বাংলাদেশ আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা সহজ করার বিষয়েও কথা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন ও পর্যটনশিল্পে সহযোগিতার বৃদ্ধির ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো বিবেচনা করব। এ ছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার আকাশপথে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন বিমান কেনা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে আমাদের। বিমানবন্দরে প্রবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এভিয়েশন এবং পর্যটন খাতের সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। এটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করব। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভারত ৩৬ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে। বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে অনেক ভারতীয় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে জানিয়ে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, দিন দিন এটির সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশিদের সময়মতো ভিসা দিতে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার বিষয়টি ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়