• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় গণহত্যা চলছেই, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানছে না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হচ্ছে না। বরং   গণহত্যা চলছেই। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের। প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্বর এই হামলার বিপক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।  কিন্তু কোনো কিছুতেই কর্ণপাত করছেনা ইসরায়েল।   জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জাতিসংঘের স্পেশাল পোর্টিউর ফ্রাসেস্কা আলবানিজ বলেছেন, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, তা গণহত্যা। এ জন্য তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।  আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলকে কেউ যেন অস্ত্র সরবরাহ না দেয়। মানবাধিকার পরিষদের ওই অধিবেশনে যোগ দেয়নি ইসরায়েল। তবে তারা তার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।  আলবানিজ বলেন, আমার দায়িত্ব হলো মানবতার পক্ষে কথা বলা। সবচেয়ে খারাপ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া। ফলাফল উপস্থাপন করা। জেনেভায় তিনি ‘দ্য অ্যানাটমি অব এ জেনোসাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে– এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে।  গাজায় খাদ্যাভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। মানুষ খাবারের অভাবে গাছের পাতা খাচ্ছে। এদিকে বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সাগরে ফেলা ত্রাণ আনতে গিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি পানিতে ডুবে গেছেন। সোমবার বেঈত লাহিয়া উপকূলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৩

রাতে এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
গণহত্যা দিবস স্মরণীয় রাখতে আজ রাত ১১টা থেকে রাত ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল‍্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ পালন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন’ উপলক্ষে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণীসংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। এক মিনিট অন্ধকার থাকবে সারাদেশ। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। ব্ল‍্যাক আউটের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।  দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহ একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ।  ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বাঙালির জাতীয়তাবাদী, স্বাধিকার আন্দোলনকে সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে দমন করতে চেয়েছিল তারা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:২৩

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি 
জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।  সোমবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ‘অপারেশন সার্র্চলাইট’ নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লংঘন। এ নৃশংস গণহত্যার চিত্র দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়া নানা দালিলিক প্রমাণ দ্বারা এ গণহত্যা প্রমাণিত। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্তরের সেই ভয়াল গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত করেন বক্তারা। ‘১৯৭১ এর গণহত্যা ও বিশ্ব স্বীকৃতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির মন্ডলীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক।  জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহবায়ক জুলহাস আলম। প্রধান অতিথি শাহজাহান খান বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা জাতীয় স্বীকৃতি পেতে ৪৭ বছর লেগেছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে দীর্ঘদিন যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ২৫ মার্চের কালরাতে সংঘটিত হওয়া গণহত্যার ইতিহাসকেও মুছে ফেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি মিললেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। সেজন্য দেশের সাংবাদিক সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার ইতিহাসকে আরো বেশি করে তুলে ধরতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তথ্য উপাত্তসহ  নতুন প্রজন্মের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে যে সব বধ্যভ‚মি রয়েছে সেগুলোর তথ্য উপাত্তসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উপস্থাপন করতে হবে। সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন করে আসছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তার প্রতিটি মানদÐে ২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এ দাবির সঙ্গে সাংবাদিক সমাজ একাত্মতা প্রকাশ করছে।   সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশের বধ্যভ‚মিগুলোর করুণ অবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এখনও কোনো জেনোসাইড মিউজিয়াম স্থাপন করা যায়নি, যা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আরো বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সদস্য চপল বাশার, মাহফুজা জেসমিন প্রমুখ। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী,  কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য কাজী রওনাক হোসেন ও কল্যাণ সাহা।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন
মোমবাতি প্রজ্বালন করে গভীর শ্রদ্ধায় ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদদের স্মরণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদদের নেতৃত্বে সংগঠনটির কয়েকশ নেতাকর্মী  এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। শুরুতে তারা এক মিনিট নিরবতা পালনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। এসময় তারা শহীদদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল।  এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে এক ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।  ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট। এ অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।  অনেক পরে ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।  অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউজে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তার কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট। মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হলো। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হলো। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।’ পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয় , ‘১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।’ ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে। ঢাকার ইপিআর সদর দপ্তর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।’ পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার রাত ১১টা থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এ দিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।   সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এ ছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:২৮

গাজায় গণহত্যা দুঃখজনক : শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা খুবই দুঃখজনক। আমাদের সবার উচিত তাদেরকে সহায়তা করা। গাজায় যা চলছে, আমি মনে করি এটি গণহত্যা। এর বিরোধিতা করতে হবে। এ ধরনের গণহত্যাকে আমি কখনও সমর্থন করি না। গণহত্যা এই আগ্রাসন এবং যুদ্ধ থামানো প্রয়োজন। তাদের বাঁচার অধিকার রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছি। আমি বিশ্বের সবাইকে ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার আহ্বান জানাই। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি) যোগ দিতে সেখানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্ব ও জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।  ১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনের সীমানা নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটি স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার রাখে। ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘের দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন করা প্রয়োজন। এর আগে জার্মানির মিউনিখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে, বৈঠকের পর এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা ইউক্রেনের শান্তির ফর্মুলা ছাড়াও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই ফর্মুলা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ এবং বৈশ্বিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৮

গাজায় গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা থেকে দখলদার ইসরায়েলকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসেজি)। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি মামলার অন্তবর্তীকালীন রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু এই আদেশ দেন। তিনি বলেন, আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসরায়েলি সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর পাশাপাশি গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। এ ছাড়া গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এক মাসের মধ্যে ইসরায়েলকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গাজায় গণহত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়। শুনানিতে জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিতে আদালতকে অনুরোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ইসরায়েল আদালতকে এই মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছিল। এ বিষয়ে বিচারক জে দোঙ্গু বলেছিলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় দেওয়ার এখতিয়ার আইসেজির রয়েছে। ইসরায়েলের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা এই মামলা খারিজ করবেন না। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৮৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, এটি করতে পারলেই তাদের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০

গাজায় গণহত্যা মামলায় শুনানির দিন ধার্য
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের।   মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে।ফিলিস্তিনি জাতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালাচ্ছে তারা। গত ৩০ ডিসেম্বর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিজে।পাশাপাশি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সমনও পাঠিয়েছে জাতিসংঘের আদালত। আইসিজের সমনের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে ইসরায়েলি মিশনেরপক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ইসরায়েল অবশ্যই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়