• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর
আগামী বছর থেকে সপ্তাহের শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ  ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীতে সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে সারা বছর শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে।    পবিত্র রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো এই বিতর্ক এড়াতে। বছরে ৫২টি শনিবার আছে। এ দিনগুলোতে বিদ্যালয় খোলা রেখে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে তা বন্ধ করার চেষ্টা করবো। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো, যেন আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে এ ধরনের অপচেষ্টা কেউ আর না করতে পারে।  প্রসঙ্গত, এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে?  পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়, যেখানে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

রমজানে যত দিন খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা রইল না। এরপরেই মাহবুব রহমান তুহিন দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ রমজান পর্যন্ত খোলা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫২

রমজানে স্কুল খোলা থাকবে কি না, জানা যাবে আজ
পবিত্র রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে কি না সে বিষয়ে আপিল বিভাগে আজ শুনানি হবে। ফলে আজই জানা যাবে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে কি না। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়টি শুনানির জন্য রয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। আদালত এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিন ঠিক করেন। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ (এসকে) মুহাম্মদ মোর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। এর আগে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেটি চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে সেদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। এ বিষয়ে রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করে এবং একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এরপরে বিষয়টি নিয়ে একজন অবিভাবক রিট আবেদন করেন ওই রিটের শুনানি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এদিকে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনো হয়নি বলে জানান আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল নিজে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১১:১৯

মঙ্গলবার স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন,  ‘আমরা যে সিদ্ধান্তটা দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে রায়ের কোনো কপি আমাদের কাছে আসেনি। এজন্য আমরা কোনো মন্তব্য করবো না।’ সোমবার (১১ মার্চ) রাতে ‘রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে স্কুল বন্ধ নাকি খোলা থাকবে?’- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ‘সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর ছুটি ঘোষণা নির্বাহী এখতিয়ার। কয়দিন ছুটি থাকবে বা থাকবে না, এটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা উচ্চ আদালতের এখতিয়ার নয়।’ তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে আমাদের আইনি অবস্থানের কথা জানিয়েছি। এটা আমরা সর্বোচ্চ আদালতে আগামীকাল উপস্থাপন করবো।’ মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এখানে আইনি হস্তক্ষেপ করার অধিকার আদালতের আছে কি না, সেটা দেখার বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটা নির্বাহী এখতিয়ার, এটা আদালতের এখতিয়ার নয়।’
১২ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা যতদিন
এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের মতো রমজান মাসে খোলা থাকছে কলেজ। প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো ৩০ দিন ছুটি রেখে বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশের পর সেই তালিকা সংশোধন করা হয়। শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত নতুন তালিকা অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা হবে। ২৫ মার্চ থেকে কলেজগুলো বন্ধ থাকবে। এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রমজানের প্রথম ১০ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। জোহরের নামাজের জন্য সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে। মাদরাসায়ও একইভাবে ছুটির তালিকা সংশোধন করেছে সরকার। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি এবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসার জন্য ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। বছরের শুরুতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রেখে বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৫

কিস্তির টাকা না পেয়ে ঘরে তালা, খোলা আকাশের নিচে পরিবার
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় পরিবহন ও পোশাক শ্রমিক দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি বিকেল থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে তিন সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া (ফকির বাড়ি জামে মসজিদ) এলাকায়।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় আম্বালা ফাউন্ডেশন ওই দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।     পরিবহন শ্রমিক আলাউদ্দিন (৩৪) বাসের সুপারভাইজার এবং তার স্ত্রী ঋণ গ্রহীতা শামীমা আক্তার (২৮) স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক। শামীমা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের দেওয়ানিবাড়ি গ্রামের আলা উদ্দিনের স্ত্রী এবং তার শ্বশুরের ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়িকে দেখে বাসায় ফিরে তাদের ঘরের দরজায় তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন চলতি মাসের ঋণ দিতে না দেওয়ায় এনজিও কর্মীরা তার ঘরে তালা দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে শামীমার শ্বশুর আবুল বাশার শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরের বাড়িতে থেকে শামীমা পাশের গিলাবেড়াইদ এলাকার ভিনটেজ ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি ওই কারখানা থেকে তার চাকরি চলে যায়। তার স্বামী আলাউদ্দিন এনা পরিবহন সুপারভাইজার। তাদের আমি এখন আমার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শাহরিয়া আফরিন (১৫), ছেলে মিনহাজ (১৩) মাদরাসায় লেখাপড়া করছে, আরেক মেয়ে আলভি (৬) রয়েছে। শামীম আক্তার জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময় আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওই ঋণের বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। নিয়মিত ঋণের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে পোশাক কারখানা থেকে তার চাকরি চলে গলে সে ফেব্রুয়ারি মাসের ঋণ পরিশোধ করতে পারে নাই। পরিবারের অপর সদস্য হয়ে, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসা চালিয়ে তার স্বামীর একার পক্ষে ঋণ পরিশোধ করা সম্বভ হয়নি।   তিনি বলেন, এক লাখ টাকার বিপরীতে তারা (আম্বালা ফাউন্ডেশন) আমাকে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেলাই মেশিন ধরিয়ে দেয়। সেলাই মেশিন নিতে না চাইলে তারা ঋণ দেওয়া হবে না বলে জানায়। ঋণ ও যাবতীয় খরচসহ সঞ্চয় বাদে আমাকে এক লাখ টাকা না দিয়ে ৫৮ হাজার টাকা দেয়। প্রতি মাসে যথা নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি বকেয়া থাকায় এনজিও অফিসের লোকজন আমার ঘরে তালা দিয়ে গেছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে যাওয়ায় সময়মতো ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি পরিশোধ করতে পারিনি। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় কিস্তির টাকা জমা না দেয়ায় এনজিও কর্মীরা ঘরে তালা দিয়েছে। শামীমার স্বামী আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আম্বালা ফাউন্ডেশন  শ্রীপুর শাখার মাঠকর্মী কবির হোসেন বলেন, আমাদের লোনটা নিতে গেলে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিতে হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকা বীমা, আনুষঙ্গিক ২৬৫ টাকা খরচ আছে। ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে বলেন, ঋণ গ্রহীতা বাসায় থাকেন না। ফোন দিলে রিসিভ করে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাসায় গিয়ে না পেয়ে জামিনদারের উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আশিকুল ইসলাম বলেন, ঋণের কিস্তি শামীমা আক্তারকে সঠিক সময়ে পরিশোধ করছিল না। কিস্তি দেওয়ার সময় প্রতি মাসেই পাঁচ’শ এক হাজার টাকা কম দিতো। কিস্তির টাকা আনার জন্য মাঠ কর্মী বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলা থাকলেও শামীমাকে বাসায় পায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও না আসলে ঋণের জামিনদারকে ডেকে এনে তার উপস্থিতিতে ঘরে তালা দিয়েছি। আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার টিটু চক্রবর্তীর বলেন, কিস্তি দেওয়ার কথা বলে কর্মকর্তাদের বসিয়ে রেখে বাড়ি থেকে চলে যায় ঋণ গ্রহীতা। ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, কিস্তি না দেওয়ায় ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১

রমজানে মাদরাসার ছুটি বাড়ছে, খোলা থাকছে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের সঙ্গে মিল রেখে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি কলেজগুলোতে ১০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পুরো রমজান জুড়ে মাদরাসাগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা এসেছে। তবে, নতুন শিক্ষাক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্কুলের সঙ্গে মাদরাসাগুলোর ছুটিরও সামঞ্জস্য রাখতে রমজানের প্রথমাংশে কিছু দিন মাদরাসা খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগামী ১১ মার্চ ২০২৪ হতে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে। আর সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোতে  ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ১১ অথবা ১২ মার্চ। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৯

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু : ডেইলি স্টার সম্পাদককে খোলা চিঠি
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় প্রীতি উরাং নামে একজন শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেওয়া সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিবৃতিতে হতাশা জানিয়েছে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ। ঘটনার দশদিন পর হলেও এই বিবৃতি প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তারা বেশকিছু প্রশ্ন তুলেছেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পত্রিকাটি ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।   রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা এ কথা জানায়। খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার প্রতিষ্ঠান কি শিশু শ্রমিক রাখার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে? হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ এবং জেলখানায় বন্দি আসামিকে সাময়িক বরখাস্ত না করা কি গণমাধ্যমের নৈতিকতা ও মূল্যবোধগত বিষয়? ব্যক্তির অপরাধের দায় কি দ্য ডেইলি স্টার-এর? শিশু প্রীতি ও ফেরদৌসীর সাথে কি ন্যায়বিচার হয়েছে? কেন বারবার একই বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটছে, বিষয়টি কি একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসেবে আপনি বিবেচনায় নিয়েছেন?   নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ আমরা বিশ্বাস করে দ্য ডেইলি স্টারও একই প্রশ্নের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই সেগুলোকে আলোচনায় তুলতে চাইছে না। তারা খোলা চিঠিতে জানিয়েছে, উন্নত জীবন পেতে শিশু প্রীতিদের গৃহকর্মীর কাজে ঢাকায় আসাকে তারা সমর্থন করে না। পাশাপাশি তারা আহ্বান জানায়, অবিলম্বে পত্রিকাটি আশফাকুল হককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং প্রীতি উরাং ও ফেরদৌসির বেগমের পরিবারকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের ‘বাসভবন থেকে পড়ে’ কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার ১০দিন পরে পত্রিকাটির অবস্থান জানান সম্পাদক মাহফুজ আনাম। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টায় তিনি এক বিবৃতিতে ১৫ বছর বয়সী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন ঘটনার সঙ্গে কে জড়িত তা বিবেচনায় না নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার এ মামলার বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং সতর্কতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ করবে; যেমনটি অন্য সব ক্ষেত্রে করে থাকে। এরপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ থেকে খোলা চিঠিতে লেখা হয়, প্রদত্ত বিবৃতিটি অভিযুক্তের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি একটি প্রভাবশালী পত্রিকার প্রভাব বিস্তারের দুরভিসন্ধি বটে। দ্বিতীয়বার একই ধরনের ঘটনার অবতারণা হলেও একই অভিযুক্ত আশফাকুল হককে দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদকের পদে বহাল রাখা’ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা নয় কি? একটি নিরপেক্ষ ও নির্মোহ তদন্তের স্বার্থে আশফাকুল হককে নির্বাহী সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করে বিবৃতি প্রকাশ করা হলে, সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বশীলতা প্রমাণিত হতো।   সম্পাদকের দেওয়া নোটের সমালোচনা করতে গিয়ে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ তাদের যুক্তি তুলে ধরে। তারা তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আপনি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন, উল্লেখ করেছেন। অথচ একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরপর একই ধরনের দুটি অভিযোগ উঠে এসেছে, যা আপনি অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগটি বিচারাধীন থাকার পরও আপনি তা বিবৃতিতে উল্লেখ করেননি। এমনকি আপনার পত্রিকার পক্ষ থেকে অন্যান্য ঘটনার মতো এই দুটি ঘটনায়       সরেজমিন অনুসন্ধান করে বিশ্লেষণধর্মী ও তুলনামূলক আলোচনার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, যা পত্রিকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

‘স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে যাওয়ার দরজা খোলা আছে’
দীর্ঘদিন ধরে প্রধান নির্বাচকের পদে থাকা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, বড় ক্রিকেট তারকা ও বোর্ড পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দায়িত্ব পেয়েই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নতুন প্রধান নির্বাচক। এ সময় নিজের দায়িত্ব স্বাধীনভাবে কাজ করা নিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে আনন্দ নেই। রাস্তা সবসময় খোলা আছে, আসার রাস্তাও খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা।’ দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিসিবির সঙ্গে কাজ কারার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলেও জানান লিপু। প্রধান নির্বাচক বলেন, স্বাধীনতা থাকবে। এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আগের প্রক্রিয়াটা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।  ‘আমরা জানি যে এটা অনেক বড় একটা প্রক্রিয়া ছিল। তবে যেহেতু দল নির্বাচন এখানে অধিনায়ক-কোচ অবশ্যই জড়িত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে সিস্টেম আছে সেটার মধ্যেই আমরা রাখার চেষ্টা করবো।’ এক দশক ধরে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন নান্নু। এই সময়ের মধ্যে অনেক সমালোচনা শিকার হতে হয়েছে তাকে। তবে এসব নিয়ে ভাবতে চান না নতুন প্রধান নির্বাচক। লিপু বলেন, আমি এই পদে নিয়োগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি (নান্নু) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সুমনও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতাম, তখন অনেক দর্শক আসত। প্রতিদিনই আমাদের গালি খেতে হতো।  ‘মোহামেডান হেরে গেলে আমাদের সমর্থকরাও গালমন্দ করত। আমরা যে পদে থাকব সেখানেও খেতে হবে। আমি যদি আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকি, আমার মনে হয় এটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। এটা যার যার রুচির ব্যাপার। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়