• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
তুরস্কে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মারামারি, ফিফার কড়া হুঁশিয়ারি
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘটে থাকা নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয় দর্শকরা। এবার তুরস্কের সুপার লিগের ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছে সমর্থকরা। এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  গত রোববার (১৬ মার্চ) ত্রাবজোন্সপোর বিপক্ষে ফেনেরবাচের ৩-২ গোলে জয়ের পর ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর পরপরই মাঠ ঢুকে পড়েন স্বাগতিক ত্রাবজোন্সপোরের সমর্থকরা।  তারা সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা আক্রমণ করেন ফেনেরবাচের খেলোয়াড়রাও। এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি।  ঘটনার সময় তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একদল সমর্থক মাঠে ঢুকে জয়ের উচ্ছ্বাস করতে থাকা ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ খেলোয়াড়দের মারতে উদ্যত হন। ফেনেরবাচের খেলোয়াড়েরাও কয়েকজন সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনেরবাচের বেলজিয়ান ফুটবলার মিচি বাতসুয়াই এক সমর্থককে লাথি মারছেন। একই সময় দলটির নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ব্রাইট ওসাই–স্যামুয়েল ঘুষি মেরেছেন ত্রাবজনস্পোরের এক সমর্থককে। ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরাও থেমে থাকেননি। এক সমর্থক কর্নার ফ্লাগ হাতে নিয়ে ফেনেরবাচের এক খেলোয়াড়কে শাসাতে থাকেন। একজন তো ফেনেরবাচের গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেন। এমন ঘটনার পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন এ ঘটনাকে ‘মেনে নেওয়ার মতো নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তুরস্কের ফুটবলে চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে আঙ্কারাগুকু ও রিজেস্পোর ম্যাচে রেফারি উমুত মেলেরকে মাঠে আক্রমণের পর এক সপ্তাহ লিগ স্থগিত ছিল। অন্যদিকে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, ত্রাবজোন্সপোর ও ফেনেরবাচের মধ্যকার ম্যাচের যে সহিংসতা দেখা গেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মাঠে বা মাঠের বাইরে, আমাদের খেলায় বা সমাজে এর কোনো স্থান নেই।  তিনি বলেন, যে খেলা সারা বিশ্বের অনেক মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনে, সেটা খেলার জন্য সব খেলোয়াড়কে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়