• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

ঈশ্বরগঞ্জে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে তরুণ খুন
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠে ছুরিকাঘাতে শাহজাহান মিয়া নামে (১৯) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাহিম (১৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজিবপুর ইউনিয়নের উজান চর নওপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজাহান মিয়া ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। শাহজাহান গাজিপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আটক ফাহিম একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে। গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, দুপক্ষের মাঝে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের জন্য পোস্টার লাগায় নুরুল ইসলামের লোকজন। এই নিয়ে বুধবার বিকেলে উচাখিলা বাজারে দুপক্ষের মধ‍্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে মিটিয়ে দেয়।  এ দিকে নিহত শাহজাহান মিয়া গাজীপুর থেকে ঈদের ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসেন। ঘটনার দিন সকালে ঈদের নামাজ পড়তে উজান চর নওপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে যায়। নামাজ শেষে খুতবা পড়ার সময় শাহজাহান মিয়া দোয়া না পড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মানিক মিয়ার ছেলে ফাহিম ও তার লোকজন শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শাহজাহান মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অপর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন মিয়া বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 
গোপালগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে মাহিন মীনা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিন মীনা ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশার ওরফে বাসু মীনার ছেলে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিন ঢাকায় একটি টাইলসের দোকানে কাজ করতেন। ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ দিন সকালে তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম মীনা ও নূরুল ইসলাম সৌখিনসহ বেশ কয়েকজন তাদের যৌথ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিচ্ছিল। মাহিন তাদেরকে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মাহিনের চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

রাজধানীর শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী খুন
রাজধানীতে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত হাসান মাহমুদ (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচ তলায় অবস্থিত বুথে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, এটিএম বুথের টাকা চুরি করতে এসে, বুথ ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তাদের কাজে বাধা দিলে হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের কাজ চলছে।  তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, চালক খুন
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পরিবহনের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে রাসেল মিয়া (৩৩) নামের এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লিমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।  অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া বাড়ি উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুখ মোজাহিদপুর। তিনি ওই গ্রামের নান্দু শেখের ছেলে। আসামি লিমন মিয়া একই গ্রামের সেকেন্দার আলীর বাসিন্দা। ওসি মামলার বরাত দিয়ে মুঠোফোনে জানান, সোমবার রাতে উপজেলার খোর্দ্দকমরপুর গ্রামের লিমন মিয়া একই গ্রামের রাসেল মিয়ার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে। লিমন মিয়া নিজবাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অটোরিকশাটি নিয়ে যাতায়াত করেন। বাড়িতে ফিরে লিমন মিয়া অটোরিকশা ভাড়াবাবদ রাসেলকে ২০০ টাকা দেন। এ সময় চালক রাসেল মিয়া ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা চাইলে লিমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে লিমন মিয়ার কিল-ঘুষিতে রাসেল মিয়া অসুস্থ হয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিমন মিয়াকে আসামি করে নিহতের বাবা নান্দু শেখ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০

৫০ হাজার টাকার জন্য খুন হন অনন্যা
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর এলাকায় বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত-পা বাঁধা অনন্যা কর্মকার হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যায় জড়িত দুজনকে কুমিল্লা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।  সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সাইনবোর্ড এলাকায় পিবিআইয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জীবন ও তার কথিত স্ত্রী নুসরাত জাহান মীম। পুলিশ সুপার জানান, চর সৈয়দপুররের একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে নিহত অনন্যার স্বামী হরে কৃষ্ণ চাকরি করতেন। কিন্তু এক বছর পূর্বে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ও অনন্যা পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন। গত ২ মার্চ অনন্যা গোসল করতে গেলে আসামি জীবন নিহতের মোবাইল ফোনে চেক করে। মেসেজ দেখে জীবন বুঝতে পারে অনন্যার ভাই আমেরিকা হতে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। তখন টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটতে থাকেন আসামিরা।  পুলিশ সুপার আরও জানান, ৪ মার্চ আড়াইহাজারে পালাগান শেষে জীবন ও তার কথিত স্ত্রী মীম রান্না করতে না পারায় বাইরে থেকে তাদের ও অনন্যার জন্য খাবার কিনে আনেন। তারা অনন্যার খাবারে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরে অনন্যা খাবার খেয়ে অজ্ঞান হলে তাকে শ্বাসরাধে হত্যা করে তারা। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ের আঙুলে আগুন দেয় তারা। এতে অনন্যা নড়াচড়া না করায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় তারা। এ সময় অনন্যার হাত পা বেঁধে অটোরিকশাযোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের সৈয়দপুর এলাকায় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।  এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০০

তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. আবির হোসেন ওরফে ছোটন (২৩)। রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আবির উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার কালা মিয়া ছেলে। অভিযুক্ত আরিফুর রহমান একই এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোনাগাজী-ফেনী সড়কের মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরিফের বড় ভাই মো. নিলয়ের একটি চায়ের দোকান রয়েছে। রোববার বিকেলে আবির ও আরিফ দুই বন্ধু একসঙ্গে ওই দোকানে ইফতার করতে যান। পরে আরিফ ইফতারি প্রস্তুত করার সময় আবিরের সঙ্গে আগের একটি ঘটনা নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আবিরের পেটে ও বুকে দুটি আঘাত করেন। এতে সঙ্গে সঙ্গে আবির মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আরিফ দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন আবিরকে ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, আবির ও আরিফ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। দুজন একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আরিফ পলাতক। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আরিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। বর্তমানে মরদেহ ফেনীর ২৫০ শয্যা  বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সোমবার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

মাদক-আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন ফয়সাল, গ্রেপ্তার ১০
মাদক ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং গ্রুপের হামলায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানার সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় নিহত হন কারচুপি কারিগর ফয়সাল। একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত রানা ওরফে রানু নামের অপর এক তরুণ চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।    রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহিন ওরফে নাডা শাহিন (২৪), মো. মুরাদ হোসেন (২৪), পারভেজ আহম্মেদ (২২), মো. ইয়াসিন (২০), মো. সাইফুল ইসলাম সাইমন (৩০), মো. নাসির উদ্দিন (২০), মো. হৃদয় ওরফে সাফি গন্ডার (২০), মো. রাজিব মিয়া (২৫), শাহনেওয়াজ ওরফে কাল্লু (২৮) এবং তানজিলা (২৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকায় ফয়সাল নামের একজন নিহত হন। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তে নেমে জানা যায়, প্রথমে একই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পেপার সানী গ্রুপের সদস্য মো. শাহিন ও তার বোন তানজিলার সঙ্গে গত ১৫ মার্চ বিকেলে মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রুপের সদস্য ফয়সাল ও রানা ওরফে রানুর সঙ্গে মারামারি হয়। এই ঘটনার পরে পেপার সানী গ্রুপের সদস্য শাহিন ওরফে নাডা শাহিন ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সায়মুন গ্রুপের রাব্বী ওরফে গালকাটা রাব্বীকে জানান। পরদিন ফয়সাল ও তার বন্ধু রানা এবং আরও দুই বন্ধু পল্লবীর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার শেষে রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে চাপাতি, তলোয়ার, রামদা, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করা হয়। এরপর ফয়সালের মা এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ফয়সালের বন্ধু রানা ওরফে রানু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত ফয়সালের বাবা শাহাদাত হোসেন এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।     গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা প্রায়ই মাদক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি করে থাকেন। একই ঘটনা উত্তরায় ঘটছে। উত্তরা এলাকায় বেশ কিছু বড় ভাইদের নাম পেয়েছি, যারা কিশোর গ্যাং গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি মোহাম্মদপুরেও বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয়। রাজধানীর কোনো এলাকায় বড় ভাইদের বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। কোনো বড় ভাইয়ের নামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের প্রত্যেকটি টিম রাজধানীর সব এলাকায় কাজ করছে, যোগ করেন হারুন অর রশীদ। ডিবির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাশেদ হাসান ফয়সাল হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, মিরপুরের পল্লবী এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এ ঘটনা ছাড়াও অতীতেও কিশোর গ্যাং সদস্যরা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে।  ধারাবাহিক অভিযান চলছেজড়িতদের ধরতে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:০০

ইফতারে পাকিস্তানির জুস খেয়ে ফেলায় খুন হলেন বাংলাদেশি  
মালয়েশিয়ায় ইফতারের সময় পাকিস্তানি সহকর্মীর জুস খেয়ে ফেলায় খুন হয়েছেন এক বাংলাদেশি শ্রমিক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যে শাহ আলম জেলার সেকশন ৩৬-এর একটি কারখানার শ্রমিক হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পাকিস্তানি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইফতারে কমলার জুস পান করা নিয়ে নিজের পাকিস্তানি সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় বাংলাদেশি নাগরিকের। তদন্তে জানা গেছে, নিহত ওই বাংলাদেশি (৪৯) একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত পাকিস্তানি নাগরিক তার সঙ্গে ফ্যাক্টরির কন্টেইনারে তৈরি হোস্টেলে থাকতেন। মালয়েশিয়ার শাহ আলম জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল ইব্রাহীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পুলিশ ঘটনার খবর পায়।  বুধবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইফতারের সময় তার জুস পান করলে বাংলাদেশির ওপর রেগে যান অভিযুক্ত পাকিস্তানি নাগরিক। পরে তিনি রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন ভুক্তভোগীকে। খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশ একটি ছুরিও জব্দ করেছে, ধারণা করা হচ্ছে ছুরিটি ওই পাকিস্তানি ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে আঘাত করতে ব্যবহার করেছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।     
২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

সিলেটে ছেলের হাতে বাবা খুন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের হাতে খুন হয়েছেন তপন মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। নিজ বসতঘরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে ছেলে আনছার মিয়া (৩৬)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক আনছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে বাবা তপন মিয়াকে বালিশচাপা দিয়ে ছেলে আনছার মিয়া হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল করে মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়