• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বুয়েটে জঙ্গিরা সক্রিয় কি না খুঁজে বের করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করতে চায়, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার। তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না। বুয়েট থেকে দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ পাস করেছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। ‘ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে- এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ এতে অংশ নেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪২

৪৯ বছর পর মাকে খুঁজে পেলেন এলিজাবেথ
মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের পদ্মারচর গ্রামের ফিরোজা বেগম। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় মারা যান স্বামী বছির সরদার। শুরু হয় সংসারে অভাব। এরই মধ্যে ফিরোজা বেগমের কোল আলো করে জন্ম নেয় একটি মেয়ে। নাম রাখা হয় মৌসুমী। সেই সন্তান লালন-পালনের সামর্থ্য ছিল না ফিরোজা বেগমের। বাধ্য হয়েই সন্তানকে ঢাকার মোহাম্মাদপুর এতিমখানায় দেন তিনি। সেই এতিমখানা থেকে মৌসুমীকে দেওয়া হয় নরওয়ের এক দম্পতির কাছে। ওই দম্পতির ঘরেই বড় হয়েছেন মৌসুমী। নাম বদলে হয়েছেন এলিজাবেথ। ৪৯ বছর পর আবারও ফিরোজা বেগমের কাছে ফিরে এসেছেন এলিজাবেথ। পাসপোর্টে তথ্য অনুযায়ী, এলিজাবেথের জন্ম ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই। জন্মের পাঁচ মাসের মাথায় ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এতিমখানা থেকে তাকে দত্তক নিয়ে যান নরওয়ের দম্পতি। সেই থেকেই মৌসুমী ওরফে এলিজাবেথ নরওয়ের বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি জানতেনই না কে তার আসল বাবা-মা।  নরওয়ের চিকিৎসক রয় রয়েড ও ক্যারেন রয়েড দম্পতি মৌসুমীর নাম রাখেন এলিজাবেথ রয়েড। সেই দম্পত্তিই তাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর এলিজাবেথ রয়েড হয়ে যান এলিজাবেথ ফাজালসেট। এলিজাবেথ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। সেই সময় চিকিৎসক তার পারিবার সম্পর্কে জানতে চান। তখনই এলিজাবেথের মধ্যে নিজের মা এবং পরিবার সম্পর্কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এরপর চার সন্তানের মা হয়েছেন এলিজাবেথ। পাশাপাশি শুরু করেন নিজের মাকে খুঁজে বের করার কাজ। ২০১৩ সালে একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন মায়ের খোঁজে। তবে সেবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। কিন্তু, এবার আর ব্যর্থ হতে হয়নি মৌসুমী ওরফে এলিজাবেথকে। গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মারচর গ্রামে গিয়ে পেয়েছেন মায়ের দেখা এলিজাবেথ। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে মা-মেয়ে দুই জনই কেঁদেছেন অনেকক্ষণ। একে অন্যের মুখের ভাষা বুঝতে না পারলেও আবেগ অনুভূতি দিয়ে তারা নিজেদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বিকেলে আবার ঢাকায় ফিরে যান এলিজাবেথ ও তার স্বামী হ্যানরি। এর আগে, মোহাম্মদপুর এতিমখানা থেকে নথি সংগ্রহ করেন এলিজাবেথ। এরপর একটি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে মাদবরচর গ্রামের ভাতিজা সেলিম সরদারের বাড়িতে আসেন এলিজাবেথ এবং তার স্বামী হ্যানরি। এলিজাবেথ তার মায়ের জন্য নতুন জামা, কসমেটিক্সসসহ বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় একটি বাজার থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ, আটা-ময়দা সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনে দিয়ে যান। নরওয়ে থেকে মেয়ে এলিজাবেথ যেন তার মাকে দেখেতে পরেন সেজন্য একটি মোবাইল ফোন কিনে দেবেন বলেও জানান।  এলাকাবাসী জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় ননদের বাসায় পদ্মারচর গ্রামের মৃত বছির সরদারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নাম রাখেন মৌসুমী। সেই সময় ফিরোজা বেগমের আর্থিক অভাব অনটন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৌসুমীকে ঢাকার মোহাম্মাদপুরের সমাজ কল্যাণ পরিচালকের কাছে দেন। এলিজাবেথের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমি যখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন ওর বাবা মারা যায়। আমার মাথার ওপর কোনো ছায়া ছিল না। আত্মীয়-স্বজন অনেকের বাড়িতে ঘুরেছি। কোনো উপায় পাইনি। কিন্তু, কোলের মানিককে রাস্তায় ফেলে আসিনি। রেখেছি সরকারের কাছে। বেঁচে থাকলে একদিন দেখা পাবো এই বিশ্বাস ছিল। এক সময় আমার কোলে আসবে এই বিশ্বাসও ছিল। ৪৯ বছর পর আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি। এলিজাবেথ বলেন, ছোটবেলা থেকে নরওয়েতে বড় হয়েছি। নরওয়ের বাবা-মা নাম রাখেন এলিজাবেথ। বড় হয়ে জানতে পারি আমার জন্ম বাংলাদেশে। মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তারপর থেকেই আমি ফিরাজো নামটাকে আমার নামের সঙ্গে যুক্ত করি। ২২ বছর বয়সে যখন প্রথম সন্তান প্রসব করি তখন সেখানকার ডাক্তাররা আমার হিস্টরি জানতে চান। তখন থেকেই আমি আমার পরিবারকে খুঁজতে শুরু করি। এ ব্যাপারে আমার স্বামী হ্যানরি ও সন্তানরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। 
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩০

ওমরাহ করতে গিয়ে ১১ বছর পর হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা
২০১৩ সালে গৃহযুদ্ধে নিজেদের ছোট্ট সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছিলেন এক সিরীয় মা। এরপর একে একে কেটে গেছে ১১টি বছর। এত বছরে আদরের সন্তানটিকে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ওমরাহ পালন করতে গিয়ে নিজের যক্ষের ধনকে ফিরে পেলেন ওই মা।      গালফ নিউজ বলছে, ১১ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মধ্যে যখন ভয়াবহ বোমা হামলায় গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল তখন নিজেদের ছোট্ট সন্তানটিকে হারিয়ে ফেলেন এক দম্পতি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পাননি ছেলেটিকে। কিন্তু এ মাসে ওমরাহ করতে গিয়ে দেখা হয়ে যায় মা-ছেলের।  ১১ বছর পর মাকে দেখে ছেলের দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরার আবেগঘন দৃশ্যের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দৃশ্যটি নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।  গত মে মাসে প্রকাশিত সৌদি সরকারের এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্রায় সাড়ে চার লাখ সিরিয়ান রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪০

অবশেষে শান্তির জায়গা খুঁজে পেলেন পরীমণি!
শোবিজ তারকাদের নিয়ে সাধারণ দর্শকদের সব সময় বাড়তি আগ্রহ থাকে। তাদের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন, সব কিছুর সবশেষ সংবাদ পেতে মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা। আর তাইতো তারকাদের সব কিছুতেই স্টাইলের ছোঁয়া দেখা যায়। হলিউড-বলিউডের তারকাদের গাড়ি-বাংলো-ফ্যাশনে যেমন চমক, তেমনই চমক রয়েছে তাদের ভ্যানিটি ভ্যানেও। শুটিং সেটে যে চাকা লাগানো ‘ঘর’-এ তারা সাজগোজ করেন, বিশ্রাম নেন সেটাকেই ভ্যানিটি ভ্যান বলা হয়। শোনা যায়, সেগুলো পাঁচতারা হোটেলের ঘরের চেয়ে কম কিছু নয়।  আমাদের দেশের তারকাদের তেমন ভাবে শুটিংয়ে ভ্যানিটি ভ্যান ব্যবহার করতে দেখা যায় না। তবুও ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির মতে, ভ্যানিটি ভ্যান একজন শিল্পীর জীবনের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি।   মাতৃকালীন ছুটি কাটিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে একের পর এক কাজের খবর দিচ্ছেন পরী। আর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন। সিনেমার নাম ‘ফেলুবকশি’। এই সিনেমার শুটিংয়ে ভ্যানিটি ভ্যান ব্যবহার করছেন এই অভিনেত্রী।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের ফাঁকে ভ্যানিটি ভ্যানের দরজায় দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছেন পরীমণি। খোলা চুলে হাস্যোজ্জ্বল পরীকে দেখা গেছে অফ হোয়াইট রঙের পার্টি ড্রেসে। ছবির ক্যাপশনে ভ্যানিটি ভ্যানকে শান্তির জায়গা উল্লেখ করেন অভিনেত্রী। এদিকে, ‘ফেলুবকশি’-এ পরীর বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। থ্রিলার গল্পে নির্মিত হচ্ছে এটি। পরীমণির চরিত্রের নাম লাবণ্য, রহস্যময় এক চরিত্র। এদিকে, নির্মাণ কাজ শেষের দিকে পরীমণি অভিনীত নির্মিতব্য ‘ডোডোর গল্প-Story of Dodo’ সিনেমার কাজ। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রেজা ঘটক। এতে পরীর বিপরীতে আছেন সাইমন সাদিক।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৮

অবশেষে সভাপতি খুঁজে পেলেন নিপুণ!
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নিজ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী খুঁজে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়িকা ও আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। এবার তিনি মাহমুদ কলিকে নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন মিশা-ডিপজল’র বিপক্ষে। একটি বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে৷ এ বিষয়ে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন নিপুণ। এর আগে মাহমুদ কলি শিল্পী সমিতির দুই দফা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আবারও সমিতির নির্বাচনে দেখা যাবে তাকে। এদিকে, বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন নিপুণ। হন্যে হয়ে সভাপতি খুঁজে বেড়ান তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন—শাকিব খান, ফেরদৗস আহমেদ, অনন্ত জলিল ও আহমেদ শরীফ। তারা সবাই নিপুণকে ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় নিপুণের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাহমুদ কলি। আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল নির্বাচন করবেন। প্রসঙ্গত, মাহমুদ কলি ছিলেন আশি ও নব্বই দশকের নায়ক। তার পারিবারিক নাম মাহমুদুর রহমান উসমানী। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রনির্মাতা আজিজুর রহমান বুলি’র ছোট ভাই। মূলত ভাইয়ের হাত ধরেই তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর দেখিয়েছেন অভিনয়ের মুন্সিয়ানা। মাহমুদ কলি’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাস্তান’। তিনি এই চলচ্চিত্রে সহ-অভিনেতার ভূমিকায় ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালে অশোক ঘোষ নির্মিত ‘তুফান’ চলচ্চিত্রে মূল নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেন। মাহমুদ কলি ৬১টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫০

অবশেষে আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন মাহি
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী রাকিব সরকার ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন। কিন্তু সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। শুধু তাই নয়, অনেক আগে থেকেই নাকি ছেলেক নিয়ে আলাদা থাকছেন মাহি। এমনকি এদিন ছেলেকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য না করতেও নেটবাসীদের অনুরোধ জানান মাহি। এরপর থেকেই সব মিলিয়ে বিষণ্নতায় ভুগছেন মাহি। এবার যেন আস্থার জায়গা খুঁজে পেলেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন মাহি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘আস্থার আস্তানা।’   ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি বাসার সিঁড়িতে কয়েকজনে সঙ্গে বসে ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন মাহি। তার সঙ্গে রয়েছেন— জয় চৌধুরী, শিরিন শিলা, শিপন মিত্রসহ আরও অনেকে।  এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মাহি জানান ভীষণ একা লাগছে তার।  বর্তমানে আগের মতো চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন মাহি। রাজনীতিতেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে পারলেন না। একদিকে দ্বিতীয় সংসারও ভাঙল, অন্যদিকে অভিনেত্রীর ছেলের গায়ের রং নিয়েও রয়েছে নানান সমালোচনা। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদেই যেন ভুগছেন মাহি।   প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০

‘পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে’
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফারুক খান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা অনুসরণ করতে হবে। যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। এ বিদ্রোহের অবসান হয় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। রক্ত বয়ে যায় পিলখানায়। পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

রক্তদাতা খুঁজে দেবে আইডোনার অ্যাপ
জরুরি মুহূর্তে জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন হয় রক্তের। রোগীর স্বজনরা রক্তের জন্য ছোটাছুটি করেন হাসপাতালসহ পরিচিত জনদের দ্বারে দ্বারে। সময় মতো রক্ত যোগাড় হবে কিনা তা নিয়ে দুচিন্তা আর সংশয়ে থাকেন তারা। তাই জরুরি মুহূর্তে রক্ত পেতে রক্তদাতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে পেতে দেশে যাত্রা শুরু করেছে আইডোনার অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যে কোনো স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে খুব সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত রক্তদাতাকে। স্মার্ট ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে রক্তদাতা এবং গ্রহীতা উভয়কেই নিবন্ধন করতে হবে। রক্তদাতার সন্ধানে অ্যাপের সার্চ বাটনে ক্লিক করে যে গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন সেই গ্রুপ বাছাই করতে হবে। রক্তদাতা এবং গ্রহীতা উভয়কেই জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্ত করতে হবে, রক্তদানে আগ্রহী রক্তদাতা কত দূরত্বে অবস্থান করছে সেটাও জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। মূলত জরুরি মুহূর্তে রক্তদাতাকে খুঁজে পেতেই যাত্রা শুরু হয়েছে আইডোনার অ্যাপের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য বলছে, দেশে রক্ত নিয়ে তেমন কোনো সংকট নেই। বর্তমানে দেশে সেচ্ছায় রক্তদানের হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি কিছু সংগঠনের তথ্য বলছে, দেশে যে পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন তা চাহিদার তুলনায় কম। ডেঙ্গু মহামারি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার সময় রক্ত পেতে বেশ সংকটে পড়তে হয়। এই অ্যাপস প্রয়োজনের সময় রক্ত পেতে খুবই সহায়ক হবে। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৪

মোবাইল খুঁজে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
রাজশাহীর চন্দ্রিমায় নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও মুক্তিপন আদায়ের ঘটনার মূল হোতা আলমগীর রয়েলসহ জড়িত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। এ নিয়ে মোট চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় র‌্যাব-৫ এর কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে নগরীর কোট স্টেশন এলাকায় এক নারী তার মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ফোন খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসে আলমগীর রয়েল সে নারীকে তার সঙ্গে নিয়ে ভদ্রা এলাকায় যান। সেখানে এক বাড়িতে আসামি আলমগীর তার দুই স্ত্রী এবং অন্য এক নারীর সহায়তায় ভুক্তভোগীকে জোর করে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের জন্য মুক্তিপন দাবি করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করলে বৃহস্পতিবার  রাত ৮টায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় মূল আসামি আলমগীর ছাড়াও তার দুই স্ত্রী হেলেনা বেগম, দিলারা বেগম এবং শ্যালিকা মমতাজ বেগমকে ঘটনায় সহায়তাকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, আসামি আলমগীর এবং তার স্ত্রীরা প্রতারক ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তাদের বাড়ি থেকে এভাবে প্রতারণা করে নেওয়া অনেকগুলো চেক ও জমির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে যেসব সমস্যা খুঁজে পেলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই দেশের ৫৫টি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করেছেন তিনি। সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। যেটি ব্যবহার করে থাকে ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তবে এই স্টেডিয়ামের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল বাফুফে। বিশেষ করে পানি ছিটানোর পদ্বতি। এদিনও নতুন মন্ত্রীর সামনে একই অভিযোগ তোলে তারা। বাফুফের দাবি স্প্রিংলার বদলে পপ-আপ সিস্টেমে পানি দেয়ার। এতে কোটি টাকা পুনরায় ব্যয় প্রয়োজন। এজন্য আবার নতুন অনুমোদন প্রয়োজন।  পাপন বলেন, যেহেতু এটা নতুন স্থাপনা, সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আর বিলম্ব করতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করা হবে। না হলে নেই, কারণ এটা নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের সংস্কার তাই অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়তো নয়। গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান, কম্পিটিশন ম্যানেজার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে জোরালো দাবি জানিয়েছে বিদ্যমান পানি ছেটানোর পদ্ধতিকে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ আবার ফেডারেশনেক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এত বিলম্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করায়। প্রতিটি স্টেডিয়ামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিডিয়া বক্স। নতুন সংস্কারে বক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান। ইলেকট্রনিক ক্যামেরাম্যানদের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে ক্রীড়া মন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এখানে এসে যা দেখলাম মূলত দু’টি সমস্যা। একটি স্প্রিংলার (মাঠে পানি দেওয়ার মাধ্যম) আরেকটি মিডিয়া বক্স। সমস্যা টা বুঝলাম। সমস্যা আছে অস্বীকার করার পথ নেই। সমাধানের পথ আছে কিনা দেখব, সম্ভব হলে অবশ্যই করব। তবে খুব একটা অসম্ভব বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে। আড়াই বছর পর এসে ফেডারেশন-এনএসসি পারস্পরিক ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। তাই কাজ না দেখে সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না পাপন।  নতুন মন্ত্রী বলেন, কারো সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ কথা বলতে গেলে, এনএসসি, কনসালটেন্ট এবং ফেডারেশনের মধ্যে কারো উপরে পড়বে। তাই ডকুমেন্ট না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা। স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে পাপন বিসিবির সাবেক অফিস পরিদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান কার্যালয় ছিল। এই অফিস থেকে বাংলাদেশের টেস্ট-ওয়ানডে প্রাপ্তি সহ অনেক ইতিহাসের জন্ম। বিসিবির পুরনো অফিস ঘুরে দেখান ক্রীড়া সাংবাদিকরা। বিসিবির সাবেক কার্যালয় এখন ক্রীড়া লেখক সমিতির নতুন অফিস। 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়